পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হাবিবুর রহমানের নতুন ধারাবাহিক "ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন"/১

ছবি
শুরু হলো  হাবিবুর রহমানের  নতুন ধারাবাহিক  "ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন" । এ এক মন কলম ধাড়ক । যার কলম থেকে ঝরে পড়ে জীবনদর্শনের কালি                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                             ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন -১ম পর্ব              মোঃ হা‌বিবুর রহমান                                                            ম‌ নের গভী‌রের অন্তস্থল থে‌কে প্র

রাবেয়া পারভীন।

ছবি
স্মৃতির জানালায়  (৫ম পর্ব) মেয়েটি উচ্চকন্ঠে ডাকল, - বাবলু এই বাবলু ডাক শুনে একটি আট নয় বছরের ছেলে এসে ঘরে ঢুকল।ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বোঝা গেল ছেলেটি  মেয়েটির ভাই। কাছে এসে ছেলেটি মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল   - কেন ডেকেছো আপা ? - কাজেম কো বলো আমাদের কে চা নাস্তা দিতে। -আচ্ছা বলে বলে ছেলেটি বেরিয়ে গেল। মাহতাবের দিকে তাকিয়ে মেয়েটি বলল - আব্বা এলে যে আপনার কথা বলব,  আপনার নামটাই তো জানা হলোনা। আবার ঢোক গিলে মাহতাব -আমার নাম মাহতাব উদ্দীন।  - আমার নাম শবনম।  আপনি কোথায় থাকেন ?   -বকসীবাজার  মেসে থাকি। -গ্রাম থেকে এসেছেন বুঝি ? -হ্যাঁ  - কে কে আছেন  বাড়ীতে ? - বাবা  আর দুই বোন। -আর মা ?   - মা নেই ,  অনেক আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। বলতে গিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো মাহতাবের। এতক্ষনে তাঁর মনে হলো বুকও বুঝি শুকিয়ে  যাচ্ছে। আস্তে  করে বলল -আমাকে  এক গ্লাস  পানি দিবেন ?  - এক্ষুনি আনছি। শবনম উঠে পানি আনতে গেল  এবং ফিরে এলো কাজের ছেলেটিকে সাথে  নিয়ে। ছেলেটির হাতে নাস্তার ট্রে। শবনম  ট্রে  টা নিজের হাতে নিয়ে মাহতাবের সামনে  টি টেবলের উপর রাখলো। কাজেম কে বলল  - কাজেম তুই শিপলু বাবলু কে  ডেকে নিয়ে  আয় ম

সামরিন শিরিন

ছবি
এই পথটা ভীষণ প্রিয়  এই পথটা ভীষণ প্রিয়।  এ পথে অলীক মুখোশ ভেসে বেড়ায় এক পরপত্যেস মুখ।  এই পথের পা'য়ে পা'য়ে এক ধোঁয়াশা গল্পের ভাংচুর।  এই পথ মাড়িয়ে নিত্য হাঁটে চলে  এক ছায়াশরীর।  অথবা কারো বুকের ভেতর।  এই পথের একেবারে যেই শেষ  সেখানে হু হু করে নেমে আসে রোজ তুমুল বৃষ্টি ঝড়!  অথবা কারো দুচোখ ভেঙ্গে।  এই পথ, আচানক কিছু  হারিয়ে ফেলার গল্প।  এখানে স্থবির সোনালু গন্ধ অনেক মায়ায়। এই পথ খুব বোকাটে, বিমূঢ়  বিচ্ছিরি, বিবাগীনি।  এই পথটা ভীষণ প্রিয়।  এপথের হাওয়ায় হাওয়ায় উড়তে থাকে পাষণ্ড এক অশ্বারোহীর ক্ষূরধুলি।

নূরজাহান শিল্পী ( ইংল্যান্ড )

ছবি
অযাচিত অভিমান উপচে পড়া জলের কথা তুমিই বলো আমিতো জানি শুধু কান্নার রং গুলো আমার ইচ্ছেরা অমাবস্যার আঁধারে লুকায় নিজেকে বড় বেমানান লাগে ভরা পূর্ণিমায় আমার কিছু নির্ঘুম রাত আছে কিছু কষ্টের কাহন জমা তাতে মন খারাপের গল্প আছে একাকিত্বের খরায় জলের গহীন রচে জোসনার আমন্ত্রণে হৃদয় খুঁজি ভালোবাসা বুকে নিয়ে ঘুরে চলছি আজন্ম সূর্য পথে অপেক্ষার নাম হয়েছে দীর্ঘশ্বাস গড়িয়ে পড়া অশ্রুগুলো মিথ্যে নয় নির্বাক! সেও তো বোঝে ক্ষোভ চোখের পাতায় অভিমান সেও বুঝে উপলব্ধি বোধ জড়িয়ে ধরে রোজ আজ পালিয়ে বেড়ায় ক্ষত নিয়ে লৌকিক আঁধারে মুমূর্ষ শহরের ইট পাথরের জীর্ণ দেয়ালে প্রতিধ্বনি  শুনি মন ভালো নেই মন ভালো নেই...

মেহবুবা হক রুমা

ছবি
সোনার আংটি একটা সোনার আংটি  হাতের আংগুল  দখল করলো ভালোবাসায়। সোনার ধরন ভালো ছিল না, আংটির গড়ন তেমন ভালো ছিল না, তবুও  সুন্দর হাতের সাথে মানিয়ে গেল। মানিয়ে নেওয়া মেনে নেওয়ার জীবন হলো শুরু। মেনে নেওয়াটা সবসময় একতরফা, একজন যখন সব একাই মানতে থাকে, সে একাই ক্লান্ত হয়, পরিশ্রান্ত হয়, একসময় তার ইচ্ছে করে হাল ছাড়া মাঝি হতে,, নৌকা যেদিকে খুশি যাক, যেভাবে খুশি চলুক,,হালছাড়া নৌকা চলে না গন্তব্যহীন ভাবে ভাসতে থাকে ভাসতে থাকে। ভাসতে ভাসতে কোন এক বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে নৌকাডুবি। একটা মৃত লাশ ভাসতে ভাসতে নদীর কিনারায়। অভাবী রহিম মিয়া দেখে মরা লাশ হাতে সোনার আংটি। দ্রুত আংটিটা খুলে নিল, লোকজন জড় হলো লাশের খোঁজ খবর শুরু। রহিম মিয়া বাড়ি ফিরলো বুকটা দুরুদুরু। বউয়ের হাতে তুলে দিল সোনার আংটি, খুশিতে আটখানা হয়ে বউ বলে উঠলো, আহারে সোনার আংটি, আমার কত্ত দিনের সখ,কত্ত দিনের স্বপন। বউ মুখের সুখের হাসিতে, আংটিটা মরা লাশের কথাটা রহিম মিয়া করে গেল গোপন।

শহিদ মিয়া বাহার

ছবি
গোধূলি  বেলায়  আজ এই গোধূলি বেলায় কি আবির ছড়ায়ে যায় আহা একি  মমতায়,  একি মিতালি হাওয়ায়  হৃদয়ে জড়ায়! কত গোধূলির রঙ মাখিয়েছি গায় কত শত সহস্র আবির  এভাবেই পার হয়ে যায় কত শত বিবাগী রাতের মলিন  জোছনা না ফোটা রেণু-ফুল হাছনা হেনা  মরমে মরে মনের যাতনা কাহারে কাঁদায়  মাটিতে লুটায় এই বসুধায় ? কত ঐ বৈরাগী রাত করেছি ভোর কত সে তপ্ত  দুপুর করেছি পার একা নিরালায় পড়ন্ত বেলায় কেউ নাই আজ------কেউ নাই পাশে নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে এই মন তাহারেই শুধু চায়!  অস্ত গেল সূর্য আজ এমন সাঁঝে   এ কেমন বীণা বাজে আধো আধাঁরে, হৃদয়ে আবার? মনে পড়ে ক্ষণে ক্ষণে রেখেছি যতনে তোমার হৃদয়খানি হৃদয়ে আমার!
ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ২৩) শামীমা আহমেদ  শিহাবের সাথে কথা হওয়ার পর আজ দুপুরটা শায়লার বেশ অস্থিরতায় কেটেছে। দুপুরে শিহাবের কথাগুলোতে শায়লা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি। কোথায় যেন একটা ভাললাগা মায়া ভালবাসা জমেছে তার জন্য আর তাকে কাছে পাওয়ার উদগ্রীব বাসনায় মনটা বারবার উদাস হয়েছে।খুব গোপন একটা অনুভুতিতে বারবার শিহরিত হতে থাকে তনুমন।মনে হচ্ছে শিহাবের স্পর্শ সে অনুভব করছে।শিহাবের নিঃশ্বাস সে শুনতে পাচ্ছে। শিহাবকে ভীষণ কাছে পেতে ইচ্ছে করছে। দুপুরে খাবারের টেবিলে মা বিষয়টি খেয়াল করলেন।মায়েদের চোখ বোধহয় কিছুই এড়ায় না। তবে সবটা তারা বুঝে উঠতেও পারেন না।তারা খুব সরলভাবেই সবকিছু দেখেন।নোমান সাহেবের সাথে শায়লার বিয়ে পর্বটা হয়েছে তা প্রায় বছর ঘুরে আসছে। কাগজপত্র পাঠাতে কী এতদিন লাগে? মা মাঝে মাঝে বেশ চিন্তিত হয়ে উঠেন। মা তো বুঝতে পারছেন না শায়লার অনীহাতেই বিষয়টি পিছিয়ে যাচ্ছে। আজকাল শায়লাকে বেশ  আনমনা লাগে।মা ভাবছে হয়তো নতুন জীবন সাজানো নিয়ে শায়লা ভাবনায় ডুবে আছে।কিন্তু শায়লা যে ভীষণভাবে শিহাবের মাঝে ডুবে  আছে সেটা আর মাকে কোনদিন খুলে বলা হয় না। নাহ! কোনদিন তা বলাও হবে না।  দুপুরের খাবার খে

শ্রী স্বপন দাস

ছবি
আমরা কোথায় মানুষ কেমন যেন হয়েছে দিশেহারা তবে কি সমাজ হয়েছে, দুর্নীতি ভরা। চাকরি বাকরি ব্যবসা পত্তর,সবই কেমন শূন্যে ভরা সুষ্ঠু সমাজে চলছে ক্ষরা,জঞ্জাল পূর্ণ মস্তিষ্ক ভরা। চতুর্থ পর্ব আসছে ,জলজ্যান্ত করোনা যশ আম্ফানের ঘটনা,প্রকৃতি কখনো আর এনোনা। শ্রমিক কৃষক ডাক্তার শিক্ষক,ভাই ও হে! উন্নত সমাজের আর দর্শন নাহি রে। দেশের সকল নেতার মুখে শুনি উন্নতি আর উন্নতি বাস্তবে দেখি,দেশ ভরা দুর্নীতি আর দুর্নীতি। ভোটের সময় শোনা যায় উন্নয়নের খবর পরিশেষে বোঝা যায়, নগদ/সম্পত্তির কত বহর। মিডিয়া খবরের কাগজ টিভি তে দেখি সব কুকীর্তি জানিনা, হে ভগবান,আদৌ হবে কি দেশের উন্নতি।