২৯ এপ্রিল ২০২২

কবি মনোয়ারুল ইসলাম "কালের অমানিশা"




কালের অমানিশা
মনোয়ারুল ইসলাম




দৃষ্টি দূর বিবর্ণ কুয়াশাচ্ছন্ন
ভেজা ভেজা জলের স্পর্শ 
অনূভুতির বিস্তীর্ণ দিগন্তে ....

শেষ বিকেলে মায়াবী আলোয়
ফেলে আসা ছেলে বেলা
গায়ের মেঠোপথ, ভরা নদী, কিশোরী ভালোবাসা, আলেয়া ....

এখন কংক্রিট লোহালক্কর যান্ত্রিক জীবন
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় 
বিকল যান ....

প্রিয় মাটি মিশে যাই, কালের অমানিশা ....

কবি শেখ রাসেল এর কবিতা "সুযোগ খুঁজি "




সুযোগ খুঁজি 
শেখ রাসেল 



সুযোগ খুঁজি আমরা সবে
একটু পেলে ছুতো,
ওমনি ধরে দেই-যে মেরে
দস্যি ষাঁড়ের গুঁতো।

আজব দেখি ঘটলে কিছু হোকনা কোন দেশে,
গুজব নিয়ে তাল পাকাবে
চোর সাধুরি বেশে।

কাজের বেলা নয়-তো কাজি
চোরের সুতা টানি,
লাগাম ছেড়ে বলছো মুখে
মিথ্যা হাজার বাণী।

আমরা কি-ভাই হালের গরু
দিচ্ছো পিঠে কষে,
পকেট খানি করছো ভারী
দিন মজুরী চুষে।

আকাশ সমান উর্ধ্ব গতি
বাড়ছে সবি দাম,
গরীব খেটে মরছে দেখো
রক্ত পানির ঘাম।

শাসন নামের শোষণ নিয়ে
যাচ্ছি করে বাস,
সোনার দেশে করছি কি তাই
বর্গী নামের চাষ?

কবি জাহাঙ্গীর আলম জীবন এর কবিতা "বিবর্ণ স্বপ্ন"





বিবর্ণ স্বপ্ন
জাহাঙ্গীর আলম জীবন 



আমরা  বেশীর ভাগ মানুষই
জীবনের টানাপোড়নে আবদ্ধ 
কখনও এটা আবার কখনও ওঠা 
সমস্যাত লেগেই আছে ; থাকবে। 

সংসার, বিয়ে, অসুস্থতা আর ব্যস্ততার চিন্তা করতে গিয়ে নিজের 
কথাই ভুলতে হয়। তার পরেও অনেকের মন ভরে না! 

কখনও মনে হয় ;সাংসারিক দায়িত্ব আর জীবনের অশুভ অধ্যায়গুলো যদি না থাকতো 
তাহলে দিব্যি একটানা পড়ে যেতাম..

একটি জীবনে কত চাওয়া 
স্বপ্ন হাজার। সময়ের স্রোতে 
স্বপ্ন ভেঙ্গে বিবর্ণ হয়ে যায়
তবুও স্বপ্ন; স্বপ্নই দেখে যায়।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬৫





উপন্যাস 


টানাপোড়েন ১৬৫
কুসংস্কারের বেড়াজালে
মমতা রায়চৌধুরী 




রাত্রে শুয়ে শুয়ে চৈতির মার কথাগুলো ভেবে যাচ্ছিল রেখা।' সত্যিই যদি এরকম কিছু 
হয় ,সত্যিই যদি চৈতির শ্বশুর বাড়িটা ভোলা ঠাকুরের জন্য ঠিক হয়ে থাকে। তাহলে কি একবার রেখা চেষ্টা করবে? আবার মনে মনে ভাবছে এসব কুসংস্কার ।একজন শিক্ষিতা মেয়ে এসব বিশ্বাস করে কি করে? "আসলে মনের ভেতরে ভয় থেকে সৃষ্টি হয় এসব। কিংবা দীর্ঘদিন পরিশ্রম প্রচেষ্টার ফলে যখন কিছু না মেলে তখন বোধহয় ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিতে হয় এবং যে যা বলে সেটাকেই তখন বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। এসব ভাবছে  রেখা।মনোজ  ওঘরে খেলা দেখছে আজকে  টিভির কাছ ওকে  থেকে নড়ানো যাবে না। কে কে আর  খেলা।
হঠাৎই কতগুলো মেসেজ ঢোকার আওয়াজ হলো ।মনের ভাবনায় ছন্দ পতন ঘটল। ফোনটা টেবিলের উপর ছিল রেখা তাড়াতাড়ি উঠে ফোনটা চেক করলো। 
"ওমা একি একটা মেসেজ ফরওয়ার্ড করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে তারাপীঠ মন্দিরের পূজারী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন। তিনি বলেছেন সকলকে গীতা পাঠ আর প্রার্থনা করতে এবং এই মেসেজ যে 30 জনকে পাঠাবে তার মনের আশা পূরণ হবে, আর যে অবহেলা করবে তার পাঁচ বছর খারাপ সময় যাবে।
রেখার ব্যাপারটাতে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো ।আজকে হচ্ছেটা কি ?ঠাকুরের কথা ,সেটাও একটা মনের ভেতরে করবে কি করবে না। একেবারে করবে না বলে ঝেড়ে মুছে ফেলতে পারছে না আবার করবে বলেও মনে থেকে সঠিক সায় পাচ্ছে না।
ম্যাসেজটা পড়ার পর রেখার মনের ভেতরে একটা টানাপোড়েন মেসেজটা পাঠাবে কি ,পাঠাবে না ।বেশ কয়েকবার নিজের মনকে প্রশ্ন করল তারপর ভাবল 30 জনকে না পাঠানোর ই  বা কি
 আছে ?পাঠালে তো ক্ষতি হচ্ছে না। যদি ভালো কিছু হয়। আশায় এই প্রত্যাশায় আমরা সকলে বাঁচি। কতক্ষণ সময় লাগবে 30 জনকে মেসেজটা ফরোয়ার্ড করতে  ,করেই ফেলি।'
রেখা ওর পরিচিত সার্কেল এর মধ্যে মেসেজটা ফরওয়ার্ড করেছে। একজন কমবয়সী ভাই ছিল সে সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ করেছে 'দিদি,' এটা ছেলেমানুষি ছাড়া আর কিছু নয়'  
প্রথমদিকে মেসেজটা ওই ভাইটার কাছ থেকে পাওয়ার পর রেখে একটু লজ্জিত হয়ে 
গেছিল ।সত্যিই তো ,একজন শিক্ষিত মেয়ে কি করে মেসেজগুলো ফরওয়ার্ড করে। তারপর মনের ভেতরে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হল ।
বলল" কেন এত কিছুর পরেও তো একটা অদৃশ্য শক্তি আছে ,সেই শক্তি হচ্ছে ঐশ্বরিক শক্তি।
 তাই রেখা লিখল 'ভাই আমরা প্রত্যেকেই ধর্মভীরু আমরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের মঙ্গল চাই নিজের মরে যাওয়া স্বপ্ন আশাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই।'
পরক্ষণেই ভাইটি মেসেজ করল
"তাহলেও দিদিভাই…।"
রেখা লিখল" কিছু ইচ্ছেগুলোকে না হয় খাম বন্দি করে রাখি আর কিছু ইচ্ছেগুলোকে না হয় নীল খামে মুক্তি দিই। ধরে নাও সেরকমই কিছু।""
এবার সেই ভাই হাসির চিহ্ন দিয়ে পাঠাল।
রেখাও হাসির আর ভালবাসার চিহ্ন পাঠালো।

এর পরবর্তীতে আর একটি ম্যাসেজ ঢুকলো একজন লিখেছে আমার কোনো আশা নেই।'
রেখা লিখল আশা নেই এ কথা কেন বলছো আশার জন্যই তো আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের খোঁজখবর নিই। কেমন আছো ?স্বপ্ন দেখাই ।তোমাকে আমি ভাল করে চিনি। তুমি নিজে একটি স্কুলে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত আছ। তাহলে তোমার আশা যদি না থাকবে তাহলে তুমি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত থেকে এতগুলো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার প্রচেষ্টা করতে না?'
'সেও তখন হাসি চিহ্ন দিয়ে পাঠালো।'
আর একজন পাঠালো সত্যিই কি আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি? এটা কুসংস্কার ছাড়া কিছু নয়।'
রেখা বলল' হ্যাঁ ,তার মনেও সেটাই আছে কুসংস্কার তবু আমরা সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারিনা ।ধরে নাও আমি আমার সেই ইশ্বরের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে এই মেসেজটা ফরোয়ার্ড করেছি ।তোমাদের ইচ্ছে হলে তোমরা কাউকে মেসেজ ফরোয়ার্ড করতে পারো, না পারবে সেটা তোমাদের ব্যাপার আমি কিন্তু আমার ঐশ্বরিক শক্তি কে স্বাগত জানিয়েছি এবং আমি এই পৃথিবীর রূপ রস গন্ধে আরও কিছু দিন কাটিয়ে যেতে চাই ।আমার মনের সুপ্ত বাসনাগুলো আছে,যে স্বপ্ন গুলো আছে সেই স্বপ্নগুলো কে পুনরুজ্জীবিত দেখতে চাই । যদি হয় এ,ই প্রত্যাশায় ভালো থাকা।
সে তখন টেক্সট করে ভালোবাসার হাসির চিহ্ন দিয়ে পাঠায়।
আসলে রেখা যার কাছ থেকে মেসেজটি পেয়েছে তিনি একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব।তবে তিনি স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব বলেই যে তার কথা বিশ্বাস করতে হবে ,সেই বিশ্বাস থেকেকিন্তু রেখা করেনি রেখার মনে হয়েছে মনের ভেতরে কোথাও না কোথাও একটা জায়গা আমাদের দুর্বল আছে ।সেই দুর্বল জায়গা থেকেই তৈরি হয় আমাদের খিদে আর সেই খিদের নিবৃত্ত করার জন্য আমরা অনেক কিছু অবলম্বন করে থাকি।
আরেকজন মেসেজ লিখেছেন ম্যাডাম আমরা কম্পিউটার ইন্টারনেটের যুগে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে দাঁড়িয়ে আপনার কাছ থেকে এই রকম একটা মেসেজ প্রত্যাশা করি নি।
এসএমএস পাঠায় জানি। আপনার মনে প্রশ্ন উদয় হাওয়াই স্বাভাবিক কিন্তু একটা কথা বলি কুসংস্কারে মানুষের আস্থা প্রদর্শনের নানা কারণ রয়েছে কিন্তু?
ভদ্রলোক মেসেজ করেছেন যেমন।
যেমন ধরুন না বিজ্ঞানের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে এটা আপনি মানেন তো?'
'সেটা তো রয়েছেই।'
রেখা বলল তাহলে আমি কিছু উদাহরণ দিই যেমন ধরুন চাষী,বিজ্ঞানের কাছ থেকে আগাম কিছু জানতে পারেনা ,কোন বছর ফসল কেমন হবে?
ভদ্রলোক বললেন একদম সঠিক।
 যেমন ধরুন খেলা হচ্ছে সেই খেলায় বিজ্ঞান কখনো বলে দিতে পারে না যে কোন দল জয়ী হবে?"
"এটাও সঠিক।"
তাছাড়া দেখুন বিজ্ঞান কখনো ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ,এটা মানেন তো?'
'হ্যাঁ,সেটাও ঠিক।'
রেখা বললতাহলে দেখুন এই অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে কিন্তু বিজ্ঞানের আপাতত পরাজয়। এখান থেকেই সূত্রপাত হয় দৈব বিশ্বাস তথা দৈব নির্ভরতা।এটা মানেন তো?হ্যাঁ সেটাও ঠিক।
আমরা প্রত্যেকেই জানি যে মানব সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকে  কুসংস্কারের ধারা বয়ে চলেছে কুসংস্কার কিন্তু এগিয়ে চলেছে বিজ্ঞানের সঙ্গে সমান্তরালে পথ ধরে।
'হ্যাঁ তা অবশ্য ঠিক।'
আর এই কারনেই এই কুসংস্কার কিন্তু কখনই দেখা যায় যে বিজ্ঞানের হাত ধরে সমাজের বুকে প্রগতি এসেছে কিন্তু সেই প্রগতির পথে কিন্তু কখনোই কুসংস্কার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না এই কুসংস্কার বলতে পারেন ব্যক্তির কাছে একটা  প্রশান্তি স্বরূপ।
এই ধরুন না আপনার বাড়িতে বা আমার বাড়িতে যদি কেউ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয় আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নেই ঠিকই কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কি করি?
লোক বললেন আমরা ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি মাথা ঠুকে রোগমুক্তির জন্য।
রেখা বললো দেখুন আপনি কিন্তু তাহলে এদিক থেকে আবার কুসংস্কারে আবদ্ধ হয়ে গেলেন।
আসলে কুসংস্কার কিন্তু কখনোই বিজ্ঞানের পথচলাকে থামিয়ে দেয় না।
তবে কিন্তু দাদা আমি কখনোই বলছি না যে আপনি  কুসংস্কারকে প্রাধান্য দিন। আসলে আমাদের মনের ভেতরে একটা দুর্বল জায়গা রয়ে গেছে এই দুর্বল জায়গাটা কেই আমাদের সরাতে হবে। সেটা একমাত্র পূর্ণ বিজ্ঞানচেতনা আর এই বিজ্ঞান চেতনার যত প্রসার ঘটানো যাবে কুসংস্কারের দুষ্টু শনির থেকে আমরা মুক্তি পাব।
ভদ্রলোক বললেন 'আমি তো সেটাই বলছি।"
আমিও সেটাই বলছি মানুষের অজ্ঞতা ও শিক্ষাকে কুসংস্কার হাতিয়ার করে।
ম্যাডাম আপনিতো শিক্ষিতা আপনাকে কি করে গ্রাস করল।
রেখা বললো আমরা প্রত্যেকেই না আসলে এই দুষ্টু ক্ষতের জালে আটকে আছি এতটাই ভেতরে ঘা করে দিয়েছে ,সেই ঘা শুকাতে আমাদের সময় লাগবে ।তবে আমি কখনো এটা বলব না যে কুসংস্কার সমাজের বুকে অক্ষত 
থাকুক ।আমাদের এই কুসংস্কারকে সমাজ থেকে নিজের মন থেকে দূর করতে হবে। তাহলেই এক সুস্থ প্রগতিশীল সমাজের জন্ম হবে।
স্বামী বিবেকানন্দের মতে "প্রকৃত শিক্ষাইপারে মানুষের অন্তর্নিহিত সত্তার বিকাশ সাধন করতে আর এই প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে জীবন পথে চলতে সাহস আর আত্মবিশ্বাস জোগাবে।"
তাহলে আপনি কি বলছেন আপনার ভেতরে আত্মবিশ্বাসের অভাব?
দাদা আগেই বললাম ভেতরে অনেকটা ক্ষত তৈরি হয়ে গেছে সেটা হারাতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে আমার যে ব্যথা যন্ত্রণা  এই কথাটা বিজ্ঞান যদি পূরণ করে দিতে পারতো তাহলে বোধহয় খুব তাড়াতাড়ি এই কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেতাম।
একটা কথা বিশ্বাস করি আমি কিন্তু ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি ।ঈশ্বরকে দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না উপলব্ধি করতে হয়। আমি সেই জায়গা থেকেই এটাকে সাপোর্ট করেছি কিন্তু আমি কাউকে জোর করে বলব না ,কেউ সেটাকে সাপোর্ট 
করুক ।সেটা নিজের নিজের মনের ব্যাপার।
তাই আমি কথাটা বারবারই কিন্তু বলছি "superstition is the religion of feeble mind'
বিভিন্ন প্রকার ভয় থেকেই এই কুসংস্কারের সৃষ্টি। আর এই ভয়টা কেই আমাদের জয় করতে হবে।
নইলে কুসংস্কারের বেড়াজালে  আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাব।

কবি মোঃসেলিম মিয়া "ঈদ বোনাস"






ঈদ বোনাস 
মোঃসেলিম মিয়া 




মুসলিম দের ধর্মীয় উৎসব বড় দুটি ঈদ,
ঈদুল ফিতর ঈদুল আজহা ত্যাগের মহিমায় গায় গীত! 
গরীব দুঃখীর কষ্ট অনুধাবণে সিয়াম সাধনে রত---
পূর্ণ দিবস অভূক্ত থেকে ক্ষুধা তৃষ্ণায় কত!
ধনী গরিব নেই ভেদাভেদ এটাই মর্ম বাণী ---
ইসলামের শশীতলে আসল ঠাঁই মানি।
সত্যিকারের ইসলাম ভাই  সাম্যের কথা বলে,
যাকাত ফিতর উৎসব বোনাসে
সঠিক নিয়ম কি মানে?
গরীবের হক বিলিয়ে দিতে 
বিধিনিষেধ  জারি, 
যুগে যুগে নবীর আদেশ শ্রষ্ঠার দেওয়া বাণী! 
মানব কুল  চলছে মেনে নিস্তার পেতে সকল ভুল,
ঈদ ভাতা উৎসব বোনাস সম্প্রীতিতে সামাজিক রুল।
প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ঈদ বোনাসে বৈষম্য কতো রীতি, 
ঈদের সময় ঘনিয়ে এলে মাথায় খেলে ভীতি! 
শিল্পপতি আছেন যারা ভীষণ মনে কষ্ট, 
ব্যবসায় শুধু লস আর লস কিসের বোনাস প্রাপ্য?
অজুহাতের তিনহাত খোঁজে 
পাশ কেটে তাই  চলে,
গরীবের সিঁদ কেটে ভাই রাজ প্রাসাদটি গড়ে!
ইসলাম কি এটাই বলে বোনাস ছলাকলা? 
 ঈদ আনন্দে ভাগ বসাতে বোনাসে কেণ ধাওয়া!!!