পোস্টগুলি

এপ্রিল ২২, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৫৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৫৯ দিবসও রজনী আমি যেন কার.. মমতা রায় চৌধুরী ৪.৩.২২. সন্ধ্যে ৭.৩৯ আচ্ছা জ্বালাতনে পড়ল রেখা।' ভদ্রলোক এতো প্রশ্ন করছেন কেন? ' "ম্যাডাম বলুন না?" "একটু-আধটু লেখালিখি করি।" "Wow ,অসাধারণ ,কনগ্রাচুলেশন্স।" ভদ্রলোক হাতটা বাড়িয়ে দিল হ্যান্ডসেক করবেন বলে। রেখা দুই হাত জোড় করে নমস্কার জানালো। "কোন পত্রিকায় বেরিয়েছে ম্যাডাম একটু বলুন না?" "বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় পত্রিকায় ।কোনটা বলব বলুন?' "ভদ্রলোক বললেন আপনার কন্টাক্ট নাম্বারটা দিতে বললাম দেবেন না?" "কি করবেন আপনি কন্টাক্ট নম্বর নিয়ে । যদি লেখা পড়তে চান তাহলে তো পত্রিকাগুলো ঘাটলেই পেয়ে যাবেন।" "না ফোন নম্বরটা থাকলে অন্তত বলতে পারব সবাইকে যে এরকম একজন বিখ্যাত লেখিকার কন্টাক্ট নম্বর আমার কাছে আছে। নিজেকে খুব প্রাউড ফিল করব।' রেখা আর কি করবে  "বাধ্য হয়ে কন্টাক্ট নম্বর টা দিলো। ভদ্রলোক বললেন অসংখ্য ধন্যবাদ।" দেখতে দেখতেই ট্রেন পালপাড়া ক্রস করলো। এরমধ্যে  রেখার ফোন বেজে উঠলো। রেখা একটু জানলা দিয়ে অন্যমনস্ক ভাবে তাকিয়ে ছিল

কবি বিশ্বজিৎ মণ্ডল এর কবিতা "গোপন তরবারি"

ছবি
গোপন তরবারি বিশ্বজিৎ মণ্ডল অদূরে পড়ে আছে বিষাদ মাখা ছুরি হত্যা আঁকতে গিয়ে বার বার থেমে গেছে অপ্রতুল বজ্রপাতে______ পড়ে আসা বিকেলে কনে দেখা আলোয় মিশে যাওয়ার কথা ছিল যাচিত রক্তপাতে অথচ ঘূর্ণির মত অনাহুত পোস্টকার্ডটা এসে বলে গেল____ন হন্যতে.....  ওখানেই যত বিপত্তি______ ছুরি ছেড়ে উড়ে গেলে হননের পিপাসা থুবড়ে পড়ে থাকে,গোপন তরবারি...

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৯৬

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯৬) শামীমা আহমেদ  রাতের বেলা বন্ধ ঘরে ফুলের সুবাস আর মখমলী চাদরের কোমলতায় বিছানার কিনারায় শায়লা  নিজের অজান্তেই গভীর ঘুমে ডুবে আছে। বাইরের হাঁকডাক তার মাঝে কোন প্রভাব ফেলছে না। শিহাবকে পাওয়া না পাওয়ার উৎকন্ঠায় ক্রমশ তার মন একটু একটু করে ক্ষয়ে ক্ষয়ে সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। কল্পনায় শিহাবের স্পর্শ পাওয়ার প্রবল এক আকুতিভরা নিবেদনে নিজেকে বিলীন করা, আবেশের ঘোরলাগা এক মাদকতায়, কখন যেন  নিজের অজান্তেই গভীর ঘুমে সে অচেতন হয়ে আছে। ঘুমের অতলান্তে এক স্বপ্নরাজ্যে সে শিহাবের হাত ধরে এক বিশাল গোলাপ বাগানে হেঁটে চলেছে।গোলাপের আবেশিত ঘ্রাণে বারবার শিহাব যেন তার দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে।  আলতো করে তার ঠোঁট শায়লার গাল ছুঁয়ে যাচ্ছে। দোল দেয়া বাতাসে শায়লার চুল এলোমেলো হয়ে উড়ছে । শিহাব অবাক দৃষ্টিতে তা দেখছে । শায়লার তাতে চোখ পড়তেই শিহাবের চোখের চাহনীতে  লজ্জায় বারবার সে কুঁকড়ে যাচ্ছে। শায়লা নিজেকে আড়াল করতে চারপাশে তাকালো, সে দেখলো  এক মোহনীয় পরিবেশে সে দাঁড়িয়ে আছে। আকাশে পাখিদের ওড়াওড়ি! কতইনা রঙবাহারের পাখি আর তাদের কিচিরমিচির ডাকে কানে যেন তালা

কবি মালা মুখোপাধ্যায় এর কবিতা "শুধু একবার বলো, এবার এসো"

ছবি
শুধু একবার বলো, এবার এসো মালা মুখোপাধ্যায়  খুব কম কিছু নয় আমার বয়স দেখতে দেখতে আশি পার , তোমরা এখনও মায়ায় বেঁধে রেখেছো, এবার আমাকে যেতে দাও, তোমরা সকলে একসঙ্গে বলো, শুধু একবার বলো, এবার এসো।  আমার এখন আর সূর্যের আলো দেখার তাড়া নেই সকাল হলে মাঠে মাঠে ঘুরে ঘুরে সবুজ মাঠ দেখারও তাড়া নেই। অসাড় হয়ে বিছানায় , দুই দুনিয়ার মাঝে বসে আছি মাঝির অপেক্ষায়। চোখ বুঁজেও দেখতে পাই বড় থালার মতো লাল টুকটুকে পুবের আকাশে রবি আবার জোৎস্না রাতে তোমার রূপের ছটা শশীর গায়ে। আজ আমার অফিস যাওয়ার কোনো তাড়া নেই। দুটো ভাত মুখে দিয়ে বাসের অপেক্ষারও তাড়া নেই। তাড়াহীন জীবন অচল জীবন তেজহীন জীবন এই পৃথিবীতে "কে কার" বুঝতে শেখা জীবন এসেছি একা যাবো একা অনুভবে জীবন বেঁচে মরে থাকা জীবন হোক অবসান। নেমে আসুক শান্তি শুধু সকলে বলো,  একবার বলো, এবার এসো।

কবি সালমা খান  এর কবিতা "ত্রিমাত্রিক নদী"

ছবি
ত্রিমাত্রিক নদী সালমা খান  আমাকে পাহাড় সমান ভালোবাসবে বলে  তুমি সাগর ছেড়ে ময়ূরাক্ষী নদী হয়ে কেনই বা এলে এই লিমুইছড়ির গভীর অরণ্যে।  প্রকৃতির আঁধারে নিজেকে বিলিন করে সুখ খুঁজে নিতে চাও ?  পাখির ভেজা পালকে আমার গায়ে তোমার জলের ছাপ , কিচিরমিচির শব্দে কি যেনো বলতে চায় , আমি পাখির ভাষা বুঝিনা হয়ত হবে, তোমার আমার ভালোবাসার গোপন কথা।  পাহাড়ের পাদদেশে পাথর নূড়ির ঘর্ষণ জেনেও কেনো আমার অঙ্গ ধুয়ে দাও ? আমার বুকের মাটি নিয়ে তোমার বুক ভরাট করো পলিমাটিতে।  শুষ্ক হাওয়ায় বালুচরে ঢেকে রাখো তোমার অর্ধেক নদীর শরীর। ঘোর বর্ষায় হারিয়ে ফেলো সঠিক পথের স্মৃতি চিহ্ন।  তুমি অবিরাম ছুটে চলো দিকবিদিক সুখের অন্বেষণে।  আমাকে ভালোবেসে নয় , তোমার হীম শীতল জলের পরশে আমাকেই করো ক্ষয়, আমিও অবিচল খাঁটি বিশ্বাস নিয়ে এক পায়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকি , নির্বিকার হয়ে অরণ্যের বোঝা মাথায় চেপে পথের পথিক হয়ে আসবে ফিরে আমার দিকে ছুটে।  তোমার জলে পা ডুবিয়ে আকাশ ছুয়ে দেখি, তোমার ছায়া পড়ে নীল জলের আয়নার মায়ামোহে , তোমার ত্রিমাত্রিক প্রেম সমস্ত নীল চুরি করে নেয় মেঘনীলে।  আর আমার চখের গভীরে ভাসে তোমার ছোট ছোট ড