ধারাবাহিক উপন্যাস
শায়লা শিহাব কথন
অলিখিত শর্ত (পর্ব ৯৬)
শামীমা আহমেদ
রাতের বেলা বন্ধ ঘরে ফুলের সুবাস আর মখমলী চাদরের কোমলতায় বিছানার কিনারায় শায়লা নিজের অজান্তেই গভীর ঘুমে ডুবে আছে। বাইরের হাঁকডাক তার মাঝে কোন প্রভাব ফেলছে না। শিহাবকে পাওয়া না পাওয়ার উৎকন্ঠায় ক্রমশ তার মন একটু একটু করে ক্ষয়ে ক্ষয়ে সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। কল্পনায় শিহাবের স্পর্শ পাওয়ার প্রবল এক আকুতিভরা নিবেদনে নিজেকে বিলীন করা, আবেশের ঘোরলাগা এক মাদকতায়, কখন যেন নিজের অজান্তেই গভীর ঘুমে সে অচেতন হয়ে আছে। ঘুমের অতলান্তে এক স্বপ্নরাজ্যে সে শিহাবের হাত ধরে এক বিশাল গোলাপ বাগানে হেঁটে চলেছে।গোলাপের আবেশিত ঘ্রাণে বারবার শিহাব যেন তার দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। আলতো করে তার ঠোঁট শায়লার গাল ছুঁয়ে যাচ্ছে। দোল দেয়া বাতাসে শায়লার চুল এলোমেলো হয়ে উড়ছে । শিহাব অবাক দৃষ্টিতে তা দেখছে । শায়লার তাতে চোখ পড়তেই শিহাবের চোখের চাহনীতে লজ্জায় বারবার সে কুঁকড়ে যাচ্ছে। শায়লা নিজেকে আড়াল করতে চারপাশে তাকালো, সে দেখলো এক মোহনীয় পরিবেশে সে দাঁড়িয়ে আছে। আকাশে পাখিদের ওড়াওড়ি! কতইনা রঙবাহারের পাখি আর তাদের কিচিরমিচির ডাকে কানে যেন তালা লাগার উপক্রম হলো ! শায়লা দেখলো একটু দূরেই আপন গতিতে কলকল করে বয়ে চলেছে জলধারা ! যেন তার ভীষণ তাড়া। শায়লা দেখলো খুবই স্বচ্ছ সেই জলের তলদেশে রঙিন মাছেদের জলকেলি ! একটু বামে তাকাতেই দেখতে পেলো এ জলধারার উৎসমুখ। পাহাড়ের গা ঘেষে ঝর্ণার স্রোতধারা যেন ভূতলের অমোঘ টানে নেমে এসেছে।শায়লার মন ছুটে গেলো সেই পাহাড়ি ঝর্ণার কাছে ! ঝর্ণা জলে শিহাবের মুখটি যেন ভাসছে। মিষ্টি হাসিতে শায়লাকে কাছে টানছে।সে অপার মুগ্ধতায় আছন্ন হয়ে গেলো! তার চোখেমুখে বিস্ময় খেলে গেলো! কি এক আকর্ষণে সে এক দৃষ্টিতে সেদিকেই তাকিয়ে রইল। পাশে দাঁড়ানো শিহাবের অস্তিত্ব টেরই পেলো না। সে চারপাশের সব কিছু বেমালুম ভুলে গেলো। তার ভীষণ ইচ্ছে হলো শিহাবের কাছে ছুটে যেতে। শিহাব যেন তার জল তৃষ্ণা নিবারনে কাছে ডাকছে।শায়লা সেদিকে এক পা এগুতেই শিহাবের হাতের টান অনুভব করলো। শিহাব তাকে পিছনে টেনে নিতে চাইছে। শায়লা ভীষণ চমকে গেলো! তবে ঐ ঝর্ণাধারায় সে কাকে দেখলো! সহসাই শিহাব শায়লাকে তার বুকের কাছে টেনে নিলো! তবে সে কিছুই বুঝতে পারছে না। এখানে সে কিভাবে এলো ! তবে শিহাব তার সাথে আছে এটাতে সে নিশ্চিত। সে বেশ শক্ত করেই শিহাবের বাম হাতটি ধরে রেখেছে। শায়লা স্পষ্টই শুনতে পেলো, শিহাবের কন্ঠস্বর। শায়লা তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি।তোমাকে আমি আর হারিউএ যেতে দেবো না। তোমাকে আমার করে পেয়েছি। পৃথিবীতে আমার সব চাওয়ার আজ প্রাপ্তি হলো। জল ভরা চোখে
শায়লা শিহাবের বুকে মুখ লুকালো। শায়লা যেন এক সাগর গোলাপের সৌরভে ডুবে গেলো। শিহাবের স্পর্শ তাকে কি এক অস্থিরতায় ভরিয়ে দিলো। শায়লা চোখ বন্ধ দীর্ঘ নিঃশ্বাসে তার ভেতরটা ভরিয়ে নিচ্ছিল ! কতটা ক্ষন যে সে এভাবে নিস্প্রাণ হয়ে ছিলো সে তা অনুভবই করেনি। হঠাৎই কেমন যেন একটা ভারহীন অনুভবে শায়লা চোখ মেলতেই দেখতে পেলো তার সামনে শিহাব নেই।চারদিকের এত সুন্দর পরিবেশটা নিমিষেই কালো অন্ধকারে ঢেকে গেছে। বাতাসের দাপাদাপিতে গাছপালার অবাধ্য চলাচল। পাখিদের কলকাকলি থেমে গেছে।ঝর্ণাধারা অলস ধারায় বয়ে চলছে। প্রচন্ড এক ঘূর্ণি বাতাসে গোলাপ বাগানটা তছনছ হয়ে গেলো। গোলাপ পাপড়িগুলো ছড়িয়ে পড়ছে মাটিতে। মূহুর্তেই শায়লার পৃথিবীটা উলোটপালোট হয়ে গেলো! এমন অবস্থায় শায়লা ভীষণ ভীত হয়ে পড়লো । সে কেবল শিহাবকেই খুজে চলেছে। এইতো একটু আগেই শিহাব এখানে ছিল! এখন সে কোথায় গেলো! শায়লা উদ্ভ্রান্তের মত শিহাবকে খুঁজেতে লাগলো। এক্টা কালো আঁধারের চাদর যেন শিহাবকে গ্রাস করে নিলো। বাতাসের তান্ডবে তার পরনের, শাড়ি এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। চুলগুলো দিকবিদিকে উড়ছে। সে কিছুতেই তা সামাল দিতে পারছে না। পায়ের নিচে গোলাপের কাঁটা বিঁধছে। সে কেবল বলেই চলেছে,, শিহাব আমাকে একা ফেলে তুমি কোথাও যেও না। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না। কিন্তু জনমানবহীন এই প্রান্তরে কোন উত্তর ফিরে এলো না। শিহাব তুমি সাড়া দাও,এমনি আকুতিতে সে বারবার বলেই যাচ্ছে। শায়লা শিহাবকে দেখতে না এবার কেঁদেই দিলো। ঝড়ো বাতাসের সাথে এবার আকাশের গগনবিদারী শব্দে শায়লা অতীষ্ঠ হয়ে গেলো। সে দিশাহীন হয়ে গেলো। সে থরথর করে কাঁপতে লাগলো। হঠাৎ দবকিছু কেমন যেন অদৃশ্য হয়ে গেলো।
আচমকা চোখ মেলতেই সে নিজেকে আলো আঁধারের মিশেলের অচেনা এক পরিবেশে আবিস্কার করলো। তারপর চারপাশে তাকাতেই সে নিজেকে নিজের ঘরেই দেখতে পেলো। যদিও টেবিল ল্যাম্পের আলোর স্বল্পতায় নিজের ঘরটা প্রথমে অচেনাই লাগছিলো। চারপাশে তাকিয়ে বুঝতে পারলো সে তার বিছানায় শুয়ে আছে। তার হাত পা শরীর অবসন্ন হয়ে বিছানায় লুটিয়ে আছে। সে কিছুতেই নিজের শরীর নিজে টেনে তুলতে পারছিল না। শায়লা এবার বেশ বুঝতে পারলো সে স্বপ্নে শিহাবের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল। পরক্ষণেই তার গোলাপ বাগানের দৃশ্য আর শিহাবের স্পর্শের ক্ষণটি তাকে চেতনায় এনে দিলো। সে খেয়াল করলো তার দরজায় মুহুর্মুহু বেশ জোরে জোরে শব্দ হচ্ছে। ওপাশ থেকে কে যেন, শায়লা আপু, শায়লা আপু করে ডেকে যাচ্ছে । কান পাততেই শায়লা কন্ঠস্বরটি চিনতে পারলো। বুবলী ! হ্যাঁ,বুবলীই তো! সে এক ঝটকায় শোয়া থেকে উঠে বসলো। বুবলী বলেই চলেছে, শায়লা আপু শিহাব ভাইয়া এসেছে।তুমি দরজা খোল।দেখো,কে এসেছে ! আমাদের বাসায় শিহাব ভাইয়া এসেছে।তুমি বেরিয়ে আসো।
শায়লা খুব করে কান পেতে কথাগুলো শুনলো। সে কি সঠিক শুনছে না ঘুমের ঘোরে আবার স্বপ্ন দেখছে ! কিন্তু বুবলী ক্রমাগত একই কথা বলে চলেছে। এবার শায়লা তার মায়ের কন্ঠস্বর শুনতে পেলো।মা শায়লা, দরজা খোল মা। মায়ের কান্না গলায় ভীতির প্রকাশ! সাথে রাহাতের ডাকাডাকি চলছেই,শায়লা আপু আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমার ভুল হয়ে ছিল।এই যে দেখো,শিহাব ভাইয়াকে নিয়ে এসেছি। তুমি মোবাইল ধরে দেখো,আমি কল দিচ্ছি। শায়লা এবার নিজের মোবাইল খুঁজতে লাগলো।মোবাইল বালিশের নিচে আড়াল হয়ে ছিলো। সে মোবাইলের আলো দেখে স্ক্রীনে চোখ রাখতেই দেখতে পেলো রাহাতের বিশটা মিসড কল! এবার শায়লা বুঝতে পারলো, সে কতটা গভীর ঘুমে চলে গিয়েছিল। দরজার বাইরে ডাকাডাকির কন্ঠস্বর বেড়েই চলেছে। রাহাত বলেই চলেছে আপু, শিহাব ভাইয়া এসেছে। দরজা খোল।শায়লা এবার তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো। দরজা খুলতেই সে দেখতে পেলো, বাসার সবাই তার দরজায় দাঁড়ানো।শায়লা ভীষণ লজ্জা পেলো। বুবুলী শায়লাকে জড়িয়ে ধরলো।সে কান্নায় ভেঙে পড়লো।শায়লা আপু,তুমি কেন দরজা খুলছিলে না।
শায়লা তার মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করলো। এবার বুবলী মুখতুলে বললো, শিহাব ভাইয়া এসেছে। বাসার মেইন গেটে দাঁড়িয়ে আছে।শায়লা অস্টম আশ্চর্য চোখে রাহাতের দিকে তাকালো ! রাহাত চোখ বন্ধ করে বুবলীর কথায় সম্মতি জানিয়ে খবরটির সত্যতা জানান দিলো। বুবলী শায়লার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চোখেমুখে একরাশ হাসির ঝিলিক নিয়ে চারদিকের বাচ্চাদের বললো, এই সব বাচ্চারা তোমরা বাসার গেটে যাও। নতুন বর এসেছে। সবাই গেট আটকাও। আমরা এত সহজে আপুকে নিতে দিবো না। সব বাচ্চারা হুরমুর করে নিচে নেমে গেলো। রাহাতও খুব দ্রুত নিচে নেমে গেলো। বাসার ভেতরের চেঁচামেচিতে সে শিহাবকে গেটে দাঁড় করিয়ে রেখে উপরে ছুটে এসেছিলো।
শিহাব বেশ অনেকক্ষন হলো বাসার মেইন গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। উপরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে রাহাত ছুটে গেছে। শায়লার মায়ের কিছু হলো কিনা না শায়লা তার প্রতি অভিমানে কোন অঘটন করলো কিনা ? শিহাবের ভীষণ টেনশন হচ্ছিল। তার ভুলের জন্যই আজ ওদের সাথে যোগাযোগটা ঠিকমত হয়নি। তাহলে কত আগেই সে চলে আসতে পারতো। শিহাবেরও উপরে ছুটে যেতে ইচ্ছে করচ্ছিল। কিন্তু কেমন করে সে এত রাতে অচেনা একটা বাসায় ঢুকবে। সে রাহাতের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। সে একমনে বিয়ে বাড়ির লাইটিং দেখতে লাগলো। সাজানো বিয়ের গেটটিতে তার দৃষ্টি থামল। গেটটি দেখে শিহাব মনে মনে একটু হাসল। তারই জন্য এমন সাজানো গেট অপেক্ষা করছে সেতো ঘুণাক্ষরেও তা জানতো না। বিধাতার বেঁধে রাখা চমকে আমরা কতটাই না অবাক হই! এই সময়টায় শায়লাকে এক নজর দেখার জন্য তার মনটা ভীষণ উদগ্রীব হয়ে আছে। শায়লাকে কাছে পেলে তার সব ভুলের জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিবে। শিহাব কায়মনোবাক্যে সৃষ্টিকর্তার কাছে নিবেদিত মনে বলেই যাচ্ছে,শায়লা যেন তাকে ভুল বুঝে কোন ভূল সিদ্ধান্ত না নেয়। শায়লার ভালোবাসার কাছে শিহাব বারবারই হার মেনেছে। কিন্তু সে শায়লাকে কখনোই ভালোমত বুঝাতে পারেনি শায়লার জন্য তার মনটা কতটা আবেগে ডুবে থাকে। ভাগ্য শায়লাকে দূরে নিতে চেয়েও আজ আবার কাছে এনেছে। আজ যেন কোন অঘটনে শায়লাকে আবার হারাতে না হয়। চারপাশে মধ্যরাঙেতের শুনশান নীরবতা। শিহাব বাইকে পাশ ফিরে বসে নানান ভাবনার ডালপালা ছড়িয়ে শায়লাকে পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। রাহাত কখন নিচে ফিরবে। তাদের পরিবারের একটা মতামত জানাবে।শিহাব নিজেকে আবার সামলে নিয়ে ধৈর্য্য ধরলো।এতটা কাছে যখন এসেছে নিশ্চয়ই বিধাতা তাকে ফেরাবেন না। আবার অপর পৃষ্ঠে এটাও ভাবছে,মানুষের তো তীরে এসেও তরী ডুবে।অনেকে সময়ের অবহেলায়ায় গন্তব্যের ট্রেন মিস করে।শিহাব জানে না তার ভাগ্যে কোনটা লেখা ! হঠাৎই এত রাতের নীরবতা ভেঙে একঝাঁক শিশুর হৈচৈ শুনে শিহাব পিছন ফিরে তাকাতেই দেখতে পেলো, নানান বয়সী শিশু, কিশোর ছেলেমেয়েরা বাড়ির মেইন গেটে যেন মানব বন্ধন করে দাঁড়িয়ে আছে। শিহাব কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। এরই মাঝ দিয়ে রাহাত বাসার বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বড় কিশোরী মেয়েটি বলে উঠলো না না রাহাত ভাইয়া তুমি বাইরে যেতে পারবে না। তুমিতো আমাদের দলে। তুমি কেন বাইরে যাবে ? আমরা শায়লা আপুর বরকে এমনিতে বাসায় ঢুকতে দেবো না।আমরা গেট ধরেছি।
আমাদের টাকা দিয়ে তবেই দুলাভাইকে ঢুকতে দেবো।এমনিতেই অনেক দেরি করে এসেছে। তার জন্যও ফাইন হবে।এবার একজন কিশোর ছেলে বলে উঠলো, হ্যা হ্যা, সব মিলিয়ে অনেক টাকা দিতে হবে। তার কথায় সবাই হ্যা হ্যা করে উঠলো! বুঝা গেলো, এই দুইজন হচভহে এই বাহিনীর লিডার।তারা যা বলছে এরা তাতে শায় দিচ্ছে। শিহাব মনে মনে হাসলেও বাইরে সে ভাবলেশহীন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। রাহাত বাইরে গিয়ে শিহাবকে এর থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করতে চাইছে। কিছুতেই শিশুদের লিডারের সম্মতি মিলছে না। তখন রাহাত বুঝাতে চাইলো,দেখো শিশুরা, ওপাধে শিহাব ভসিয়া একা, তার দলে কেউ নেই,কিন্তু উনিই আমাদের আজকের সবচেয়ে বড় মেহমান। তাকে তো এভাবে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা যায় না। আমি তারদিকে গিয়ে বুঝিয়ে তোমাদের ডিমান্ড আদায় করে দিচ্ছি।
রাহাত ভাইয়া তুমি কিন্তু আমাদের ঠকাবে না, তাহলে তোমাকেও আটকে দিবো। আমাদের শায়লা আপুকে নিয়ে যেতে দিবো না। রাহাত তাদের আশ্বস্ত করে বাইরে শিহাবের কাছে চলে এলো। শিহাব বুঝতে পারলো এদের থেকে সহনেই নিস্তার মিলবে না। রাহাতের সাথে দৃষ্টি বিনিময় করে পকেটে হাত দিলো। শিশুদের চাহিদা মত কিশোরী লিডারের কাছে নোট গুলো গুঁজে দিলো। তারা বেশ সূক্ষভাবে নোট পরখ করে নিলো। তাদের চাহিদা মত আদায়ে সবাই তাদের বন্ধন ভেঙে শিহাবের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি মিললো। রাহাত শিহাবেত বাইক বাসার ভেতরে পার্ক করে রাখলো। শিশুরা টাকা পেয়ে হৈ হৈ করে উপরে উঠে গেলো। রাহাত শিহাবকে নিয়ে সিড়ির দিকে আগাতেই সিঁডিতে বুবলী এক গোছা রজনীগন্ধা নিয়ে শিহাবকে উপরে যেতে আমন্ত্রণ জানালো। শিহাব সলজ্জ চাহনিতে ফুল গ্রহণ করে সিঁড়িতে প্রথম ধাপটি ফেললো।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much