পোস্টগুলি

অক্টোবর ১৭, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"২৬

ছবি
উপন্যাস টানাপোড়েন (২৬)    ক্ষণিক অব্যাহতি ।                         আজ মহাপঞ্চমী‌ "যদি হই চোরকাঁটা ওই শাড়ির ভাঁজে। দুষ্টু যে হয় এমন কাজ তো তারই সাজে'। পুজোর প্যান্ডেলে গান বাজছে । শিখা সার্টিনের নীল পর্দাটা ধরে দাঁড়িয়ে গান শুনছে আর উপর থেকে লোকজন দেখছে। মনটা দিব্যেন্দুর থেকে সরিয়ে নিয়েছে বটে ।কিন্তু স্মৃতি পিছু ছাড়ে না ।বারবার মনে করিয়ে দেয় নানা কথা ,মনকে আলোড়িত করে । দিন যায় ।মনের মাঝে কখনো মেঘ হয় ,মেঘ থেকে বৃষ্টি ।আবার কখনো রোদ উঠে স্বচ্ছ আকাশ দেখা দেয়। এই পোড়া মহানগরের শিখার থাকতে ভালো লাগছে না।আজকে সব স্মৃতি আরো বেশি করে ভাবাচ্ছে। পঞ্চমী থেকে যে ঠাকুর দেখা শুরু হতো তার মধ্যে দুজনের কত আড্ডা আর বাইকে চেপে শহর থেকে দূরে বেরিয়ে যাওয়া ,তার মধ্যে আলাদা রোমান্টিক মাদকতা ছিল ।একবার যেতে যেতে একটা জায়গায় খুব সুন্দর প্রকৃতির নিবিড় পরিবেশ। সেখানে বসেছিল সবুজ গালিচায় ।শিখা পড়েছিল সবুজ লিলেন বাটিক শাড়ি, হ্যান্ড মেড জুয়েলারি। কি অসাধারণ নাকি লাগছিল ।তাই সবুজ গালিচায় বসে বারবার দিব্যেন্দু ওই গানটি গেয়েছিল। শিখা গানের শেষে বোলেছিলো শাড়ির ভাঁজে চোর কাঁটা হয়ে থ

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়,পর্ব বারো

ছবি
উদাসী মেঘের ডানায় (পর্ব বারো)   রাত নয়টা,বাজে তৃষ্ণার রিংটোনটা বাজতেই অন করে বললো- বাসায় ফিরেছো? - কখন,তুমি? - আমি মার সাথে কথা বলে মাত্র ঢুকলাম রুমে। -আমার গল্পের শেষ টুকু,আজ,বলবো -না বললে হয়না। -না সব জানাতে চাই তাতে,আমি,শান্তি ও স্বস্হি পাবো। -বেশ বলো। আমি একদিন না পেরে নীরার মাকে মেয়ের শরীর খারাপের কথা বলে বাসায় আনালাম তখন উনাকে আমি বলি নীরা এমন করে কেন? যখন শুনলাম নীরার বাবা সাগর কে সরে যেতে বলছে ওর জীবন থেকে সে নীরা না সরে গেলে নিজ ইচ্ছায় সে যাবেনা কিছুতেই তখন নীরার বাবা ড্রাইভার আর দারেয়ান দিয়ে লাঠি দিয়ে মারতে মারতে অজ্ঞান করে গাড়িতে করে কোথায় ফেলে আসে নীরা পারেনি আটকাতে পরদিন প্রত্রিকায় খবর বের হয় সাগর কে কারা পিটিয়ে হত্যা,করে রাস্তার গারভেেজের সামনে ফেলে যায় নীরা,এখর সহ্য করতে পারেনি, মানসিক ভারসাম্য হারায় তারপর থেকে ওকে ওর বাবা মেয়ে,বলে দিলে জেল খাটবে নিজে র স্বার্থের জন্য ঘুমেরঔষধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে রাখতো যাতে নীরা মুখ না খোলে, নীরার মার ও কিছুই করার ছিলোনা ওর বাবা ছিলেো টাকার গরিমায় পিচাশ বাড়ির সবাই ভয় পেতো আত্মীয় স্বজন বন্ধুেদর বলতো বেশি পড়তে পড়তে মেন্টাল রোগী হয়ে

নাজিয়া নিগার 

ছবি
কালের আগন্তুক   সত্যের পাটাতনে উন্মাদের নৃত্য দাপটের গ্লোবালে শিং নেড়ে গুণটানে হালের মাঝি.... শরতে বর্ষা নামে..... কাজীর ভাত খুটে খায় বসন্তের কোকিল! মিষ্টি সুরা পান..... উড়ে যায় সুসময়ের মাছি স্বর্গে ঘুরে মাতাল ল্যাম্বার্ট! গাজনের বাজনায় ব্রাহ্ম পুরোহিত শেকল ভাঙার গানে নবারুণ প্রলাপ কাঠখড়ে পোড়ে ইঁটপাথরের ইমারত বাতাসের ছাইভষ্মে রেনেসাঁস.... হ্যামিলনের বাঁশি হাতে কালের আগন্তুক।

কামরুন নাহার কনক

ছবি
বিলাসিনী   সত্যের প্রতি আমার অনুরাগ সবসময়... তবুও কেমন করে যেন, মিথ্যেতেই হলো বসবাস! সুসংহত আর সুসংবদ্ধ জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও ভুল -ভ্রান্তি হলো কোথায় কী জানি! প্রভাব বিস্তর করল হৃদয়েরর গভীর থেকে গভীরে, জানি না, সত্যের উপলব্ধিগুলো গ্রাস করল কীসে? হয়তো বা আবেগ, হয়তো বা আকৃষ্ট হয়েছি, বিমোহিত হয়েছি, প্রভাবিত হয়েছি কথা আর ভালোবাসার ফাঁদে... আকস্মিক সুবিন্যস্ত জীবনধারা বাঁক নিল এক উদ্দেশ্যহীন আর নিয়ন্ত্রণহীন গতির পথে, কোন অভিজ্ঞতা, বিশ্লেষণেই বাঁধা পড়ল না মন। পরিদৃশ্যমান জগত-জীবনের অন্তরালে এক স্বাপ্নিক সত্তা গিলে খায় আমায়... আমি ভুলে যাই, আমার ধর্মীয়, বুদ্ধিগত, সৌন্দর্যগত, নৈতিক চেতনা কঠোর তপস্যা ও সাধনায় সত্য করতে চাই, স্বপ্ন আর চিন্তার বিলাসিতাকে।
ছবি
                             বনফুল ( ১০ ম পর্ব )                            ফোনের রিংটোনে জুঁইয়ের ঘুম ভাঙ্গালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন সাইলেন্ট করতে ভুলে গিয়েছিল নিশ্চয়ই। ফোন হাতে নিয়েই জুঁই আশ্চর্য হলো! এ যে পলাশের ফোন, ইয়েস করতেই ওপাশ থেকে থেকে ভেসে এলো গুডমর্নিং সুইট হার্ট... জুঁই কোনো দিন ভাবতে পারেনি এতো সুন্দর সকাল ওর জন্যে অপেক্ষা করে ছিলো। পলাশ কোনো রিপ্লাই না পেয়ে আবার বললো হ্যালো... পলাশের হ্যালোতে জুঁই বাস্তবে ফিরে এলো, সাথে সাথেই বললো গুডমর্নিং। -এতো সময় লাগলো গুডমর্নিং বলতে!তুমি কি ঘুমোচ্ছিলে? -জুঁই না তো! -তাহলে! আমি ভাবতেই পারছিলাম না এতো সুন্দর সকাল তুমি উপহার দেবে.... পলাশ ওপাশ থেকে হেসে উঠলো। জুঁই জানতে চাইলো হাসলে যে? - পলাশ বললো জুঁই তুমি একটা পাগলী, জুঁই উত্তরে জানালো তোমাকে ভালোবাসার জন্য পাগলী হতেও রাজি। এবার পলাশ হেসে উঠলো হাহাহা হাহাহা হাহাহা....করে। - জুঁই বললো আমি কি হাসার মতো কথা বলেছি ? পলাশ কথা এড়িয়ে বললো ঘড়িতে কয়টা বাজে? আজ তবে ভার্সিটিতে যাবে না? - জুঁই বললো কি যে বলো ভার্সিটিতে না গেলে তোমাকে যে দেখতে পাবো না! পলাশেরও যে অবশ্য সেই ব্যাপার,সেটা প

আতিয়ার রহমান 

ছবি
স্মৃতির কলতান   প্রজাপতি ভীড় করে না ডালিম ফুলে এসে মৌমাছিরা গাঁও ছেড়েছে সে কোন নিরুদ্দেশে! খেজুর রসের নলেন গুড়ে মাছির উড়াউড়ি টাটকা রসে আর পড়ে না বড়ন ধানের মুড়ি। কিশোর সকাল আঁধার করে সেই যে গেলো মায় কুটুমপাখি মধুর সুরে ডাকলো না আর আয়। ফাগুন রাঙা শিমুল পলাশ হাজার পাখির ভীড় শালিক টিয়া বুলবুলিরা হারালো তার নীড়। হারালো সেই গোধূলি রঙ ঘরে ফেরার টান। পুঁইয়ের ডগা লাউয়ের মাচায় চাঁদের হাসি ম্লান। বদলে গেছে সেই মেঠো পথ সোদা মাটির ঘ্রাণ গোধূলি চোখ তবু খোঁজে স্মৃতির কলতান।

জামিল জাহাঙ্গীর 

ছবি
গোপন কান্নার দিন     কিছু অভিমান জমিয়ে রেখেছি বুকে একটা দোয়েল এসে ঠোঁটে গেঁথে উড়ে গেলো কিছু অনুযোগ লিখে পাথর চেপে রাখবো দমকা বাতাসে ভেসে গেছে ওরাও অচেনা... বালিকার নাম কান্না শুনে হাসি পেলো আমার ভুলে গেছি শেষ কবে হেসেছিলাম বালকের দুঃখ নামে একটুও করুণা নয় নিদারুণ খরায় পুড়ে যাচ্ছে আকাশজমিন ... শোক নয় সন্তাপই জরুরী এখন দুধের মাছিরা ভনভন করুক প্রোপাগান্ডায় চোখ মুছতে গেলেই হাত পুড়ে যায় অশ্রুতে এ ঘন শ্রাবণ কাঁদতে ভুলে গেছে আমি আর কাঁদবো না তুমিও কাঁদতে যেও না।

দেবব্রত সরকার 

বিজয়া   বিজয়াটা শুধু শুরু হোক প্রতিদিন  প্রতিদিন দুর্গা ফিরে যাক শিবভূমে  কষ্টগুলোকে দিয়েছি বিসর্জনই  ধুনুচি উঠুক মনের কলিজা পুড়ে  মিথ্যে আমার কবর খুঁড়েছে রোজ  শ্মশানে চিতার কাঠের অভাব খুব  ভুল যারা বোঝে নিয়ে থাকে বুকে বোঝ  তাদের জন্যই বিজয়া হয়েছে চুপ  দূরে থেকে একা তুমিও কেঁদোনা মেয়ে  বিজয়া এনেছে বিজ্ঞাপণের মার্ক ব্যথার পাহাড়ে বিশ্বাস বলি দিয়ে    আমার কাছে যে হয়ে ওঠে বিষ-সার্ক  তাকে তো আমিই প্রিয় জন ভাবি বলে  এতোটা আঘাত এনে দিলো বুকে ঝড়  প্রিয়জনেরাই এই ভাবে যায় চলে  বিশ্বাস তুমি হইওনাকো আর পর  আমিও তোমার অপেক্ষাতে রোজ  বসে আছি নিয়ে বুকে কতো ক্ষতরেখা  নিশ্চয় তুমিও মনেতে রেখেছো খোঁজ  তোমাকে জানাই শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা