পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৪, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মতি গাজ্জালী 'র গুচ্ছ কবিতা

ছবি
যৌবনোত্তীর্ণ_ একজন_ মানুষের_ স্বপ্ন আমার কৈশোরে একবার একটা প্রসব দৃশ্য দেখেছিলাম-- তারপর-- তার পর-- পঞ্চাশটি বছর-- পাঁচ দশক-- পার। তার পর, ওই সুস্থ শিশুটি ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা, উগান্ডা-- কখনও ইরিত্রিয়া, সোমালিয়াসহ কত কত-- দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশে হেঁটেছে,  জীর্ণশীর্ণ দেহ, কৃশ মুখাবয়ব নিয়ে-- একটা আকাশ সমস্ত পৃথিবীঘিরে-- একটা সূর্য পৃথিবীর প্রাণ-- একটা চাঁদ রাত্রি-প্রদীপ-- কত কত ঝরনা, হ্রদ, মালভূমি, নদী আর সমুদ্র-- তৃণ-লতাগুল্ম গাছ-বৃক্ষ, কত কত উদ্ভিদ-- কত কত প্রাণ দৃশ্যমান, কতক কতক অদৃশ্য-- শিশুটির যৌবনোত্তীর্ণ সময়েও দেখা পেলো না-- সত্য সুন্দর আর প্রকৃতিজ একটা স্বর্ণালী-বদ্বীপ-- স্বচ্ছতার দেখা পেলো না-- না মানুষে, না শাসনে, না প্রকৃতিতে, হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত এক যাযাবর জীবন তার-- মাথায় জমেছে বেদনার পাহাড়, হিমালয়ের চেয়েও ভার। একদিন জিওগ্রাফিক টিভি চ্যানেলে চোখ পড়লো-- আহা! কত কত সুন্দর সুন্দর দেশ। কত কত নান্দনিক প্রাকৃতিক দৃশ্য, হরেকরকম পশুপাখি, ডালিমের রসের মত টলটলে নদী আর সমুদ্রের পানি, পাহাড় পর্বত আর জলপ্রবাতের উচ্ছল ছুটাছুটি-- জলীয়বাষ্পের খেলা, চারদিকে আনন্দ উচ্ছ্বাসের মেলা-- যেখানে মানুষ মা

অলোক কুমার দাস

ছবি
পন্ডিত - ভক্তি আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শুদ্ধজ্ঞান।  কে যেনো বললো “আপনি এতো ভুলে যান কেনো?  আপনার বাস কোথায়?  আপনার ঠিকানাই বা কি? জানতে পারি,  হ্যাঁ আমার বাস ধর্মতলায়। আমার নেই কোনো নাম।  নেই কোনো নামের ‘নেমপ্লেট। প্রতিটি ঘরের সবায়ের হৃদয়ে  রক্তে মাতৃভাষায় লেখা  আছে হ্যাঁ আমারই নাম। খুঁজে নিও আমাকে  চেনা অচেনার ভিড়ে

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
জল নিয়ে  জেরবার       ভূ গর্ভে জল কমছে জল নিয়ে জেরবার জমা জলে দেশ থইথই রোগে করবে সাবার। মশা মাছি রোগ ছড়াছে জিবানুর উৎপাত বিজ্ঞানিরা ভেবে আকুল মাথায় পড়েছে হাত। বরফের চাঁই যাচ্ছে গলে সূর্যের বাড়ছে তাপ সমুদ্র থেকে উঠে আসছে গভীর নীম্নচাপ। গাছপালা কমছে ভূমে বাড়ছে পাকা বাড়ি প্রকৃতি তাই রাগ করে অক্সসিজেন নিচ্ছে কারি। পৃথিবীকে মানুষে ভাগ করেছে টাঙিয়ে ফুটের দড়ি সময়টাকে ধরে ফেলেছে দেওয়ালে টাঙানো ঘড়ি। সুখ শান্তি যাচ্ছে দূরে হিংসায় ছড়াছড়ি   ডাক্তারা পায়না খুঁজে রোগের লুকোচুরি।।

ফাতিমা কানিজ 

ছবি
আড়ালে আড়ালে  আমার দগ্ধ জীবনের ছন্দপতনে কর্কশ কাকেরা গলা সাদে যদি বদ্ধ ঘরের তপ্ত বাডাস আমার বেঁচে থাকা বিষিয়ে দেয়  তোমায় খুঁজবো,ভীষণ রকম খুঁজবো আড়ালে আড়ালে  আমার দক্ষিণার টাটকা নিঃশ্বাসটুকু সুর্যের তপস্যায় যদি পুড়ে ছাই হয় কখনো দুপুরের শুষ্ক ঝরাপাতাগুলো কোমলতা হারায় শিশিরের মতো নিঃশব্দে গোধুলু না আসে তবে তোমায় খুঁজবো, ভীষণ রকম খুঁজবো আড়ালে আড়ালে।  স্বপ্নের প্রজাপতি বন্ধি হয় নিয়মের কারাগারযা চাই তা যদি নাই পাই হেরে যাই মিথ্যার মায়াজালে জীবনের কানামাছি খেলায় হারিয়ে যাই ভালোবাসা ফিকে হয় ঝলসিত রোদ্দুরে  ঠিক তখন তোমায় খুঁজবো, ভীষণ রকম খুঁজবো আড়ালে আড়ালে।  মেঘের জমাট নরম বুকে কৃপণ দুপুর হাত বাড়ায় আমার খোলা আকাশটায় মুক্ত বিহঙ্গ ডানা ঝাপটায় কিংবা নদীর জল শুকিয়ে চুকিয়ে দেন জীবনের সকল লেনাদেনা  নিয়ম ভাঙার নিয়মে যদি কখনো জীবনের পান্ডুলিপি  বদলে যায় কেবল তোমায় খুঁজবো, ভীষন রকম খুঁজবো আড়ালে আড়ালে।

দেলোয়ার হোসেন সজীব

ছবি
                 দৈনিক সাহিত্য পত্রিকা বৃত্ত'র  সম্পাদক কবি দেলোয়ার হোসেন সজীব  একা স্বপ্ন বিলাস মাঝে মাঝে মনে হয় হাজার লোকের ভিড়েও খুব একা যতটা  একা হলে মানুষ সুখের অভাবে পড়ে ঠিক ততটাই একা। আমার চারিদিকে মানুষ ছুটছে,স্বপ্ন ও ছুটছে... কেউ ছুঁচ্ছে, কেউ দেখছে কিংবা কেউ ধুঁকছে। কি এক অদ্ভুত সমীকরণ আমি যেন একা খুব একা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি সমুখে। কেউ নেই কিছুই নেই,আমার চারপাশে আমি খুব একা ভীষণ একা স্বপ্ন বিলাসে।

মোঃ মাহমুদুর রহমান

ছবি
তোমার জন্য  ভাবনার রাজ্যে অগোছালো অনুভূতি।  খানিকটা সময় ভাবনার রাজ্যে তোমার অনুপস্থিতিতে আমার অগোছালো অনুভূতি।  যখন তখন আপন অস্তিত্বের কথা ভুলিয়ে দিশেহারা  করে তোলে আমায়।  স্বপ্নের রাজ্যে আভা ছড়িয়ে দেয় ...  আমার সুপ্ত হৃদয়ে ভালবাসার স্বপ্ন বুনে যায়।  তোমার মায়াবী অঙ্গে লাবণ্য  আগুন রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়ার সাজ কতো রুপ তোমার অঙ্গে খেলা করে অবিরাম অঙ্গে ভেসে থাকা হিমচাঁপার মিষ্টি সুবাস  কেয়া-কদমের সৌরভে আর দোলনচাঁপার বাহারি রং ছড়ায়... তোমার মায়াবী রূপের এক ঝলক সৌন্দর্যের পূর্বাভাস স্নান শেষে ভেজা কেশে মেখে থাকা জল চারিদিকে শিউলি ফুলের স্নিগ্ধ  সুবাস ছড়িয়ে দেয়।    স্বপ্নের রাজ্যে যখন বিরহের  সুর বাজে... কিছুটা সময় অনুভব করি  স্বর্গীয় সাজে কেউ ডাকছে মোরে।

শান্তা কামালী

ছবি
বনফুল ( ৪০ তম পর্ব )  শান্তা কামালী মাল্টা দেশ টা ইউরোপে,একটা দ্বীপ রাষ্ট্র। রাজধানী ভেল্টা।সিসিলি দ্বীপের থেকে ৯৭ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত। গরম কাল বেশী সময় ধরে থাকে। শীত কম পড়ে। ভীষণ সুন্দর পরিবেশ। জনসংখ্যা এক কোটি ও নয়।আশি লক্ষের কাছাকাছি। খুব ভালো বাণিজ্যকেন্দ্র। কেউ ওখানে বেকার থাকে না। পড়াশোনার সাথে সাথে চাকরি ও পাওয়া যায়। ইউনিভার্সিটিতে আমাদের দেশের ছাত্রদের খুব ভালো সুযোগ দেয়।ইউরোপের অন্যান্য দেশের থেকে এখানে খরচ কম,কিন্তু এদের সার্টিফিকেট সারা বিশ্বে প্রশ্নাতীত ভাবে কদর করা হয়।ক্যাম্পাসিং থেকেই ছাত্ররা বিভিন্ন মাল্টি-ন্যাশানাল কোম্পানিগুলো তে জায়গা পেয়ে যায় ভালো মায়নার জব এ।থাকার ব্যবস্থা ও ভালো। দু'রকম ভাবে থাকা যায়। ইউনিভার্সিটির নিজস্ব গেস্ট হাউসে সেগুলো অনেক টা দূরে, বাসে আসতে হবে।অথবা হোম,মানে স্থানীয় মানুষের বাড়িতে গেস্ট হিসাবে। যেগুলো ক্যাম্পাসের আশেপাশে। গেস্ট দের রাখতে ওরা বিশেষ কিছু খরচ নেয় না।কিন্তু ইউনিভার্সিটির থাকার জায়গায় খরচ বেশি। মাসে দশ হাজার আটশো ইউরো ভাড়া বাবদ দিতে হয়।ইন্সুইরেন্স পঞ্চাশ ইউরো,খাওয়া খরচ দু'শ ইউরো মাসে।আর স্থ

শামীমা আহমেদ/পর্ব ৩১

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৩১) শামীমা আহমেদ একটি  বিধ্বস্ত বিপর্যস্ত ও বিষন্ন মন নিয়ে শিহাব আজ ঘরে ফিরলো। জরুরী কাজটি  সেরে গুলশান থেকে আবার অফিসে ফিরে, জমে থাকা  হাতের কাজগুলো গুছিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় দশটা হয়ে গেলো।ঘরে ঢুকে শিহাব বেশ ক্লান্ত বোধ করছিল। আসলে মনের সাথে শরীরের একটা যোগ থাকে। মন ভালো না থাকলে নিজের শরীরটাকেও ভীষণ ভারী মনে হয়। শিহাব ফ্ল্যাটে  ঢুকে দরজাটা সচেতন ভাবেই লাগিয়ে নিলো যেন আবার ভুল না হয়। ঘরে ঢুকে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। এসি রিমোটটা হাতে নিয়ে আঠারোতে সেট করে নিলো। শীতল পরশে যদি মনের অস্থিরতাটা একটু কমে।আজ দুপুরে শায়লাকে বলা কথাগুলো, শায়লার থমথমে বিষন্ন মুখখানি আর সবশেষে  তার চলে যাওয়া শিহাবের বুকের ভেতর  জমাট এক ব্যথা হয়ে বারবার ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছে। যদিও বাইরে থেকে কেউ বুঝতেই পারবে না তার ভেতরে কী লু হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। বারবার ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়ছে শায়লার চোখের জলের সেই কান্নার ঢেউ। বারবার শায়লার মেরুন শাড়ির রংটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। শায়লা আজ খুব সুন্দর করে সেজেছিল। হয়তো শিহাবকে ভেবেই আজ শায়লাকে এত উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। তার কল্পনার স্বপ্ন রাজ্য সে

মনিরুল হক মৃধা

ছবি
ফেরারি বিজয় চেয়ে দেখ শত ফুলি নেচে গেয়ে রং তুলি  বিষাদ গিয়েছে ভুলি খুঁজে তার মানে! স্বাধীনতা দেখা হল ভোগ তাহা করা হল ইতিহাস কেন ভুল কত জনে জানে?  বিজয়ের জয়গান তার সাথে গাঁথা মান  নারী যুবা দিল প্রাণ জয় এলো পুরে। লাখো নারীর ইজ্জত  ছিনে নিল এ বজ্জাত নেই কোন জাতপাত  আজও আছি ঘোরে। শহিদের এ কন্যারা  না খেয়ে সে পথে খারা  ভুখা পেটে থাকে মা'রা  মিছিলে আনন্দ! এতো স্লোগান ব্যানারে দেখে খুশি এ মনা রে আছে কত অনাহার আছে দ্বিধা দ্বন্দ্ব। জয় গান যত শুনি  ফিরে আসে সেই গুণী!  আসবেনা কোন দিনই  দিবস পালন!  মায়েদের আহাজারি খোকা বুজি এলো বাড়ি শত মায়ে খারা সারি সে স্বপ্ন লালন। এ স্বপ্নের শেষ নয়  তাই বুকে ভীরু ভয়  ডিসেম্বরে হল জয়  উনিশশো একাত্তরে।  হানাদার খেল ধরা লাশ ছিল পথে পড়া চিল কাকে খেলো মরা  দেখি জোচ্চোরে। দেখি আজ কত লোক  হৃদে তার ধুকপুক  ভোলেনি ক মায়ে শোক বাঙ্গালী অজয়!  রাজাকারের এ সন্তান হয় কী হে সে মাস্তান? এ মাস্তানে নাও জান  ফেরারি বিজয়।