পোস্টগুলি

জুন, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি আমির হাসান মিলন  আমি থাকবো"

ছবি
আমি থাকবো আমির হাসান মিলন  হৃদয়ের অসীম যন্ত্রণা  চোখে দিলো ক্লান্তির অঝোর নেশা,   বারে বারে বিক্ষুব্ধ ঝড়ে  অজানায় উড়ে যায় গুছানো মমতা গুলো।  তবুও গড়ার সাধ ভাঙেনি , কোন কালে , কোন ভয়ে , কোন হুঙ্কারে  ।   এ কোন মহাকাল তবে !  স্বপ্ন পোড়ায় , দুর্গন্ধ ছড়ায় , উপহাসের বায়ুতে , লক্ষ-কোটি আশার ভ্রূণ নিরবে নষ্ট হয় চারদিকে !  শান্ত ঘায়ে চাবুক মেরে এই রক্তাত দেহে  আর কতো বল চেটে-পুঁটে খাবি ?  কবে তৃপ্ত হয়ে মরবি বল ?  আমি তবুও এখানেই বেঁচে আছি  ,থাকবো  স্বপ্ন বুনবো , আবার বাঁধবো নীড় ,  তোদের বেলা শেষে ।

Bff

LOVEন

কবি গোলাম মোস্তফা এর কবিতা "আমাদের শিশু"

ছবি
আমাদের শিশু গোলাম মোস্তফা   শিশুরা নয়ন সুন্দর  শিশু মানে পরিবারে সুখের স্পন্দন বয়োবৃদ্ধদের অবলম্বন নতুন পিতামাতার সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধন। শিশু মানেই আধো আধো ডাক আধো আধো উচ্চারণ শিশু মানেই টলোমলো চলা কষ্ট কল্পিত মিষ্টি সম্ভাসন। শিশু মানে অনেক যত্ন অনেক প্রত্যাশা শিশু মানে মাতার রাত ঘুমহীন বিরামহীন পরিচর্যা আর ভয়ে ভয়ে দিন যাপন শিশু মানেই পরিবারে জেগে থাকা স্বপ্ন রঙিন। যে শিশু শান্তি আনে স্বস্তি আনে  বড় হলেই সে শিশুই আঘাত হানে সে শিশুই পিতা মাতার দুঃখের কারণ সে শিশুই পিতা- মাতার বুকে শেল হানে। অনন্ত প্রত্যাশার শিশুর শিক্ষা হোক মানবিক তোতা পাখি না হোক জীবন বাস্তবতা দেখে ঠেকে ঠেকে শিখুক সত্যের পথে পরিবর্তিত হোক আজীবন। শিশুর শিক্ষা হোক কর্মমুখর  বাবু সংস্কৃতির উর্ধ্বে উঠুক পরিবারের অনুশীলন শিশু স্বনির্ভর ভাবে গড়ে উঠুক স্বার্থপরতা নয় পরার্থপরতা হোক তার মিশন।

কবি মোঃ হা‌বিবুর রহমান এর কবিতা "জ্যৈ‌ষ্ঠৈর দুপু‌রে"

ছবি
জ্যৈ‌ষ্ঠৈর দুপু‌রে মোঃ হা‌বিবুর রহমান ছন্দ তু‌লিয়াই ময়ূর যবে পেখম মে‌লিল স‌বে গগ‌নে, কাকাতুয়ারা ধ‌রিলো গান ম‌নের সু‌খেই তা একা‌ন্তে। ‌কো‌কিলা এখ‌নো ডা‌কে কু-হু কু-হু গা‌ছের আবডা‌লে,  মাছরাঙাটি ব‌সে আ‌ছে একই ধ্যা‌ণে মা‌ছের সন্ধা‌নে।  শামুকভাঙ্গারা দল ‌বাধিয়া উ‌ড়িয়া গগ‌নে ছু‌টে চ‌লে, কানা বকেরা মা‌ছের সন্ধা‌নে অ‌পেক্ষার প্রহর গো‌ণে। হুতুম পেঁচা‌কে দি‌নের বেলায় দে‌খে হয় সবাই অবাক, ঐ দূর হ‌'তে ‌ভে‌সে আ‌সে ঘুঘু পা‌খিদের সনাতন ডাক। ভর দুপু‌রে দ‌খিনার বাতা‌সে দোলা দি‌য়ে যায় ম‌নে, ম‌নে ছন্দ জা‌গে সেই দখিনা মৃদুমন্দ বায়ুর তো‌ড়ে। ঘ‌রের পা‌শে আম্রপাতার পত পত আওয়াজ ‌যেন শু‌নি, দুরূদুরূ মন আজি শু‌নি বিপ‌দের কোন আলামত না‌কি ? ‌জ্যৈষ্ঠের এ ভর দুপু‌রে সুরূজ ঢা‌লি‌ছে গ্রী‌ষ্মের খরতাপ, ধরাটা পুড়ে হ‌'চ্ছে তাই ফু‌টিফাটা যেন একদম ছারখার। ‌কোথাও নেই বাতাস, পত্রপল্লব হ‌'য়ে গে‌ছে অসার স‌বি, এ‌কোন সং‌কেত বু‌ঝি‌তে না‌‌ পা‌রি বিপ‌দের আশু ধ্ব‌নি। দূর আকা‌শে জ‌মি‌ছে কা‌লো ঘন মেঘ ঈশান কো‌ণে, সবাই ব‌সে আ‌ছে বৃ‌ষ্টির অ‌পেক্ষায় বড় আশা নি‌য়ে।

Gffhh

LOVE

কবি দোদুল পার্থ "নিজেকে পাইনি কোথাও"

ছবি
নিজেকে পাইনি কোথাও  দোদুল পার্থ  নিজেকে পাবো বলে আমি বহুপথ হেঁটেছি -- হেঁটেছি আমি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত। কাঁটানটের বন পেরিয়ে মাধবীলতার কাছে থমকে দাঁড়িয়েছি মৌনতায়, দাঁড়িয়ে থেকেছি আকন্দফুলের বাকল ছুঁয়ে  শুধুই নিজেকে পাবো বলে । নিজেকে পাবো বলে পানকৌড়ির ঠোঁটে বসন্ত জমা রেখেছি, কলঙ্কিত যমুনার চোখে এঁকেছি মেঘবতীর প্রণয়, একমুঠো ধূসরতায় আমি খুঁজেছি পৃথিবীর তাবদ উষ্ণতা ,  তবুও নিজেকে পাইনি কোথাও ! আমার আমিটাকে বাঁধবো বলে হরিণ শাবকের কাছে শিখেছি গতিময়তা, চন্দ্রের কিরণ থেকে একমুঠো সাদা আলোয় ভরেছি চায়ের পেয়ালা, কদমের খসে পড়া রেণুর থেকে কুড়িয়ে নিয়েছি জীবনের প্রগাঢ় আহবান , তবুও নিজেকে বাঁধতে পারিনি   ! নিজেকে পাইনি আমি স্কুল শেষে ঘরে ফেরা মেঠোপথে চৌধুরীদের আমের বনে। পাইনি আমি শাহবাগ মোড়ে দাবি আদায়ের মিছিলে, একতারা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা কৌমুদী বাউলের সুরের মাঝে পাইনি নিজেকে। অথচ নিজেকে খুঁজে চলেছি দুর্নিবার ।  মাতৃগর্ভ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ হয়ে মা মা চিৎকারে গগন কাঁপিয়ে নিজেকে হারাবার পর,  আর নিজেকে আজও কোথাও খুঁজে পাইনি !

Hshsyhs

LOVE

কবি শারমিন সুলতানা রীনা এর কবিতা "ব্যার্থ মানচিত্র"

ছবি
ব্যার্থ মানচিত্র শারমিন সুলতানা রীনা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে ব্যাকুল হয়ে বামন হলাম বাতাসের শরীর বেয়ে ভেসে আসা  ডানা ভাঙা পাখীর আর্তনাদ স্তব্ধ করে বেদনায় লীন হয় বিষন্ন গোলাপ মহাকালের বুকে সবুজ ফসলের বিরান মাঠ ফিরে কি পাবে হারানো সৌন্দর্য  পোড় খাওয়া প্রান্তর কাঁদে বিরহ শোকে বুকে আগুন নিয়ে তবু কেউ সেচ হয় জীবন জুড়ে শুধু আলো আঁধারের খেলা ধূসর মরু বুক জলের প্রত্যাশায় বৃষ্টির জন্য অনন্ত অপেক্ষা পলেস্তারা খসা প্রাচীন দেয়াল  লাগেনা শিল্পিত তুলির ছোঁয়া কত চাওয়া পাওয়া গুমড়ে গুমড়ে কাঁদে দিনের বদল হয় ঘোরে কালের চাকা জীবন সেকি পথ ভোলা অন্ধ গলি নাকি বিষন্নতার বৈরাগ, জোয়ারে মত্ত নদী ভাঙনের উন্মাদনায় কেঁপে ওঠা পাড় সে কি পাহাড়ি ঝর্ণা চোরাবালি পথ পেঁজা তুলো মেঘ রংধনুর সাতনরি হার অবিচল পর্বত নাকি কেবলি সে এক ব্যার্থ মানচিত্র...

মোঃ হাবিবুর রহমান এর প্রবন্ধ মানবিকতায়  বোধ"

ছবি
প্রবন্ধ মানবিকতায়  বোধ মোঃ হাবিবুর রহমান   নি‌জে ভুল ক‌'রেও অ‌নেক সময় অ‌ন্যের প্র‌তি অ‌ভিমান জন্মা‌তে পা‌রে। বেশীর ভাগ ক্ষে‌ত্রে এই অ‌ভিমানটি কিন্তু সম‌য়ের প‌রিক্রমায় দৃশ্যমান হবার আ‌গেই শূ‌ন্যে মি‌লি‌য়ে যায়।     যা‌দের পঞ্চই‌ন্দ্রিয় খুবই তীক্ষ্ণ এবং পাশাপা‌শি যা‌দের মন‌‌ বেশ উদার প্রকৃ‌তির তা‌দের এই বোধগম্যতা তথা চেতনা‌বোধ‌টি বেশ আ‌গেভা‌‌গেই ভুল করার সা‌থে সা‌থেই জন্মে থা‌কে। ‌ বি‌বেকটি যা‌দের সদা জাগ্রত আর অন্যায় বোধ‌টি যা‌দের ত‌ড়িৎ গ‌তি‌র মত ক্রিয়াশীল হয়ে থা‌কে, সমা‌জে এই সমস্ত মানু‌ষেরা নি‌জের ভুল‌ সহ‌জেই বুঝ‌তে পে‌রে অনু‌শোচনা ক'র‌তে থা‌কে।  আর এই বোধ‌টি থে‌কে তাদের অকস্মাৎ ও অনাকা‌ঙ্খিত অশা‌ন্তি‌ থে‌কে দ্রুতই ম‌ুক্ত হবার অ‌ভিপ্রায় জা‌গে আর পাশাপা‌শি সদা এই ভু‌লটির জন্য তারা নিজেই‌ নি‌জের প্র‌তি ধিক্কার জানা‌তে থা‌কে।  আমি ম‌নে ক‌রি সমা‌জে এ‌হেন উন্নত মন মান‌সিকতার মানু‌ষেরাই প্রকৃত ভাল ও উত্তম মানুষ।  মানুষ তো ভুল ক'র‌বেই ত‌বে কত দ্রুততার সা‌থে সে নি‌জে‌কে শুধরা‌নোর চেষ্টা ক'র‌বে সে বিষয়‌টি স্বয়ং সৃ‌ষ্টিকর্তা, মহন রাব্বুল আলামীন, আল্লাহতা'য়ালা যেমনটি পছ

Nvg

LOVE

কবি অনুপ রায় এর কবিতা "মনের বাসনা

ছবি
মনের বাসনা অনুপ রায়,  আমি খুজেছি যাহারে ! আমার আপনার চেয়ে  আপন সে জন ! খুজি তারে আমি আপনার মাঝে!  আমার মনের তৃষ্ণিত আকাশে,  চাতক সমো আকুলও পিয়াশে!  আমার মনের পিয়ালও তমালে,  দেখি তারে ভোরের ও আকাশে!  রবির ও বেশে ! আমারই রচিত কাননে বসিয়া ! পরানও প্রিয়া মালিকা গাথিয়া,  পরাবে মোর গলে  ! আমি শুনি যেন তার চরনের ধনী,  আমারই পিয়াশী বাসনায় ! আমার মনের গহনে আমি তারে  খুজেছি বারে বার...!

কবি মহিউদ্দিন আহমেদ এর কবিতা "মানিক বন্দোপাধ্যায়"

ছবি
মানিক বন্দোপাধ্যায় ( চতুর্দশপদী) মহিউদ্দিন আহমেদ   তোমার প্রতি ডাল পাতা রন্দ্রে মূর্ত মাটির ঘ্রাণ, ধরিত্রীর বুকে কি অভূতপূর্ব এক বৃক্ষ তুমি ! জীবনের বালুচর ভরিয়ে আনো পদ্মার বাণ, স্বপ্ন তরীতে আঁকো জীবন-কাব্য ধন্য জন্মভুমি। কি করে বেঁধে ফেলো ক্ষুধা ক্লিষ্ট দারিদ্র্য চিত্রকথা ? নিকষ আঁধারে পথ দেখিয়ে আদিম রত্ন ধন, বুকের গভীরে অনিন্দ্য কাব্যিক  আপামর-ব্যথা, অবাক নয়নে পাপড়ি মেলে জনতা জনার্দন। স্বপ্নের বীজ বুনে চলো খুঁজে নিয়ে নির্জন দ্বীপ, ধূলিমাখা জীবনে গেঁথে অবিনাশী পদ্যের ঘ্রাণ, কূয়াশা-পর্দা ঠেলে প্রকৃতি ভালে দিয়ে লাল টিপ, পথহারা নদীতে জেগে উঠে দুর্বার কলতান । মশালে তোমার দেখে পথ বিভ্রান্ত সব পথিক, দুর্দান্ত বাতিঘর তুমি আঁধার জগৎ-মানিক ।

সাবেরা সুলতানা দিনা জুঁই এর কবিতা "শবনম তুমি ভোরের প্রেম"

ছবি
শবনম তুমি ভোরের প্রেম সাবেরা সুলতানা দিনা জুঁই    শবনম তুমি প্রভাত ভোরের অলংকার, তোমার রূপে সারা বিশ্ব সাজে শবনম, শত দুঃখের মাঝেও এক ধরনের সুখ প্রভাতে চোখ মেলেই যখন পাই তোমর দর্শন, এর খানিকক্ষন পরেই সূর্য্যের উদয়ের লালা, ঘুম এক ধরনের মিষ্টান্ন রোদের ভান্ডারের মতো, প্রতি রাতে স্বপ্নের মতোই চুম্বনের সংগ্রহে  যায়, ঝাঁক ঝাঁক স্বপ্নের পিপীলিকা শবনমের ফোটার মতো।

কবি গোলাম মোস্তফা এর কবিতা "তুমি চুপ কর"

ছবি
তুমি চুপ কর গোলাম মোস্তফা তোমার কথা শুনি প্রতিদিন  বাজখাঁই উচ্চারণে বলা - চুপ করো তখন বুকের মধ্যে হঠাৎ ভয় জমা হয়। কখনো কখনো বাড়ির আঙিনায়  সংগীসাথীদের সাথে জমে উঠি আড্ডায় তুমি তখন তিরিক্ষি মেজাজে বলে উঠো ---এত হা হা হি হি আসে কোত্থেকে? আমার আমতা আমতা করে বলা শব্দগুলো  তোমাকে আরো ক্ষিপ্ত করে তোলে।  যতই দুহাতের তালু এক করে কচলাতে থাকি ততই তোমার চিৎকার বাড়ে।  মনে হয় তোমার কন্ঠস্বর টাকে শাণিত করতে কতই না অনুশীলন করেছ! মনের কথা গুলো উচ্চারণ করতে পারিনে, ভয়ে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে।  শৈশবে আমার মা কখনো কন্ঠস্বরকে উচ্চ করতে দেন নি। তিনি বলতেন - মিষ্টি করে কথা বলা অভ্যেস কর, কন্ঠস্বর নীচু রাখার অনুশীলন কর, হাসিটা মুচকি হাসিতে সীমাবদ্ধ রাখ হা হা হি হি করে সবাই কে জানান দেওয়ার হাসি হাসতে নেই। ২৫ টা বছর এই অনুশীলনে প্রাণ পাত করেছি। সংসারে সং সাজতে এসে দেখছি, এখন তার বিপরীত। আমার ছোট ছোট করে বলা, মাথা নিচু করে মাটি সমান্তরালে চলা কারো ঝঞ্জাট গায়ে না তুলেও মিমাংসার হাত উচু করে তোলা  সবি গাত্রদাহের উপকরণ। ছোট ছোট ত্রুটি  যাযাবরের মত জীবন যাপন তোমার চরম অপছন্দের।  টাকা আনা পাইএ জীবন সীমাবদ্ধ নেই। পানের থেক

মমতা রায় চৌধুরী র ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭৭

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন    ১৭৭ চোর মমতা রায় চৌধুরী সারাটা বেলা কেটেছে দুশ্চিন্তা আর অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে। এখন বৃষ্টি নেই কিন্তু আকাশ মেঘে ঢাকা যেটুকু আলো এই শহর পেয়েছে মেঘ থেকে স্মিমিত আলো তাতে এই শহরতলী কে যেন আরও জীর্ণ করে রেখেছে। কিছুক্ষণ রেখা জানলার কাছে দাঁড়িয়ে মানুষের আনাগোনা দেখতে লাগল আসলে সারা দিন বৃষ্টির পরে এখন বৃষ্টি টা একটু কম হওয়াতে মানুষ বেরিয়েছে। কত মানুষের কত প্রয়োজন কেউ অর্থের জন্য ছুটে কেউ যশের জন্য কেউবা আনন্দ উপভোগের জন্য আবার কেউ বা হতাশা বিষাদ দুঃখ কান্না নিজের মনের ভেতরে সঞ্চয় করে শহরেই বাসা বাঁধে। একমাত্র এই শহরে তো কোনকিছুর খবর রাখে না কার কি হলো কি গেল কি কি করলো? শহর একেবারে দরাজ এসব ব্যাপারে। কিন্তু মাটির যে স্নেহ যে টান যারা মাটির কাছাকাছি থেকেছে শুধুমাত্র তারাই অনুভব করতে পারে। মর্মে মর্মে অনুভব করছে শহরে থাকার জীবন। এখানে পথের ধুলো আকাশে ধোয়া বাতাসেও যেন বিষ মেশানো ভালো করে নিঃশ্বাস নেবার উপায় নেই তাইতো শহরের মানুষ দূরে যায় প্রাণ ভরে শ্বাস নেবার জন্য প্রকৃতির স্নিগ্ধ কোলে। আজ এত বছর বিবাহিত জীবনের এই শহরটাকে আপন করতে পারলো না রেখা। এই শহরে সব সময

কবি শিবনাথ মন্ডল এর কবিতা "সুখী পরিবার"

ছবি
সুখী পরিবার শিবনাথ মণ্ডল ছোটো পরিবার সুখী পরিবার  কথাটা মধুর পিতামাতাকে কেউকেউ করে দূরদূর। বড় পরিবারে থাকতে বলে লাগে বোকাবোকা নিজ পরিবার নিয়ে  থাকতে চাই একাএকা। বিয়ের আগে বাবা মা হয় কত ভালো  বিয়ের পরে ছেলেদের মুখ হয় কালো। যারা মানুষ করলো তাদের ভাত দিতে কষ্ট বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে বোলে দেয় পষ্ট। ছোটো পরিবার সুখী পরিবার কথাটি সোজা বৌ বাচ্চা সবাই আপন  বাবা মা বোঝা।।

কবি শেখ রাসেল এর কবিতা "সত্য আলোয় সাজি"

ছবি
সত্য আলোয় সাজি   শেখ রাসেল   আমায় নিয়ে নিন্দা করে,পাড়ার কতোই লোক।  তবুও মা'গো আগলে রেখো,কষ্ট যতোই হোক।  কেউবা বলে লাফাঙ্গা আর,দেখতে কতোই পাঁজি। হাতড়ে দেখো ভেতরটা ঐ,সত্য আলোয় সাজি। দেয়না সমাজ সত্যি কথার,একটু খানিক দাম। কটুক্তি আর নিন্দা পাড়ায়,দুঃখ ঝরায় ঘাম। বিবেক যাদের মিথ্যা মোহ,তার থাকে কি হুঁশ।  পেটটা খেয়েই করছে বড়,দূর্নীতি আর ঘুষ। যুগের এমন দস্যি ধারায়,দ্বন্দ্ব হাজার নীতি। বুক ফুলিয়ে গাইবে তারা,সাম্য ন্যায়ের গীতি। উচিত কথায় মুখটি কালো,সভ্য সমাজ পতি। মনুষ্য জাত বিভেদ গড়ে,মূল্য নাই এক রতি। আমরা নবীন সত্য করে,বললে সোজা কথা। তোমরা প্রবীণ বুদ্ধিজীবি,পাও কি মনে ব্যাথা? তেল মাখা ঐ মিথ্যে বুলি,গাইলে খুবই ভালো।  নইলে বেজায় তিক্ত হবে,মুখটা পুড়েই কালো। আঁধার ঘরে গুমরে কাঁদে,সত্য উচিত বাণী।  বর্গী আমার সোনার দেশে,রসুন বুনায় জানি। কলম যদি যায় গো থেমে,লিখতে কথা খাঁটি,  বিবেক তবে মরছে যেনো?সইবেনা মা মাটি।

কবি আশরাফ আজিজ এর কবিতা "সূর্যমুখি"

ছবি
সূর্যমুখি   আশরাফ আজিজ   কবে কোন পৌষালী থৈ থৈ চন্দ্রিমা রাতে বুকের আলো ফেলে আমাকে কুড়িয়ে নিয়ে ছিলে মনে পড়ে?  মনে পড়ে-মাধবী ঝাড়ের সেই উসখুস পাতার নিস্বন  তোমার নিঃশ্বাসে গুঁজে দিয়েছিল জোতির্ময় হৃদয়ের ওম আজো সেই বিপুল মর্মরিত দিনান্তের কথাকলি গোধূলির শেষ চাহনির আরক্ত আকাশ আর মেরুন সূর্যাস্ত দেখলেই মনে পড়ে  আর ভেতরে হু হু বয়ে  ধূলো মাখা বিষন্ন হাওয়া,,,  যখন একাকী নিদাঘ দুপুরে কিংবা রাতের অবসরে যাই লেখার টেবিলে  হঠাৎ মনে পড়ে তোমার দিগন্ত জোড়া প্রাণখোলা অম্লান ফোয়ারা  মনে পড়ে শিল্পত ভঙিমায় তোমার কথা বলার বিরল সৌন্দর্য আর তাতেই ভালোবাসার জ্যোৎস্না প্রথম বুকের দরোজা খুলেছিল,,, আজো মনে পড়ে,,,,  তোমারও কি মনে পড়ে সেই শীতর্ব বিকেলে কুল কুল বয়ে যাওয়া নদীর মতো বয়ে যাচ্ছিল আমাদের আফোটা সময়  দুজনের বুকের গভীরে ছিল ভোরের কাঁচা রোদের মতো স্বপ্ন  আর সেই প্রাণখোলা নির্জন প্রহরে আততায়ীর মতো আমাদের ঘিরে রেখেছিল তিনটি খয়েরী শালিক  মনে পড়ে,,, মনে পড়ে তোমার,,,,,?  নিঃসঙ্গ স্মৃতির মতো আজো মনে পড়ে তোমার সেই বিস্মিত স্বপ্নময় চোখের আলোতে সেদিন ফুটেছিল শিশির-স্নাত একটি সম্ভাবনাময় ভোরের সূর্যমুখী।

কবি নাছিমা মিশু এর কবিতা "আমার নাম দেই ষড়যন্ত"

ছবি
আমরা নাম দেই ষড়যন্ত নাছিমা মিশু কে  তুমি ? কার তুমি ? হে ষড়যন্ত দানব ! নিজেকে উজাড় করে তোমার ই মায়ের  জঠরকে করো কলংকিত! যে কোনো ঘটনা ঘটার পরেই  পক্ষ বিপক্ষ তুষ্টের বেড়াজালে দ্বন্দ্ব বিবাদ লাগাই অনিবার্য ! আমাদের চর্মচক্ষু যতটা উজ্জ্বলতায় পারদর্শী,চৌকষ, আমাদের অন্তর দৃষ্টি ঠিক ততটাই অন্ধ,অথর্ব।  একবিংশ শতকের আধুনিকতায় উদ্ভাসিত আমরা অত্যন্ত আধুনিক মানসিকতায় সমেত সম ! আমাদের বিদ্যালয় মহিলা বিদ্যালয়,তথায় প্রধান শিক্ষক পুরুষ । আমাদের মাদ্রাসা- মহিলা মাদ্রাসা সেখানকার প্রধান পুরুষ। মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী নিবাসের তত্ত্বাবধায়ক পুরুষ।   আমাদের প্রধান শিক্ষিকাকে একজন ইউপি মেম্বার ইচ্ছে হলে মেরে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দিতে পারে। আমাদের শিশু কিশোরী যুবতী নারী -কুমারী ,সধবা,বিধবা, বৃদ্ধা,অতীশীপর বার্ধক্য জীর্ণশীর্ণকে যখন তখন ধর্ষণ,নির্যাতন করা যেতে পারে। আমাদের জন্য ঘর বাহির সমান। আদিম হিংস্রতা আমাদের একবিংশ আধুনিকতার কাছে কিছুই না। আমাদের বেগ বিজ্ঞান মনস্ক বেগের থেকে ও বহুগুন দ্রুতগামী।তারই বিচ্ছুরিত লাভা এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে তাতে অধঃপতিত ধ্বংশে পোড়ছে সমাজ সংসার ,পরিবার। তবে আমাদের বিবেক মানবিকত

মমতা রায় চৌধুরী র ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন    ১৭৬ টেনশন মমতা রায় চৌধুরী  মহা সমস্যায় পড়েছে রেখা। একদিকে খাতার চাপ অন্যদিকে লেখা র চাপ আবার মনোজকে নিয়ে একটা মানসিক চাপ সব মিলিয়ে যেন ঘেটে ঘ হয়ে গেছে। ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসে বসে এসবই ভাবছে, হঠাৎ মনোজ বাথরুমে যেতে গিয়ে রেখাকে এভাবে বসে থাকতে দেখে বলল 'তুমি ট্রেন ধরবে না?" রেখা এতটাই ভাবনায় মগ্ন ছিল যে মনোজের আসার ব্যাপারটা টের পায়নি। তখনো ভেবে যাচ্ছে ঝড় কোন দিক থেকে তার জীবনে আসছে কে জানে? এই ঝড়কে সে সামলে উঠতে পারবে কিনা? মনোজ এবার  চিৎকার করে বললো' কি ব্যাপার তুমি ট্রেন ধরবে না?" রেখার ধ্যান ভাঙ্গে আর ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে মনোজের দিকে। মনোজ কাছে গিয়ে হাত নেড়ে বলে *হ্যালো, কি হলো তোমার?' রেখা বলল' কি?" মনোজ বলল" সেটাই তো জানতে চাইছি।' রেখা বলল' কি? কিছুই না।'  মনোজ বলল' তুমি স্কুলে যাবে না? ট্রেন ধরবে তো? রেডি না হয়ে বসে আছো?, 'না আজকে স্কুলে যাব না।' মনোজ অবাক হয়ে বলে 'কেন শরীর ঠিক নেই?' ', তা ঠিক নয়। ঝমঝম করে বৃষ্টির আওয়াজ শুনে বলল'বৃষ্টি হচ্ছে?' এ বাবা বৃষ্টি

কবি কপিল কুমার ভট্টাচার্য্য এর "ভালোবাসার তীক্ষ্ম ছোঁয়া "

ছবি
ভালোবাসার তীক্ষ্ম ছোঁয়া           কপিল কুমার ভট্টাচার্য্য      যখন এক টুকরো তিক্ত কষ্টের                          স্মৃতি   জ্বেলে দেয় হৃদয় ভরা গণগণে                       আগুন,                                                   তখন তার ভালোবাসার এক বিন্দু                                                         ফোঁটা     নিভিয়ে দেয় হৃদয় ভরা সেই                 আগুনের তেজ,    জীবন ভরে ওঠে স্নিগ্ধ                   প্রাণরসে।।

কবি সুবর্ণ রায় এর কবিতা "বসন্তমাস"

ছবি
বসন্তমাস সুবর্ণ রায় গাছগাছালিতে আগুন লাগা।  ভালোবাসায় রক্তাক্ত মন। চুড়ান্ত শিল্পটির নাম বসন্তমাস।

কবি সামরিন শিরিন এর কবিতা "কৃষ্ণচূড়া"

ছবি
কৃষ্ণচূড়া  সামরিন শিরিন  ঝুমঝুম করে কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে আবার আজ!  আগুন রূপসী বৃক্ষগুলো! তুমি আমাকে কৃষ্ণচূড়া ডাকতে...  আমি নাকি অমন আগুন মেজাজ! মোটেই না।  আমি তো মাটির কায়া  জলের ছায়া...  তোমার মতো অর্বাচীন তস্করকে ডাকি আত্মাপুরুষ! যদিও কৃষ্ণচূড়া ভীষণ প্রিয় আমার  খুব ভালো লাগে তার দেমাগি রূপের আঁচ। মৌসুম জুড়ে কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে আবার আজ... কতদিন দেখিনা তোমায়!  কতবার জ্বলে নিভে আগুনের সাজ!  কতদিন ঢেকে রাখি ঘনঘোর মেঘলা মেজাজ!

কবি গোলাম মোস্তফা এর কবিতা "যাব"

ছবি
যাব গোলাম মোস্তফা  যাব মানে যাবই  সামনের পথ যতই হোক বন্ধুর যাব মানে যাবই হোক বর্ষামুখর রাত কিম্বা প্রখর রোদ্দুর। যাব,  আটকানোর কেউ নেই আত্মীয় পরিজন বন্ধু সুজন যেতে নাহি দিব যতই হোক উচ্চারণ যেতেই হবে এটা অমোঘ চিরন্তন। যাব মানে ছেড়ে যাব  নেই কোন পথ ফেরার আসলেই যেমন কৈশোর ফিরতে পারে না শৈশবে বার্ধক্য পারে না ফিরতে যৌবনে কোন কৌশলেই। সামনে যাবার অমোঘ নীতি সবার জন্যই পৃথিবীর সব কিছুই ধ্বংস হবে  সময় ই বিলীন হবে সবার আগে প্রতিদিন ই আজ,  কাল অন্ধকার গহ্বরে নিমজ্জিত রবে। যাব মানে যাবই প্রতিরোধ প্রতিশোধে নেই কোন চুড়ান্ত লাভালাভ অন্তরে বিষের আধার বাইরে সুফি  সজ্জন  কেবলই করি কৃতঘ্নতা বাইরে সদ্ভাব। যাব মানে যেতেই হবে নিশ্চিত হোক যাবার সহজতা অঢেল সম্পদ না হোক,  না হোক অবিমৃষ্যকারীতা।  শুন্যের মাঝে হোক নিজের নিদান পিছনে থাকুক কান্নার রোল আর অবিমিশ্র অকৃত্রিম দোয়া কল্যান  আর পরহিতৈষী আমল যেন হয় সাথী  সম্পদের কানা কড়ি নাই হোক যাত্রা পথের বাধা অনসূয়া।  পুরাতনী কেউ নেই আর অবশেষ নতুনের জয়গান চলে বিশ্বময় শুন্যস্থান কখনো থাকে না শুন্য  মঙ্গলময়ের অভয় যেন সঙ্গে সঙ্গে রয়।