আমরা নাম দেই ষড়যন্ত
নাছিমা মিশু
কে তুমি ?
কার তুমি ?
হে ষড়যন্ত দানব !
নিজেকে উজাড় করে
তোমার ই মায়ের জঠরকে করো কলংকিত!
যে কোনো ঘটনা ঘটার পরেই
পক্ষ বিপক্ষ তুষ্টের বেড়াজালে দ্বন্দ্ব বিবাদ লাগাই অনিবার্য !
আমাদের চর্মচক্ষু যতটা উজ্জ্বলতায় পারদর্শী,চৌকষ,
আমাদের অন্তর দৃষ্টি ঠিক ততটাই অন্ধ,অথর্ব।
একবিংশ শতকের আধুনিকতায় উদ্ভাসিত আমরা অত্যন্ত আধুনিক মানসিকতায় সমেত সম !
আমাদের বিদ্যালয় মহিলা বিদ্যালয়,তথায় প্রধান শিক্ষক পুরুষ ।
আমাদের মাদ্রাসা- মহিলা মাদ্রাসা সেখানকার প্রধান পুরুষ।
মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী নিবাসের তত্ত্বাবধায়ক পুরুষ।
আমাদের প্রধান শিক্ষিকাকে একজন ইউপি মেম্বার ইচ্ছে হলে মেরে পিটিয়ে হাত পা ভেঙে দিতে পারে।
আমাদের শিশু কিশোরী যুবতী নারী -কুমারী ,সধবা,বিধবা, বৃদ্ধা,অতীশীপর বার্ধক্য জীর্ণশীর্ণকে যখন তখন ধর্ষণ,নির্যাতন করা যেতে পারে।
আমাদের জন্য ঘর বাহির সমান।
আদিম হিংস্রতা আমাদের একবিংশ আধুনিকতার কাছে কিছুই না।
আমাদের বেগ বিজ্ঞান মনস্ক বেগের থেকে ও বহুগুন দ্রুতগামী।তারই বিচ্ছুরিত লাভা এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে যে তাতে অধঃপতিত ধ্বংশে পোড়ছে সমাজ সংসার ,পরিবার।
তবে আমাদের বিবেক মানবিকতা আদর্শ ন্যায় নীতি বিচার আইন কানুন খুব খুবই সচেতন !
এদের সমস্যা হলো পক্ষপাত তুষ্টতা।বিবাদ , পক্ষ বিপক্ষ, দোষ দোষী দোষারোপ।
সর্বশেষ- শীলে পাটায় ঘসাঘসি মরিচের জীবন শেষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much