পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সোহেল রানা

  মৃত্যুর ডাক    বারবার তোমাকে চেয়ে থাকি পশ্চিমের আকাশের ।  হৃদয় শত বেদনা অনুভব করেও, সহ্য হয় না।  চোখের সামনে কত দেখলাম, স্বাদ গ্রহণ করে চিরতরে হারিয়ে গেছে ধরণীর বুক থেকে।   মৃত্যকে আলিঙ্গন করার মতো ক্ষমতা বিধাতা দিয়েছে মোরে।  প্রিয়জনের শোকে শকাহত হয়ে পাথর হয়েছে হৃদয়।  বিধাতার সৃষ্টি কত সুন্দর , কোনো উপমা নেই।  জগৎ মাঝারে  সকলকেই অনেক কিছু দিয়েছ।  যেতে হবে তবুও মন খারাপ হয়ে যায়।  কত মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করে হঠাৎ চিরতরে হারিয়ে ।  মৃত্যু তুমি ডাক দিচ্ছ বহুরূপী হয়ে।  তবুও তুমি প্রিয়, তোমার কথা সারাক্ষণ হৃদমাঝারে রইবে।

মমতা রায় চৌধুরী

  ভালো থেকো মাত্র দুটি শব্দ ভালো থেকো, অথচ গভীর আবেদন। ভালো থেকো তুমি, ভালো থাকবো আমি, ভালো থাকুক সবাই। এই গভীর প্রত্যয় নিয়ে, হাতে হাত রেখে, হিংসা-দ্বেষ ভুলে। আগামী সুন্দর পৃথিবী উপহার থাকুক সবার।

পূর্ণিমা ভট্টাচার্য ( টুকুন)

  ভ্যালেন্টাইন ভালোবাসা কখনো কি দিন দিয়ে হয়? সে যে বড়ো একান্ত আনমনে রয়। পূর্বরাগ, অনুরাগ ,অভিসার পরে,  ভালোবাসা হৃদয়েতে আসে ধীরে ধীরে। গোধূলির রঙেতে ভালোবাসা লুকিয়ে, পলাশের লালিমায় ভালোবাসা ছড়িয়ে।  বৃষ্টি ভেজা চুল বেয়ে ভালোবাসা ঝড়ে, গরমেও কাঁপুনি দেয় ভালোবাসার জ্বরে। জলতরঙ্গ হয়ে বাজে ভালোবাসার শব্দ, কখনো সে পাহাড়ের ন্যায় দৃঢ় নিস্তব্ধ। জোয়ারে ভেসে যায়, ভাটায় সে টানে, অরন্যে ফিসফিসিয়ে বলে কানেকানে। সাগরের বেলাতে পড়ে সে লুটিয়ে, জোৎস্নার আলো বেয়ে ওঠে যে লতিয়ে। ভালোবাসা ধমনীর রক্ত স্রোতে বয়, দিন দিয়ে কখনো কি ভালোবাসা হয় ??           

এম, এইচ, বাসিত ( ইংল্যান্ড )

সখী ভালোবাসা দিয়ে সখী একটু বাঁচতে দাও মোরে ভলোবাসা নিয়ে সখী একটু মরতে দাও মোরে, তোমার গোলাপী অধরের অমিয় সখী  একটু সেবন করতে দাও মোরে তোমার সাগর দুটি চোখে সখী একটু ডুবতে দাও মোরে, তোমার দৈব-শীতল আঁচলে সখী একটু বাসতে দাও মোরে তোমার প্রণয় শিখায় সখী একটু পুড়তে দাও মোরে, তোমার অপেক্ষায় সখী  একটু ক্ষয় হতে দাও মোরে তোমার আলিঙ্গনে সখী একটু ফোটে উঠতে দাও মোরে,  তোমার মাধুর্যে সখী  একটু অন্ধ হতে দাও মোরে  তোমার যৌন-সুবাসে সখী একটু উন্মাদী হতে দাও মোরে, ভালোবেসে সখী অমর হতে দাও মোরে।

শিপ্রা দেবনাথ (টুলটুল)

  নিস্তেজ     উঠোনের শিউলি গাছটায় রুক্ষতা ভর করেছে গুমসুম ঘরে জীবনের বর্ণপরিচয় আগুনে ঝলসায়, প্রিয় কুলিক নদী সেও কোমলতা হারিয়ে ঘন কমলা রং ধারণ করেছে, দুচোখে বন্যা নিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে। উইপোকায় কাটা জীবনগুলো কেমন  ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান করে চলছে, ভাত ফোটার গন্ধও ওদের মনকে আর নাড়া দিয়ে যায় না, সূর্যের বুক ওমহীন নিস্তেজ আবেশী নরম ঠোঁট জোড়া এখন খরখরে, তাতে বসন্তের আবেদন নেই।

হাকিকুর রহমান

  কেন জানি জ্যোৎস্না উধাও হলো, সাথে করে নিয়ে গেলো তমসাকে- বালি ঝুমকোটা কে জানি কানে চড়ালো, শূন্য হাসি হেসে, ভীরুপায়ে কে এসে দাঁড়ালো চৌকাঠের কোণে। রূপালী চাঁদ, সেতো চিত্রকরের ক্যানভাসেই শোভা পায়। ন্যাড়া বেলতলায়, কিম্বা দারুচিনি বনের ধাঁরে, কেউ কি কারো জন্যে অপেক্ষায় থাকে? ঠুনকো যুক্তি দিয়ে, কিসের স্মৃতিকে ধরে রাখা! ওদিকে শানকিতে, জল ঢালা ভাতগুলো লেজকাটা কুকুরটা লোপাট করে দিলো, আর আমি তমসার নীচে দাঁড়িয়ে, সেক্সপিয়ারের গীতিকাব্য আউড়িয়ে ফিরি। তবুও কেন জানি, শুনতে পাই উপবাসী পথশিশুটা বলেই চলেছে, “এক মুঠো অন্ন দেবে!” আমার কাব্য লেখা হয়নাকো আর।