পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি গোলাম কবির এর কবিতা

ছবি
স্বপ্নের ভিতরে জীবনানন্দ দাশকে দেখে  গোলাম কবির       এই তো সেদিন-   ঘুমের ভিতরে দেখলাম ফার্মগেটের কাছেই    স্বপ্নের কবি জীবনানন্দ বাবু একাএকা   হেঁটে যাচ্ছেন আমাদের নির্মীয়মান   মেট্রোরেলের পথের ওপর দিয়ে,    তাঁকে দেখে হঠাৎ চমকে উঠে  জিজ্ঞাসা করলাম, " কেমন আছেন প্রিয় কবি? "    বললেন ভালো নেই খুব, ওখানেও তাঁকে খুব জ্বালাচ্ছে সুরঞ্জনা, বনলতা সেন ও লাবণ্যদাশ।   ওখানেও বাংলার নদীমাঠ, ভাঁটফুল,  ধানসিঁড়ি নদী, কীর্তনখোলা আর  সন্ধ্যানদীর মায়া, গাঙশালিকের দলের  কথা ভুলতে পারছেন না কিছুতেই,   তাছাড়া আবার যে ফিরে আসবেন  এই বাংলায় কিশোরীর রঙিন ঘুঙুর   নাঙা পায়ে পরে হয়তো মানুষ নয়, শঙ্খচিল  কিংবা শালিকের বেশে সেই সুযোগও   আর এলোনা বলে কষ্টে আছেন খুব!  এটুকুই আলাপ শেষে কোথায় জানি   তিনি হারিয়ে গেলেন সেদিনের মতো!  অথচ আমি তাঁকে আবার ঘুমের ভিতরে  দেখবো বলে, আরো অনেক না বলা কথা  বলবো তাঁকে, তাঁর এতো অদ্ভুতসুন্দর  কবিতা লিখার রহস্য জানবো বলে  অপেক্ষার কুয়াশা ঢাকা মেঘের দিনে অপেক্ষা করতে করতে আবার ঘুমিয়ে পড়ছি প্রতিদিনই।

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১১২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১১২ ছুঁ কার মেরে মনকো মমতা রায় চৌধুরী রেখার আজ অলস বিকেল কাটছে শুধু ওদেরকে নিয়েই ।মিলি আগের থেকে স্টেবল হয়েছে ওষুধ খাওয়ানোর পর  কিন্তু পাইলটের অবস্থা এখনো ঠিক হয়নি ।বিকেলবেলায় ওদের আদর করতে করতে হঠাৎ করে নজর পড়ে পাইলটের দিকে । রেখা খেয়াল করল'ও পটি করল কিন্তু পটিটা ভীষণ পাতলা । তখন সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে মনোজের  ঘরে ।রেখার ভেতরটা যেন পাইলটের জন্য কেমন দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে। যে বাচ্চাটি সবসময় এত উচ্ছ্বসিত থাকে রেখাকে দেখলে তো রক্ষে নেই ।আগে রেখাকে ধরবে জড়িয়ে দুই হাত  দিয়ে । তারপর ওর গালে ঠোঁটে অসংখ্য অসংখ্য আদর করতে থাকে। তারপর ওকে রেখা যখন নিজে আদর করবে ভালো করে কোলে নিয়ে ,তখন ও শান্ত হয় ।আজকে এরকম নিস্তেজ অবস্থা দেখে রেখার চোখ ফেটে জল আসে। তবু ওকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকে। এঅবস্থাতেও কোনরকমে রেখার গালে চুম্বন এঁকে দেয়।  রেখা আর রিক্স নিতে পারে না। ছুটে আসে মনোজের ঘরে।  মনোজ তখন অলস বিকেল, মেঘলা দিনে বিছানা নিয়েছে। বিছানায় ঘুমিয়েছে কিনা বুঝতে পারছে না দরজায় নক করার প্রয়োজন মনে করেনি সরাসরি ছুটে গেছে।  গিয়ে ডাকছে 'কিগো শুনছো? শুনছো ? সাড়া ন

কবি মিলাদ হোসেন এর কবিতা

ছবি
একুশে ফেব্রুয়ারী   মিলাদ হোসেন  মাতৃভাষা বাংলা আমার  সকল ভাষার সেরা রক্ত দিয়ে এনেছি মোরা তাইতো সবার সেরা।  ভয় করেনি টিয়ার গ্যাস  দামাল ছেলের দল  চুয়াল্লিশ ধারা ভঙ্গ করে রাস্তায় নামে ঢল।  মায়ের ভাষা কেড়ে নিবে এমন সাহস কার?  জীবন দিয়ে রক্ষা করে  সালাম রফিক জব্বার।  ২১ শে ফেব্রুয়ারী নয় শুধু  স্মরণীয় এক দিন রক্ত দিয়ে এনেছে যারা স্মরণীয় চিরদিন।

কবি সালমা খান এর কবিতা

ছবি
ছায়া সালমা খান  ঘোর সন্ধ্যায় হাঁটছি নদীর  পাশ ঘেঁষে,  আমার ছায়া যাচ্ছে পিছু  নিয়ে , মায়াবিনী ছায়া পড়েছে  আমার মায়ায়। আমার ছায়া পথে পথে   আমায় শাসায়, আমার ভঙ্গিমা নকল করে  আমায় আগলে রাখে । পিছন ফিরে ছায়ায়  বলি, করিস কেন বাহাদুরি ? জানা আছে তোর  জারিজুরি।  ঐ চেয়ে দেখ, আকাশ   পানে। একটু করে চাঁদের আলো চেয়ে,  গন্ধ গায়ক যাচ্ছে গান গেয়ে । চাঁদ তখন মেঘের  আলিঙ্গনে  ঢেকে মুখ আলগোছে  আনমনে। অন্ধ ভাবে চাঁদের সঙ্গ জোছনা বুঝি ধুইয়ে  দিচ্ছে অঙ্গ ।  জানেই নাতো আচ্ছা  বোকা অন্ধ , কখন যে চাঁদের দুয়ার  হলো বন্ধ।  তখন সে ভাবলো, এটাই তার অন্ধকার, এটাই আশীর্বাদ অন্ধতার।  ঠিক ছায়া তোর ও নেই, কোনো অধিকার ।