পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এস.এ. তালুকদার

ছবি
কথা রাখিনি   মন কেনো ধায় পেছন পথে চেনা মুখ  খুঁজিবারে বহুকাল আগে ভুলের পাথারে হারায়ে ফেলেছি যারে__ চাঁদ জাগা রাতে কত অনুরাগে দাড়ায়ে শিউলি তলে ঝরা ফুলে গাঁথা সাজানো মালা পড়িয়ে দিলো গলে __ মুখ খানা রেখে কাঁধের পড়ে হাতটি রেখে হাতে বলেছিলো সে ছেড়ে যাবেনা চিরদিন রবে সাথে __ সে সুখের দিন হয়েছে বিলিন নন্দিতা গিয়েছে চলে একাকী আমার বিজন প্রহর কাটে নয়নের জলে __ দুজনে দুজনায় কথা দিয়েছিনু চিরকাল রবো সাথে কিছু না বলে চলে গেলো সে একাকী কেঁদেছি তাতে __ কথা দিয়ে মোরা কথা রাখিনি  নন্দিতা গিয়েছে চলে আমিও একাকী বেঁচে রয়েছি  কথা রাখিনি বলে__

শান্তা কামালী/ ৪১ তম পর্ব

ছবি
বনফুল ( ৪১ তম পর্ব )  শান্তা কামালী                                                       দুদিন পরে বিকালে পলাশ জুঁই য়ের বাড়িতে আসার একটু পরেই জুঁই য়ের আব্বা পলাশ কে নিচে ডেকে পাঠালেন।  পলাশ নিচে এসে ওনার সামনে বসলো। উনি বললেন, মাল্টা'য় তোমার যে সুযোগ এসেছে সেটা অতি উত্তম। আমি নিজে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ইউরোপের মধ্যে এটা একটা উন্নত মানের এবং খুবই সাধারণ খরচের ভার্সিটি। তোমার পাশপোর্ট করা আছে?  হ্যাঁ, আঙ্কেল,আছে।  এবারে এডুকেশন ভিসার আবেদন করে দাও কালকেই।  তুমি মাল্টা তেই যাবে,ওখানেই পড়বে।বাকি চিন্তা তোমার নয়,আমার। কিন্তু, আঙ্কেল....  কোনো কিন্তু নয়,আমি সব শুনেছি,জেনে বুঝে তবেই বলছি,এটা আমার অনুরোধ বলো,আদেশ বলো সেটা তোমার বিশ্বাস। আমি জানি এটা আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ, আর আমার সারাজীবনের স্বপ্ন। তুমি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং একইসাথে  ইকোনমিকস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে যতোদূর পড়তে চাও,পড়ো।তুমি প্রস্তুতি নাও,আমি আছি। এরপর পলাশ আঙ্কেল আর আন্টিকে সালাম জানিয়ে ওপরে জুঁই য়ের কাছে আসে।জুঁই তখন তার বিছানায় বসে মুচকি মুচকি হাসছে। পলাশ বললো জুঁই তোমাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দেবো,বুঝতে পারছি না, জীবনে এতো বড়ো সুন্দর

মোঃ হা‌বিবুর রহমান

ছবি
ইউএন মিশ‌নে হাই‌তি‌তে গমন  ৭ম পর্ব মোঃ হা‌বিবুর রহমান রানও‌য়ে থে‌কে যখন আমাদের ভীমাকৃ‌তির গগনতরী আকা‌শে উড়াল‌ দেবার ল‌ক্ষ্যে ভো-দৌড় দি‌য়ে‌ছিল তখন হনুলুলুর স্হানীয় সময় বিকাল পাঁচটার মত হ‌বে আর‌কি! হনুলুল‌ুর নীল আকাশে তখন এক তোলা প‌রিমাণও মে‌ঘের কোন চিহ্ন ছিলনা। ই‌চ্ছে হ‌'চ্ছিল হনুলুলুকে, হনুলুলুর নিজস্ব আকাশ প‌রিসীমা থে‌কে রা‌তের বেলায় তার বিদ্যুতব‌াতি ঝলকা‌নো নয়না‌ভিরাম দৃশ্য অবগাহন করা। কিন্তু সূ‌র্যি মামা তখনও প্রস্হান না করায় গগন থে‌কে হনুলুলুকে দি‌নের রু‌পে দেখ‌তে হ‌ো‌লো।  তাই বু‌ঝি হনুলুলু‌কে তার নিজ অন্তরীক্ষ থে‌কে রা‌তের বেলার সা‌জে না দেখার একটা অতৃপ্ত বাসনা র‌'য়েই গে‌লো। টেকআপ সম‌য়ে হনুলুলুর নগরবাসী তখনও বসতবাড়ী কিংবা কলকারখানায়  সন্ধা-প্রদীপ ধরায়‌নি কিংবা ‌বিদ্যুতের সুইচ বো‌র্ডে সুইচ টি‌পে নিয়ন বাতি তখনও জ্বালায়‌নি। তাই সেদিন আকাশ থে‌কে রা‌তের হন‌ুলুলুর রূপ দর্শন থে‌কে ব‌ঞ্চিত হ‌ওয়ায় মনটা ছি‌লো বেশখা‌নি বিষন্নতায় ভরা। এটা আকাশ ভ্রম‌ণের ব্যর্থতা হি‌সে‌বে আমার জীব‌নে একটা স্হায়ী সাইন‌বো‌র্ডের আকা‌রে চো‌খের সাম‌নে যেন সবসময়ই লটকা‌নো  আ‌ছে, ত‌বে পরবর্তী‌তে আ

শামীমা আহমেদ/পর্ব ৩২

ছবি
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত ( পর্ব ৩২) শামীমা আহমেদ   নায়লার অনাগত সন্তানের আগমনের খবরে রীতিমতো একটনি ট্রাকের সমপরিমাণ জিনিসপত্র  কেনাকাটা করা হয়েছে। মা যেভাবে যা চেয়েছে, এছাড়া শায়লাও ইউটিউব দেখে দেখে মাকে অনেককিছু চিনিয়েছে।আজ সবই কেনা শেষ হলো। আগামীকাল ছুটির দিন। মা রাহাতকে নিয়ে, নায়লাকে দেখতে, নায়লার বসুন্ধরার বাসায়  যাবে। যদিও মাত্রই নায়লার সুখবরটি এসেছে তবুও, মেয়েদের সন্তান হবার খবর বাপের বাড়ি পৌছালে তখন অনেক দায়িত্ব পড়ে যায়।মা বেশ খুশি মনে আজ ঘুমাতে গেলো।কাল কোন শাড়িটা পরে যাবে সেটা যেন শায়লা গুছিয়ে দেয় মা কোমল অনুরোধ রাখল।অনেক কিছু রান্না করেও নেয়া হচ্ছে।মেয়ের এখন এমন সময় কখন কি খেতে চায়,কখন কেমন লাগে,আর জামাইয়ের প্রিয় ভুনা গরুর মাংস , পিঠা পায়েশ,সে এক বিশাল আয়োজন!মায়ের চোখে মুখে সে কি তৃপ্তির হাসি! আর মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে শায়লাও ভীষণ আনন্দিত! যদিও ভেতরে তার কী বয়ে যাচ্ছে সেটা বাসার কেউই বুঝতে পারছে না। সবকিছুকেই চেপে রেখে শায়লা স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছে। সে খুব করেই  চাইছে,আর যেন মনে  শিহাবের ভাবনা না আসে।আর এলেও সেটাকে প্রশয় না দেয়া। মা  কাল দুপুরের পর রাহাতকে নিয়ে নায়

হাজেরা কোরেশী অপি

ছবি
ত্যাগের বিনিময়ে তব তরে ঋদ্ধ আমি ওগো জন্মভূমি, দূর প্রবাসে বসত করে তোমার চরণ চুমি। কল্প রাজ্যের গল্পতো নয় তোমার বিজয় কথা, কত প্রাণের বিনিময়ে পেলে স্বাধীনতা। যাদের খুনের বিনিময়ে বিজয় এলো দেশে, অনায়াসে জীবন বিলি করে দিলো হেসে। তাদের অর্জন কতটুকু করছি সম্মান বলো? হিসেব-নিকেশ করতে বসি দল বেঁধে আজ চলো। ওদের ত্যাগের বিনিময়ে বলছি মনের মতো, নিত্যদিনই লিখছি কাব্য বাংলা বোলে যত। বৃথা যেতে দিওনা গো ওদের আত্মাহুতি, সোনার বাংলার দিকে দিকে ছড়াও সবে জ্যোতি। নইলে কেহই পাবোনা ছাড় জবাব দিতেই হবে, ওদের কান্নায় চারিপাশটা ভারী হয়েই রবে।

মোঃসেলিম মিয়া 

ছবি
🇧🇩"১৬ ডিসেম্বর পূর্ব বাংলা পশ্চিম বাংলা ভূখন্ড দুই নাম, ভাষাগত জাতি বিভেদ পর্বতের সমান।  চাকরি বাকরি উচ্চ আসন সব কিছুতেই পেশির জোর।  চাপিয়ে দিতে উর্দু ভাষা নিজের মত করে রুল! শিল্প নীতি শ্রম নীতি সব কিছুতেই খুটির জোর,  রাজনীতিতে বেজায় চাল  ভোট ডাকাতির হুলুস্থুল!  পূর্ব বাংলার উন্নয়নে  সব কিছুতেই স্থবির রথ, কথায় কথায় শোষণ পিড়ন  রক্তে ভেজায় রাজপথ!  স্বাধীনতার ডাক পেতে তাই  শেখ মুজিবের উদ্ভব।  বজ্রকন্ঠে দিলেন ডাক স্বাধীনতার মর্ম বাণী,  ঝাঁপিয়ে পড়ে আপামর জনতা হটিয়ে দিলেন পাকবাহিনী।  মুক্তি বাহিনী সম্মুখ যুদ্ধে গড়লেন প্রতিরোধ,  পিছপা হয়নি জীবন দিয়ে নিয়েছেন প্রতিশোধ।  বুকের মাঝে মাইন বেঁধে  উড়িয়ে দিয়েছেন ট্যাংক, পাক সেনার দল নতজানু  গুটিয়ে নিয়েছে ভয়ে ঠ্যাং। নয় মাস যুদ্ধ করে বিজয় যখন ঘরে, মা বোনদের ইজ্জত বিলিন পাক-সেনাদের তরে। ত্রিশ লক্ষ নিরীহ প্রাণ  বুলেটে ক্ষত বিক্ষত! তাজা রক্তে ভাসিয়ে পথ হয়নি তবু অনুতপ্ত।  পূর্ব বাংলা হয়েছে স্বাধীন পেয়েছি  স্বাতন্ত্র মানচিত্র।  লাল সবুজের পতাকা এখন তরতরিয়ে উড়ে,  ১৬ডিসেম্বর বিজয়ের আনন্দ তাইতো ধ্বনিত প্রতি ঘরে!!!

মমতা রায় চৌধুরী/৬৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৬৯ প্রতিবন্ধীর স্বপ্ন মমতা রায় চৌধুরী মনোজের এতবার ডাকাতে রেখা একটু বিরক্তিস্বরে এসে বলল" কেন গো এত ডাকছিলে কেন? কি হয়েছে ?কি চাই?' মনোজ যেন হঠাৎ করে রেখাকে এভাবে কথা বলতে দেখে  একটু বিস্মিত হয়।মনোজ ভাবতে থাকে এ  কোন রেখাকে দেখছে হঠাৎ করে  রেখার ভিতর এমন কি রেখাপাত করলো ?এমন কি দ্বন্দ্ব হলো? যার জন্য এভাবে কথা বলছে?" রেখা বলল 'হ্যাঁ, করে মুখের দিকে তাকিয়ে কেন বল?" মনোজ বললো 'না মানে তোমার ফোন?" রেখা বললা" আমার ফোন কি হয়েছে?' মনোজ বলল'তোমার ফোন বেজেছে কয়েকবার।' রেখা বলল 'কে করেছে?' মনোজ বলল 'আমি দেখি নি।' রেখা বলল ' তুমি কি ফোনটা কে করেছে দেখলে না? রেখা একটু গজ গজ করতে করতে ফোনটা ঘেটে দেখল কাকিমার মিস কল হয়ে আছে আর রিম্পাদির  আরেকটা অচেনা নম্বরের মিসকল হয়েছে। মনে মনে ভাবছে এই নম্বরটা তো ওর ফোনে সেভ করা নেই ।কে করতে পারে? মনোজ  বললো  'কি ব্যাপার ফোনটা হাতে নিয়ে মিসকল দেখে এত চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লে?' রেখা বলল 'দুটো নম্বর তো চেনা কিন্তু আর একটা নম্বর না আননোন নম্বর?' মনোজ বলল