১৫ ডিসেম্বর ২০২১

শান্তা কামালী/ ৪১ তম পর্ব





বনফুল
( ৪১ তম পর্ব ) 
শান্তা কামালী



                                                      দুদিন পরে বিকালে পলাশ জুঁই য়ের বাড়িতে আসার একটু পরেই জুঁই য়ের আব্বা পলাশ কে নিচে ডেকে পাঠালেন। 
পলাশ নিচে এসে ওনার সামনে বসলো। উনি বললেন, মাল্টা'য় তোমার যে সুযোগ এসেছে সেটা অতি উত্তম। আমি নিজে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ইউরোপের মধ্যে এটা একটা উন্নত মানের এবং খুবই সাধারণ খরচের ভার্সিটি। তোমার পাশপোর্ট করা আছে? 
হ্যাঁ, আঙ্কেল,আছে। 
এবারে এডুকেশন ভিসার আবেদন করে দাও কালকেই। 
তুমি মাল্টা তেই যাবে,ওখানেই পড়বে।বাকি চিন্তা তোমার নয়,আমার।
কিন্তু, আঙ্কেল.... 
কোনো কিন্তু নয়,আমি সব শুনেছি,জেনে বুঝে তবেই বলছি,এটা আমার অনুরোধ বলো,আদেশ বলো সেটা তোমার বিশ্বাস। আমি জানি এটা আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ, আর আমার সারাজীবনের স্বপ্ন। তুমি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং একইসাথে  ইকোনমিকস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে যতোদূর পড়তে চাও,পড়ো।তুমি প্রস্তুতি নাও,আমি আছি।
এরপর পলাশ আঙ্কেল আর আন্টিকে সালাম জানিয়ে ওপরে জুঁই য়ের কাছে আসে।জুঁই তখন তার বিছানায় বসে মুচকি মুচকি হাসছে। পলাশ বললো জুঁই তোমাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দেবো,বুঝতে পারছি না, জীবনে এতো বড়ো সুন্দর সুযোগ তুমি না থাকলে কোনোদিন পাবো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। জুঁই বললো, আমি বলেছিলাম যে আমার আব্বুর কাছে এটা কোনো সমস্যা ই নয়।পলাশ বললো, এলাহি ভরসা।
জুঁই পলাশ কে কাছে ডাকলো। পলাশ কাছে আসতেই জুঁই বললো, ধন্যবাদ না,অন্যকিছু দাও,বলেই নিজের গলা টা বাড়িয়ে তার ঠোঁট দুটো এগিয়ে কিছু ইঙ্গিত করে। পলাশ মুহুর্তে পিছু সরে এসে বলে, না, না জুঁই, এখনো সময় আসেনি, সবে তো অঙ্কুর,একটা পরিনত বৃক্ষ হতে দাও,তারপর। এখনই জীবনের রোমান্স কে নষ্ট কোরো না। আমাকে আর দুটো বছর সময় দাও,তারপর তো সারাজীবন সমুদ্র সৈকতের মতো আমি থাকবো  তোমার নিত্যনতুন জলতরঙ্গ আছড়ে পড়ার জন্য।

চলবে....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much