পোস্টগুলি

অক্টোবর ২৫, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়" ১৭

ছবি
চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                        উদাসী ডানার মেঘ                                                                  (পর্ব ১৭ )                                         বা সায় এসে মাত্র সুস্থ হয়েছে সামিয়া ঘরের  গোছগাছ শেষ না হতেই সৈকত ফোন করে,বললো বাসায়,আজ সারারাত তাস খেলবে দুই বন্ধু ভাবিদের নিয়ে আসবে বাসায়,যেয়ে রান্না করো তাড়াতাড়ি  একটু পায়েস করো এই বলে ফোন রেখে দিলো। সামিয়ার কান্না পেলো  শরীরটাএখনো দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি  অফিসে যেতে হয়  ভাবছে   কি ভাবে কি করবে রান্না তৃষ্ণার টেবিলের কাছে যেয়ে বললে- তোর গুছানে শেষ? তাড়াতাড়ি চল চেকআপ করাতে হবে আবার সমিয়া - কিসের চেক আপ তৃষ্ণা- ডাক্তার দেখাবে চলো সামিয়া- মাথা খারাপ তোর একা ডাক্তারের কাছে গেলে আর রক্ষা আছে আমার। তৃষ্ণা- আমার সাথে চলো সামিয়া - না আরও বাজে কথা বলবে,বাসায় তাসের আড্ডা বসবে কাল পুজোর বন্ধ তাই বন্ধুরাও  ত

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ১৩

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী 'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  " বনফুল "                                                                        বনফুল                                                                          ( ১৩ তম পর্ব )  জুঁই পলাশের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছে, এক ঘুমে সকাল আটটা বেজে গেল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে জুঁই তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুম ঢুকে ফ্রেস হয়ে এসে ফোন দিলোপলাশ কে,হ্যালো গুডমর্নিং...  জবাবে পলাশ জুঁই কে বললো গুডমর্নিং ডিয়ার, আজ তোমার  এতো আর্লি ঘুম ভাঙ্গলো, ব্যাপার কি?  -কি করবো বলো তুমি তো আজ ফোন দাওনি।  পলাশ বললো ভেবেছিলাম ফোন দিই আবার ভাবলাম যদি তুমি ঘুমে থাকো তাহলে ঘুমটা ভেঙ্গে দেওয়া ঠিক হবে কি না,এই ভেবে ফোন দিইনি।আচ্ছা সুইট হার্ট আর ভুল হবে না। - এখন ছাড়ছি রেডি হতে হবে।  পলাশ বললো ঠিক আছে । জুঁই ফোন রেখে ড্রেস চেঞ্জ করে  চুল আঁচড়ে সুন্দর একটা ইযার রিং কানে পড়লো, ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক দিলো, সাজগোছ শেষ করে জুঁই নিচে নেমে এলো, টেবিলে নাস্তা পরিবেশেন করাই ছিলো , নাস্তা শেষ করতেই মা মনোয়ারা বেগম জুঁইকে জিজ্ঞেস করল তু

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"৩২

ছবি
                         টানাপোড়েন ( ৩২ )                                বৃষ্টিভেজা দুপুর                                       রে খা কত কিছু ভেবে রেখেছিল পুজোটা খুব এনজয় করবে। রিম্পাদির আসার কথা ছিল বাড়িতে। একদিনের জন্য এসেছিল।রিম্পাদি আসার  দিন টা আনন্দে কেটেছে এতসব বিশৃঙ্খলাতার মধ্যেও। বাড়িতে  তুমুল অশান্তি। একদিকে মিলি(স্ট্রীট ডগ) ওর বাচ্চা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। রেখা ও মনোজ এক চুলও বাড়ির এদিক ওদিক হতে পারে না। তাহলেই কপালে ওদের কষ্ট ।  সুরঞ্জন ফোন করেছিল পুজোতে যেতে । কিন্তু পারে নি। অন্যদিকে যৌথ সম্পত্তির  টানাপোড়েন। রেখার শ্বশুর মশাইকে ঠকিয়ে ,জ্যাঠাশ্বশুর সব নিজের  এবং তার সন্তানদের নামে যৌথ সম্পত্তি দখলে রেখেছেন। তাই রোজ অশান্তি। এরমধ্যে মিলির বেবি হওয়াতে ওদের কাজের লোকগুলোকে অব্দি এমনভাবে শেখানো হয়েছে, যাতে মিলিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় ।রেখা শুধু ভাবে এরা আর কত নীচে নামবে । মিলির সিঁড়ির নিচে বাচ্চাটা হওয়াতে । বাচ্চাগুলোর চোখ না ফোটায় সিঁড়ির নিচেই থাকবে। ।কিন্তু অজুহাত দেখিয়ে মিলিকে বের করে দেবার ওরা বাহানা‌ খুঁজছে। যেহেতু মিলি বাচ্চাগুলোকে আগলে রাখে ,কোন ব্

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"৪

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৪ ) শামীমা আহমেদ  ---মা আর রাহাতের সাথে রাতের খাবার খেয়ে ডাইনিং রান্নাঘর গুছিয়ে শায়লা নিজের শোবার ঘরে চলে এলো।শায়লা আগে মায়ের ঘরেই ঘুমাতো। মায়ের শরীরটা কখন কেমন হয়! তিন বেডরুমের ফ্ল্যাটে  অন্য ঘর দুটো রাহাত আর নায়লার দখলে। ওরা রাত জেগে পড়াশুনা করতো। আর  ক্লান্ত হয়ে অফিস ফেরা শায়লার একটা পরিপূর্ণ ঘুম দেয়া খুবই অত্যাবশ্যক ছিল। যখন থেকে নীচতলার রুহি খালাম্মা বিয়ের প্রস্তাবটি নিয়ে এলেন তখন থেকে শায়লা আলাদা ঘরে চলে এলো।কানাডা থেকে কল আসতো, কথা বলতে হতো। শায়লা কখনো ভাবেনি সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ের এমন অচেনা কাউকে জীবনসঙ্গী করতে হবে।তবুও টুকটাক কথা চলতো। কেমন আছো, ভালো আছি,পছন্দ, অপছন্দ, এইতো!  নীচতলার খালাম্মা নিশ্চয়ই সবিস্তারে শায়লাদের সব কথাই জানিয়েছে আর শায়লার ছবিও দেখিয়েছে। কোন রকম ওজর আপত্তি না দেখিয়ে চট করেই নোমান সাহেব, পুরো নাম নোমান চিশতী,রাজী হয়ে যায়।শায়লা বেশ বুঝতে পারে দুজনার বয়সের ব্যবধান।আর এত বয়সে আজো বিয়ে করেনি! বিষয়টি শায়লার মনে উঁকি দিলেও ঘুণাক্ষরেও তার প্রকাশ আনেনি চোখে মুখে। প্রায় প্রতি রাতেই কথা হতো। এগার ঘন্টার সময়ের ব্যবধানেও দুজনার

রুবিনা

ছবি
শান্তির পায়রা   বৃষ্টি বর্ষণশীল, জন্মাল অরন্য, সাগর, পাহাড়, পৃথিবীর সোপান হলো মাটির কৃতজ্ঞতা।  শুরু হল কালের যাত্রা....  অতঃপর মহাকালের গহ্বরে প্রবেশ করে ক্রোধ, প্রতিশোধ,   চক্রাকারে মানুষের শোভা যাত্রায় আমিত্ববোধ।  অবলীলায় চলছে সক্রিয় অপেরার পালা,  লেগে থাকে ঠোঁটে কুড়ানো হাসির মহড়া। উদাহরণ স্বরূপ, তুখোড় সব মানবতার ইতিহাস,  আদি থেকে  জ্বলছে তো জ্বলছে রতি হ্রাস। অনুভূতিহীন বাক্যগুলো অসমাপ্ত প্রতিক্রিয়া,  অবশেষে রাতকে দিনের আলোয় দেখার অপচেষ্টা।  বোবাকালা মানুষ গুলো অনেকটা রোবটের মত যান্ত্রিকতাবাদ, বিকল মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষে মুদ্রিত মুদ্রার আবাদ।  যাপিত আনন্দ, উচ্ছ্বাস, বিশ্বায়ন নিয়ন্ত্রিত হয় রিমোট কন্ট্রলে, মহা কালের অত্যাধুনিক যাত্রা শুরু, আকাশ প্রযুক্তির উৎকর্ষে। তথাপি..  এক ঝাক শান্তির পায়রা উড়ে আকাশে,  মহাকাব্যের সৃষ্টি হল লাল কালি

ফরমান সেখ

ছবি
বন্ধু আমার প্রিয়ার সাথে         পূর্বাকাশে  রবি ওঠে চারিদিকে  আলোকিত, বন্ধু আমার, প্রিয়ার সাথে হয়েছে আজ  অবির্ভুত। মিলেমিশে  খায় যে খানা- পাশাপাশি  গোলটেবিলে, হেঁসে ভাসায়  আনন্দতে গল্প জমায়  দুজন মিলে। কি হয়েছে  ফোনে কথা- উদাত্ত মনে  নিশিরাতে, সে কথা আজ  সামনা- সামনি উঠেছে আজ  জম জমাটে। কথা তাদের  ভাসছে যেন- ভালোবাসার  বাঁশির সুরে, চোখের কোণে  ফুটছে যেন- সর্ষের ফুল  দিন-দুপুরে। প্রিয়া বলে, তুমি আমার- ভালোবাসার  প্রিয় হরি, বন্ধু বলে, তুমি প্রিয়া- আমার ডানা  কাটা পরী।

জি,এম,লিটন

ছবি
বন্ধু দুধের স্বর যেমন করে-- দুধকে ঢেকে রাখে, প্রকৃত বন্ধু হলে কেউ-- তেমনি পাশে থাকে। বন্ধুত্বের সম্পর্কে থাকলে- বিশ্বাস,ভালোবাসা আর যতন, ফাটবে না,ভাঙ্গবে না,সেই সম্পর্ক, থাকবে ইস্পাতেরই মতন।  ছলনাময়ী এই দুনিয়ায়-- বন্ধু চেনা দায়। বন্ধুত্বেরই হাত বাড়িয়ে-- সকল কিছু,লুটে নিয়ে যায়। প্রকৃত বন্ধু পাওয়া গেলে-- অনেক কপালে ফুল ফোঁটে। বন্ধুর কারণে বন্ধুর আবার-- জীবনহানিও ঘটে।  ছেলের সাথে মেয়ের বন্ধুত্ব নাকি-- এই জমানায় হয়, আমি বলি,আগুনের পাশে মোম-- কভু নিরাপদ নয়। মিষ্টি হাসি লেগেই থাকে, স্বার্থপর বন্ধুর ঠোঁটে।  গাছের ফলটি খেয়ে বন্ধু, গাছের গোড়া কাটে।  পিতামাতার মত বন্ধু, এই দুনিয়ায় নাই। শত বিপদের মাঝেও তারা-- দিবে তোমায় ঠাঁই।   সহধর্মিণী,সন্তানদের সাথে, কেউ যদি বন্ধুত্ব করে। জেনে রেখ, স্বর্গীয় সুখ-- বিরাজ করবে সেই ঘরে।  সৃষ্টিকর্তার সাথে কেউ-- যদি বন্ধুত্ব করে, সুখে যাবে সেই জীবন,  যাবে পূন্যেয় ভরে।

অলোক দাস

ছবি
 মেঘে ঢাকলো আকাশ    আবার আকাশ ঢাকছে মেঘে, আবারও হবেই বৃষ্টির রিম ঝিম শব্দ বাড়ির আনাচে কানাচে I নীলাকাশ ঢেকে দিলো কালো মেঘে I সবদিক হোলো অন্ধকার I না দেখে কিছুই বলা যায় না I না দেখলে ভাব ও আসে না বর্তমান ও ভবিষতের I এতো চিরসত্য I সন্ধ্যার চা এসে গেলো এখুনি I রাস্তায় আলো জ্বলে উঠলো, জললো আলো মন্দিরে I মোনে হয় এখুনি বৃষ্টি নামবে I একি অনাসিস্ট্রি!

asff

LOVE

safaf

LOVE