চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
উদাসী ডানার মেঘ
(পর্ব ১৭)
বাসায় এসে মাত্র সুস্থ হয়েছে সামিয়া ঘরের গোছগাছ শেষ না হতেই সৈকত ফোন করে,বললো বাসায়,আজ সারারাত তাস খেলবে দুই বন্ধু ভাবিদের নিয়ে আসবে
বাসায়,যেয়ে রান্না করো তাড়াতাড়ি একটু পায়েস করো এই বলে ফোন রেখে দিলো।
সামিয়ার কান্না পেলো শরীরটাএখনো দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি অফিসে যেতে হয় ভাবছে কি ভাবে কি করবে রান্না
তৃষ্ণার টেবিলের কাছে যেয়ে বললে- তোর গুছানে শেষ? তাড়াতাড়ি চল চেকআপ করাতে হবে আবার
সমিয়া - কিসের চেক আপ
তৃষ্ণা- ডাক্তার দেখাবে চলো
সামিয়া- মাথা খারাপ তোর একা ডাক্তারের কাছে
গেলে আর রক্ষা আছে আমার।
তৃষ্ণা- আমার সাথে চলো
সামিয়া - না আরও বাজে কথা বলবে,বাসায় তাসের আড্ডা বসবে কাল পুজোর বন্ধ তাই বন্ধুরাও তাদের বউ নিয়ে রাতে খাবে।
তৃষ্ণা- এতো দূর্বল কি ভাবে করবি রান্না
সামিয়ায়- সে হবেনে তের ভাবতে হবেনা।
তৃষ্ণা সামিয়াকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে গেলো তাড়াতাড়া করে,কাপড় চেন্জ করে হাতমুখ ধুয়ে রান্না ঘরে এলো, রান্না করতে পারছেনা আাবার মাথাটা ঘুরচ্ছে। বুয়া মাথায় পানি দিয়ে বললো আমাকে দেন
আপা আমি বাকি গুলো করে ফেলি।
সামিয়া কিছুই বললোনা রান্না শেষ করে শাওয়ার নিয়ে বের হতেই ওরা চলে এলো।
চা নাস্তার পর্ব শেষ করিয়ে সামিয়া কিছুটা সময় কথা
বললো ওরা ও তাস নিয়ে বসে পড়লো
সৈকতকে বললো কিছু প্রয়োজন হলে যেনো ডাকে।
বুয়াই চা দিলো কয়েকবার এবার সামিয়া দেখে রাত এগারেোটা প্রায় বাজে উঠে এসে বললে টেবিলে( খাবার দিবে।সৈকত দিতে বললো একসাথে সবাই খেতে বসলো সামিয়া খেতে পারলোনা ভালো লাগছেনা খেতে
সবার সামনে তাই নাড়াচাড়া করে উঠে পড়লো।
আবার চায়ের পালা শেষ হতেই বসে পড়লো খেলতে
ভোর হতেই সব চলে গেলো। সামিয়ার শরীর ভর্তি
রেশ উঠেছে সৈকত ঘুমাচ্ছে। আজ বন্ধ ডাক্তার ও পাবেনা। কষ্ট পাচ্ছে ভীষণ ক্লান্ত,লাগছে।
চলবে.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much