বনফুল
( ১৩ তম পর্ব )
জুঁই পলাশের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছে, এক ঘুমে সকাল আটটা বেজে গেল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে জুঁই তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুম ঢুকে ফ্রেস হয়ে এসে ফোন দিলোপলাশ কে,হ্যালো গুডমর্নিং...
জবাবে পলাশ জুঁই কে বললো গুডমর্নিং ডিয়ার, আজ তোমার এতো আর্লি ঘুম ভাঙ্গলো, ব্যাপার কি?
-কি করবো বলো তুমি তো আজ ফোন দাওনি।
পলাশ বললো ভেবেছিলাম ফোন দিই আবার ভাবলাম যদি তুমি ঘুমে থাকো তাহলে ঘুমটা ভেঙ্গে দেওয়া ঠিক হবে কি না,এই ভেবে ফোন দিইনি।আচ্ছা সুইট হার্ট আর ভুল হবে না।
- এখন ছাড়ছি রেডি হতে হবে।
পলাশ বললো ঠিক আছে । জুঁই ফোন রেখে ড্রেস চেঞ্জ করে চুল আঁচড়ে সুন্দর একটা ইযার রিং কানে পড়লো, ঠোঁটে গোলাপি লিপস্টিক দিলো, সাজগোছ শেষ করে জুঁই নিচে নেমে এলো, টেবিলে নাস্তা পরিবেশেন করাই ছিলো , নাস্তা শেষ করতেই মা মনোয়ারা বেগম জুঁইকে জিজ্ঞেস করল তুমি কি চা নেবে না কফি?
জুঁই বললো কফি দিতে বলো। কফি শেষ করে জুঁই বললো আমি বেরোলাম।
বাবা-মা দুজনেই বললো সাবধানে যেও,
ক্লাসের অনেক আগেই গেটে পৌঁছালো জুঁই, মনে মনে খুশিই হলো, অনেকটা সময় পাওয়া যাবে, পলাশের সাথে সময় কাটানো যাবে।
গেটে ঢুকে একটু সামনে এগোতেই দেখতে পেলো পলাশ গতকালের জায়গায় বসে আছে। জুঁই হাসি হাসি মুখ এগিয়ে এলো পলাশের দিকে , পলাশও জুঁইকে দেখে খুব খুশি হয়েছে... পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মতো আড্ডা মারলো।পলাশ জুঁইকে বললো চলো ক্লাসের সময় হয়ে গেছে, জুঁই হুম বলে উঠতে গেলে তখন তার কেমন যেন মাথাটা ঘুরে উঠলো। জুঁই মাথায় ধরে বসে পড়লো।
পলাশ ব্যস্ত হয়ে বললো, জুঁই কি হলো?
জুঁই বললো না তেমন কিছুই না মাথাটা একটু চক্কর দিয়ে উঠলো।
পলাশ বললো ক্লাস করবে না কি বাসায় চলে যাবে?
জুঁই বললো আরে এমন কিচ্ছু না আমরা ক্লাসে যাই... বলে দুজনেই পাশাপাশি হেঁটে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে জুঁই দোতলায়, আর পলাশ তিনতলায় চলে গেলো।সোয়া একটায় দুজনেই এক সাথে নেমে এসে গাড়িতে উঠলো।
এভাবেই গল্প করতে করতে দুজন দুজনার বাসায় পৌঁছে যায়। এভাবেই হাসি আনন্দে কেটেগেলে চারমাস। পলাশের পরিক্ষা খুব ভালো হয়েছে।
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much