পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস ১২ তম পর্ব 

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ১২ তম পর্ব  মনি জামান গাড়ি চলছে জিকু আর আসমা দুজন পাশাপাশি সিটে বসে,নয়ন দাদী মোমেনা বেগমের কোলে ফিরোজ পিছুনের সিটে মোমেনা বেগমের পাশে বসে ভাবছে এক মনে,আজকে যে ব্যবহার আসমার সাথে করেছে শাশুড়ি মোমেনা বেগম তা রীতিমত ভাবনার বিষয় সে নিজ চোখে দেখেছে ঘটনাটা,কিন্তু বন্ধু জিকু সেটা লক্ষ্য করেছে কিনা জানে না ফিরোজ তবে বিষয়টি জিকুকে বলা কি উচিত হবে আবার ভাবলো না বিষয়টি বলা ঠিক হবে না কারণ এটা তাদের পারিববারিক বিষয়। গাড়ির ড্রাইভার জিকুকে জিজ্ঞেস করলো,ভাই ঐ সামনে মোড় দেখা যায় মোড় থেকে কোনদিকে যাবো,জিকু ড্রাইভারকে বলল,আপনি মোড়ে গিয়ে তারপর ডানে ঘুরে সোজা ঐ যে রাস্তা ওটায় যাবেন,ড্রাইভার বলল,আমি কখনো এই রাস্তায় আসিনি তাই জিজ্ঞেস করলাম ভাই কিছু মনে করবেন না ভাই,জিকু বলল না না কেন কিছু মনে করবো আপনি তো এই রাস্তা চিনেন না আমি জানি। নয়ন প্রস্রাব করেছে দাদী মোমেনা বেগমের কোলে,মোমেনা বেগম বৌমা আসমাকে না ডেকে ফিরোজকে বলল,নয়নকে জিকুর কাছে দাও দাদু ভাই প্রস্রাব করে দিয়েছে আমার কাপড়ে বলে ফিরোজের কাছে নয়নকে দিয়ে বলল জিকুকে দাও। ফিরোজ নয়নকে নিয়ে আসমাকে ডেকে বলল,ভাবি নয়ন প

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬২

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৬২) শামীমা আহমেদ  অপ্রত্যাশিতভাবে আগত নোমান সাহেবের মিসড কল দেখে শায়লা সেখানেই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। বোধহীন হয়ে কতক্ষন যে সেভাবে দাঁড়িয়ে রইল তা হয়তো সময় ঘড়িই বলতে পারবে! ভেজা চুলে আলুথালু বসনায় একেবারে বেখেয়াল হয়ে রইল। ওয়াশরুমে শাওয়ার ঝরছে অবিরল ধারায়। একেবারে কানে তালা লেগেছে নয়তো সে শব্দও কোন চেতনা আনছে না কেন?আবার মোবাইল রিং হতেই শায়লা একেবারে চমকে উঠলো! মোবাইল স্ক্রিনে তাকাতে বুকের ভেতর কেঁপে উঠছে!ফোনের শব্দটা যেন তার ভেতরে আতংক হয়ে বেজে উঠলো। যেখানে  এতদিন এই রিংটোন কতইনা কাঙ্ক্ষিত ছিল। আজ নোমান সাহেবের মিসড কলে শায়লা একেবারে জড় কাঠের মত হয়ে গেছে।নোমান সাহেব ফোন করলে তাকে কি বলবে? কেমন করে সে বুঝাবে কানাডায় যাওয়ার এতটুকুও ইচ্ছে তার নেই। কলটা কি রিসিভ করবে না আগে রাহাতকে জানাবে?শায়লার ভেতরে অস্থিরতায় পায়ের তলায় ভেজা কাপড়ের জমে থাকা জলের ধারা বইছে। শায়লা বুঝে উঠতে পারছে না সে এখন কি করবে? একটানা অনেকক্ষন কল হয়ে  থেমে গিয়ে আবার কল শুরু হতেই শায়লা বিছানায় রাখা মোবাইলটির দিকে খুবই ভয় মিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকাতেই যেন তার ঘাম দিয়ে জ্বর ছ

কবি মমতা রায় চৌধুরীর কবিতা

ছবি
অমর একুশ মমতা রায় চৌধুরী একুশ মানে মাতৃভাষা একুশ প্রাণের চেতনা। একুশ মানে ছদ্মবেশে লুট চালায় ঘাতকেরা। একুশ মানে ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত প্রাণের ভাষা। একুশ মানে ভাষার দাবিতে রক্ত ছোটায় শিরায়। একুশ মানে বাঁচার লড়াই অহংকার আপামর বাঙালির। একুশ টাটকা ক্ষতে  দৃঢ় প্রত্যয় রাখি।

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস১১ তম পর্ব 

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ১১ ম পর্ব  মনি জামান মেবিন নাছোড় সে নিলয়ের কাছ থেকে আসমা গল্পের শেষ শুনবে,মেবিন আদর মাখা কণ্ঠে বলল,প্লীজ বলো পরে কি হয়েছিল আসমার, নিলয়ঃ শোন তাহলে,মোমেনা বেগম সাংবাদিক ফিরোজকে সাথে নিয়ে কুমাল্লায় উদ্দশ্য ছেলে জিকুর বাসায় রওনা হল,অবশ্য আগেই সাংবাদিক ফিরোজ জিকুকে ফোন করে সব জানিয়ে দিয়েছিলো,জিকুর মাকে নিয়ে ওদের বাসায় যাচ্ছে সংবাদটা।জিকু খবরটা পেয়েই আসমাকে বলল,মা আর ফিরোজ আসছে আজ আমাদের বাসায় আমাদের বাড়ি নিয়ে যেতে,আসমা খবর শুনেই আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করলো,আজ আসমা খুশি আল্লাহ তারপ্রতি মুখ তুলেছে,আসমা আজ খুব খুশি শাশুড়ি আসছে শুনে।আসমা জিকুকে বলল,শোন আজ আম্মা প্রথম আসছে কেনাকাটা করতে হবে সব,জিকু বলল,হ্যাঁ আমিও ভাবছি বাজার করতে যাবো তবে কি কি কিনতে হবে লিষ্ট করে দাও আসমা আগেই লিষ্ট করে রেখেছিল সেটা জিকুকে দিয়ে বলল,এগুলো সব নিয়ে এসো লিষ্ট অনুযায়ী দেখো আবার কোনটা বাদ না পড়ে বলেই জিকুর হাতে লিষ্ট ধরিয়ে দিলো  জিকু লিষ্ট নিয়ে বাজারে চলে গেলো।আসমা আজ বাসা বাড়ি সব সুন্দর করে গোছগাছ করলো মনের মত করে,কারণ শাশুড়ি আসবে কি যে খুশি লাগছে আজ আসমার,জিকু মায়ের