০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

হুমায়ুন কবির সিকদার


বুলি 


কথা কাজে নাই যে মিল

বিষে ভরা দেহের দিল।


সকাল সন্ধ‍্যা মিথ‍্যা বুলি

সত‍্যটা তাই যাচ্ছি  ভুলি।


করছি যতই স্বর্ণ চাষ

গজায় শুধু মুলি বাঁশ।


শুনে বুলি একালা চলি

ফর্সা মুখে মাখছি কালি।


সোজা পথে হোচট খাই

বাঁকা পথে সুখ কুড়াই।


গুরুর সাথে দিনে রাতে

তাতেই হয় কেল্লা ফতে।


খাচ্ছি দাচ্ছি দারুণ বেশ

দিনের কর্ম রাতে শেষ।

 

তোমরা বাপু হিংসা ছাড়

আমার মত দেশটা গড়।


গুরুর সাথে মিলাও তাল

পালটে যাবে তোমার হাল।


 




নারী ভাবনা


হে নারী ! মন তোমার সিদ্ধান্ত তোমার
আকাশে মেঘ জমেছে,একটু পরে বৃষ্টি ঝরবে 
ছাতা ব্যবহার করবে কিনা সেটিরও সিদ্ধান্ত
তোমার একান্ত নিজের ! 
আকাশ পাখি তুমি নিজেই ,জানো কি করবে !

বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি বাদল যাই হোক 
ঘরে ফিরবার সুযোগ নেই , 
তুমি তোমারই মত
যে ভাবে চলছো , এগিয়ে চলো ! 
ভাববে আর কত

অধম ভেবো না উত্তাল তুমি পিছু ফিরবে না ,
বাধা আসুক শত
হে নারী ! সতত মুক্ত তুমি 
ফিরিবার পথ নেই ! গন্তব্যেও দূরে নেই ! 
তুমি তোমারই মত!


দিলারা রুমা ( ইংল্যান্ড )


পরম সুখ


নীল আসমান দেখো কত বিশাল 

হিমেল হাওয়া গা জুড়িয়ে যায়

 আষাঢ়ে স্রোত বর্ষার ঝণঝনানি 

সব ভালো লাগে যদি তুমি পাশে থাকো।


তুমিতো সবুজ পৃথিবী 

তুমিতো ভালো থাকা ভালো রাখা 

মুক্ত বিকেল আমার।

তোমাকে নিয়ে ভেসে যাই 

সীমানার ওপাড়ে 

তোমাতে রাখি আমার সাত সমুদ্র স্নেহ বন্ধন। 


পাখিদের গান ফুলের ঘ্রাণ 

প্রকৃতির চিরচেনা রূপ ফিরে পায়

তোমার স্পর্শে। 


দিলাম খুলে হৃদয় দোয়ার 

এখানেই কবিতা লিখো 

পরম সুখে।



জীবন পাতা


জীবন পাতায় প্ৰতিদিন দেখি কত কথা কাহিনী

জীবন চলাৱ পথে পথে শেষ কিছু ই তো ভাবিনী।

সময়েৱ সাথে উকি দেয় কত ফেলে আসা গল্প কাহিনী

একটিবাৱ খুজিনি কখনো হাৱিয়ে যাচ্ছে সময়েৱ 

হাসি আনন্দ ব্যথা ধ্বনি ।


জীবনটিকে এতো আদৱ স্বপ্ন ভৱা শেষ নেই

বাকি সব না দেখাৱ চাহনী-

জীবন যে শুধু কল্পনা কাহিনী

মানুষ বলতে কিছু ই বুঝিনি।

দৱজা খুলে প্ৰতিদিন খুজি

নতুন এক পৃথিবী

কত প্ৰশ্ন থেকে ই যাবো

আমাৱ কিন্তু আমিই নি?


উম্মে হাবীবা আফরোজা


 

বিলুপ্ত মনুষ্যত্ব 


 আমি মানুষ দেখেছি, আবার অমানুষ ও দেখেছি, 

দেশাত্মবোধ দেখেছি,আবার দেশদ্রোহী ও দেখেছি।

রাষ্ট্রীয় স্বার্থে ঐক্যের পতাকা তলে সামিল হতে দেখেছি,আবার দেখেছি দলীয় স্বার্থে ব্যক্তিস্বার্থে উগ্রবাদী হতে।


আমি মানুষ দেখেছি, আবার অমানুষও দেখেছি, ক্ষুধার্ত অসহায় মানুষদের এক থালায় বসে ভাগাভাগি করে খেতে দেখেছি,

আবার তাদের সেই মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে লুটপাটও হতে দেখেছি।


আমি মানুষ দেখেছি,আবার অমানুষও দেখেছি,

মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এই নীতিতে রক্ত বিসর্জন দিয়ে নিবেদিত প্রাণ দেখেছি,

আবার এইও দেখেছি কিভাবে মানুষের রক্তে মানুষের হাত রঞ্জিত হয়ে কলুষিত হতে।

আমি মানুষ দেখেছি আবার অমানুষ ও দেখেছি,

কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে যৌতুকের কাছে  বলির পাটা হতে দেখেছি, আবার সেই মাতৃতুল্য নারীকে এই সমাজ সভ্যতাকে দেখেছি বেশ্যা ও পণ্য  বানাতে।

আমি মানুষকে বাঘের বাচ্চা হয়ে উঠার তীব্র  বাসনা দেখেছি, কিন্তু সত্যিকারের মনুষ্যের বাচ্চা হওয়ার আঙ্খাক্ষা খুব কমই দেখেছি, আমি মানুষ দেখেছি আবার অমানুষও দেখেছি কিন্তু পৃথিবীর মানচিত্রে মনুষ্যত্ববোধ খুব কমই দেখেছি।

সাহা শোমী



নীল নিঃশ্বাসে



আলো বাতাস মনে মেখে

চলরে জীবন বাঁচি।

ঝিমিয়ে গেলে বুঝবে কেমনে?

মোরা মনে প্রাণে বেঁচে আছি!


মন যে বড়ই অভিমানী

কেবল আদর পেতে চায়।

আকাশ হতে রোদ নিয়েছে

মাখবে মন, মনের গায়ে।


রোদেলা মনে রামধনু রঙ,

দিয়েছে জীবন এঁকে।

তাই যে আজ উত্তাল প্রেম

দেখছি পৃথিবীর চোখে।


বাগদানে ব্যস্ত বর্ষা,

অন্তরে অনন্ত কথা।

বসন্ত এলে লাল পলাশে 

মন রাঙায়ে,ভোলাবে মনো ব্যথা।


খুঁজলে পরে একটু আধটু

আমাকে এদের মাঝেই পাবে।

আলো ছায়ার পায়ে পায়ে

নীল নিঃশ্বাসে মিশে, থাকবো নীরবে।