পোস্টগুলি

এপ্রিল ১০, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মোহাঃ হাসানুজ্জামান

ছবি
একচল্লিশ আজ আমি একচল্লিশ একাকী নয় আমার জগৎ, নেই মনে কোন সংকীর্ণতা নবীন-প্রবীনে ভরা আমার ভূবন। জীবনের মাঝে তিক্ত অভিজ্ঞতা আপনজনের দুঃখে লাগে ব‍্যাথা, তবু আজও সক্রিয় আমার মূল‍্যবোধ পদাতলে পৃস্ঠ সমাজের অশ্লীলতা। খুঁজেছি পথ আমি বাস্তবতার ভিড়ে দেখেছি পৃথিবী সংসারের হাত ধরে, জীবনটা আমার হয়েছে ছন্দময় সেজেছি নতুন সাজে অভিজ্ঞতার সঞ্চয়। করেছি আমি অস্বিত্বের নির্মাণ অজস্র চিন্তা ভাবনায় উচ্ছ্বসিত প্রান, ভাসছি আমি উজান স্রোতে দিন আসে দিন যায় নিয়মের ভেলায়। হৃদয় কিনারায় নেই দূরত্বের ব‍্যাবধান, কোলাহলের মাঝে নিজেকে খুজি প্রতিক্ষণ, বিশ্বাসের মাঝে অতিবাহিত এই দীর্ঘ পথ আমার একচল্লিশের জীবন বড় বিচিত্রময়।

মধুমিতা রায়

ছবি
আঁধার শেষে... আগুন দিও,গনগনে আগুন পলাশের প্রেম আর মহুয়ার নেশা কেটে যাক সমস্ত ঘৃণা জড়ো  হোক, মাঝে মাঝে উগরে দেওয়া ভালো সমস্ত জ্বালা, পুড়িয়ে দেওয়া ভালো সমস্ত ললিত মেকি আখ্যান জ্বলে উঠুক তৃষ্ণা, উত্তপ্ত হোক মাটি যদি লাগে লাগুক দাবানল,ছাই হোক অন্ধকার। রাত্রিশেষ হলে স্বপ্নেরা দানা বাঁধুক বৃদ্ধরা নির্ভয়ে এসে দাঁড়াক মিছিলে মসৃন নীলিমায় ফুটে উঠুক নতুন বছর।

মোঃ মুরাদ

ছবি
তুই সরোবরি   অরণ্য শেখালো ঝড় সয়ে যাওয়া আমি তা ভুলবো বলো কিভাবে ? বসন্ত হতে চেয়েছি বলে তবে কি ঝরে যায় দুঃখ পাতা এভাবে ? মায়া ভরা তুই সুখের সরোবরি আমি র্নিবিঘ্নে পেরিয়েছি সীমান্ত, তুই আকাশ আমার বলেই আজ ডানা খুলে দেখি আমি মানুষ তো! তোর মোহে মায়া জাদু জড়ানো হাসির রোদে মেলে ধরি পাখনা, তোর চোখে চোখ রাখতে গেলে মৃদুকন্ঠে বলিস "আহা, থাক না"। তোর চোখ জড়ানো থাক স্মৃতিপটে থাক কিছু ধুলোমাখা জীবন নাটক, তুই উপন্যাস হয়ে রেখে যাস রাত আমি কাজল পথে হারানো সে পাঠক...

শ্যামল রায় এর দুটি কবিতা

ছবি
নতুন নতুন পাতারা সব নামিদামি গাছপালারা সব এক পায়ে দাঁড়িয়ে  শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে সবকিছু ভুলে থাকে কেমন করে! এসব ভাবনা, মন জুড়ে থাকে অবাক করে আমিও যেন থাকি ওদের মতো করে। কিছুদিন আগেই ছিল পাতাহীন ঝরে যাওয়া গাছপালা রা এখনও বেশ সজীবতা নিয়ে রোমান্টিকতা হয়ে পড়েছে আমার চোখে দেখা গাছপালার সব। আমি কখনো কখনো জানালার পর্দাটা সরিয়ে দুচোখ মেলে দেখি, ভাবি  কত সুখ আছে ওদের ভেতরে সজীবতা নিয়ে আছে দাঁড়িয়ে । আমিও এই ভাবে বাঁচতে চাই সবাই দেখুক, আশা রেখে বাঁচুক ঠিক যেভাবে বেঁচে আছে গাছপালারা। শুধুই প্রয়োজনে থাকি প্রয়োজনে থাকার পরেও কিছু একটা প্রয়োজন থাকা দরকার দেশের জন্য ,নইলে দশের এর জন্য কিংবা নির্ভেজাল একটা ভালোবাসার জন্য। এটাই প্রয়োজন হতে পারে জীবন যাপনে। কিন্তু এখনকার প্রয়োজন নিজের ছাড়া অন্য কিছু নয় এখনকার প্রয়োজন একাকীত্ব, নিজে ভালো থাকা নিজেই ক্রমশ বড় হয়ে ওঠা। এসব টাই এখনকার হালচাল তবুও পথে ধুলোবালি মেখে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে ঐতো সূর্য উঠেছে সকালবেলা আছি, ঠিকানা আছে ঝরে যাওয়া পাতার মাঝে গজিয়ে উঠবে নতুন নতুন পাতা এখানেই দুচোখ মেলে বলবো আমার বেঁচে থাকাটা এই ভাবেই কচিপাতা দের

মাসুদ রানা

ছবি
  মেয়েটির নাম নদী  ভালোবেসে মেয়েটির নাম নদী দিলাম - নদী বলল, মাঝি! ও মাঝি উত্তাল ঢেউয়ে ঢেউয়ে নৌকো ভাসাবে? আমি যাবো, যাবো তোমার নায় । অথৈজলের বায়না করে এক বুক ধুকপুকানি দিবো তোমায়।  আমি যাবো তোমার নায়। মাঝি বলল ঢেউ কখন বয় ? নদী বলল , ঐ যে জলের সাথে হাওয়ার মিতালি যখন হয়। মাঝি তখন বলল হেসে ডেকো , ডেকো তবে,  ভাসাবো না হয় জলের তালে। খানিক বাদে  ডাকলো নদী,  মাঝি...  ও মাঝি, আমায় একটি আকাশ দিবা? মেঘে ভরা আকাশ জলটুসটুসে আকাশ , যেথা বৃষ্টি ছুঁবে অধর চিবুক । এমন আকাশ , এমন বৃষ্টির আকাশ। আচ্ছা মাঝি  , আমার তুমি আমার বৃষ্টি  হবে , মাঝি বলল সে আবার কী, বৃষ্টি কখনো হওয়া যায় নাকি?  নদী তখন হেসে কুটিকুটি , যাহ্ বোকা মাঝি । শালুকপাতার গল্প শুনাবে মাঝি ?  ফুলে ফুলে গেঁথে দিবে মালা ? গুঁজে দিবে কী সে ফুল খোঁপার চুলে?  মাঝি তখন ভাবছে ভীষণ, কী ফুলে কী হয়। শালুকফুলে প্রিয়ের কথা। আচ্ছা আমি মালা করে দিবো তোমায় । আবার খানিক ডাকলো নদী,  মাঝি, ও মন মাঝি  আমায় একটু সুখ দিবা ? মাঝি তখন চুপকথাতে , মৌণ করে বলল মাঝি  সে আবার কি? নদী বলল, ঐ যে অসুখের এক সুমিষ্ট ফল , খেতে নাকি ভীষণ মজা।  দিবা কি না বলো ? মাঝি বলল গত বর

নাজনীন নাহার

ছবি
  মানবতাচাই   আমি অবাক হই না বা বিস্মিতও হই না আমি রীতিমতো কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি!  যখন আমার চারপাশের আগাছা গুলো তাদের দুর্গন্ধমাখা পচনকৃত অঙ্গে নির্লিপ্তের মতো আমাকে পেঁচিয়ে ধরে! শ্বাসরোধ করতে চায় তাদের জোরের ক্ষমতায়! হ্যাঁ, আমি এই সমাজের কথা বলছি, সমাজে বসবাসরত পচনকৃত মনুষ্যত্বের কথা বলছি,  আমি পঁচে যাওয়া মানবতার কথা বলছি! শুধু আমি নই আমার মতো আরো অনেকে বলছে। মানবতা আজ কোথায়? কতবারই তো প্রশ্নবাণে জর্জরিত মানবতা! কে দেয় সেই উত্তর? কোথায় গেলে পাবো তার খোঁজ? আমি ন্যায়-অন্যায়, নীতি-দুর্নীতি এসবের যোগ বিয়োগে পড়তে চাই না, আমি বিয়োগান্ত চাই। আমি সবকিছুর উর্ধ্বে মানবতাকে চাই। কে দিতে পারে আজকের এই দুর্গন্ধময় সমাজ থেকে সেই মানবতা; যা পঁচে গলে যাচ্ছে? একের পর এক চলছে রাজনৈতিক, মানবিক ধর্মীয় জাতিভিত্তিক অপপ্রচারের কূটকৌশলতা! ধর্ষণ, রাহাজানি, খুন-খারাপি, চাঁদাবাজি, আমজনতার উপর জুলুম, অত্যাচার, নিপীড়ন, শোষণ এসব তো নিত্য নৈমিত্তিক খেলা জাতিরক্ষার নামে জাতির দুষ্কৃতীদের কাছে। এই যে লকডাউন;  লকডাউনের ইতিবৃত্ত কি? আমি বলছি, সমাজ বা জাতির কিছু মগজবান মানুষ লকডাউনের পোস্টালে উতরে দিচ্ছে তাদের অসুস্থ ক

মোঃ তরিকুল ইসলাম

ছবি
অনুকাব‍্য করোনায় বিষাক্ত ধরণী আবার চারি দিকে ঘন গাঢ় অন্ধকার, সুযোগ সন্ধানীরা করে মহাপাপ না আছে তাদের শোক পরাতাপ। হৃদয় থেকে হৃদয় বিমল হোক সবার প্রাণ সঞ্চারিত হোক ধরণীতে আবার, এ ভূমিতে ছুঁয়ে যাক সুখ শান্তি সমৃদ্ধি দূর হোক যত সব নীতিহীন রাজনীতি।

রাকিবুল হাসান

ছবি
উর্বশী তুমি এলোকেশী উর্বশী কুসুমিত এক ষোড়শী বৃষ্টি ভেঁজা ফুল। তুমি মায়াবতী অরুন্ধতী উদ্ভাসিত চন্দ্রকান্তি রূপক কবিতার মূল। তুমি প্রদীপ্ত সুনয়না স্বর্গবারাঙ্গনা একাগ্র চিত্ত আরাধনা আমার সঠিক ভুল। তুমি আকৃষ্টকারী লাবণ্যময়ী মধুময় ছন্দময়ী মমতাময়ী উৎকলিকা বকুল। তুমি ভিঞ্চির শ্রেষ্ঠ চিত্রকর্ম মোনালিসা আমার সুপ্রিয় কলিজা শৈশবে হারানো পুতুল।

স্বপন কুমার ধর

ছবি
  কবি নই আমি কল্পনা করতে ভালবাসি, কিন্তু উড়তে চাই না। আমি অক্ষর কর্মী, অক্ষর সাজাই, কিন্তু অক্ষর বিশেষজ্ঞ নই। আমি লিখতে চাই, লিখি ও, কিন্তু কবি নই। যখন লিখতে বসি, তার আগে, মনের মধ্যে ভেসে ওঠে বিভিন্ন ছবি। চেষ্টা করি তাকে, বর্ণের তুলিতে, বাস্তবে আঁকতে, নিজের মত করে। শব্দচয়ন হেতু, রাফ খাতায় চালাই, বারংবার কাটাকুটি আর পরিবর্তন, বর্ণের, শব্দের, বাক্যের, মাত্রার। লিখতে বসে ভাবতে থাকি, আনমনা হই আর এগিয়ে চলে, ঘড়ির কাঁটা টিক্ টিক্ করে, জানান দেয় সময়ের, কিন্তু.… মগ্নতার আবেশে, খেয়ালই থাকে না। এমনি করে লিখতে বসে, একদিন হঠাৎ মনে হল, কবিতার রাফ খাতাটায়, কেউ যেন উঁকি মারছে, উপহাস করছে। চশমার মধ্যে দিয়ে চোখ বড় বড় করে দেখি যেটা, সেটা কবিতা নয়, মনের কাল্পনিক ছবিগুলো, অক্ষর হয়ে পাশাপাশি বসে আছে,  আর অট্টহাসি দিয়ে বলছে, কল্পনা ও তোমার, অক্ষর ও তোমার, লেখনী ও তোমার, অঙ্কন ও তোমার, কিন্তু তুমি কবি নও।

বাহাউদ্দিন সেখ

ছবি
  গল্পঃ                 ভালোবাসার শব্দ ও গন্ধ নেই            ভেবেছিলাম ডাইরির পাতায় পাতায় গল্প লিখব তোমাকে নিয়ে, যেখানে থাকবে আমার আর তোমার অসংখ্য হাজার হাজার "কিন্তু" "কেন"? কিন্তু আজ তা হয়নি। কারণ তুমি ভালোবাসা পরিপূর্ণতা করনি।  নদীর উর্মির ঢেউয়ে আজ নৌকা মাঝপথে ছেড়ে এসেছ তুমি তবুও যেন আজ কোন বায়ু বাতাস এর গর্জনের শব্দ নেই কোন গন্ধ নেই কোন ভালোবাসার ছন্দ নেই। আজ গল্পটি লিখতে বসেছি যে এই কারণে জ্বলন্ত বক্ষস্থল বনভূমির স্পর্শ পেয়েছি তাই আমি তোমাকে নিয়ে গল্প লিখতে বসেছি। তোমার কি মনে আছে প্রিয়তমা প্রথম দেখার অনুভূতি প্রথম প্রেমের ছন্দবেশী। কিন্তু তা আমার সেই প্রথম দেখা স্পর্শহীন প্লাবন-বন্যা আর জলস্ফীতি গর্জন শব্দ আজও মনে আছে। জানিনা ? তোমার সেই কথাগুলো আজ মনে আছে কি? ঘুমের স্বপনে বিশাল ঝিঁঝি পোকার ভালোবাসা স্নেহ প্রেম পেয়েছি, পেয়েছি বাঁশির ছন্দের সঙ্গে সেই গানের সুর নদীর সেই তীরে। আজ যেন সেই স্পর্শ ভুলতে পারিনি। জানতাম না চোখের পাতা খুলিলে সেই গড়ানো বিশাল স্বপ্নের ভালোবাসা প্রেম প্রীতি ভেঙে পড়ে যাবে। যদি জানতাম তবে চিরস্থায়ী জন্য চোখ বুজে ভালোবেসে যেতা