১০ এপ্রিল ২০২১

মাসুদ রানা


 


মেয়েটির নাম নদী 


ভালোবেসে মেয়েটির নাম নদী দিলাম -

নদী বলল, মাঝি!

ও মাঝি উত্তাল ঢেউয়ে ঢেউয়ে নৌকো ভাসাবে?

আমি যাবো, যাবো তোমার নায় । অথৈজলের বায়না করে এক বুক ধুকপুকানি দিবো তোমায়। 

আমি যাবো তোমার নায়।

মাঝি বলল ঢেউ কখন বয় ?

নদী বলল ,

ঐ যে জলের সাথে হাওয়ার মিতালি যখন হয়।

মাঝি তখন বলল হেসে ডেকো , ডেকো তবে, 

ভাসাবো না হয় জলের তালে।

খানিক বাদে  ডাকলো নদী, 

মাঝি... 

ও মাঝি, আমায় একটি আকাশ দিবা? মেঘে ভরা আকাশ জলটুসটুসে আকাশ , যেথা বৃষ্টি ছুঁবে অধর চিবুক । এমন আকাশ , এমন বৃষ্টির আকাশ। আচ্ছা মাঝি  , আমার তুমি আমার বৃষ্টি  হবে ,

মাঝি বলল সে আবার কী,

বৃষ্টি কখনো হওয়া যায় নাকি? 

নদী তখন হেসে কুটিকুটি , যাহ্ বোকা মাঝি । শালুকপাতার গল্প শুনাবে মাঝি ? 

ফুলে ফুলে গেঁথে দিবে মালা ?

গুঁজে দিবে কী সে ফুল খোঁপার চুলে? 

মাঝি তখন ভাবছে ভীষণ, কী ফুলে কী হয়। শালুকফুলে প্রিয়ের কথা। আচ্ছা আমি মালা করে দিবো তোমায় । আবার খানিক ডাকলো নদী, 

মাঝি, ও মন মাঝি 

আমায় একটু সুখ দিবা ?

মাঝি তখন চুপকথাতে , মৌণ করে বলল মাঝি 

সে আবার কি?

নদী বলল, ঐ যে অসুখের এক সুমিষ্ট ফল , খেতে নাকি ভীষণ মজা। 

দিবা কি না বলো ?

মাঝি বলল গত বর্ষার কথা।

আঙুর ক্ষেতে বিশ্বাস ডুবেছিল, ঘরে ঘরে আগুন লেগেছিল,

প্রেমিকেরা সব মরেছিল। দিবো যদি চাও । 

হঠাৎ নদী চুপসে গেল , তারপর 

আড় চোখ করে বলল সব প্রেমিক কী মাঝি আর জলের মতো হয়? 

যা মাঝি চাই না আমার সে সব, 

তবে তুমি নৌকো ভাসিয়ো, খানিক না হয় মায়ায় বেঁধো। মাঝি চুপচুপ করে বলল যে নদী দিক চিনে মিশে গেছে বুকের ত্রিমোহনায় , তাকে কী মায়ায় না বেঁধে রাখা যায় ।

মাঝি তখন বলল হেসে চলো নদী চলো , ঢেউয়ের অভিলাষে ভেসে ভেসে যাই। তারপর মেয়েটি নদী হল, মাঝির বুকের গোপন নদী, গোপন নদী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much