পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন    ১৭৫ হঠাৎ মেঘ মমতা রায়চৌধুরী এক টুকরো হাসি মেঘ সরাতে পারে, এক টুকরো খুশিই মনের অলিন্দে চাঁদ উঠাতে পারে। আজকের ব্যস্ত দিনে সেই এক টুকরো হাসি যেন মেঘলা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যায় দূর বহুদূর। মাসি কাজ করে চলে যাবার পর নচিকেতার গানটা শুনছে"যার কথা ভাসে ,মেঘলা বাতাসে তবুও সে দূরে তা মানি না । জানি না । জানি না । কেন তা জানি না দূরে দূরে মেঘ যাচ্ছে পুড়ে মন মিললো স্মৃতি দু'ডানায়….,।,," রেখার মনও এই মেঘলা দিনে জীবন পারের ওপারেতে যে ধুলো জমে আছে ,এক পশলা বৃষ্টির পরে সে যেন হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলো সঞ্চয় করতে থাকে। স্মৃতিরা যখন ভিড় করে আসে ধীর পায়, শুকনো পাতার ওপর যেন কারও নুপুরের আওয়াজ শুনতে পায় ।যখন ভাবছে যার উষ্ণ আঁচে এখনো সেই ভালোবাসা বেঁচে আছে অথচ সেই মানুষটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমন সময় মনোজ ডেকে উঠলো "রেখা, রেখা রেখা রেখা আ. আ. আ'।' হঠাৎ চিৎকারে রেখার স্মৃতিগুলো যেন কোথায় হারিয়ে যায়। সম্বিৎ ফিরে পায়। রেখার ড্রয়িং রুম থেকেই সাড়া দেয় 'কি হয়েছে?' "দেখো এসে কি হয়েছে?" রেখা তাড়াতাড়ি মনোজের  ঘরে ঢোকে। মনোজের দিক

কবি মধুমিতা বসু এর কবিতা "আমার কোনও ঘর নেই l"

ছবি
আমার কোনও ঘর নেই  মধুমিতা বসু সরকার থিতু হওয়া হোল না এখনো, যাকে আমি ঘর বলে জানি, সে ত আমার একার নয়, এসেছিলে তুমি,, বলেছিলে এটাকেই বসত বাটী ভাবো, যতদুর যেতে চাও, আমিও তোমার সাথে যাব। এরপর জীবন বীক্ষন শেষে, বয়োবৃদ্ধ হৃদয়, যতটুকু দৃষ্টিপাত করি, কোথাও দেখিনা তোমায়, পাশে আছ, হয়ত বা দীর্ঘশ্বাস হয়ে, গভীর রাতে স্পর্শ করো ভালো, মন্দ বোধ, কিছু খুচরো অভিমান, ক্ষতের  প্রশমন, আমার থিতু হওয়া হোলনা তেমন।

কবি মহিউদ্দিন আহমেদ এর কবিতা"মধুসূধন"

ছবি
মধুসূধন (চতুর্দশপদী) মহিউদ্দিন আহমেদ                  পুণ্য ভূমি সাগর দাঁড়ি কপোতাক্ষ স্নেহের নীড়, উদিত হলো নতুন সূর্য নতুন রাগের আভা, বৈকুণ্ঠের মাঠ বুনে চলে অদ্ভুত ছন্দের ভীড়, অভিনব আগামীর পথে দুর্দান্ত প্রণয় লাভা । শতাব্দীর প্রাচীর ভেঙ্গে গড়লে নতুন পয়ার, অমৃতাক্ষর সুধায় ভরে গাঁথলে নতুন ধারা, প্রজাপতি পাখায় এঁকে নতুন রঙের জোয়ার, বুনন মাঠে ছড়িয়ে দিলে দ্বীপ্ত আগামীর তারা । পুরোনো পশরা ঠেলে মেখে নিলে বিশ্ব কাব্য ধারা, হাজার মাইল দূরে থেকে জননী মাটির ঘ্রাণ, মহা-কাব্য গগনে দিলে ঢেলে মাতৃভাষার তারা, মাতৃভূমি মাতৃভাষার অঞ্জলি বিকশিত প্রাণ । প্রতি বর্ণে ছন্দে বিকিরণ দেয় দৃপ্ত গুপ্তধন, অমিয় ধারা বুকে তোমার অক্ষয় মধুসূধন ।

কবি মিলন ইমদাদুল এর কবিতা "বিশ্বাস"

ছবি
বিশ্বাস মিলন ইমদাদুল তোমার প্রতি আমার বিশ্বাস ততোটাই আছে– যতোটা আছে ঐ ভোরের পাখিদের কাছে… তুমি পাড় ভেঙে চলে যাও দূরে,বহুদূরে পাখিরা দূর আকাশে উড়ে যায় পাখা মেলে! এরপর দিনের ক্লান্তি শেষে সন্ধ্যায়–  ফিরে আসে পাখিরা আপন নীড়ে, জীবনের খেরোপাতায় লেখা থাকে অমর স্মৃতি! তুমি শুধু আসো না ফিরে আমার হৃদমন্দিরে প্রতীক্ষায় বেলা বয়ে যায় সময়ে অসময়ে...

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস ১৭৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন   ১৭৪ ওদের ভালোবেসে মমতা রায় চৌধুরী উফ্ বাপরে বাপ অবশেষে কুড়িটা খাতা দেখা হলো। ও বাবা শিরদাঁড়াটা যেনো সোজা হচ্ছে না। মাথাটা এদিক ওদিক করে একটু এক্সারসাইজ করে নিল ।রেখা হাতের এক্সারসাইজটাও করে নিল। যন্ত্রণাটা যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এ যেন করোনাকেও হার মানাবে । আজকে মরণপণ প্রতিজ্ঞা করেছিল রেখা যে করেই হোক কুড়ি টাকা খাতা দেখতেই হবে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রেখা রাত সাড়ে বারোটা বাজে ।  এ বাবা এ যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ,বেশ মুষলধারে বৃষ্টি। রেখার মনে হল' কি ব্যাপার কুই কুই আওয়াজ হচ্ছে? ওরা কি (তুলি, মিলি ,পাইলট) বৃষ্টিতে ভিজছে,? শব্দের উৎস সন্ধান এর জন্য রেখা দরজাটা  খুলে দেখে' হ্যাঁ ,যা ভেবেছিল তাই । ব্যাটারা বৃষ্টিতে ভিজে একসার হয়েছে। কিন্তু আজকে ওরা বাইরেই বা কেন? কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর ভাবল আজকাল তো ওরা ভেতরে থাকতে চায় না হয়তো ওই জন্যই মনোজ গেটের বাইরে রেখেছে। সারা রাত পাহারা দেয় ।নেহাতই বৃষ্টিটা এসে পড়াতে বেচারাদের শেল্টার ছিল না ,তাই এরকম আওয়াজ করছে। রেখা তাড়াতাড়ি গ্যারেজ ঘরটা খুলে দিল। আর একটা গামছা দিয়ে ওদের গা মুছে দিল। তারমধ্যে রেখা ভালো

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা "বিদ্রোহী"

ছবি
বিদ্রোহী শিবনাথ মণ্ডল বাংলা মায়ের  বিদ্রোহী সন্তান  দেশের স্বার্থে লড়ে কলমে তার আগুন ঝরে  শাসকের অত‍্যাচারে। দুঃখী মায়ের ' দুখু মিঞা বিদ্রোহের বার্তা ছড়ায়  গান গল্প কবিতা  শুনিয়ে বিপ্লবীদের জাগায় । শৃঙ্খল মুক্ত করতে মায়ের গায় মুক্তিরগান সেই গানেতে বিপ্লবীরা পায় যে শক্তি প্রাণ। শাসকেরা তোমায় বন্দি করে রাখে কারাগারে বিদ্রোহী বার্তা পৌঁছে দিলে দেশের ঘরে ঘরে। ভারতবাসীর অন্তর মাঝে ফুটেআছো সুগন্ধি ফুল লাখো লাখো সেলাম প্রণাম লহ প্রাণের নজরুল।।

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন    ১৭৩ মাতলা নদীর ঢেউ মমতা রায় চৌধুরী ছোট মামা শ্বশুরের জন্য রেখার খুব কষ্ট হয়। এতটা বছর শুধু এক নদীর জল আগুন করে রেখে দিয়েছেন মনের ভেতরে। ডাকনাম বুড়ো ওরফে বনমালী। এই বনমালী মামা যৌবনে নাকি এক মেয়ে মানুষের মনে ধরে যান। মামাদের অবস্থা তখন ভাল ছিলনা। ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। আর এখন সেই মামা মস্ত বড় আড়তদার হয়ে গেছেন। কয়েক বছর আগেও এই মামাকে রাত ভোরে ক্যানিং বাজারের আড় তে লাইন দিয়ে মাল কিনতে হত। এখন নিজেই একজন মস্ত আড়তদার। এখন মামার আড়তেই কত ছেলে কাজ করে। ইচ্ছে করলেই মামা ভালো মেয়ের সঙ্গে বিয়ে করে সংসারী হয়ে যেতে পারেন  কিন্তু না যার উষ্ণতা ভাগ করে নিয়েছলেন ,তার বুকের  সুমিষ্ট গোলাপের সুবাস নেবার জন্য। সেই গন্ধ আজও হৃদয়ের প্রতিটি তন্ত্রীতে। ভুলতে কিছুতেই পারেন  না। ভাবেন ভুলে যাবেন কিন্তু মনের ভেতর আছো যে আঁচড় কেটে চলে। যে বিশ্বাসঘাতকতা মেয়ে মানুষটি করেছিল তার উপযুক্ত জবাব না দেয়া পর্যন্ত বনমালী মামার শান্তি নেই। মামার এই ইতিহাস জানতে হলে আমাদের পিছিয়ে যেতে হয় কয়েক বছর আগে।। মামার পুরুষ্ট দেহে তখন যৌবন টগবগ করে ফুটছে। ওই দেখো মেয়ে মানুষটার নামের সা

কবি আলমগীর হোসাইন এর কবিতা "কান পেতে শুনি"

ছবি
কান পেতে শুনি আলমগীর হোসাইন  মাঝ রাতে রিং টোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো মোর প্রিয়ার ফোন ধরে কথা বললে না ক্লান্ত দেহ মন অচল অসার। উওপ্ত নিঃশ্বাস প্রকম্পিত শব্দ প্রবাহ,  ধাবন প্রতিয়মান তরঙ্গে সময় বলে গেলো জীবন বড়ো অসহায় মুল্যহীন, তুমি বিহনে। দুর থেকে ভেসে এলো নিঃসঙ্গ কাতর কন্ঠের  করুন না বলা কথার প্রতিধ্বনি দুঃসময় মধুর স্বপ্ন জলাঞ্জলী দিয়ে নিশ্চুপ কান পেতে শুনি।

কবি শাহজাদা রিদওয়ান এর কবিতা অপ্রত্যাশিত বইয়ের পৃষ্ঠা "

ছবি
অপ্রত্যাশিত বইয়ের পৃষ্ঠা  শাহজাদা রিদওয়ান  ছায়া পথের খুব গভীরে আমার অস্তিত্বকে রেখেছিলাম কিছু সময়ের জন্যে,  তাও আবার সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে, কিছু দেখার জন্য -জানার জন্য! চারদিকে নিরব নিস্তব্ধতা থাকবে এটা আমার আশা নয় ছিল বিশ্বাস,  সেখানে ঝড় দেখিনি তবে হৃদয়ে ঝড় বইতে দেখেছি। ছায়া পথের গভীরে গিয়ে প্রথমেই  গভীরতা নামক বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে থাকলাম, আমি আঁতকে উঠলাম কয়েক পৃষ্ঠার পর একটা লাইন পড়ে, ঠিক তখনই বিশ্বাস ভঙ্গ নামক ঢেউ কাঁপিয়ে দিল পুরো ছায়াপথকে, আমার বিশ্বাসের অস্তিত্বও কেঁপে উঠল, শতবার চেষ্টা করেও থামাতে পারিনি। গোপনে থাকা গভীরতা নামক বইটি দ্বিতীয় বার আর স্পর্শও করিনি, চাই না আর ছায়া পথের নীরবতা, গোপনেই থাক না অপ্রত্যাশিত বইয়ের পাতা।

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন    ১৭২ বিরক্তি ভরা মুহুর্ত মমতা রায় চৌধুরী নববর্ষের সকালটা বেশ ফুরফুরে মেজাজে কেটেছে রেখার কিন্তু বাড়িতে এসে পড়েছে আসন্ন সংকটে বোর্ডের খাতা চোখে সর্ষেফুল দেখছে। আকাশকুসুম ভাবছে। কদিনের মধ্যে কি করে খাতা দেখে ফাস্ট লট জমা দেবে। তারমধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া মতো রয়ে গেছে হাতের ব্যাথাটা ।দুটো খাতা দেখতে না দেখতেই যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ছে রেখা ,শুতে হচ্ছে । মহা বিপদে পড়েছে। হাতের যন্ত্রনাকে উপেক্ষা করেই রেখা আজ সন্ধ্যে ছটা থেকে হঠাৎ রাত দশটা পর্যন্ত 15 থেকে কুড়িটা    খাতা দেখবে। যেমনি ভাবা অমনি কাজ কিন্তু হলে কি হবে দুটো খাতা দেখতে না দেখতেই গেস্ট এসে হাজির। অ্যাটেন্ড করতেই হয়। কলিংবেলের আওয়াজ শুনে বুঝতে পেরেছে অসময়ে কেউ এসেছেন, মানে অতিথি হবে। গেট খুলে দেখে যা ভেবেছে নৈহাটি থেকে মামাশ্বশুরা এসেছেন। রেখা গাল হেসে বিরক্তি কে চাপা দিয়ে বলল' "আসুন মামা আসুন।' মেজ মামা বললেন 'মনোজ কোথায় ,দেখছি না তাকে?" "আছে কোথাও কাছেপিঠে ।আপনারা আসবেন জানান নি তো । তাই তো বেরিয়েছে।" মেজ মামা বললেন" হ্যাঁ, সেটা আমাদের করা উচিত ছিল কিন্তু আম

কবি মোঃ সেলিম মিয়া এর কবিতা "নির্বাক পুরুষ "

ছবি
নির্বাক পুরুষ মোঃ সেলিম মিয়া  জন্ম নিয়েছি পুরুষ রুপি  মানুষ বলে কথা,  সংসার সুখ হাসি ফোটাতে তাইতো বিলিন ব্যাথা। দিবা রাত কত গাধার খাটুনি  ভাসিয়ে সুখের ভেলা! হাসিমাখা মুখ দেখবো সবার এটাই পুরুষের চাওয়া। চাঁপা কষ্ট বধ করেছি হজম করছি গ্লাণি,  চোখে টলমল জল হাসি মাখা ঠুঁট আত্ন সম্মান হানি। কে বুঝবে কষ্টে বিমুখ পুরুষের যাতনা খানি? সংসারের সকল খরচ বউয়ের আবদার যতো, পাশের বাড়ির ভাবি নাকি স্বর্গ সুখে রত? সাদামাটা  ফার্নিচার দিয়ে সাজিয়ে রেখেছি ঘর, লজ্জায় আমায় মাথা হেট   তুমি কি বুঝবে নর? সারাদিন কতো খাটাখাটুনি  অফিস বসের ঠ্যালা, বাসায় ঢুকতেই বউয়ের প্যাদানি  নিত্য দিনের চেনা! সবার শুধু চাই আর চাই বিবেকহীনের মতো, সংসার সুখে হীনমন স্বামী  নিরব ভুমিকায় রতো। ঘাম ঝরানো গন্ধে বিমুখ  নিজের গতর খানি,  পারফিউম মেখে বউ জান মোর  মুহিত ঘর খানি! চান্দে চান্দে উৎসব মুখর  গয়না শাড়ির বায়না, কোত্থেকে আসবে সে সব আমার জানতে চাই না? রাগ ডর ভয় বউয়ের কদর প্রিয়তমা এবার থামো, এনে দিবো চাঁদ হাতের মুঠোয় হাত পাখাটি আনো। ধিক ধিক করে কাঁপে বুক খানি বুঝাবো কেমন করে?  আমিতো পুরুষ সংসার সুখে স্বামী, অবহেলা অনাদরে! মেঘে মেঘে দিন

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন   ১৭১ নববর্ষের নবদ্যুতি মমতা রায়চৌধুরী "আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে, শাখে শাখে পাখি ডাকে কত শোভা চারি পাশে..…।' রেখা আজকে মন খুলে গান গাইছে ভোর চারটায় উঠে। ফ্রেশ হয়ে আগে গোপালকে ভোগ নিবেদন করলো। তারপর চা, জলখাবার বানিয়ে ফেলল। মিলি আর ওর বাচ্চাদের ও খাবার বানিয়ে ফেলল তার পরে  আজকের নিজেদের খাবার বানানোর সময় হবে না ।গতকাল তো কথা হয়েই গেছিল মনোজের সঙ্গে।মনোজ বলেছিল ' নববর্ষে আমরা' বাইরের খাবার খাব।' এক হিসেবে ভালোই হয়েছে ভোর ছয়টা থেকে প্রোগ্রাম শুরু' নারীশক্তি বাহিনীর' ।প্রতি বছর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো  হয় । রেখা প্রতিবারই ডিনাই করেছে কিন্তু এবছর একদম নাছোড়বান্দা দুর্গা ।যেতেই হবে। আর সত্যিই তো আর কতবার প্রত্যাখ্যান করা যায় এবার যে করেই হোক যেতেই হবে। তাই কোমর বেঁধে কাজকর্ম সেরে নিয়েছে ।তারপর মাসি এসে যা পারে করবে । মনোজকে ডাকতেই বলল 'আমি এখন ঘুমাবো আমাকে ডেকো না ।' রেখা বলল 'বাহ বেশ তোমাকে আমি নববর্ষের উস করে  বেরিয়ে যাচ্ছি ।ঠিক আছে ।" রেখা কাছে গিয়ে মনোজের কপালে চুম্বন করল মিষ্টি উষ্ণতায় ভরিয়ে দি

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা "শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ"

ছবি
শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ   শিবনাথ মণ্ডল আজকে যাদের দেখছ ছোটো তারাই দেশের ভবিষ্যৎ  তারাই দেশের মান বাড়াবে দেশকে রাখবে অক্ষত। শিক্ষা দিলে উৎসব পেলে বাড়বে শিশুর বল শিক্ষার মধ‍্যেই লুকিয়ে থাকে মানবতার ফল। শিশুর মধ‍্যেই লুকিয়ে আছে সূর্যের মত আলো শিক্ষা পেলে সেই আলোতে মুছবে যত কালো। শিশুর প্রতি যত্ম বাড়াও শিশুকে কর বড়ো তবেই অবাস্তবদূর হবে মুক্তি পাবে জড়ো।।

কবি সোমাশ্রী সাহা এর কবিতা "অধঃপতন"

ছবি
অধঃপতন সোমাশ্রী সাহা  উন্মাদ মানব জাতির জন্য করুণা হয় অকারণ ছুটে বেড়ানো মানুষের জন্য করুণা হয় এই বোধ হয়, জীবনের ব্যতিরেকে জীবন আমাদের স্বপ্নেরা বাঁধা আছে আজও যেখানে নিয়মিত অনিয়ম হয়... ওরা কি জানে না? ওরা কি অন্ধ? ওরা কি জানা বৃত্তের মাঝেও অজানা? অদৃষ্টের দোহায় দিই না আর নির্দিষ্ট সত্যে উপনীত হই  ওরাও বাজায় ধর্মশিক্ষা, যাদের হাতে ধর্মনাশ...

Poet Suparna Chatterjee

ছবি
It's only my mind Nothing is mine, Nobody is mine, Nothing can keep me in Mind.  Except my beloved one  Who is my beloved Mind. Anyone can make me cry, But only my mind can make it stop. Anyone can tell me a lie, But my mind always try to fly To reach my imaginary lane. Anyone can give me pain To hurt me again and again.  But if it is seen by my Mind, Make me try to understand, And give me strength to bear. Bcz only my mind loves me And I am only his dear. If I want to laugh with all my heart, Only my mind can help me to start. Where there is anyone to love, No matter without his choice my mind can love. Whatever I want to imagine My mind helps me to win. Still it's my pleasure  To say everything.   

কবি মমতা রায়চৌধুরী এর কবিতা "ফিরে এসো রবি ঠাকুর"

ছবি
রবি ঠাকুরের জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য ফিরে এসো রবি ঠাকুর মমতা রায়চৌধুরী আজ আবার পঁচিশে  বৈশাখ, তোমার জন্মদিন রবি ঠাকুর।  জন্মদিনে কত আয়োজন তবুও  মনে হয় সব বৃথা। প্রশ্ন জাগে কেন? কেন নয় বলো? শৈশবেই  ভারতকে চিনেছি  তোমার কবিতার ভাষায় "নানা ভাষা, নানা মত নানা পরিধান। বিবিধের মাঝে দেখ  মিলন মহান।" অথচ আজ তাকিয়ে দেখো মহান ভারতবর্ষের দিকে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। অবাক হচ্ছ? তবে শোনো- এখন এ দেশ , আমরা ওরার কাঁটাতারের বেড়ায় ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত। ধর্মের নামে ধ্বংসের চলছে তান্ডব লীলা। শুধু কি তাই?  আজও নিরক্ষরতা ,কুসংস্কার বেঁধেছে বাসা সমাজের অনেক অনেক গভীরে। আজও তোমার নিরুপমার  রেহাই মেলে নি পণপ্রথার শাপে। এখন মানুষ হয়েছে পশু তাই শৈশবেই শিশু ধর্ষণে পৈশাচিক জান্তব মগ্ন উল্লাসে। চারিদিকে শুধু দুঃসহ  পীড়ন অত্যাচার খেলা। কন্ঠ আজ বাকরুদ্ধ আমরা হয়েছি দিকভ্রষ্ট। আজ পশ্চিমেও মেঘ   মেতেছে যুদ্ধ লীলায়। মুক্তির পথ অন্বেষণ করি তাই তোমাকে স্মরণ করি  চেতনায় ঋদ্ধ হব বলে, আজ আবার পঁচিশে বৈশাখে । সেই মানবিকতার দৃপ্ত বাণী ধ্বনিত করো রন্ধ্রে রন্ধ্রে। আমরা ওরার কাঁটাতারের  বেড়া ভেঙে নতুন দিশ

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৭০

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন ১৭০ নববর্ষের নবদ্যুতি মমতা রায়চৌধুরী "আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে, শাখে শাখে পাখি ডাকে কত শোভা চারি পাশে..…।' রেখা আজকে মন খুলে গান গাইছে ভোর চারটায় উঠে। ফ্রেশ হয়ে আগে গোপালকে ভোগ নিবেদন করলো। তারপর চা, জলখাবার বানিয়ে ফেলল। মিলি আর ওর বাচ্চাদের ও খাবার বানিয়ে ফেলল তার পরে  আজকের নিজেদের খাবার বানানোর সময় হবে না ।গতকাল তো কথা হয়েই গেছিল মনোজের সঙ্গে।মনোজ বলেছিল ' নববর্ষে আমরা' বাইরের খাবার খাব।' এক হিসেবে ভালোই হয়েছে ভোর ছয়টা থেকে প্রোগ্রাম শুরু' নারীশক্তি বাহিনীর' ।প্রতি বছর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো  হয় । রেখা প্রতিবারই ডিনাই করেছে কিন্তু এবছর একদম নাছোড়বান্দা দুর্গা ।যেতেই হবে। আর সত্যিই তো আর কতবার প্রত্যাখ্যান করা যায় এবার যে করেই হোক যেতেই হবে। তাই কোমর বেঁধে কাজকর্ম সেরে নিয়েছে ।তারপর মাসি এসে যা পারে করবে । মনোজকে ডাকতেই বলল 'আমি এখন ঘুমাবো আমাকে ডেকো না ।' রেখা বলল 'বাহ বেশ তোমাকে আমি নববর্ষের উস করে  বেরিয়ে যাচ্ছি ।ঠিক আছে ।" রেখা কাছে গিয়ে মনোজের কপালে চুম্বন করল মিষ্টি উষ্ণতায় ভরিয়ে দি

কবি সানি সরকার এর কবিতা "সত্যি"

ছবি
সত্যি সানি সরকার মেঘ কেটে গেছে এখন মুগ্ধতা ব্যতীত কোনো গন্ধ নেই এখন এই সন্ধ্যেবেলা                   আমার চড়ুই পাখিটির কাছে যাবো এই জ্যোতির্মণ্ডলের মতন সত্যি চড়ুই কোল পেতে আছে                ঠোঁট পেতে আছে সূর্যের মতন সত্যি তীব্র রশ্মি চাঁদের মতন সত্যি অনন্ত উচ্ছ্বাস বায়ুর মতন সত্যি আলিঙ্গন                       জল ও মাটির ওপর হেঁটে যাওয়া তিথি, পাতাগুলি কত চিক্কন-সুমধুর                       রিদম তুলেছে শোনো

কবি আমিনা তাবাসসুম এর কবিতা "আমাদের ইরার কথা" 

ছবি
আমাদের ইরার কথা  আমিনা তাবাসসুম   অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলে          সতর্কতা আসে পা বাড়ানোর আগে অথচ কী অবলীলায় এই উদ্ভিদ তোমার কথা বলে আকাশ তোমার কথা বলে এবং যে মেঘ প্রতিদিন বয়ঃজ্যোষ্ঠ হয় হুমড়ি খায়, এগিয়ে চলে তার চোখ তোমার কথা বলে আমাদের নাভির থেকে উঠে আসে প্রেম ঈশ্বর দৃষ্টি ফেরান না সবকিছু দেখেন এবং খুব গোপনে গোপনে রেখে যান আমাদের ইরা'কে এখন কি আর ফেরার পথ থাকতে পারে

কবি তরুণ কুমার পাল এর কাবিতা "বল কবিতা সই"

ছবি
বল কবিতা সই তরুণ কুমার পাল ওরে আয়রে কবিতা,তুই যে আমার মনের মিতা- তুই সেই কবিতা, বক্ষে বহাস দুঃখ নদী- খরস্রোতা-  প্রেয়সী কবিতা, তুই এ প্রানে -মুগ্ধ প্রেমের বিহ্বলতা- অভিমানী কবিতা, তুই তো আমার বিরহ ব্যথা, ব্যাকুলতা- ও কবিতা, তুইই প্রথম শুনিয়েছিস, বসন্তে কুহু কথা, আজ তুই সেই কবিতা,এক একাকী জীবনে নীরবতা। ওগো সই কবিতা,বক্ষে তোর অনেক ভাষা শব্দে হাঁটা- তুইতো সেই কবিতা, সুরে তালে এক গান হয়ে যাস-   গদ্যে,ছন্দে মধুর আভাস, কখনো হৃদে বিষের কাঁটা। বল কবিতা,বক্ষে তোর এতো কষ্ট কেন- সেই কথাটা! হঠাৎ করে, সে কেমনে হৃদয় ভাঙে- এবার বল কবিতা! কেউ না বোঝে, তুই তো বুঝিস- এ ব্যর্থ প্রেমের যন্ত্রণাটা ?

কবি মৃধা আলাউদ্দিন এর কবিতা "লোকটা"

ছবি
লোকটা মৃধা আলাউদ্দিন চুল-দাড়িতে লোকটারে ভাই যায় না মোটে চেনা লোকটারে কেউ ক্ষুর-কাঁচি আর আয়না এনে দেনা। দিনের বেলা ঘুমাই লোকটা, রাতে শুধু হাটে খাইতে বসে ঠিক যখনি সূর্য নামে পাটে। লোকটা আমার কেউ ছিলো না, মামার মামা, হরিপদোর কাকা আর কিছু না, লাগতো ভালো লোকটার ভাই দেশের ছবি আঁকা।

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬৯

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন   ১৬৯ একটা মিষ্টি গন্ধ মমতা রায়চৌধুরী বসন্তের শেষ লগ্নে এসে নীল গাজনের ঢেউ দোলা দিয়ে যায় রেখার মনে। আসলে কিছু কিছু অনুভূতি আছে যেগুলো শব্দের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করা যায় না আবার কিছু শব্দ আছে যার ভেতর দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করা যায় ।এক বৈচিত্র্য বিরাজ করে মনের চোরা কুঠুরিতে। সকাল সকাল মনোজের ভালোবাসায় আপ্লুত রেখা স্কুলে পৌঁছে স্কুলের হাজারো কাজের মধ্যেও সুন্দর অনুভূতি গুলো বারবার অনুরণিত করে। শুকনো হৃদয় টাকে এক পশলা ভালোবাসার উষ্ণতায় ভিজিয়ে রাখে। তারপরেও ক্লাসের ফাঁকে অফ পিরিওডে রেখার মন হু হু করতে থাকে কোন এক উদাস ঘুঘুর ডাকে। রেখাকে নিয়ে যায় তার অতীত স্মৃতিচারণায়। গতকালকে পাওয়া কবিতার বই স্বপ্নীল ভট্টাচার্যের লেখা, রেখা বারবার সেই বইটার গন্ধ নিতে থাকে আর ভাবে এর মধ্যেই তার অতৃপ্ত স্বপ্নগুলো তাড়া করে বেড়াচ্ছে। রেখা বইটা সঙ্গে করে নিয়ে গেছিল স্কুলে কিন্তু এই রাইটার বইটা এত টানছে কেন ?শুধুমাত্র নামের সাথে সাযুজ্য আছে বলে নাকি সত্যি সত্যি তার মনের বালিয়াড়িতে চাপা পড়ে যাওয়া নামটি হঠাৎ কোন এক বদলের বৃষ্টিতে সজীব হয়ে উঠেছে। রেখা প্রথম দুটো ক্লাস নেওয়ার

Jhhj

LOVE

কবি মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৬৮

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন   ১৬৮ একরাশ টাটকা বাতাস মমতা রায়চৌধুরী  গতরাত্রে রেখা বেশ দেরী করেই ঘুমাতে গেছিল। গত সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বাড়িটা উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। কালকের এত সুন্দর পরিবেশের সুঘ্রান আজও রয়ে গেছে। সকালে উঠে দূরে থাকুন গুনগুন করে গান গাইছে- "এতদিন যে বসেছিলেম পথ চেয়ে আর কাল গুনে ,দেখা পেলেম ফাল্গুনে….।* মনোজের ও ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠে না । রেখা বুঝতেও  পারে নি  মনোজের ঘুম ভেঙ্গে গেছে। রেখা গান শেষ করে মনোজের পাশে এসে বসে তারপর আলতো হাতে চুলগুলো নেড়ে দিতেt লাগলো। একসময় কপালে আলতো চুম্বন করে, আর ঠিক তখনই মনোজ রেখাএতকে বুকের কাছে টেনে নেয়। "এ কি কী করছ?' "কি করছি?' 'নিজের বউকে একটু আদর করছি।'" সকালেই যেন পারদের উষ্ণতা আস্তে আস্তে চড়ছে।দুজনের বুকে তখন ঝড়। কোথা থেকে কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়া দুজনকে এলোমেলো করে ফেলবে। ঝড়  থামল অনেকক্ষণ পর। কালবৈশাখী চলে যাবার পর চারিদিকটা যেমন শান্ত সমাহিত, একটা স্নিগ্ধতায় ভরে যায় পরিপূর্ণতায়। মনোজ রেখাকে ঠিক সেরকম মনে হল। মনোজ আস্তে আস্তে রেখা কে ডাকলো আজকে 'স্কুলে যাবে তো? 'হ্যাঁ যা

Hhnn

LOVE

কবি সানি সরকার এর কবিতা "জলের মতন সহজ" 

ছবি
জলের মতন সহজ  সানি সরকার  এই একটি সময় কাঠের মতন অসাড়  এবং এইখানে কিছু বিদ্যুৎচমক  এখন শুধু দেখার নিজের ভেতরের পরতগুলিকে খুলে খুলে  মৃদঙ্গ বাজছে শুনতে পাচ্ছি  মরুভূমির নিস্তব্ধের ভেতর চকমোকি  আলোর মধ্যিখানে সনাতন আনন্দ  এই ছাদের ওপর থেকে একজন রাত পাহারা দিচ্ছে

কবি আমিনা তাবাসসুম এর কবিতা "আজ নয় কাল"

ছবি
আজ নয় কাল আমিনা তাবাসসুম আজ নয় কাল এইভাবেই এগিয়ে আসে এক একটি তারিখ আমরা অপেক্ষায় অধীর হই যার থেকে খুশি চলে গেছে যার নেই দু মুঠো সকাল চোখের নিচে যার ঢেউ ওঠে রোজ এবং যে অন্ধকারের মধ্যে চলে গেছে                                 বাতাসের ভোর সবাই নিমেষের থেকে সময় চুরি করি ভুলে যায় নিঃস্ব হই বুকে শুধু লেগে থাকে চকমকি শোর আজ নয় কাল          ঈদ উল ফিতর

কবি মোঃসেলিম মিয়া  এর কবিতা "ঈদ"

ছবি
ঈদ মোঃসেলিম মিয়া  ঈদ মানে খুশির জোয়ার কেনাকাটা বেশ, নতুন সাজ পোশাকে তাই ঘুচবে কষ্ট রেশ! সাধ্যমত কেনা কাটা নেইকো কমতি যার, গরিব দুঃখী নেই ভেদাভেদ  শত কষ্ট আর। গোমড়া মুখে হাসি ফোটাতে বাড়িয়ে দিতে হাত, অর্থ কুড়ি কাপড় দিয়ে  রাঙিয়ে দিবো চাঁদ রাত! পাড়া পড়শীর খোঁজ নিবো কষ্টের অনুভূতি, বিবেক দিয়ে অর্থ দিয়ে দেখাবো সহানুভূতি।  যাকাত ফিতরা পরিমিত মিটিয়ে দিবো তাঁরে, গরীব দুঃখীর হক মিটাতে যাবো দ্বারে দ্বারে। পৌঁছে দিবো ঈদ শুভেচ্ছা অনাহারীর ঘরে। সেমাই সূজি মিষ্টিমুখ বাহারি খাবার যতো,  সাজ গোজে সব হবো  জমায়েত মাঠে অবিরত। সুগন্ধি আতর মাখিয়ে গায়ে পায়ে হেঁটে মেঠু পথ, চোখ গড়িয়ে নোনা জ্বলে  গুনা মাপের নছিয়ত! আমরা পাপি আমরা তাপি গুনার নাইকো শেষ?  পানা চাইতে তাইতো সবাই ঈদের মাঠে জমায়েত।  ঈমাম সাহেব দিবেন খুতবা মুক্তির দিশা পেতে, ধ্যানে মগ্ন নামাজ শেষে মোনাজাতে  বসে। সবার হয়ে আল্লাহর কাছে করবো ফরিয়াদ,  আমরা সবাই গুনাহ্গার বান্দা ফিরাইও না কারো হাত। গরীব দুঃখী নাই ভেদাভেদ  একই কাতারে সামিল, সহমর্মিতার কান্না দিয়ে ঘুচিয়ে  দিবো গ্লাণি। ঈদ অনাবিল হাসি খুশি ধর্মীয়  উৎসব মানি!!!