পোস্টগুলি

অক্টোবর ২২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"

ছবি
                                                                  অলিখিত শর্ত ( ৩ য় পর্ব)                                                                        শায়লা শিহাব কথন                                                                        শামীমা আহমেদ                                                                রি কশা ভাড়া মিটিয়ে শায়লা দোতালায় উঠে এলো। দোতালায় ওরা থাকে আর নীচতলায় বহুদিনের পুরনো একটি ভাড়াটিয়া পরিবার। সুখে দুখে একসাথে। অনেকটা ঘরের মানুষের মতই হয়ে গেছে তারা।শায়লার বাবা দোতালা পর্যন্ত বাড়িটি তুলতে পেরেছিলেন।  এরপর চাকরির অবসরের সাথে জীবনেরও অবসর নিলেন। পরিবারটির আমূল পরিবর্তন  এসে গেলো।শায়লার মা তিনটি সন্তান নিয়ে একেবারেই ভেঙে পড়লেন। স্বামীর নির্ভরতায় মধ্যবিত্ত পরিবারের মায়েরা স্বামীকে হারিয়ে একা চলতে যেমন  অসহায় বোধ করেন। শায়লাকেই ধৈর্য্য ধরে সব সামাল দিতে হলো।ছোট ভাই রাহাত তখন কলেজে পড়ছে আর ছোট বোন নায়লা এসএসসির প্রস্তুতিতে।শায়লার অনার্স প্রায় শেষের দিকে ছিল। আর কিছুদিন ক্লাসের পরেই ফাইনাল। তা আর দেয়া হলো না। একটা চাকরি নিতে হলো সংসারের আয় বাড়াতে। দিন রাত্রি

তানভীর আজীমি ( এথেন্স, গ্রিস )

ছবি
মন মানেনা পথের দূরত্ব জানতে ইচ্ছে করে কেমন আছ তুমি ? জানি ভালোবাসা নিঃশব্দে গেছে হারিয়ে অজানায় আকাশের তারাগুলি যেভাবে হারার দীর্ঘশ্বাস ফেলে অমাবস্যার আঁধারের জালে। সুখ পাখিরা উড়ে গেছে নিঝুম সন্ধ্যায় গাছেরা পাতায় ঝরে পড়ে বিদীর্ণ কিরণ যেভাবে ভোরের সূর্য জেগে উঠে শিশিরের কান্না হয়ে সারা রাত দিগন্তে প্রত্যাশার স্বপ্ন চোখ শেষ করতে চায় তার অসীমতার যাত্রা। সত্যি করে বলো তুমি কেমন আছ আজ ? জানো ভালোবাসতে হলে অনেক বড় মন চাই কি করে বলি তোমার আমি রেখেছিলাম অনবদ্য ভরসার প্রদীপ ভেবে। সময় বোধ হয়.বোঝে না ভালোবাসার মূল্য তাইতো জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে এভাবে দু'হাত দিয়ে সরিয়ে দিলে আমায় তাই বলে কি মন থেকে সরাতে পারবে কখনো। যোজন যোজন দুরত্বে চোখ যেন তাই মাপে মন কি পথের ব্যবধান টা মাপবে হৃদয়ের টানে অজস্র দুরত্ব হলেও মনের চোখ যেন ঠিক তাই দেখে যে মনের গহীনে রাখেছিলাম তোমায় যত্ন করে সেখানেই থাক তোমার স্থায়ী নিবাস। তুমিও থাকো অসীম সুখে পাখিদের কলতানে মেতে ভবিষ্যতের স্বপ্ন এঁকে চোখের পাতায় আমি না হয় হারাই বিদীর্ণ সময়ের চোরাবালিতে   রাতের অন্ধকারে.নয়নের নীরব অশ্রুধারায়।

মতিউল ইসলাম

ছবি
অপত্য স্নেহ  এভারেস্টের চুড়োয় উঠতে চাইনি কখনোই, কখনোই ভাবিনি সংবাদের শিরোনাম হতে, দামি গাড়ি দেখে থমকে গেলেও কখোনো ভাবিনি ওটা আমার চাই। নুন আনতে পান্তা ফুরানো মানুষ আমি অনেক না পাওয়া আর সামান্য প্রাপ্তির যোগ বিয়োগে কেটে যায় দিন রাত, ছেড়া কাঁথায় শুয়ে রাজা হবার স্বপ্ন আমার নয়। মাসের মাঝে পকেট গড়ের মাঠ, মাস পহেলার দিনের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিই বছরের পর বছর। আমার এই নিন্ম মধ্যবিত্ত সংসারে কোথা থেকে এলি রে তুই? মনটাকে নিমিষেই করে দিয়ে রাজা, আমার সমস্ত না পাওয়ায় হিসেব ভুলিয়ে দিলি আলতো হেসে, হাজার খুশি ছড়িয়ে দিলি আকাশ বাতাসে, বাঁকা শিকদাঁড়া সোজা করে উঠে দাড়িয়েছি স্বপ্ন গুলো পকেট বন্দী করার জন্য।

নুর আদিল সেখ

ছবি
পাখির পরিবার  ঘুরে ঘুরে গ্রাম ঘুরে  আমি চলি পাখির খোঁজে । সেজে সেজে সং সেজে  ঘড়িতে পাঁচটা বাজে । বনে-বনে ঝোপে ঝোপে  কতো পাখি সেজে থাকে । তারা সব জেগে ওঠে আর  খ্যাদ্যের আহারে ছুটে । ঝাকে-ঝাকে একে-বেঁকে  ছবি আঁকে খোলা আকাশে । পথে ঘাটে জানালাতে বসে  গান ধরে সরু ঠোটে  টান দিয়ে  । সন্ধের ধ্বনি পেয়ে তারা  ছুটে সব নিজ নিজ বাসাতে।

শিবনাথ মণ্ডল

ছবি
জাগো দূর্গা জাগো শরৎএল আশ্বিনে ঢাকে বাজে বোল কচি ধানের ক্ষেতেওঠে ঢেউয়ের কত দোল। শিউলী ফুলে সুবাস ছড়াই কাশফুলের রাশি ছেলে বুড়ো সবার মুখে মৃদু মৃদু হাসি। নতুন বস্ত্র দেখলে দূর্গা বড্ড খুশী হয় গরিব দুঃখী সবাই যেন নতুন বস্ত্র পায়। মহালয়া এসে গেল আর কটাদিন পরে পাড়ায় পাড়ায় পূজোর গল্প আনন্দে ছড়িয়ে পরে। সবাই মিলে দেখবো ঠাকুর শহর থেকে গ্রামে নতুন পোষাক কিনুক সবাই অল্প বেশি দামে। দূর্গাদেবী জেগে ওঠো ত্রিশূল নিয়ে হাতে দস‍্যু দানব ঘুরে বেড়ায় আজকে দিনে রাতে। মাগো তুমি ছেড়েদাও আগের মহিষাসুর শয়তানদের বধ কর মা যারা এই সমাজের অসুর।।

গৌরীশংকর মাইতি

ছবি
শিউলি ফুল শিউলি গাছে শিউলি ফুল পাতার ফাঁকে ফাঁকে, শরৎ হাসে মেঘের দেশে আকাশের বাঁকে বাঁকে। শরৎ শিউলি গন্ধ ছড়ায় তিতলি ঝাঁকে ঝাঁকে, বাউল বাতাস বইছে ধীরে পথের বাঁকে বাঁকে। শরৎ শিশির ভোরের বেলায় ঝরে শিউলি ফুলে, ঢাকে কাঠি ঢ্যাম কুড়া কুড় পুজোর ছুটি স্কুলে। শিউলি ঝরে গন্ধ ওড়ে শিশির ভেজা ঘাসে, পুজোর ছন্দ মনে আনন্দ বাতাসে ভেসে আসে। কিচিরমিচির পাখি ডাকে শিউলি গাছের শাখে, মৌটুসী ঐ নাচছে দেখো রোদের আলো মেখে। মৌমাছি ওড়ে দলে দলে ডানায় ডানায় গান, শিউলি গাছে নাচছে তারা পুজোর কলতান।

মোঃ ইমরান হোসেন

ছবি
শূন্যের সুখ সর্বহারার মতোই আমি সব হারাতে চাই  সব হারিয়ে একটা মানুষ, শুন্য জীবন চাই শুন্য হলো বাঁচার সংখ্যা, শূন্যে শপথ করি কষ্ট গুলোয় শূন্য দিয়ে পুণ্যর রুপ ধরি।  সকাল বিকাল যার নামে সাঁই, যপি তোমায় রাখি তার মুখে আর পেলাম না ক আমার নামের সারি তাই তো আমি ভীষণ একা, হাজার প্রাণের ভীরে এক মানুষে সস্তি খুঁজি সুখ সাগরের জলে। সদ্য প্রেমের তপ্ত জ্বালার সংখ্যা বুকে বয় শংঙ্কা হিয়ায় সংখ্যা রোগের বিয়োগ ব্যথা হয় প্রেম হোক তোমার শরৎ-সঙ্গী তোমার ভেতর থাকুক দোকলা বিহীন আমার জীবন, এমনি করেই বাঁচুক।  তাই শূন্যে খুঁজি আমার সর্গ, শূন্যে করি বাস সংখ্যার মাঝে চাই না আমি আমার সর্বনাশ।

ফরমান সেখ

ছবি
স্মৃতি কথা যখন আমি  বিদ্যালয়ে       নব নতুন ঢুকি-- তখন আমি  সবে মাত্র     নয় বছরের বৈকি! মনে মনে  আনন্দতে     উঠতো ভরে এসে, একলা তবু  স্বপ্ন গুলো     ফিরতো হেঁসে হেঁসে। তখন আমি  নব নতুন     নতুন সকল গুরু-- শ্রেণীকক্ষে  বুকের পাঁজর       কাঁপতো দুরু দুরু। জানলা দিয়ে  মন যে আমার      ছুটতো সর্বক্ষনে, উড়ান দিতো  বায়ুর পথে      ঘুরতো বনে বনে। বিদ্যালয়ে  চলার পথে      অল্প কিছু স্মৃতি, বলে গেলাম  তোমার দ্বারে      গেয়ে গেলাম গীতি।

বাহাউদ্দিন সেখ

ছবি
          ভোম্বলের ভুড়ি                          রাম ভোম্বলের অসীম ভুড়ি                               খাই শুধু ভাত মুড়ি।                               দাল দিয়ে মুড়ি খায়                          একের পরে আবার চাই।                               বুড়ি বলে ভাত নাই                      রাম ভোম্বল করে শুধু খাই খাই। 

গোলাম রববানী

ছবি
ঘাতকেরা থেকে গেছে   কী বলবো আর - যা বলি তা-ই তো যন্ত্রণার হার, হেমলক বিষের-ই মতো  ঘাতকেরা থেকে গেছে মেরে বহুদূর- তবুও মুগ্ধ করে ক্যানো বারংবার ধুতরা ফুলের শুভ্রতা- যন্ত্রণার মাঝে আছে দীর্ঘশ্বাস  আর চিতানলে পড়ে থাকা ছাইপাঁশ.. ২৫ আশ্বিন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ/ কেশবপুর, যশোর।

তহিদুল ইসলাম

ছবি
দলীয় ইস্তাহার দলীয় ইস্তাহার প্রতিশ্রুতিতে ভরা এনেছে একটা দারুন চমক---- পটে আঁকা ছবির মতোই  সুন্দর সুন্দর দেবালয় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে শহরে, মেট্রোপলিটনে ,বন্দরে সর্বত্রয় এবং সেই সব শহরের প্রবেশ পথে আকাশ ছোঁয়া স্মৃতিসৌধ গুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে উপরের দিকে হাত তুলে যেন আহ্বান জানাচ্ছে, একবার হলেও ঘুরে যেতে এই," মন্দির শহর" কিংবা,"মন্দির দেশ"। মন্দির প্রাঙ্গণ লোকে লোকারণ্য পর্যটকের কোলাহল আর হকারের শ্লোগানে মুখর যেন সারা শহর খুশির জোয়ারে ভাসছে। রাত্রিকালীন জোয়ারের প্রাবল্যতায় সৌন্দর্যায়ন এবং বিজলী বাতির আলোর রোশনাই যেন নির্মেঘ আকাশের চাঁদ নীচে নেমে এসেছে কাঁটাতারে ঘেরা বাগিচার এক উঠোনে পূর্ণিমা রাতে সবাইকে ভালোবাসতে। হুরির দল নেচে গেয়ে ভরিয়ে তুলছে সারা দেশ,সারা শহর। মন্দিরের এক্কেবারে বাইরের দিকে  দূর থেকে মরিচীকার মতো সবার মূর্তিভ্রম ঘটে--- রাস্তার দুই ধারে কাতারে কাতারে ধূলোয় ঢাকা মূর্তি গুলো একটা  ছেঁদা থালা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিংবা বসে রয়েছে। সবাইকে অবাক করে যখন তারা  দুটো পয়সা ভিক্ষা চাইল তখন সকলের ভুল ভাঙলো। ___________

সানি সরকার

ছবি
বন্ধুকে লেখা কবিতাটি     যাঁর মাথায় ও গালে চুমু এঁকেছি  তাঁর জন্য লিখছি ফুল, লিখছি জ্যোতি-স্নান...  হে ব্রহ্মাণ্ড, মনে রেখ, ওঁর প্রতি  অযুত অভিমান থাকতেই  পারে  কিন্তু আমার কোনও স্বার্থ ছিল না আজও নেই  সত্যিকারের বন্ধুর কাছে কখনও-ই স্বার্থ থাকতে নেই এ-কথা তুমি জানো, বন্ধু...   ওঁর জন্যে চুমু, বৃষ্টি, আর গাঢ়  অভিমান

মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "টানাপোড়েন"২৯

ছবি
এ কান্ত মনেই লিখে চলেছেন লেখক ।  তার নিত্যদিনের  আসা  যাওয়া ঘটনার কিছু স্মৃতি কিছু কল্পনার মোচড়ে লিখছেন ধারাবাহিক উপন্যাস " টানাপোড়েন   " । ' টানাপোড়েন ' ( 'পর্ব ২৯ ) ' যদি বন্ধু হও '                                         সা রারাত শিখার চোখে ঘুমের দেখা ছিল না। ভোরের দিকে একটু চোখটা লেগেছে। এমন সময় গানের গলা ভেসে আসলো"আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়েছিলে, দেখতে আমি পাই নি তোমায়..।'শিখা কানটা খাড়া করে শুনলো ।অপূর্ব লাগছে। পাশ ফিরে দেখছে বৌদি নেই যে, জিজ্ঞেস করবে গানের গলার আওয়াজ কোথা থেকে আসছে ।আন্দাজ করার চেষ্টা করে শুনলো দোতালার ঘর থেকে। শিখা  উৎসুক ভাবে খাটের উপর উঠে বসলো। আর ভাবলো ' কি মিষ্টি'। গলাটা একটু চেনা চেনা লাগছে। কল্যাণ দার? কাকে জিজ্ঞেস করবে? ওপরের ঘরে উঠে যাওয়াটাও তো দৃষ্টিকটু দেখাবে।' একটু পরেই গান থেমে গেল। শিখা বাথরুমের দিকে গিয়ে দেখল, লম্বা লাইন আছে ।সে আস্তে আস্তে ড্রয়িংরুমে এসে বসলো। আনমনে ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাচ্ছে।  এমন সময় বৌদির গলা শোনা যাচ্ছে। শিখা শিখা শি.ই.খ.আ। উঠে পড় অঞ্জলি আছে কিন্তু?' শিখা সাড়া দিল

কানন রায় এর দুটি কবিতা

ছবি
একটা তুই  ও অলিখিত শব্দ   ১ আমি তখন গভীর ঘুমে ছিলেম মগন ঘুম ভাঙলো তুই এসে ডাকলি যখন। জেগে দেখি ঘুম ভেঙ্গেছে অনেক বেলায় সময় কখন চলে গেছে নিজের অবহেলায়। তুই বললি কানে কানে এখন ও আছে সময় লেগে পরো লেগে পরো রেখোনা সংশয়। তোর জন্য শুধু্ তোর জন্য আবার করলাম শুরু এবার থেকে তুই আমার কাব্য লেখার গুরু। ২ হঠাৎ করে বৃষ্টি নামলো মনের গভীরে ভেসে গেলাম কোথায় যেন কোন সে সুদূরে। বুকের মাঝে বাজ পড়েছে টের পেলাম না কখন পুড়ে সব খাঁক হয়েছে জানতে পেলাম যখন। সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দাড়িয়ে আছি বেশ চেতন পেলাম যখন আমার সব হয়েছে শেষ। দুঃখ আমি কাকে বলবো নেই তো সুজন কেউ বুকের ভেতর বইছে আমার কেবল ব্যাথার ঢেউ।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক গল্প "অলিখিত শর্ত"

ছবি
                                                                                                                 অলিখিত শর্ত                                                                                                                                     (পর্ব২)                                                                                                                       শায়লা শিহাব কথন                                                                                                                       শামীমা আহমেদ ---লিফটে উঠে শিহাব লিফটম্যানকে ইশারায় টপফ্লোর দেখালো। শায়লা বেশ অবাক হয়ে শিহাবের দিকে তাকালো!  ---চলো একটু বসি।শিহাবের এমন কথায় শায়লা অজান্তেই মাথা ঝুঁকিয়ে সায় দিল। আজ সবই অন্যরকম ঘটে যাচ্ছে!শায়লা বর্তমান অবস্থার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলো। টপফ্লোরে নেমে ওরা ক্যাফেতে  বসলো। এখনো বিকেল সন্ধ্যার জমজমাট ভাবটি হয়নি।একটু ফাঁকাই আছে। ওরা বাইরের দিকের  কিনারায় একটি টেবিল বেছে নিলো।  সেখান থেকে চারপাশের রাস্তা,বাড়িঘর, ছোট ছোট মানুষের চলাচল শায়লা নিবিষ্ট মনে তাকিয়ে দেখছিল। ওয়েট

রুবিনা

ছবি
মাঝি ৩   আমি খেয়া ঘাটের মাঝি,,, সারাদিন সারাবেলা  মানুষ পারাবার করি। মন গহীনে কিইবা আছে জানতে নাহি পারি,  উজানে ভাসাই তরী,ভাটিতে ফাঁটে নায়ের তলী। নায়রী যায় সুখেদুঃখে, নিজ বাপের বাড়ি,  পাড় হয় কেউ, করে সদাই হাট বাজারি।  কেউবা করে এই পাড় থেকে  ওই পাড়ে  চলাচল,  ভরা বর্ষায় বৈঠা জড়ায় শাপলা শালুকের দল , মাঝি মাল্লার গানের সুরে দাড় টানি  হাওরাঞ্চলে,  বাউরি হাওয়ার অনুকূলে তরী চলে তরতরিয়ে।  এপাড় ওপাড় দুই পাড়ে তে মাঝি অকূল ভরসা, ছলাৎ ছলাৎ বইঠা চলে আমার সাধের খেয়া। ঝুম বৃষ্টির হঠাৎ জলে ভিজে বাশের টুপি,   সন্ধ্যা নামে ঢেউয়ের দোলায় নিজ আলয় ফিরি, সারাদিনের ক্লান্তি জুড়ায় কৃষ্ণ মেঘের কলি। আমি খেয়া ঘাটের মাঝি, মানুষের  যাত্রা  সহজ করি, নিয়ে ঘাটেরকড়ি।

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল" ১০ ম পর্ব

ছবি
চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায়  লেখক  শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক   উপন্যাস  "বনফুল"                                                            বনফুল                                                                                                                             ১০ ম পর্ব  ফোনের রিংটোনে জুঁইয়ের ঘুম ভাঙ্গালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন সাইলেন্ট করতে ভুলে গিয়েছিল নিশ্চয়ই। ফোন হাতে নিয়েই জুঁই আশ্চর্য হলো! এ যে পলাশের ফোন, ইয়েস করতেই ওপাশ থেকে থেকে ভেসে এলো গুডমর্নিং সুইট হার্ট... জুঁই কোনো দিন ভাবতে পারেনি এতো সুন্দর সকাল ওর জন্যে অপেক্ষা করে ছিলো। পলাশ কোনো রিপ্লাই না পেয়ে আবার বললো হ্যালো... পলাশের হ্যালোতে জুঁই বাস্তবে ফিরে এলো, সাথে সাথেই বললো গুডমর্নিং। -এতো সময় লাগলো গুডমর্নিং বলতে!তুমি কি ঘুমোচ্ছিলে?  -জুঁই না তো! -তাহলে!   আমি ভাবতেই পারছিলাম না এতো সুন্দর সকাল তুমি উপহার দেবে....  পলাশ ওপাশ থেকে হেসে উঠলো।  জুঁই জানতে চাইলো হাসলে যে? - পলাশ বললো জুঁই তুমি একটা পাগলী, জুঁই উত্তরে জানালো তোমাকে  ভালোবাসার জন্য পাগলী হতেও রাজি।  এবার পলাশ হেসে

শহিদ মিয়া বাহার

ছবি
তখোনো কাটেনি ঘোর অন্ধকার জন্মাবধি আমি অন্ধকার হাতড়ে তরতাজা শরীর খুজি, আলোর---! যেতে চাই সুর্য ছাড়িয়ে আরো দূরে গ‍্যালিক্সির কাছে যেখানে তাদের উৎসাহী সন্তরণ! সূর্যের এপাড়ে পাহাড়, বিজাতীয় সমুদ্র সামনে দাঁড়িয়ে আছে আততায়ী সময়! সমুদ্র চরে একটি সী-গাল নিস:ঙ্গ, একা  সেও হাহাকার করে আলো খোঁজে,আলোর দীপান্বিত রোদ, জোৎস্নার মায়া--! আমি দেখি সমুদ্রের ঢেউয়ের উপর জোৎস্নারা হাটে হাত ধরে পাশাপাশি আমি হাটি হাটে সী-গাল আমি জোৎস্নার সাথে জড়াজড়ি করে ঘুমিয়ে পড়ি আর স্বপ্নডাঙ্গার দেশে উড়ে যাই স্বপ্নের ভেতর! জেগে দেখি আমিও  সী-গালের মত   সমুদ্র পাড়ে পড়ে আছি একা  তখনো কাটেনি ঘোর অন্ধকার ।

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়,(চৌদ্দপর্ব)

ছবি
 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস " উদাসী মেঘের ডানায় "  লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন    লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে   থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার।  আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে।                                                                                    উদাসী মেঘের ডানায়                                                                                                                 (চৌদ্দপর্ব)                                                তৃ ষ্ণা,বারান্দায় নানা রঙের ফুল গাছ, পানি  দিতে দিতে এমন সময় ফোনের রিংটোনটা বেজে উঠলো,  রুমে এসে অন করলো অপু আজ এতো তাড়াতাড়ি  কল করলো কেন জিগ্যােস করলো তৃষ্ণা । অপু-ভালো লাগছিলোনা তাই চলে এলাম বাসায়। মোবাইলটা নিয়ে ফের বারান্দায় এলো। এখনো হালকা রোদের আলো মুছে যায়নি চেয়ারে  বসলো তারপর বললো- কি হয়েছে,শরীর খারাপ?  অপু--না,মনটা কেন জামি অস্হির, আসবো চলোনা একটু ঘুরি একসাথে, আসবো? -এসো। অপু এসে  নিয়ে গেলো  সোজা চলে এলো তিনশো ফিট নদীর কাছে,খোলা রেস্তরায় বসলো। তৃষ্ণা -অপু মন খারাপ কেন? অপু -ভালো

ফারহানা আহাসান

ছবি
আমি জানি আমি জানি শতবার না হোক একবার অনুভব করেছ আমায়। আমার একটু না বলা কথাগুলো টের প্য়েছ তুমি। আমি জানি তুমি কেমন আছ আমার নির্বাক চোখের বইয়ের পাতার লেখায়। আমি জানি ভালোবাস তুমি আমায় তারপরেও কেন দুরুত্বটাকেই সঙ্গী করে নিলে আমি জানি আমার চেয়েও আমায় চেন তুমি আমার আত্মার ভেতরেও টের পাও তোমার উপস্থিতি। এই অগোছালো মানুষটাকে গুছিয়ে নিয়েছ তোমার মতো করে তবে কেন দুরত্বটাকেই নির্বাচনের কাঠগড়ায় দাঁড় করালে তুমি যে অন্তরের প্রতিচ্ছবি দেখিয়ে নিজেই নিজের অজান্তেই আমার প্রতিবিম্বের মাঝে আঁকড়ে ধরে আছ  তাই বোঝার ব্যাপ্তিও আজ তোমার কাছে নেই। আমি জানি তুমি আমার ভালোবাসার অনুভূতি কে অনুচ্ছেদে বর্ণিত করেছ  কিন্তু আমি তোমার ভালোবাসার জীবনী হতে চাই।

শুরু হলো কাজী ইনাম এর ধারাবাহিক গল্প "একরাত্রি"

ছবি
  এই সময়ের অন্যতম স্বনামধন্য উপন্যাসিক কাজী ইনাম এর চতুর্থ উপন্যাস এর প্রস্তুতি চলছে এখন   একরাত্রি শুরু হলো  ধারাবাহিক গল্প  ।  " স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকায় " পাঠকদের কাছে অনুরোধ লেখাটি পড়ে লেখক কে উৎসাহ প্রদান করুন আরো ভালো কিছু পাবার আশায়।                                                  একরাত্রি                                                                              ( ১ম পর্ব )        রাত দুটা। কিন্তু এ বাড়ির একটি লোকও ঘুমাতে যায়নি। দুই বছরের ছোট্ট মেয়ে কুসুম সে পর্যন্ত গভীর চিন্তিত মুখ নিয়ে জেগে আছে। বাসার কাজের মেয়ে মরিয়ম সেও ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবার মাঝখানে দাড়িয়ে ঘন ঘন হাই তুলছে। তার এখানে দাঁড়িয়ে থাকাটা অবশ্য কারোরই ভালোলাগছে না। তবু তাকে কেউ কিছু বলছে না। মনে হচ্ছে এই বাড়িতে আজ আর কেউ কোনো কথা বলবে না । অদ্ভুত যাতনায় সবাই অপেক্ষা করছে আগামীকালের জন্য। আগামীকাল আফসারের মামলার রায় হবে।          আফসারকে খুব শান্ত লাগছে। রাবেয়া স্বামীর মুখের দিকে চেয়ে কী ভাবল কে জানে ছোট্ট কুসুমকে কোলে নিয়ে বসিয়ে দিল তার কোলে। আফসার মেয়েটাকে কোলে নিয়ে আকাশ পাতাল ভাবা