চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"
বনফুল
১০ ম পর্ব
ফোনের রিংটোনে জুঁইয়ের ঘুম ভাঙ্গালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোন সাইলেন্ট করতে ভুলে গিয়েছিল নিশ্চয়ই। ফোন হাতে নিয়েই জুঁই আশ্চর্য হলো! এ যে পলাশের ফোন, ইয়েস করতেই ওপাশ থেকে থেকে ভেসে এলো গুডমর্নিং সুইট হার্ট...
জুঁই কোনো দিন ভাবতে পারেনি এতো সুন্দর সকাল ওর জন্যে অপেক্ষা করে ছিলো।
পলাশ কোনো রিপ্লাই না পেয়ে আবার বললো হ্যালো...
পলাশের হ্যালোতে জুঁই বাস্তবে ফিরে এলো, সাথে সাথেই বললো গুডমর্নিং।
-এতো সময় লাগলো গুডমর্নিং বলতে!তুমি কি ঘুমোচ্ছিলে?
-জুঁই না তো!
-তাহলে!
আমি ভাবতেই পারছিলাম না এতো সুন্দর সকাল তুমি উপহার দেবে....
পলাশ ওপাশ থেকে হেসে উঠলো।
জুঁই জানতে চাইলো হাসলে যে?
- পলাশ বললো জুঁই তুমি একটা পাগলী,
জুঁই উত্তরে জানালো তোমাকে ভালোবাসার জন্য পাগলী হতেও রাজি।
এবার পলাশ হেসে উঠলো হাহাহা হাহাহা হাহাহা....করে।
- জুঁই বললো আমি কি হাসার মতো কথা বলেছি ? পলাশ কথা এড়িয়ে বললো ঘড়িতে কয়টা বাজে? আজ তবে ভার্সিটিতে যাবে না?
- জুঁই বললো কি যে বলো ভার্সিটিতে না গেলে তোমাকে যে দেখতে পাবো না! পলাশেরও যে অবশ্য সেই ব্যাপার,সেটা প্রকাশ করেনি চেপে গেল, ওর চাওয়াটা জুঁইয়ের মুখ থেকে বেড়িয়ে এসেছে। জুঁই পলাশকে বললো এখন ছাড়ছি, ফ্রেস হয়ে নাস্তা খেয়ে বেরোতে হবে তো...।
-পলাশ বললো ওকে ম্যাম।
জুঁই বিছানা ছেড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেস হয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে হালকা সাজগোছ করে নিচে নেমে এলো। ওর বাবা মা ওর জন্য অপেক্ষা করছিলো জুঁই নেমে এলে একসঙ্গে নাস্তা করবে বলে ।গল্প-গুজবের মাঝে নাস্তা খাওয়া শেষ হলো, তারপর চা খাওয়া শেষ করে জুঁই বললো আমি বেরোচ্ছি। বাবা মা দুজনেই বললেন সাবধানে যেও মা।
জুঁই গাড়িতে উঠে বসলো, ড্রাইভার যথা সময়ে জুঁইকে ভার্সিটি গেট নামিয়ে দিলো, আজ পলাশ জুঁইয়ের আগেই চলে এসেছে, গেটের ভিতরে ঢুকেই জুঁই পলাশকে দেখতে পেলো।মুহুর্তেই চার চোখে দৃষ্টি বিনিময় হলো, পলাশ ছোট্ট করে হেসে বললো জুঁই চলো, ওদিকটায় গাছের ছায়ায় বসি, ক্লাসের অনেকটা সময় বাকি আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much