২২ অক্টোবর ২০২১

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়,(চৌদ্দপর্ব)

 চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন  লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার। 
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে। 





                                                                                 উদাসী মেঘের ডানায়  
                                                                                                              (চৌদ্দপর্ব)


                                               তৃষ্ণা,বারান্দায় নানা রঙের ফুল গাছ, পানি  দিতে দিতে এমন সময় ফোনের রিংটোনটা বেজে উঠলো, 
রুমে এসে অন করলো অপু আজ এতো তাড়াতাড়ি 
কল করলো কেন জিগ্যােস করলো তৃষ্ণা ।

অপু-ভালো লাগছিলোনা তাই চলে এলাম বাসায়।
মোবাইলটা নিয়ে ফের বারান্দায় এলো।
এখনো হালকা রোদের আলো মুছে যায়নি চেয়ারে  বসলো তারপর বললো- কি হয়েছে,শরীর খারাপ? 

অপু--না,মনটা কেন জামি অস্হির, আসবো চলোনা একটু ঘুরি একসাথে, আসবো?
-এসো।
অপু এসে  নিয়ে গেলো  সোজা চলে এলো তিনশো ফিট নদীর কাছে,খোলা রেস্তরায় বসলো।

তৃষ্ণা -অপু মন খারাপ কেন?

অপু -ভালো লাগেনা আর প্রতিদিন খবরের কাগজে টিভি অন করলেই, হত্যা,ধর্ষন নানা রকম
অসস্হি কর খবর শুনতে হয়, ভালো কিছুই শুনিনা!

তৃষ্ণা-চার দেয়ালের ভিতর হলুদ আলোয় আমি
নারীদের শিশু কন্যাদের আর্তনাদ শুনি,না সইতে
পারি,না কিছু করতে পারি।
আমরা সমাজের প্রতিবন্ধীদের মতন ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটি,কোথায় কার কি হচ্ছে জানার চেষ্টা করিনা প্রতিবাদের ভাষাও নেই আমাদের কন্ঠে 
সবাই যে যার মতো না দেখার ভান করে থাকি।

অপু-নষ্ট সমাজ ব্যাবস্হায়  সমুদ্রের স্মানের ভয়ংকর
কৃষ্ণ গহব্বরে আজও নারীরা বন্দি।

তৃষ্ণা-ছোটবেলা থেকেই মা, দাদী, নানীরা,শিক্ষাদেয়
একবিংশ শতাব্দীতে ও শরীরের মাপ ঠিক রাখা
বাহারী চুলের বিন্যাসে  প্রনম্য আগুনের ভিতর দাঁড়িয়ে
স্বাক্ষরের কাগজে সঁপে দেবার জন্যই নারীর জন্ম
দহনে-দাহনে বেঘোরে পুড়ুক নারীর জীবন যেনো
খয়রাতি জীবন।
অপু-ক্ষুধার্ত খাদকদের জন্য ঠিক বলেছো, সমাজের ধনকুবেরদের জন্য,ওরা প্রেমের নামে ফাসিয়ে হত্যা করলে নারীর দোষ নারী লোভী নাম হয় এনজয়মেন্ট
আর নিম্নশ্রেণী করলে হয় ধর্ষন।ওদের বিচার হয়
তথাকথিত মুখোশ ধারীরা বেচেঁ যায়।

তৃষ্ণা-তাইতো আজকাল নারীরা খোঁজে ইতিহাসের
কালো পাতায় নিজেদের অধিকার।খুঁজছে কেউ,কেউ একা সমান্তরাল জীবনের পথ আদিপর্বের ক্ষয়ে
যাওয়া সময়ের জীবন বোধ থেকে কেউ মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে কেউ পারেনা। 
আর যারা পারে,চোখে তাদের ছায়া লেগে থাকা মুক্তির,অক্ষর চেনার আপ্রান চেষ্টা।
তাইতো আজও মোমের মতন গলে যাচ্ছে  ছলনার
ভালোবাসার পবিত্র আখ্যান
কোন কোন নারী আজও ফুঁফিয়ে ওঠা ফিসফাস
রক্তপাতে এক একটি রক্তজবা মরে বেঁচে ও খোঁজে
নিজেদের অধিকার, আর ধর্মের অজুহাতে পুরুষ শাসিত সমাজ নিপীড়ন, অপমান বদনাম দিতে ছাড়েনা, দেখো একদিন এই নারীরাই সর্বসেরা
হয়ে উঠবেেই উঠবে।


                                                                                                                                              চলবে....         

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much