পোস্টগুলি

মার্চ ৩, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি জাবেদ আহমেদ এর কবিতা

ছবি
মন জাবেদ আহমেদ  কবিতার পিছু দৌড়তে দৌড়তে একদিন হারিয়ে যাবো আমি হারিয়ে যাবে কবিতা, মন তুমি হবে স্বপ্নহীন শব্দহীন হবো আমি, চাওয়া পাওয়ার ইতি শূন্য  আত্মার জগতে  পাই যদি তোমায় হারাবো না আর কখনো ওপারে পারবো কি লিখতে তোমায় প্রাণেশ্বরি আসবে ডাকি যাদি পংক্তি হয়ে কবিতার। মন ডাকে মন তোমাকে।

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১১৯

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১১৯ সব লাল পাথর চুনি হয় না মমতা রায় চৌধুরী স্কুলে সরস্বতী পুজো তাই ঘটা করে একটা মিটিং হয়ে গেল। ঘটা করে বলতে প্যানডেমিক সিচুয়েশনে যে রকমই হওয়া দরকার মেয়েদের ছাড়া মিটিং। এবার তো পুজো শিক্ষিকাদের। তাই সমস্ত দায়িত্ব শিক্ষিকাদের দেখে নিতে হবে আর কার কি দায় দায়িত্ব আছে সেই ব্যাপারটার জন্য বড়দি মিটিং সারলেন।  বিদ্যালয়ের দেয়াল পত্রিকা' স্বপ্ন উড়ান'বের হবে। প্রতিবছরই হয়ে থাকে এ বছরই বা বাদ যায় কেন? না বাদ দেবোই বা কেন? মানুষের ভেতরে অদম্য শক্তিকে তো আর প্রতিরোধ করা যায়  না ?তা যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন ।বিশেষত এই প্যানডেমিক সিচুয়েশনে গৃহবন্দি জীবনের শিক্ষার্থীদের ভেতরের যে কষ্ট ,যন্ত্রণা তাদের মনের ক্যানভাসে উড়ান দিতে চায় ।নানা স্বপ্ন আঁকি-বুকি কাটে। তাই যখন তাদের কাছে তাদের 'স্বপ্ন উড়ান 'কে পৌঁছে দেয়া যায় ,তাদের অদম্য লেখনি শক্তি প্রকাশের জন্য ।তাহলে তো আর কিছু বলার অপেক্ষাই রাখে না। রেখার কাঁধে পড়েছে এই গুরুদায়িত্ব। তাছাড়া ঘর সাজানো এসবেও রয়েছে ওর নাম ।অন্যান্য টিচারদের সঙ্গে নিয়ে কাজটা করতে হবে। মূল দায়িত্ব তাকে সামলাতে হবে। হা

কবি সানি সরকার এর কবিতা

ছবি
রিপু   সানি সরকার  এখন পেঁচিয়ে ধরার জন্যে  কালো রঙের জাল তাড়া করবে,  উত্তেজিত করবে, ভয় দেখাবে, কিন্তু  আপনি আলোর সন্তান দাঁত চেনেন, পথ চেনেন…  এই যে হাজার বছর থেকে অন্ধ করে  কারা শেকল পরিয়ে রেখেছে চুপচাপ, আর  আপনাকে অন্ধের মতো ক্রোধ ও ভয়ার্ত  ক্ষুধার সামনে ভিক্ষুক বানাতে বানাচ্ছে বারবার  মার্চ মাসের এই রাতে নিজের আত্মার সামনে দাঁড়ায়ে   জিজ্ঞেস করুন কুসুম, আসল ও সত্যি কোনটা  একটি ক্ষিপ্র ষাঁড় খাদের কিনারে শিং দোলাচ্ছে  এখন আপনাকে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা এমনি করে  ঋতু পরিক্রমণ করানোর জন্যে মাঠে নামবেন  রেফারি ও চার কোণে চারটি সহ রেফারি  এমনকী অনবরত আপনার চোখে মাথায় ও সমগ্র দেহে কাঁদানেগ্যাস ছুঁড়ে  কাঁদানোর চেষ্টা চলবে, হাসানোর চেষ্টা চলবে একটি ওটি রুমের ভেতর, এবং  আপনার জানা দরকার রিপুর তাড়া পেলে লক্ষ মাইল ফলক  পেরিয়ে ঝড়ের মতন ক্ষিপ্র ষাঁড় দোঁড়ে আসে  কিন্তু এক্ষুনি আপনাকে অবলোকন করতে হবে  আত্মার ভেতর আপনারই আঁকা গণ্ডিটিকে, আর  সূর্যালোকের কাছ থেকে হাত পেতে  চেয়ে নিতে হবে, রিপু থেকে আত্মরক্ষার রক্ষা কবচ ভয় নেই কুসুম, আপনার ভয় পেতে নেই

কবি মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস ১৪ তম পর্ব

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ১৪ তম পর্ব  মনি জামান জিকুর মৃত্যুর পরে আসমা খুব ভেঙ্গে পড়েলো ঠিক মত ঘুমায় না ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করে না,ছেলেটাকে ও কাছে পেতনা সব সময় শাশুড়ি মোমেনা বেগম নয়নকে কাছে রেখে দিতো,আসমা নয়নকে কাছে ডাকলে মোমেনা বেগম আসমার কাছে আসতে দিতোনা ছেলেকে।ছেলে নয়ন ও দাদী মোমেনা বেগমের কাছে থাকতে থাকতে মা ছাড়া দাদীর কোলে অভ্যস্ত হয়ে উঠলো,মা আর ছেলের দুরত্বটা বাড়ানোর জন্য মোমেনা বেগম মনে মনে সেই প্রথম দিন থেকে সুদুর প্রসারি এই কৌশল অবলম্বন করে সে সফল,যাতে মা আর ছেলের দুরাত্ব বেড়ে যায় কারণ মোমেনা বেগম মনে মনে চায় ছোট লোকের বাচ্চা আসমাকে এ বাড়ি থেকে বের করে দিতে। আজ হোক কাল হোক মোমেনা বেগম সেই সুদর প্রসারি যড়যন্ত্রের ফসল মা ছেলের এই দুরত্ব সৃষ্টি।জিকুর মৃত্যু আজ দেড় বছর হয়ে গেলো এই দেড় বছরে আসমার জীবনে নেমে এল চরম নির্যাতনের এক ভয়ংকর অধ্যায়,জিকুর মৃত্যুর পর মোমেনা বেগম আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলো আসমা উপর এখন এই ছোটলোকের মেয়ে আসমা তার বাড়ির বোঝা হয়ে গেছে, তাই নিষ্ঠুর সব কৌশল একের পর এক প্রয়োগ করতে শুরু করছে। আসমার কোন কাজে ত্রুটি না পেলে ও অহেতুক আসমাকে গালাগালি মার ধোর শুর

কবি মোঃ ইসমাঈল এর কবিতা

ছবি
রীতি মোঃ ইসমাঈল   আহা কতই না সুন্দর দেখতে ফুল চোখ আসে জুড়িয়ে হয়ে যায় ব্যাকুল।  যখনই নাকে আসে ফুলের ঘ্রাণ পরম শান্তিতে জুড়ায় এ মন ও প্রাণ।  মৌমাছিরা ফুল থেকে করে মধু আহরণ তোমারই মনের গহিনে আমি করিবো বিচরণ। ফুল ফুটে বসন্তের ঋতুতে আমি হারিয়ে যাবো কেবল শুধু তোমাতে। ফুল ফুটে ফল ধরিয়ে যায় সে ঝড়ে মানুষ অভিনয়ের মাঝে যায় যে মরে। অবশেষে হয়ে যায় ফুলের ইতি অপরদিকে মানুষের বেঁচে থাকে শুধুই স্মৃতি।

কবি রফিকুল ইসলাম এর কবিতা

ছবি
আশাদীর্ণ অনুতাপে রফিকুল ইসলাম নন্দন ভুবনলোকে  আনমনে জাগে  কত স্বপ্ন  এলোমেলো  তৃষ্ণিত পলাতকা মন পরম আত্মীয় প্রিয়জন কত বন্ধু এল-গেলো।।  অনুভূতির সীমানায় কত কল্পনা কত প্রত্যাশার পায়চারী  কখনো অভিমানে পিয়াসী মনে আড়ি । স্বপ্ন বিন্যাসে নিশিদিন নীলকণ্ঠ ফোটে ধূলা মাটির মায়া মালিকায় বেগুনি প্রজাপতি নাচে বাতাসে গায়। ভালোবাসার অরণ্যে মুখ লুকায়  আবেগী বাসর সাজায় পাতার আড়ালে।  শত চুম্বনে অনুরাগে মায়ায় জড়ালে । ঘুম ভাঙা ভোরে ঝরে পড়ে সুখের শিশির  রোদেলা ক্লান্ত দুপুর  অদূরে হাঁসের ছানা জলে ভাসে  ব্যথার দেউলে বসে কত কথা মনে আসে। বিকেলের  সোনা রোদে  হলুদ ঝিঁঙে ফুল মাচায় দোলে প্রণয়ী পায়রা বাকবাকুম মাতে টিনের চালে। অলখ্যে হলুদ রঙে ঝরে পড়ে পাতার আয়ু  আশাদীর্ণ অনুতাপে বিমর্ষ-ম্লান জীবন সন্ধ্যা বিদায় আরতি জ্বালে  আঁধারের  নির্জন পথে।