পোস্টগুলি

জুলাই ২১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরী এর ধারাবাহিক উপন্যাস উপন্যাস টানাপোড়েন ১৯০

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৯০ দুর্যোগ মমতা রায়চৌধুরী আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছিল যে কদিন টানা ঝড় বৃষ্টি হবে। এটা মাথায় ছিলো না রেখার। বাড়িতে ফিরতে পেরেছে এটাই যথেষ্ট। ভিজে একসার হয়ে গেছিল রেখা। ফিরে এসে মনোজের হাতে চা-টা খেয়ে অনেক ফ্রেশ লাগছে। সত্যি জাদু আছে মনোজের হতে। আগে তো প্রায়শই মনোজ সুন্দর চা টা বানাত। আজকাল সেটা হয় না। তবে আজকে সন্ধ্যের চা নয়, রাত হয়েছে। তো ফিরে এসে যেন মনটা বলে" চা চাই এখন আর কিছু না চাই ।" চা খেতে খেতে  মনোজ বলল "কেমন হলো আজকে তোমাদের জাজমেন্টের কর্মশালা।" "জাজমেন্টের কর্মশালা কি বলছো তুমি?" "ওই হলো ।গেছিলে তো বিচারকের ভূমিকা নিয়ে তাই বললাম আর কি।" রেখা হেসে বললো "আর বোলো না ,হলো একরকম।" "তোমার অফিস কেমন চললো,?' "একেবারে ঝাক্কাস।" "সে তোমার মুড দেখেই বোঝা যাচ্ছে।" "বাবা ,তুমি আবার কবে থেকে অ্যাস্ট্রোলাইজার হলে বলো তো?" এটা ভেরি সিম্পল এর জন্য অ্যাস্ট্রোলাইজার  হওয়ার দরকার নেই।' মনোজ হাসতে হাসতে বলল " ও তাই'। ", হ্যাঁ তাই। সেজন্য একটা ফোন করে জ

সিগমা আউয়াল এর গল্প " মেঘের কোলে পাহাড়" পর্ব ১

ছবি
মেঘের কোলে পাহাড়   পর্ব (১ সিগমা আউয়াল           পাহাড়ের মুখে মেঘ জমে থাকে ।বেশ খানিকটা উপরে দিকে । যত উপরের দিকে ওঠা যায় ততো তুলোতুলো মেঘগুলো জমাট বেঁধে  ভাসতে থাকে ।অবাক বিস্ময়ে চেয়ে থাকে মীলা ।মনে হচ্ছে মেঘের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে । আঁকাবাঁকা পাহাড়ী রাস্তা ধরে উপরে দিকে গাড়ি উঠছে । নীচের দিকে তাকালে সবুজের সমারোহ  । মেঘ গুলো মাঝে মধ্যে ভাসতে ভাসতে আটকে যাচ্ছে  গাছের সাথে ।     এক পশলা বৃষ্টি হয় সেখানে, অথচ নীচে  কোন বৃষ্টি নেই । মেঘ - বৃষ্টির এই অদ্ভূত খেলা দেখে মীলা রোমাঞ্জিত হয়। পাশে  পাহাড়ের গায় বেয়ে কোথাও কোথাও ঝর্ণা নামছে । খাঁশিয়া বউ - মেয়েরা পানি নিচ্ছে দৈনন্দিন কাজে ।  পাথর ভাঙা সিড়ির মতো  জায়গায় কাপড় ধুচ্ছে । শোঁশো  শব্দ বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই  পাচ্ছিলো মীলারা । কাছে আসতে দেখে বেশ বড় ঝর্ণা । ভালোলাগার অনুভূতিটা  দ্বিগুন হলো ।  দু/ তিন মাইল পার হবার পর সামনে একটা বাজার পড়ে ।  ডাঁওকি  বাজার ।       পুরুষ বিক্রেতা থেকে মহিলা  বিক্রেতা সংখ্যা  বেশির ।  নানা রকম পাথরের  গহনা ,মশলা , চাল ডাল সবই পাওয়া যাচ্ছে ,অনেকটা হাটের মতো । পাহাড়ি মোরগ  - মুরগী

কবি রাজ রিডার এর কবিতা "এত লাশ কোথায় গেল?"

ছবি
এত লাশ কোথায় গেল? রাজ রিডার এত লাশ কোথায় গেল? আমাদের ত্রিশ লক্ষের বেশি লাশ কোথায় গেল? মায়ের পেটেই যে শিশুটি থেকে গেল সে কোথায়? যাদের পরিচয়পত্র ছিল না তাদের লাশ কোথায়? পানিতে ভাসছিল যে লাশ...মিশে গেল পানিতে পানিতে মাটিতে পুঁতে দিল যে লাশ...মিশে গেল মাটিতে মাটিতে আগুনে পুড়ে গেল যে লাশ...ছাই হয়ে উড়ে গেল বাতাসে বাতাসে  যে লাশের কিছুই হলো না...পড়ে রইলো চলে গেল শুকুনের পেটে পেটে এমন লাশের হিসাব কে দিতে পারে? আমার কাছে লাশেদের হিসাব নাই...আছে মানুষের খোঁজ আমার কাছে মাথার খুলির হিসাব নাই...আছে মায়া-মমতার আর এসব গণনা করবে কোন মায়ের লাল? কান পেতে দেখো সময়ের দেয়ালে বোমার ঝলকানিতে তরবারির রক্তে ভেসে যাওয়া নদীতে মিশে যাওয়া মাটিতে জোয়ার আর ভাটিতে শুনতে পাবে লাশেদের কথা কান পেতে দেখো বাতাসে পেয়ে যাবে খোঁজ মানুষের পেয়ে যাবে খোঁজ লাশেদের। লাশেরা কথা বলে না। তুমি যে দেখেও দেখো না—তাই তুমি লাশ তুমি যে লাশেদের কথা বলো না—তাই তুমি লাশ লাশেদের রুহু যে তোমার শরীরে প্রবেশ করে না—তাই তুমি লাশ আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তুমিই জিন্দা লাশ।

কবি তাহেরা আফরোজ এর কবিতা প্রেমের গান"

ছবি
প্রেমের গান তাহেরা আফরোজ তুমি বলেছিলে, গান শোনাবে  এমন একটি গান, যা কেবলই আমার হবে  আমার জন্য তোমার কন্ঠ নিঃসৃত সুর  তোমার কন্ঠে উচ্চারিত গানের প্রতিটি বাণী  আমার জন্য  আমার জন্য তোমার সবটুকু গাওয়া।  তুমি শিল্পী নও কিন্তু তোমার প্রেমের তানপুরায় যে সুর ওঠে  তা যেন শ্রেষ্ঠ সুর হয়ে বাজে আমার ধ্যাণে  আমার শরীরের প্রতিটি শিরা উপশিরায় তোমার আবেশ জড়ানো কন্ঠ  আমাকে মোহাবিষ্ট করে রাখে সমস্ত দিন  আমি অপেক্ষায় থাকি  তুমি বলেছিলে, গান শোনাবে  কেবলই আমার জন্য তোমার সেই গান।