২৯ জানুয়ারী ২০২২

শ্রীমতী সুপর্ণা চ্যাটার্জী'র মুক্ত্যগদ্য




অতিমারির ইতি

শ্রীমতী সুপর্ণা চ্যাটার্জী


                                   শৈশব,কৈশোর ও যৌবন পেড়িয়ে যখন অবসরের প্রাক্কালে তখন এক ভয়ংকর অতিমারি ‘করোনা ভাইরাস’ এর আবির্ভাবে কোভিডের স্বীকার আমরা সবাই।।সারা বিশ্ব আজ জর্জরিত। গবেষণা করে জানা গেছে এ এক ভাইরাসজনিত অসুখ।পৃথিবীর জনংখ্যা কমানোর জন্য এ এক আধুনিক ব্যবস্থা বিশ্বের সবকটি স্বাস্থ্যসংস্থার যৌথ উদ্যোগে।আজ প্রায় দুবছর যাবৎএই মারণ রোগের কবলে ধনী দরিদ্র সকলে। 
       সারা পৃথিবীতে বিপুল সংখ্যক মানুষের সংখ্যা হ্রাস পেতে পেতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ আজ অসহায় ও মৃত্যুমুখী।কে কাকে দেখবে। এর আবার তিনটি ভেউ।প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে হারাতে হলো কত প্রিয়জনকে সারা বিশ্ব জুরে। আর এখন যখন তৃতীয় ঢেউ চলছে তখন আবার সেই একই আতঙ্ক সকলের চোখে মুখে। 
   বহু গেষণাও এর উৎস সন্ধানে ব্যর্থ। তবে উপায় একমাএ লকডাউন। কিন্তু তাতে সারা দেশের অর্থনীতিতো একেবারেই ভেঙে পড়ছিল। এমতাবস্থায় মানুষ মরিয়া হয়ে উঠল। সকল বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে কিছু অসচেতন মানূষ সম্পূর্ণ পঙ্গু করে ফেলল। তাই সরকারি ও বেসরকারি তরফে প্রচার শুরুহলো এ রোগের চিকিৎসা বাড়িতে থেকেই সম্ভব।কারণ হসপিটালে বেড খালি নেই। নিজেকে একেবারে নির্বাসন দেওয়াই একমাএ সুস্থ্য হয়ে ওঠার অবলম্বন।
    আসলে একটা চলতি কথা আছে, যার যায় তার যায় মানুষ করে হায় হায়।আসল সত্যটা যে কী তা না জেনে না বুঝে আমরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছি,শুধু বাঁচার তাগিদে।
      শুধু যদি মাস্ক পড়লে,দূরত্ত বজায় রাখলেই এর মারণ ভাইরাসের হাত থেকে যদি রক্ষা পাওয়া যেত তাহলে তো যারা একেবারেই বাড়ি থেকে বেরোয় না,পরিবারে কত্তা গিন্নী দুজন,তারা কেন আক্রান্ত হচ্ছে?
     সত্যই এ এক বড়ো জিজ্ঞাসা।আবার এমন দৃষ্টান্তও বিরল নয় যারা যাযাবর,পথেই যাদের জন্ম,মৃত্যু ও বেঁচে থাকা কোই তাদের মুখেতো মাস্ক নেই, সামাজিক দূরত্ত্বের ধার ধারেনা তাহলে তারা কিভাবে এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে!!
    সত্যই এই দুইয়ের মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর। সমগ্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে আমার একটাই আবেদন, সারা বিশ্বের জন সংখ্যা হ্রাসই যদি তাদের একমাএ উদ্দেশ্য হয় তাহলে মানুষকে এতো যন্ত্রণা না দিয়ে এমন কোনো ওষুধ আবিস্কার হোক যা সেবন করলে বয়স্ক এবং মধ্যবয়স্ক মানুষ স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিতে পারে যাদের প্রয়োজন সমাজের কাছে একপ্রকার ফুরিয়ে গেছে।তাহলে অন্তত আগামী ভবিষ্যতে আমাদের বতর্মান প্রজন্ম নির্ভয়ে বাঁচার পথ খুঁজে পাবে।আর আরও নতুন নতুন গবেষণার দ্বারা এই মারণ ভাইরাসকে পৃথিবীর বুক থেকে একেবারে  নিশ্চিহ্ন করে এক নতুন পৃথিবীর জন্ম দেবে। আশা করি এই ত্যাগ স্বীকারের জন্য আমাদের মতো মধ্যবয়স্ক ও পূর্ণ বয়স্ক প্রতিটি মানুষই যারা আজ দাদু ঠাকুমা,দিদিমার আসনে অধিষ্টিত সকলেই রাজি হবেন।