২৯ নভেম্বর ২০২০

সানি সরকার




তোমার চোখ  


যেখানে আগুন ও জল 

যেখানে হরিণের নিরীহ চলন

তোমার চোখ, সেখানেই

পাথরে পাথর ঘষে, আর 

প্রেমিক থেকে বাঘিনী হয়ে যায়

Chaitali Dey



OneQuestion


 I was never a writer and

 I don't aspire to be one either               

I was never a good reader

 and 

I don't know if I will ever be one..... 


but now

 I have been much more !


...... Everyday I woke up 

I tried to find reasons to live....

Every night , when I slept

 I tried to find reasons not to die .....


Every moment

I tried to find reasons to hope

 dream,n love.... But I never found them....

 until I met you !



...... I saw chaos, confusion

 n fear all around me

But not within me, after I met you !



...... Time decides our fate, our journey

 And when time changes

Everything changes 

Everything !



Sometimes for worse 

sometimes for better 

And sometimes for the best ....

I never believed that 

Until you happened to me !



....... You do not start, nor do not ever end

You are constant, yet ever changing

You are everywhere and yet just with me



You are my creator or my creation .....

I " Question " myself !! 

প্রেমাংশু শ্রাবণ কবির


কবিতার ফসল

চাঁদের আলোর উদ্ভাসে

ঠিকরে পড়ে সৃজনের পলি।


আমিতো কৃষক পুত্র 

লাঙলের তীক্ষ্ণতায় কাদাভূমি চষে চষে তুলে আনি

কবিতার ফসল।


কবির মত শব্দের শরীরে লিখি আগ্নেয়াস্ত্র। 


বউ হেঁটে যাই 

দুধরঙ ধরে ধানফুলে

বউয়ের নরম হাতে বাজে কাকনের মহিমা।


এ সুখের দ্বিঘাত সাম্যতায়

সুখবীজ সমাধান মন্ত্রে আসে ওম।

রঞ্জনা ভট্টাচার্য



 ত্রিধারা

ছিন্নমস্তার কাছে রক্তের পিপাসার কথা বলেছি, 

নিজেকে ছিন্ন করে বসিয়েছি কেদারায়, পেয়ালা 

পিরিচে ত্রিধারা, জাগ্রত ইনফার্নো কে শুনিয়েছি

উর্বরতার কথা, এখনও পেঁচিয়ে থাকা ঠাণ্ডা যন্ত্রণা

নিজেকে পান করে উষ্ণ হতে বলে, উষ্ণতা ছাড়া

কাম ও রতি শস্যদানা ছড়াবে না, তোমার খামার বাড়িতে

ওম রেখে এসেছি, রেখে এসেছি বীজ ভর্তি মাটির কলসি, 

 

আমার মস্তিষ্কের জায়মান কোষে ভরে দিও

মাটির ঘ্রাণ, সমস্ত রক্ত মাটি হয়ে যাক, আমার

চূর্ণ হাড় চূর্ণী নদী, তুমি কিছু বাতাস ভরে রেখো

খড়ের গাদায়, যিশু এসে কখনো যদি শুতে চান

জন্ম নেবার অছিলায়! 

এবার তাঁর শরীরে পেরেক পোঁতার আগেই আমি

ছিন্ন মস্তা হবো, তোমরা দেখে নিও-

মাহমুদুন্নবী জ্যোতি


সময় ও জীবন

তীব্র বেগে ছুটে চলা ধুমকেতুর মতোই

জীবন ছুটে চলে চিহ্নহীন সময়ের বাঁকে

শান্ত সমীরের বৈচিত্রময় প্রবাহের মতোই

জীবনকে ছুঁয়ে যায় আনন্দ-বেদনার ঢেউ

বাড়ন্ত দেহের অন্তরীক্ষে প্রষ্ফ‚টিত হয় 

সুবাসিত ফুলের সমাহার। আহ্লাদিত মঞ্জুরীতে

প্রেমার্ত অলির গুঞ্জণে বিমোহিত হয় হৃদয়

কখনো আবার আচমকা অজানা অচেনা

ঘূর্ণাবতে জীবনকে করে তোলে অস্তিত্বহীন

সাগরের মিলনে ধাবমান নদীর স্রোতের মতো

জীবনের মিলন ক্ষণ আর গন্তব্য সুনির্দিষ্ট

স্বচ্ছ জলের ন্যায় গতিপথে জীবন অনর্থক

যদি না জীবনকে ভরিয়ে দেয়া যায় শুদ্ধতার আবিরে

তাহমিনা শিল্পী


প্রতিজ্ঞাপত্র 

কথা দিচ্ছি- 

তোমাকে কোন গন্ধম খেতে দেবো না 

আমাকে প্রকম্পিত করতে বলবো না 

তোমার প্রণয়ের বৃষ্টিতে ভিজিয়ে ভিজিয়ে 

আমাকে সম্মোহিত করতেও বলবো না। 


আরেকবার এসো প্রিয় 

আমরা আবার আদিম সেই প্রাণী হয়ে যাবো 

আমরা কেবল জলের,বাতাসের গান শুনে যাবো 

আমরা প্রকৃতি হয়ে যাবো। 


বিগত পাপ মোচন করে 

আমাদের অভিশপ্ত সন্তানদের জীবন 

পরিশুদ্ধ করবো। 

জি এম কাউসার আলী‘ ( অষ্ট্রেলিয়া )



আসো ফিরে আবার 

এখনো মাঝ রাতে ঘুম ভাঙে 

তোমার শিহরনের ছত্রছায়ায়,

এখনো হাছনাহেনা  সুবাস ছড়ায়

তোমাকে বিমোহিত করার আশায়,

এখনো চাঁদ তাঁরা লুকোচুরি

করে তোমার রূপের ভয়ে !

এখনো জোনাকিরা জ্বলে নেভে

তোমার রূপ আলো ধার নেবে বলে !

এখনো ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকে থেমে থেমে

তোমাকে গান শোনাবে বলে ।

এখনো আকাশে ধুমকেতু ছুটে চলে

তোমাকে চমকে দেবে বলে !

এখনো পুর্ণিমা রাত জোৎস্না ছড়ায়

তুমি আমি জোৎস্না স্নাত হবো বলে ।

এখনো আকাশে মেঘ জমে 

বৃষ্টি ঝরবে বলে অবিরাম ধারায়,

দুজনে ভিজবো বলে পরম মমতায়;

এখনো আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় !!

ভয়ে তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরবে বলে ;

এখনো চেয়ে থাকি তোমার আগমনের আশায়!

এমনি করে আবার ভাসবো মোরা ভালোবাসায়।

আসোনা আবার তুমি যেকোন বাহানায়?

শ্রাবণের এই হরদম বর্ষনমুখর সন্ধ্যায়?

আসো না সপ্তর্ষীর পরিপূর্ণ চাঁদ হয়ে 

আমার হৃদয়ে বিকিরণ ছড়াবে বলে,

শবের তনুবল্লরী হয়ে সারসের কপটতায়!

যদি আসো তুমি বিষাদে হরিষ নামবে!

সজল চোখের গন্ড দিয়ে অশ্রু হয়ে।

পাঁজরের ভিতর বইবে বসন্তের বারতার পেলবতা ! 

আসো তুমি আবার নতুন রূপে চুষে নিতে ?

হৃদয়ের যত ভালোবাসার রঙিন স্বাদ পেতে ?

রেবেকা সুলতানা



মেয়ে মানেই 

ভালো আছি থাকার নাটক শতো

কষ্ট চেপে রেখে মিষ্টি  করে হাসা,

নিজেকে জ্বালিয়ে  অন্য কে আলোকিত করা,

নিজের ইচ্ছে মাটি চাপা দিয়ে 

অন্যের ইচ্ছে তেই নিজের  জীবন রাঙ্গীয়ে নেয়া,

জন্মের আগেই দূনিয়ার আলো

না দেখানোর নিষেধাজ্ঞা  আরোপ, 

নিজের সাজানো ঘর ছেড়ে

অজানা অচেনা ঘরকে আপন করে নেয়া।

অন্যের স্বাধ বুঝতে গিয়ে নিজের স্বাধ নেয়া বারন ,

বংশের বাতী নিভে যাবার করণ, 

যৌতুকের চিন্তা বাবার ঘাড়ে

১৮ হলেই ঘরের বোঝা স্বপ্ন দেখা   বারন

কল্পনার  জগতে হাবুডুবু খাওয়া 

বাড়ী আছে হয় বাবার না হয়  শশুরের

বৃদ্ধ  বয়সে ছেলের 

নিজস্ব বলে কিছু নেই।

মেয়ে মানেই পুত্র  সন্তান 

জন্মানোর বায়োমেট্রিক মেশিন।

নিজের ঘর থেকে  চিন্তাধারা 

বদলালে বদলে যাবে সমাজ।

পুত্র  সন্তান যদি একটি বংশের বাতি হয় কন্যা সন্তান কেন             দুটি বংশের বাতি  নয়??

নূরুজ্জামান হালিম



এক এককো দুই


আমিতে আমিতে কত লুকোচুরি 

ভিতরে বাহিরে বিস্তর কাড়াকাড়ি 

বাহিরের আমি নিরন্তর বদলায়

দিন গুণে গুণে সমাজ সামলায়।

আপনার  আমি বন্দি কঠিন বৃত্তে

স্বপ্নের দহনে মরমে মরে চিত্তে।

দুইকে নিয়ে তবুও চলতে হয়

নিজের কাছে নিজের পরাজয়।

মমতা রায় চৌধুরী


তুমি আমি মিলে হাঁটছিলাম

তুমি আমি মিলে হাঁটছিলাম

নির্জন প্রকৃতির কোল ধরে।

দু চোখে রঙিন স্বপ্ন এঁকে

প্রজাপতির ডানা মেলে।

ঘর বাঁধবো আর কি সব আছে

মনের কল্পনায় সেজে।

রামধনুর সাত রং মেখে

রঙিন হয়ে উঠব দুজনে যে।

দুজনের বাহুবন্ধনের ডোরে

একটু কাছাকাছি এসেছি সবে।

হঠাৎ ই চিৎকারে ফিকে হয়ে গেল 

রঙিন হয়ে ওঠার স্বপ্নগুলো যে।

সব কিছু বোঝার আগেই

এক কিশোরীর ওপর ঝাঁপিয়ে

পরলো নরখাদকের দল যে।

অসহায় নারীর চিৎকারে

আমরা হয়েছি দিশেহারা যে।

তখন দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে

ছুটে গেছি সেখানে।

এক পুরুষ পৌরুষত্ব দেখাতে

আমার স্বপ্ন হলো রক্তাক্ত।

অন্য জান্তব পুরুষরা

পৌরুষত্বে ফলালো দুটি নারীকে

প্রবৃত্তির সুখে নির্যাতিত করে।

তুমি আমি হাঁটছিলাম

একে অপরের ঢাল হয়ে।

তুমি আমি হাঁটছিলাম

জন্ম-জন্মান্তরে একসাথে

থাকবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে।

স্বপ্ন ,স্বপ্ন রয়েই গেল

কালিমালিপ্ত করে প্রকৃতিকে।

দু -চোখের রঙিন স্বপ্ন ঝলসে গেল

জান্তব মানুষ পশুর আক্রমণে।

রামধনুর সাত রং গায়ে  

না মাখতেই, বলি হলাম লালরঙে।

তুমি আমি হাঁটছিলাম

নির্জন প্রকৃতির কোল ধরে।