পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি জাফর রেজা'র কবিতা

ছবি
তার গল্পে আমি.... জাফর রেজা  মন যে কখন কার দরজায় কড়া নাড়ে কে জানে,  কতদিন কতরাত হেঁটেছি দু'জন পাশাপাশি,  আঙ্গিনা জুড়ে জ্যোৎস্নায় স্নান করেছি  বহুবার, কোনো এক অশুভ রাতে আঙ্গিনার দখল  নেয় অন্য কেউ, আমাকে অন্ধ করে  সে স্বপ্ন খোঁজে অন্য চোখে; আজ তার গল্পে আমি নেই,  রাখেনা আমার খবর হৃদয় খুঁড়ে আমার গল্প দিয়েছে কবর।

কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা

ছবি
রদ্দুরে ভেসে যাবো রুকসানা রহমান এভাবে কাছে এসোনা,ওষ্ঠে তিল পড়াতে তারচেয়ে দেখো আমি দুর থেকে ছুঁয়ে দিতেই তুমি  হয়ে গেলে, আমার।  এভাবে কাছে এসোনা,  আমি আকাশে খুঁজছি একফালি সূর্যঠান আমি মেঘ হয়ে রদ্দুরে ভেসে যাবো। এভাবে এসোনা  নাগরিক পদ্মের মতন  জ্যোৎস্না ভাঙ্গা চাঁদের হাঁটে। এখানে এখনো কান্নারা গুমরে ওঠে। আমি এক  বিস্ময়,কেবল তোমারই  বুকের গভীরের কাব্য তাইতো ভুলে যাই,ব্লাক রোড অরণ্য বিষাদ যাতনা। তুমি আসবে এক নারীর কাছে, বয়ে যাবে সূর্যের মতন কখনো আমার আকাশের ঝিলমিলি উন্ষতার নায়ের প্লাবণের রদ্দুর।  তুমি দ্বিধা, আমি দ্বন্দ্ব , কখনো দূর্বার, তুমি দুরন্ত বাতাস  আমি  ঝর্ণা , তুমি চন্ঝল জলতরঙ্গের  স্নানে মগ্ন পথিক।  এভাবেই কাছে আসবে ঋতুর বৈভবে প্রতিটি শিহরনে   অমৃতা  তিয়াসীর রোদসীর ঘাটে।

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৮

ছবি
সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিলো ( ৮ম পর্ব )  মনি জামান  সৃষ্টি কর্তা যেন আসমার সব চাওয়া গুলো পূর্ণ করে দিয়েছেন,জিকু অফিস থেকে এসে আসমার সব কাজে সাহায্যে করে রান্না থেকে শুরু করে কাপড় ধোয়া পর্যান্ত।কারণ জিকু চাই আসমার যেন কোন রকম কষ্ট না হয়,আসমা আর জিকু দুজনে পরস্পরকে এতোটাই ভালবাসে যে না দেখলে কেউ বুঝতেও পারবে না ভালবাসা কি। জিকু আর আসমা দুজনে সংসারটাকে স্বর্গে রূপান্তরিত করতে শুরু করলো,দুই বছর এভাবে চলে গেলো বুঝতে পারলো না দুজনের কেউ। আস্তে আস্তে আসমা টের পেলো সে মা হতে যাচ্ছে,আসমার কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে আজ বমি বমি ভাব আসছে কিছু খেতে পারছে না আর খেতে গেলে এমন হচ্ছে। জিকু যখন প্রথম জানতে পারে আসমার পেটে তার সন্তানের অস্থিত্ব সেদিন জিকুর আনন্দ আর ধরে না,যখন আসমার পেটের সন্তানের বয়স সাত মাস হলো জিকু তখন আসমাকে নিয়ে কুমিল্লা হাসপাতালে আল্ট্রাসোনো গ্রাম করতে নিয়ে গেলো, ডাক্তার পরিক্ষা করে জিকুকে বলল, আসমার পেটে ছেলে সন্তান এবং সন্তান খুব ভালো আছে। জিকু এই সংবাদ শুনা মাত্র দৌড়ে মিষ্টির দোকানে গিয়ে মিষ্টি কিনে নিয়ে হাসপাতালে ফিরে এসে ডাক্তার ও নার্সদের মিষ্টি খাওয়াল,ডাক্তার নার্স সবাই খুশি তারা

কবি মাসুদ করিম এর কবিতা

ছবি
মানুষ হবো কবে মাসুদ করিম দড়িতে টান দিলে গলায়  পড়ে ফাঁস মুরগি যদি চায়গো হতে  পারেনা হতে হাস,  এই জগতে সবি আছে  মিথ্যার কিছু নাই আজব জগত আজব মানুষ  বিশ্বাসের কেও নাই। ধনে মানে সবাই বড়  ছোট কেও নাই আসল বড় বলো তোমরা  কোথায় গেলে পাই, নিজকে ভাবি সবার সেরা  নয়তো আসলে তাই উপর ওয়ালা দেখে বলেন ভয়  কি তোদের নাই। কত আসলে কত গেলো  জগত সংসারে কেও কি আর চিরদিন এথায় থাকতে কি পারে, জগত টা যে দুই দিনের ই  ভাবতে যদি পারতাম খোদার ভয়ে সবাই আমরা মানুষ যে হতাম।

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১০৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১০৪ খোলা জানালায় দখিনা বাতাস মমতা রায় চৌধুরী স্কুলে আজকের দিনটা রেখার খুব বাজে কাটলো কি একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি  করেছিল অনিন্দিতা। ভাবতে লজ্জা লাগছে কিছু টিচার আবার ওকে সাপোর্ট করছেন।  এভাবে যদি দিনের পর দিন এই ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয় ,তাহলে স্কুলে কাজ করো খুব কষ্টদায়ক হয়ে যাবে ।মেন্টাল পিস না থাকলে ছাত্রীদের কি সেভাবে কিছু দেওয়া যাবে? সারা ট্রেনে আসতে আসতে সব ভাবনা মনের ভেতরে মোচড় দিয়ে উঠছিল। ভাবছে আগামীকাল স্কুলে যাবে না। জানলার দিকে মুখ দিয়ে বসে থাকারও  উপায় নেই ,শীতকাল হাওয়া দিচ্ছে ,বাধ্য হয়ে জানালাটা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। লেখাটা নিয়েও মাথার ভেতরে নানা কাহিনী চরিত্র ঘুরপাক খাচ্ছে ।কাজেই এই সময় মনটা যদি অস্থিরতায় পরিপূর্ণ থাকে ।লেখাটা ঠিকঠাক আসবে না কিন্তু লিখতে তো হবেই। হঠাৎই ভাবনায় ছেদ টানে '  রেখা ,এই রেখা, ধ্বনিতে।' রেখা উৎসুক দৃষ্টিতে এদিক ওদিক তাকাতে থাকে। অবশেষে দৃষ্টি বিনিময় হলো সামনের দিকের দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রীর সঙ্গে এতটাই ভিড় হয়েছে যে দাঁড়াতে পারছেন না ,তবুও মুখে কত মিষ্টি হাসি। রেখা হা করে তাকিয়ে আছে।  যাত্রী বলছ

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১০২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১০২ মন ক্যানভাসের চরিত্র মমতা রায় চৌধুর মকর সংক্রান্তির ঠান্ডা হিমেল হাওয়া ঘুরপাক খাচ্ছে চারিদিক। এরই মাঝে কি মনে হলো বারান্দায় ব্যালকনিতে গিয়ে বসলো রেখা রান্নাবান্না কমপ্লিট করেছে। এক চিলতে রোদ এসে পড়েছে চেয়ারটিতে। রেখা গিয়ে বসেছে পিঠটাকে রোদের  দিকে  রেখে ।খোলা  চুলে আলতো চুমু যেন এঁকে দিয়ে যাচ্ছে এক চিলতে রোদ্দুর। রেখা এক প্লাস্টিকের মাঝারি  ঝুড়িতে  মটরশুটি নিয়ে খোসা ছাড়াতে বসলো। মটরশুঁটির খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে কখন যেন চোখ দুটো চেয়ারে বসে বসে ঘুমে ঢুলুনি।  একবার তো ব্যালেন্স হারিয়ে প্রায় পড়ে যায় যায় অবস্থা  তখনই ধরফরিয়ে উঠে বসে রেখা চারিদিকে একটু দেখে নেয় ,কেউ দেখে ফেলে নি তো।  তারপর নিজেই আপন মনে হেসে ওঠে। মটরশুঁটির খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে আপন মনে ভাবতে থাকে। ঘটে যাওয়া মন  ক্যানভাসের স্মৃতি। মনে পড়ে ছোটবেলাকার কথা মা,কাকিমা , জেঠিমারা যখন মটরশুঁটির খোসা ছাড়াতে বসতো, তার অর্ধেক মটরশুটি আমরাই খেয়ে শেষ করে দিতাম। মা লাঠি  নিয়ে  তেড়ে আসতেন আর বলতেন ,তোদের পেটে কি রাক্ষস ঢুকেছে?' কাকিমা বলতেন 'ছাড়ো না দিদি, দুটো তো খাবে?' মা বলতেন &#

মমতা রায় চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস ১০৩ পর্ব

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১০৩ মানসিক যন্ত্রণা মমতা রায় চৌধুরী রেখা আজ স্কুলে ঢুকে  স্টাফ রুম দেখে মনে হলো যে ঘরে এত শব্দ, এত আলো, আজ সে  ঘড় নিস্তেজ হয়ে গেছে। চেয়ারটা ফাঁকা দেখেই বুকের ভেতর কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো। কি করে বসবে ?সেই ভাবনা ক্রমশ কুরেকুরে খেতে লাগলো। একটা কেমন দম বন্ধ করা পরিবেশ মনে হচ্ছে।  এর মধ্যে অনিন্দিতা স্কুলে এসেছে । রেখা দেখছে রেখার টেবিল চেয়ারে বসে আছে অনিন্দিতা। রেখা অত্যন্ত স্নেহের সুরে বলল ' অনিন্দিতা পাশের চেয়ার-টেবিলটায় বসবি? অনিন্দিতা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে রেখার দিকে তাকাল তারপর ক্রুদ্ধভাবে বলল 'কেন এখানে বসে আছি তো কি হয়েছে?_ রেখা নিম্নস্বরে বলে' না কিছু হয়নি পাশের চেয়ার-টেবিল ফাঁকা আছে ওখানে বসলে আমার একটু সুবিধা হত?' অনিন্দিতা ডেসপারেটলি  বলল_ না না এই স্কুলে তো এরকম কোনো নিয়ম নেই যে, সবার জায়গা ফিক্সট?' রেখা বলল ;'না ,না আমি সে ভাবে বলতে  চাইনি  ।আমি বলছি, আমার এখানে খাতাপত্র সব আছে তো, এখানটাতে বসে আমার দেখতে সুবিধা হবে ।' অনিন্দিতা একগুয়ে মনভাবে বলল _আমিও তো খাতা দেখবো।' রেখা বলল _' কেন মিছে মিছি এত কথা বাড়াচ্ছিস?&#

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস ৫৮

ছবি
শায়লা শিহাব কথন   অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৫৮) শামীমা আহমেদ  রীতিমতো একটা ঝড় মোকাবেলা করে শিহাব আর সুমাইয়া মায়ের ঘরে গেলো।তখনো  আরাফ সুমাইয়ার কাঁধে।  মাথা গুঁজে দিয়ে একেবারে সুমাইয়ার বুকে গা লেপ্টে দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। ভীষণ ভয় পেয়েছে সে! শিহাবকেও বেশ বিধ্বস্ত লাগছে। সকালবেলা যেমন সুন্দর ফুরফুরে মেজাজে শায়লাকে নিয়ে এসেছিল এখন  কেমন যেন অগোছালো লাগছে। শিহাব  শায়লারকে  নিজের সবটা জানাতে   চোখে মুখে আকুতি নিয়ে শায়লার দিকে তাকিয়ে রইল।শিহাবকে দেখে  শায়লা এক অজানা আশংকায় অস্থির হয়ে উঠলো! শায়লার চোখের জিজ্ঞাস্যও শিহাবের চোখে ধরা পড়েছে। সে শায়লাকে নিয়ে মায়ের ঘরের সাথের খোলা বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো। শায়লাকে সব জানাতে হবে।শিহাব কিছুই লুকাবে না। একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে আরাফ আর রিশতিনাকে নিয়ে আজ যা ঘটে গেলো শায়লার তা জেনে রাখা উচিত। শিহাব শায়লার হাত ধরে সব খুলে বললো। শিহাব একে একে তার যুক্তি পালটা যুক্তি দিয়ে রিশতিনার সাথে সব কথোপকথনের শেষটা পর্যন্ত বলে গেলো।শায়লা খুবই অবাক হলো, পাশের ঘরে বসে সে কিছুই টের পেলোনা!    শায়লা বুঝে নিলো রিশতিনা তার প্রাপ্যটাই চাইতে এসেছে।তবে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তার সাথে শিহা