পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ৩০, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি
অলীক সমীকরণ সুমী শারমীন অদ্ভুত এক রঙের মানুষ কাঁদায় বারো মাস পৌষ ফাগুনী খেলায় মাতে,আমার দীর্ঘস্বাস। কাছে থেকেও ডাকে না সে , করে অবহেলা অভিমানের কষ্ট পুষে,হারাই আমার খেলা। হারতে চাইনা,ছাড়তে চাইনা,নিত্য দিনের মতো বন্দী পাখির ঝাপটানো ডানা,অন্ধকারের মতো।   বুঝবে না জানি,শুধু হয়রানি, তবু্ও আকাশ কাঁদে ব্যাথার কষ্ট, সুখের আশায়,নিত্যদিনের ফাঁদে। পারিনা এড়াতে,ছেড়ে যেতে চাই,চেনা পথ ঘাট সব মনের মাঝেতে বসবাস করে,তারই সব কলরব।   হাত রাখতেই সব ভুলে যাই,সেই তো রঙের মানুষ  সারাটি জীবন কাঁদি তার তরে,উড়াই রঙিন ফানুষ।

মমতা রায়চৌধুরী/ ৮১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ৮১ অনুভূতির উপলব্ধি মমতা রায়চৌধুরী সারাটা  শীতের দুপুর   মনে এক অসহ্য যন্ত্রণা ;হ,কষ্ট ।কাকে বলবে রেখা? মনোজকে বলার মতো নয়। কেন যে নয়, সেটাও বুঝতে পারছে না রেখা।  কাকিমা (মীনাক্ষী দেবী) যখন বললেন 'রূপসার কথা মানে বিপাশার দিদির কথা ।তখন থেকে শুনেই রেখা ভেতরে ভেতরে যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছে। কত কষ্ট করে হারু জেঠু দুই সন্তানকে মানুষ করেছেন ।সে তো চোখের সামনেই সবাই দেখেছে। এত অভাব এর মধ্যেও মেয়ে দুটিকে কখনো কষ্ট দেন নি। যতটুকু সামর্থ্য, সেই অনুযায়ী মেয়েদের যথাযোগ্য পড়াশোনা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু শেখানোর চেষ্টা করেছেন। সুপাত্রস্থ ও করেছেন। রূপসার বর খুব ভালো মানুষ ছিলেন। অথচ তাকেই ভগবান পৃথিবী থেকে সরিয়ে নিলেন। বিপাশা যতটা কোয়ালিটি সম্পন্ন মেয়ে ছিল বিয়েটা ঠিক তেমন হয় নি ।হয়তো বর ভালো একটা চাকরি করতো এইটাই। মানুষ হিসেবে ভালো নয়। ওর বর‌ও তো প্রতারণার কেসে জেল হাজতে।রেখা কাকিমার কাছ থেকে ঘটনাটি শোনার পর থেকে কেমন যেন হয়ে গেল। কাছের মানুষ, ভালোবাসার মানুষ যদি ছেড়ে চলে যায় ,কেমন হতে পারে সে উপলব্ধি ?রেখা ভাবতে পারে না ।ভয়ে আতঙ্কে রূপসাদির ভবিষ্যতের অনিশ্চ

শান্তা কামালী/৫৩ তম পর্ব

ছবি
বনফুল   (৫৩ তম পর্ব )  শান্তা কামালী অহনা অনেক্ক্ষণ চিন্তায় বিভোর ছিলো, অহনা ও একটু বেশি সময় দিতে পারতো, কিন্তু অনার্স ফাইনাল পরিক্ষার জন্য পারেনি। সৈকতের মাস্টার্স শেষ পরিক্ষার আগের দিন আন্টির এই অবস্থা... আল্লাহ পাকই ভালো জানেন সৈকতের পরিক্ষা কেমন হলো? তিন সপ্তাহে'র মধ্যেই রেজাল্ট বেরোবে।  পরদিন সকালে উঠে নাস্তা খাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলেন অলিউর রহমান। যাওয়ার আগে স্ত্রী রাহেলা খাতুনের মাথায়  হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন কাপড় কেনাকাটার জন্য যাচ্ছি। রাহেলা খাতুন স্বামীকে হতে দিয়ে ইশারায় বুঝাতে চেষ্টা করলেন যেন সবকিছু ভালো দেখে নেন... ।  অলিউর রহমানও সম্মতি জানালেন। অলিউর রহমান বড় একটা শাড়ির দোকানে ঢুকে লেহেঙ্গা পছন্দ করলেন যার দাম প্রায় পয়তাল্লিশ হাজার টাকা,দ্বিতীয় শাড়ি বার হাজার টাকায়......।  সবকিছু এভাবেই মিলিয়ে মিশিয়ে  কিনেছেন।  কেনা কাটা শেষ করে, সৈকতের বড়ো মামার বাসায় গিয়ে বললেন বৃহস্পতিবার সকালে যেন উনি উপস্থিত থাকেন। সৈকতের মা'য়ের ইচ্ছায় সবকিছু হচ্ছে, সঙ্গে করে সৈকতের বড়ো মামানিকে নিয়ে আসার কথা বললেন অলিউর রহমান  সাহেব।তার কারণ খালি বাসায় তো সৈকতের আম্মুকে রেখে যাও

রাবেয়া পারভীন/

ছবি
দুরের বাঁশি   (৪র্থ পর্ব)   রাবেয়া পারভীন -ম্যাম বৃষ্টিতে ভিজছেন কেন?   সিস্টারের ডাকে  সম্বিৎ ফিরে  আসে লাবন্যর। শুভর ভাবনায় একদম ডুবে গিয়েছিল সে,  কখন যে ভোরের উদীয়মান সূর্যটা  ডুবে গিয়ে আকাশ মেঘলা হয়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে  শুরু করেছে টেরই পায়নি। সিস্টারের দিকে তাকিয়ে  অপরাধীর মত একটু হাসে লাবন্য। তারাতারি  বারান্দা  থেকে  সড়ে এসে কেবিনে ঢুকল। সিস্টার  তোয়ালে দিয়ে ওর চুল মুছে দিতে দিতে বলল -মেডাম আপনার কিন্তু ঠান্ডার অসুখ । যান ভিজা জামাটা বদলে আসুন  ওষুধ  খেতে হবে। সকালের নাস্তাও তো পড়ে রয়েছে দেখছি। লজ্জা পেয়ে  লাবন্য  ওয়াশরুমে গেল । কাপড় বদলে এসে  বিছানায় বসল। সিস্টার নাস্তার প্লেট এগিয়ে দিল  তারপর  ঔষধ। মিষ্টি করে হেসে বলল  -  আপনাকে আজকে অনেক ফ্রেস লাগছে  মেডাম,  একদম ভালো হয়ে গেছেন। ডাক্তার সাহেব  এলে হয়ত আজকে রিলিজ করে দিবে আপনাকে। নার্স মেয়েটাকে  বেশ ভালো লেগেছে লাবন্যর। ওর সাথে আলাপ করতে ভালো লাগছিলো। ওর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন  করল  - আচ্ছা সিস্টার  আপনার নাম  কি ?   - আমার নাম  গায়ত্রী।  নামটা শুনে  লাবন্য চকিতে একবার মেয়েটির সিঁথির দিকে তাকালো।   সেখানে সিঁদুরের। কোন চিন্হ নেই

আইরিন মনীষা 

ছবি
প্রতীক্ষার প্রহর খুব করে জানতে চাই  কেমন আছো তুমি, সেই এক বিকেলে আসি বলে চলে গেলে হয়নি দেখা আর তোমার সাথে কিংবা কথাও হয়নি।  বকুল ফুলের মালা গুলো শুকিয়ে গেছে যেন তোমারই অপেক্ষার প্রহর গুনছে এখনো,  কতদিন দেখিনি তোমার ডাগর কালো চোখের চাহনি যেখানে আমি হারিয়ে যেতাম এক অথৈ সমুদ্রে।  কতদিন হাঁটা হয়নি নদীর তীরে হাত ধরাধিরি করে দেখা হয়নি শরতের বিকেলের কাঁশফুলের সৌন্দর্য,  কতদিন যাইনি সমুদ্রের প্রশস্ত বালুকা রাশিতে দেখিনি ভিজিয়ে নগ্ন পদ যুগল সাগরের নোনা জলে।  বড় সাধ জাগে আবার ও সেই বৈশাখী মেলা দেখতে বিরহী প্রহরে আজ মনটা বড়ই উতলা হয়ে আছে,  সময় যে আর কাটে না একাকী আমার কবে পাবো তোমার দেখা আবার।  মনে পড়ে খুব সেদিনের কথা যখন তুমি আমার দীঘল কালো চুলে সাঁতার কাটতে, আমার খুব করে পেতে চাই সেই মধুময় ক্ষণ যখন তুমি আমার পাশে বসে হারানো দিনের গান গাইতে। আমার বিরহী প্রহরে তুমিই একমাত্র সঙ্গী যার সাথে বেলা অবেলায় কেটে যায় আমার ক্ষণ, মিলনের দিগন্তে ভাসবো বলে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছি শুনছ কি তুমি আমার অব্যক্ত কথা গুলো ?  এসো না আবার দুজন হারিয়ে যাই সেদিনের কাছে যখন শুধু আমি আর তুমি একান্ত সান্নিধ্যে না বলা কথার ফ

শামীমা আহমেদ /পর্ব ৪৪

ছবি
শায়লা শিহাব কথন   অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৪৪) শামীমা আহমেদ  শিহাব আজ অন্য এক শিহাব রূপে নিজেকে তৈরী করে নিচ্ছে।বিগত জীবনের পটভূমি বদলে নেবার মাহেন্দ্রক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে সে। আর পিছুটানে নিজেকে ফেরাবে না স্মৃতিকাতরতায় আবেশিত হয়ে।আজ, এইতো আর কিছুটা  সময় পরই শায়লার সাথে তার দেখা হবে,ভিন্ন ভাবনায়,ভিন্ন আঙ্গিকে, একই পথ রেখায় চলবার অঙ্গীকারে হবে অনেক কথা বিনিময়  হৃদয়ে  ভালবাসা সঞ্চিত রেখে,  অপ্রাপ্তির তালিকাটিকে ক্ষুদ্র করে দিতে। যদিও এর আগেও কয়েকবার তাদের দেখা হয়েছে কিন্তু আজকের দেখা হওয়াটায় অন্য এক ধরনের ভাললাগা,অন্য একটি জীবনের শুরুতে নিজেদের এক হওয়া। একটি সুদূরের বোঝাপড়ায় আগামীর স্বপ্নের বাস্তব রূপ দেয়ার আলাপচারিতা। আজ তাই শিহাব এ প্রসঙ্গ ছাড়া  আর কোন কিছুই ভাবনায় আনতে চাইছে না। সে চট করে লাঞ্চ সেরে সব গুছিয়ে নিলো।আজ লেইট লাঞ্চ হলো।শিহাব সকালে গুলশান মেনজ স্যালুনে গিয়েছিল।একটু নিজেকে তৈরি করে নিতে আর কিছু টুকটাক শপিং করার প্রয়োজনে।  শিহাব আয়নায় নিজেকে দেখছে। আজকের নতুন কেনা শার্টের সাথে প্যান্ট ম্যাচ করিয়ে নিচ্ছে।আজ হলুদাভ ঘি রঙা একটা শার্ট কেনা হয়েছে। শিহাব তাই কফি ব্রাউন একটা প্যান্ট ম্যাচ