পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি শর্মিষ্ঠা দাস এর কবিতা "হিসেব"

ছবি
হিসেব   শর্মিষ্ঠা দাস হিসেব মিলছে না কিছুতেই না উত্তরের জায়গাগুলো দুর্বোধ্য কিছু কালির আঁচড়ে ভর্তি ঘুনপোকারা কাটছে সময় ... পাতার গায়ে লেগে থাকা শেষ জলের বিন্দুর খসে পড়া, মনে করিয়ে দেয়  আঁকড়ে ধরার চেষ্টা শুধুই বাহ্যিক  কবরে শোয়ানো ফুল আজ অনেকদিন হল রঙ হারিয়েছে জীবিতরাও আজ কফিনবন্দী করেছে সব সূক্ষ্ম অনুভূতি গুলোকে  জীবন বড় ক্লান্ত  মৃত্যুর শীতলতা তাই বড়ই কাছের আশ্লেষে একটা চুম্বন এনে দিক সেই পরমপ্রাপ্তি ।।                                                                            

কবি আতিয়ার এর কবিতা অগ্রপথিক

ছবি
অগ্রপথিক আতিয়ার রহমান   ছলনার সাথে রাখি বন্ধনে হারিয়ে স্বর্গকুল সৃষ্টির সাথী হয়ে এলে নারী  ফোটাতে মানব ফুল। অধর ওষ্ঠে মধুর পেয়ালা বক্ষে দোদুল দিশ মোহ-ঝর্ণনার প্রেমের জোয়ারে  ভাসাও অহর্নিশ।  মমতা শ্রেষ্ঠা স্বপ্নের ভোর  রোদ্র করোজ্জল রাতের আঁধারে চন্দ্রকলায় স্নিগ্ধ নীলোৎপল।    উসর মরুতে ঝরা নির্ঝর, করুণা নিধির ছায়া জননী জায়ার বহুরূপী রূপ শ্যামল মাটির মায়া। নর-বিদ্বেষী নও নারীবাদী  নও বিপনন প্রতীক  তোমার শুভ্র আঁচল তলায় ঘুমায় অগ্রপথিক।

আইরিন মনীষা'র কবিতা "রিক্তের বেদন"

ছবি
রিক্তের বেদন আইরিন মনীষা  বড়  অভিমানী মেয়ে আমি অল্প শোকে কাতর হারানো প্রেমের বিরহে আজি হয়েছি আমি পাথর। হাজারো স্বপ্নের পসরা নিয়ে করেছিনু বুনন কাব্য সেই কাব্যটির প্রতিটি পাতায় আমার দুঃখের নাট্য।  বাড়ি গাড়ি টাকা পয়সা ছিলোনা কিছুই চাওয়া সুখে দুঃখে থাকবো দুজন হলোনা তাও পাওয়া।  বিনা দোষে ছাড়লে আমায় বাঁধলে অন্যে ঘর, আমার যতো আবেগ অনুভুতি করলে তুমি পর।  সময় যেন ঘনিয়ে এলো  ডাকছে আমার রব মরণের পরে মাটির ঘরে ফিরবো হয়ে শব।

নাসিমা মিশু এর কবিতা "কুর্নিশ"

ছবি
কুর্নিশ   নাসিমা মিশু কুর্নিশ মহাশয়- বাপ জী,ভাই, দাদা গুরুজন,  বড় বড় শিক্ষিত, অধিপতি, কর্তা ব্যক্তিগন আপনাদের কুর্নিশ । ছোট আমি ,অতি ছোট্ট দীন হীন,  জরাজীর্ণ সব হীন;  কেনো ই বা এই দুর্দশা!  কুর্নিশে হাত জোড় ঠিক ;  মাথা মোর ণত নহে, দেখো দুচোখ বাড়িয়ে । চেয়ে দেখো ভালো করে, মোর আঁখির তীব্রতা  প্রখর দীপ্তিময় নয় কী ? মোর দু'নয়নে উপছে উঠেছে তোমাদের কীর্তি । দুর্নীতি, ঘুষ, সুদ, দৌড়াত্ব,দাপট...  ডুবে গেছো তোমরা । টাকা আর টাকা  হায়!কেড়ে নিয়েছে তোমাদের বোধ । শুধু কী তাই ? দেখছি পড়ছি শুনছি পবিত্র সংসদ কলুষিত হলো হায় মানব পাচার ঘৃণ্য মানুষ নামের দানবের পদচারণায় । এক মা পারে কী ! এমন লোভী দানবদের থাবা থেকে আমাদের রক্ষা করতে...  আমি, আমরা বলি থামো এবার ;হাত যবে উঠিয়েছি, কুর্নিশটা দাও করতে ভক্তি ভরে বিনম্র বিশ্বাসে । একটু হলেও দাও পরিচয় তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের । শিক্ষা, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে পরিবার সব তো করেছো কলুষিত!  এবার থামাও তোমাদের নির্লজ্জতা,  কুর্নিশটা নাও সৎ, সত্য ও সততার সাথে । আর কত চাও? শুনছি, পড়ছি বিদেশে ব্যাংক নাকি পেট ফুলে ফেঁপে হয়ে উঠেছে কলাগাছ তোমাদের টাকায় । পত্র পত্রিকায় বড় বড় হরফে

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৮০

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৮০) শামীমা আহমেদ  শায়লা এবার উঠতে হবে,চলো। দুপুরের খাবারের সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।সাড়ে তিনটা বাজতে চলেছে।চলো,কোথাও কিছু খেয়ে নেই। শিহাব শায়লাকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বললেও শায়লা যেন একটা ঘোরের মধ্যে ছিল। শিহাবের কথায় স্বাভাবিকে এলো। অস্ফুট স্বরে বললো,হ্যাঁ, চলো, তবে খাওয়ার জন্য অন্য কোথাও নয়।এখানে কিছু খাবারের দোকান আছে, সেখানে বসে কিছু খেয়ে নেই। শিহাব একমত হলো।দুজনেই উঠে দাঁড়ালো।শিহাব চোখের ভাষায় যেন শায়লাকে আবার সব কিছু মনে করিয়ে দিচ্ছে। আর তাতে শায়লার অকপটে উত্তর,তুমি ভেবোনা। আজ আর আমি বাসায় ফিরছিনা। জীবন আজ থেকে অন্যরকম হবে। দুজনে এখানেই একটা রেস্টুরেন্টে বিফ বার্গার আর কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে লাঞ্চ সেরে নিলো। শিহাব শায়লাকে নিয়ে ভাবছে। এখন কি তবে শায়লাকে অফিসে নিয়ে যাবে নাকি ওর নিজের ফ্ল্যাটে  রেখে আসবে?কিন্তু বাসায় শায়লা একা একা কি করবে ? শিহাবের আজ অফিসে বেশ কিছু জরুরী কাজ আছে।অফিস থেকে বেরুতে  রাত হয়ে যাবে।এতক্ষন শায়লাকে অফিসে বসিয়ে রাখাও খুব একটা ভালো দেখাবে না। কি করা যায় ? ভাবতেই শায়লা শিহাবের মুখভঙ্গি যেন পড়ে নিলো।শিহাব কি ন

মমতা রায় চৌধুরী ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪৪

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৪৪ পাল তুলেছে খুশির হাওয়া মমতা রায় চৌধুরী মনোজ চোখ বুঝে আছে কিন্তু মন বোঝেনি। আজকে অফিস যেতে ভালো লাগছে না। সকাল থেকেই মেজাজটা কেমন খাটটা হয়ে গেছে। রেখার উপর অকারনে চিৎকার ,চেঁচামেচি করলো। সারাদিন এর রেশ থেকে যাবে। রেখার হিম শীতল উত্তরটা অনেকটা ট্রেনে অন্যমনস্ক যাত্রী বসে থাকলে হঠাৎ করে হুইসেল বেজে গেলে যেরকম হয়, ঠিক সে রকম জোরে ধাক্কা দেয়ার মত। এদিকে সুরোদের বাড়িতে সত্যিই যাওয়ার দরকার যা ক্ষেপে আছে রেখা। সত্যিই তো, ওর তো কোন দোষ ছিল না।। আমার যে মাথাটা কেন মাঝে মাঝে এরকম হয় নিজেই বুঝে উঠতে পারছি না। এক্ষুনি স্কুলে বেরিয়ে যাবে ।একবার বলব গিয়ে। রেখা তখন স্কুলের জন্য রেডি হচ্ছে । মনোজ দরজায় নক করল। রেখা শাড়ির কুচি ঠিক করতে করতে আড় চোখে  তাকিয়ে দেখল মনোজ কিছু বলল না। তারপর পিনাপটা ঠিকঠাক করে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের কাছে গিয়ে চুলটা আচড়ে ক্লেচার লাগিয়ে নিল, সিঁদুর পরে নিল।  তখন ও মনোজ দাঁড়িয়ে দরজার কাছে ।মনোজ একটু হালকা কেশে নিল মনোজের অস্তিত্বটাকে বোঝানোর জন্য । রেখা সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছে। মনোজ খেয়াল করল রেখা মোটামুটি রেডি হয়ে গেছে ।এখন ব্য

শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা "মদের   জগৎ"

ছবি
মদের   জগৎ শিবনাথ মণ্ডল ধন‍্য,ধন‍্য মদ তুমি তোমার কেন বদনাম চিরকাল মাতালের বাঁচাও তুমি প্রাণ। মদ খায়না এ জগতে ক'জন মানুষ আছে মদ খাওয়ার কত গুণ মাতাল শুধু বোঝে। পূজোবাড়ি বিয়েবাড়ি  মদের সম্মান কত দেশিমদ বিলাতিমদ নাম আছে যত। রাস্তা দিয়ে কত মাতাল টলতে টলতে চলে মুখে আসা কথা গুলো আপন মনে বলে। মদের মধ‍্যে কি'যে যাদু ধরলে ছাড়েনা সংসারে অশান্তি বাড়ায় শান্তি থাকেনা। ছেলে বুড়ো সবাই এখন মদকে ভালোবাসে  বারোমাসে তেরপাব্বন আছে প্রতিমাসে।।

Yhg6

LOVE

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন   অলিখিত শর্ত (পর্ব ৭৯) শামীমা আহমেদ  শিহাবের অফিস এসিস্ট্যান্ট কবির অফিস রুমের বাইরেই ছিল। শিহাব কবিরকে ডেকে জানিয়ে দিলো, আমি আর শায়লা  ম্যাডাম একটু বাইরে যাচ্ছি। আমি আবার অফিসে ফিরবো। তুমি লাঞ্চ করে রেস্ট  নিয়ে নিও। কবির সব নির্দেশনা মন দিয়ে শুনে নিলো। শিহাব শায়লাকে নিয়ে বেরুতে যেতেই শায়লা কিছু একটা বলতে উদ্যত হলো। শিহাব তা শুনবার জন্য থামলো।শায়লার কাছে জানতে চাইলো,শায়লা কিছু বলবে ? শায়লা হ্যাঁ সূচক অভিব্যক্তি দিয়ে জানালো,  একটু রাহাতকে জানিয়ে যেতে হবে।আসলে আমি খুব অল্প সময়ের  কথা বলে বাইরে এসেছি।রাহাতের সাথে একটু কথা বলতে হবে। শিহাব  তৎক্ষণাৎ তা মেনে নিলো এবং বললো, অবশ্যই, এখুনি কল করে জানিয়ে দাও। কিন্তু শায়লা চাইছে শিহাব নিজেই যেন তা জানায়। শিহাব খুব সহজেই তা মেনে নিলো। নিজের মোবাইল বের করে রাহাতকে কল করলো।  হয়তো  রাহাত বিজি ছিলো। দুবার কল করাতে রাহাত তা রিসিভ করলো। ভেতরে ভেতরে রাহাত একটু ভয়ই পেলো। কি জানি কি শুনবে! কেন শিহাবের কল ! শিহাব বেশ স্পষ্ট করেই বললো, রাহাত, তোমার আপুকে নিয়ে আমি একটু বাইরে যাচ্ছি।আমাদের কিছু জরুরী কথা আছে। তোমার আপুর ফিরত

কবি মনি জামান এর কবিতা "মুক্তির আহবান "

ছবি
মুক্তির আহবান  মনি জামান একটা কষ্ট সদ্য ফোটা মেয়েটার শরীরটা আবৃত্ত করে, থমকে দাঁড়ায় সময় বোঝে না পুরুষ  প্রেম কি। কখনো জানতে চাইনা বুঝতে চাইনা মেয়েটার মন, শকুন চোখ গুরু দক্ষীণা দাও। চঞ্চল ঝর্ণাকলম মেয়েটার  সংসার ভাঙ্গে, নিরব অভিমানে ভঙ্গুর সূর্যটা হয়  আলোহীন। ফুঁসে ওঠে ঘৃণা কম্পিত বুক,  হৃদপিণ্ডে ফোঁটে বঞ্চনার রক্ত  গোলাপ, জীবন হিসেব চুকায় বিবাহ নির্যাতনে, নিরবে ঝরে নারী মুক্তির আহ্বান!!

কবি শাহীন রহমান এর কবিতা "শত জনমের সাধ"

ছবি
শত জনমের সাধ শাহীন রহমান "সজল নয়ন ভিজিলো সখা,তোমার প্রণয় পরশ পেয়ে,  দূরের বনে হাজারো পাপিয়া,মধুর সুরে উঠিলো গেয়ে।  প্রিয়তমোহে তব ছোঁয়াতে,ভরিয়া উঠিলো ফুলের বীথি, বিরহীনি বঁধু কাঁকই টানিয়া,বাঁধিয়া নিলো আপন সিথী। বাসরে দোসর হও হে সখা,দোঁহে মিলিবো একই সাথে,  উঠোনে পাতা কুসুম মাদুর,মেঘলা মেদুর শাওন রাতে।  হিমেল চাদরে আদর মাখিয়ে,গাহিব দুজন প্রণয় গীতি হংসমিথুন আদরে সোহাগে,যেমন করিয়া জানাই প্রীতি।    শত জনমের বাসনা টুকু,বাসরে সাজুক ফুলের সাজে, বেনারসিতে ঘোমটা জড়িয়ে,থাকিব বসে গভীর লাজে। হারানো সাথী খুঁজে ফেরে জোড়,হারিয়েছে কোন বাঁকে,  বিরহীনি কোন বেজোড় পাখি,গান গাইবে কদম শাখে। শত জনমের কামনা আমার, পুরোন হবে গো জানি,  বনে ফুটিবে কদম,হাসিবে কেয়া,সাজাবে বাসর খানি। দূরে লক্ষীপ্যাঁচার ডাক শুনে আজ শিহরিত হবো প্রিয়,  ভালোবেসে স্বামী গভীর আবেশে, বক্ষে টানিয়া নিও।

কবি শহিদ মিয়া বাহার এর কবিতা "কবির কারাদন্ড"

ছবি
কবির কারাদন্ড শহিদ মিয়া বাহার আপনি কবি ? কবিতা লিখেন ?  তাহলে আপনি কিছুই করেন না না উৎপাদন, না উন্নয়ন  রাত্রি খনন করে কেবল কবিতার শৈল-তরঙ্গে ডুবিয়ে রাখেন শব্দকূপের জল , তীব্র বোধের প্রনালীতে কোন উলম্ব ভুমিকা নেই আপনার জিডিপির ডাটা শিট জুড়ে; স্বত:সিদ্ধ অথবা প্রামানিক কোন শহর কিংবা রাষ্ট্রের ! এক শুন‍্য থেকে অন‍্য এক শুন‍্যের গোলকে  আটকে আছে আপনার নিজস্ব জিডিপি ! স্ফিত লিষ্ট নিয়ে আপনি বাজারে যান ওখানে আগুনের ভস্ম ওড়ে ওড়ে পরিশ্রম, বাষ্পীভূত  ঘামের সাথে ! ফিরে আসেন অর্ধভরাট থলের নমিত হাহাকার নিয়ে   বগলের পেশিতে গোঙ্গানো অবসাদ আপনার যে যুবক সন্তান একদিন জড়োয়া দু:খগুলো ছুঁড়ে দেয়েছিল কর্ণফুলির ঘাটে   তার খোঁচা খোঁচা দাড়ির ভাঁজে এখন পুড়ছে শুকিয়ে যাওয়া দীর্ঘশ্বাসের মাঠ ! কারন আপনি কবি আপনি কবিতা লেখেন! কবি-আপনি খুনি কলমের ট্রিগার টিপে টিপে  রাত ভর খুন করেন স্ত্রীর চন্দ্রতোয়া আফ্রোদিতি আকাশ দিবালোকে পুরনো আলমিরার জমানো অলংকার,    কাঁঠালিচাপার ঘ্রাণ আর লাউডুগির মত বেড়ে ওঠা ফ্রেমবাধা তেল-নুনের পাললিক সংসার ! আপনার কারাদন্ড আপনিই লিখেন কবি যাবতজ্জ্বীবন কবিতার শেলে শেলে নিমগ্ন কারাগার  কারন আপনি কবি

মমতা রায় চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৪৩ ব্যস্ততা মমতা রায় চৌধুরী ১৪৩ ১৬.৩.২২ রাত্রি ৯.৩৫ মাধুর কাজের চাপে নাজেহাল অবস্থা। ফুল পিসি তো চেঁচিয়ে মাথা খারাপ করে দিল। 'আরে শিখার আইবুড়ো কখন হবে কোথায় হবে আইবুড়োভাত?' 'এজন্যই বলেছিলাম আমাদের বাড়িতে যেতে, সেও গেল না মেয়ে।' ও মাধু, মাধু উ .উ .উ মাধু, আজকে খাওয়াবে কে ওকে?' 'ওদিকে সুরঞ্জন ডাকছে, আরে পার্লারের লোক কখন আসতে বলব,ওরা জানতে চাইছে? মাধু , মাধু .উ.উ.উ' ' তুমি আবার চিৎকার করছো কেন?' ওদিক থেকে বৃষ্টি বলছে 'মাম মাম পিমনি ডাকছে।' তবু একগাল মিষ্টি হাসি হেসে বলল' হ্যাঁ যাই।' এ বাড়িতে মাধুরী ছাড়া সবকিছুই অচল। সুরঞ্জনের কাছে যেতেই ওদিক থেকে আবার শিখা ডাকছে' বৌদিভাই ,বৌদিভাই, বৌদি ভাই। 'হ্যাঁ ,বল শুনছি।' 'দোতালার ব্যালকনি থেকে  শিখা, ভুরু কুঁচকে বলল' তুমি কাছে আসলে তবেই বলবো। জোরে চেঁচিয়ে বলবো না।' মাধু হেসে বলল' এখনও গোপন কথা আমার সঙ্গে?' এখন তো বোঝাপড়ার লোক হয়েছে ।'  পা মেঝেতে ঘষতে ঘষতে শিখা বলল 'বৌদি ভাই তুমি তো জানো আমি কতটা তোমার উপর ডিপেন্ডেন্ট। কিছু জ

কবি তাহের মাহমুদ এর কবিতা "আহা !সমাজ"

ছবি
আহা! সমাজ  তাহের মাহমুদ সমাজ বড় কঠিন জায়গা নষ্টরাই দামী মারহাবা মারহাবা বলে ডাকে বেনামী  অপসংস্কৃতির অপকর্মে সমাজ রসাতলে সংস্কৃতির চর্চা চলে অর্থ-পেশীর বলে মানের জায়গা ধনে খাইলো সমাজপতির ঠাটে পুথিবিদ্যার মানুষগুলো মূর্খের পা চাটে জ্ঞানী বিকায় অল্প টাকায় গুণের কদর নাই মানের বিচার অর্থের কাছে মনের নাই যাচাই চড়া সুদের অর্থে মরে গরীব অসহায় বিনা সুদে ঠক কারবারি ধনী বনে যায় মানবতায় মান নাই আর ধনের হুকুমবাজি নষ্টামিতে ভ্রষ্টাচারী লেবাসধারী কাজী  মানুষ মরে মানুষ মারে খুনে খুনে ক্ষয় চারিদিকে লাশের মিছিল বোধের অবক্ষয়  নেতার ভিড়ে সমাজ ঘিরে দলকানাদের দল পাড়ায় পাড়ায় পাতি নেতায় হট্ট কোলাহল কলি যুগের নষ্ট সমাজ পথভ্রষ্ট পথিক ভুলের মাশুল গুনতে গিয়ে কষ্ট বাড়ে অধিক!

শামীমা আহমেদ  এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৭৮

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৭৮) শামীমা আহমেদ  রাহাতের অনুমতি নিয়ে শায়লা শিহাবের অফিসের উদ্দেশ্যে বেরুনোর জন্য প্রস্তুতি শেষ করলো। শায়লা আজ বাসন্তী আর মেরুন রঙের একটি শাড়ি  পরলো। হাতে শিহাবের দেয়া ব্রেসলেটটি পরে নিলো।  যদিও পার্লারের কথা বলা হয়েছে কিন্তু রুহি খালার বুঝতে অসুবিধা হলো না যে শায়লা আসলে কার সাথে দেখা করতে যাচ্ছে।তাইতো শায়লা বেরুনোর আগে ছোট্ট করে সাবধান বাণী শায়লার কানে ঢেলে দিল। যেখানে যাচ্ছ যাও, তবে মনে রেখো তুমি বিবাহিতা, দুইদিন পর তোমার স্বামী নোমান বাবাজি দেশে আসতেছে। তার মান সম্মানটা রেখো।  শায়লা কথা কয়টি শুনে নীরবে বেরিয়ে গেলো। শিহাব অপেক্ষায় আছে, শায়লা দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নেমে মেইন গেট পেরিয়ে  একটা রিকশা ডাক দিলো। সাত নম্বর সেক্টর থেকে কুশল সেন্টার খুব একটা দূরে নয়। শায়লা দশ মিনিটেই পৌঁছে গেলো। রিকশা থেকে নেমে শায়লা শিহাবকে কল দিলো।শিহাব জানালো,লিফটের আট প্রেস করে চলে আসো।আমি এখানেই আছি।  অফিস পাড়ায় কোন মহিলার আগমনে লোকজন উৎসুক হয়ে উঠে। চারদিকে সবার নানারকম দৃষ্টি। শায়লা সবকিছু উপেক্ষা করে লিফটে উঠলো। নিজের গা বাঁচিয়ে লিফটে দাঁড়ালো।  আটতলায় আস

Hvk

LOVE

Hgj

LOVE

Nnn

LOVE

মমতা রায়চৌধুরীর ধরাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪২

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৪২ আনমনে বিয়ে বাড়ি মমতা রায়চৌধুরী ঘরটা কেমন গুমোট লাগছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে কল্যাণের কল্যাণের। খোলা জায়গায় যেতে পারলে খুব ভালো হতো, এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না ।সানাইয়ের সুরে আনন্দের বন্যায় ভেসে যাওয়ার কথা ছিল। এই দিনটার জন্যই  চির আকাঙ্খিত ছিল মন প্রাণ । যে দিনটার প্রত্যাশায় এতগুলো দিন গুনেছে। অথচ কেমন যেন একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে ভেতরে ভেতরে। কল্যান ভাবছে 'তবে কি  শিখাকে চায় নি? এখনও কি মনে মনে   প্রভাকেই চায়। এরপর  পাগল হয়ে যাবে। অথচ প্রভা ও তার জীবনটাকে নিয়ে খেলেছে ।বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে নি। যে দুরন্ত ঝরনার বেগে এসেছিল। সেই গতিতে কল্যান ও ভেসে গেছিল। আজকে কেন এসব কথা মনে করছে, এটা তো একদমই ঠিক হচ্ছে না। বিয়ের পরপরই যেতে হবে চেন্নাই ।ফ্লাইট এর টিকিট কাটা হয়ে গেছে। গলাটার কিছু একটা ব্যবস্থা তো করতেই হবে। ঘরেতে মন টিকছে না। বিকেল বেলায় ছাদে পায়চারি করে আসি। সারা বাড়ীতে লোকজন ভর্তি কোথাও একটু একা থাকার উপায় নেই ।আজকে বড্ড একা থাকতে ইচ্ছে করছে। এই কথা ভাবতে ভাবতে কল্যাণ তরতর করে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছে এমন সময় সরজু বলল"আরে এই সময় কো

কবি ইকবাল বাহার সুহেল এর কবিতা "ইলাময় প্রমের ডায়েরি থেকে" 

ছবি
ইলাময় প্রমের ডায়েরি থেকে   ইকবাল বাহার সুহেল  ( ইংল্যান্ড )  ‘চন্দ্র কথা’ কি জানি  হঠাৎই কাল রাতে জানি না কেনো নিজের ছায়া পড়লো চাঁদের উপর  বিগলিত তুমি রাতের গভীরে আমন্ত্রণ জানালে ‘চন্দ্র কথা’ তোমার জোস্না পাণে কেনো জানি ,জানি না ‘শরাবী হলাম’ বললে পাণিগ্রহণ করে যেনও হাত রাখি বুকে   জড়িয়ে গেলে মাতাল করে চুষে চুষে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলে , ‘চন্দ্র কথা’ নদীতে জল ছিল অনেক তবুও আবদার করলে জল ঢেলে ভরিয়ে দিতে তাই হলো ঝরণার জল নদীতে মিশে কখন যে সাগরে মিশে গেলো বলতে পারি না !

কবি মোঃ ইসমাঈল এর কবিতা "মা"

ছবি
মা  মোঃ ইসমাঈল   মা শব্দটির মধ্যে জড়িয়ে আছে পৃথিবীর সকল সুখ জীবনের সকল ঝড় -ঝামেলা যায় যে ভুলে দেখলে মায়ের মুখ।  মা মানেই সন্তানদের জন্য বিশাল এক বটবৃক্ষ যেখানে আছে প্রশান্তির ছায়া,  মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমালে চলে যায় সারাদিনের ক্লান্তি।  মা মানেই নতুন স্বপ্নের আশা বিধাতার কি বন্ধন মা-সন্তানের ভালোবাসা। যে সম্পর্কে নেই কোনো চাওয়া- পাওয়া।  দশ মাস আর দশ দিন কতনা কষ্ট সহ্য করে রেখেছিলেন গর্ভে, কি আছে প্রাপ্তি আর কি আছে অর্জন, এত বেদনা সহ্য করার ?  প্রাপ্তি যে শুধুই ঐ টুকু সন্তানের মুখ থেকে ডাকটা শোনার।  কতনা কষ্টে লালন করে বড় করে সন্তানদের জীবনকে উৎসর্গ করে দেন সন্তানদের জন্য নিজেদের। নিজে সয়ে যান সকল বেদনা, লাঞ্চনা, দুঃখ, কষ্ট সন্তানদের জন্য সন্তানের কিছু হলে হোন দিশেহারা।  নিজে না খেয়ে খাওয়ায় সন্তানদের সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে গড়ে তুলেন সুন্দর জীবন আমাদের। মা প্রত্যেক সন্তানের কাছেই মহান মায়েদের দোয়ায় প্রত্যেক সন্তান মহীতে আজ মহীয়ান।

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা ""বদেহ

ছবি
শবদেহ সেলিম সেখ বাতাসে মিশে গেছে পোড়া লাশের গন্ধ, বুদ্ধিজীবীরা চুপ কেনো হয়েছে কি তারা অন্ধ? চারিদিকে খুনোখুনির রাজ  চলছে বাংলার বুকে, শান্তির এই বাংলায় অশান্তি গেছে ঢুকে। বাংলার মানুষ দেখল অগ্নিদগ্ধ কত শব, চোখেতে অশ্রু মোর জমেছে অনেক ক্ষোভ। ঘৃণ্য রাজনীতির বলি তরতাজা কত প্রাণ, এমন দৃশ্য দেখল দেশ থাকল কি রাজ্যের মান। রাজনীতির করালগ্রাস আনছে ডেকে মরণ, একে অন্যের নিচ্ছে প্রাণ এটাই কি রাজনীতি ধরন?  কত যন্ত্রণায় গিয়েছে প্রাণ ভাবলে কষ্ট হয়, করছে যারা এমন কাজ তারা কি মানুষ নয়! মানব হয়ে মানব হত্যা কত যে ঘৃণ্য কাজ, বুঝলে এমন পাপে  লিপ্ত হত না আজ।  রাজনীতি হোক শান্তি প্রিয় ঝরুক শান্তিধারা,  জাগ্রত হোক মানবপ্রেম কেউ যাবেনা মারা।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৭৭

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৭৭) শামীমা আহমেদ  অফিসে নিজ রুমে পৌঁছাতে  শিহাবের প্রায় সকাল এগারোটা বেজে গেলো। শিহাব দ্রুতই তার মেইল চেক করতে বসে গেলো। গতকাল বেশ কিছু বায়ার ফ্যাক্টরী পরিদর্শন শেষে  মেইলে তাদের মতামত জানাবে বলে বিদায় নিয়েছে।আর এর সাথে শিহাবের ফ্যাক্টরির  জন্য অনেক অর্ডার প্লেস হওয়াও জড়িত। শিহাবের সর্বাত্মক চেষ্টা ছিল তাদের স্যাটিসফাই করার। দেখা যাক,তাদের কেমন রেস্পন্স আসে। তবে এখনো কোন মেইল ইন করেনি। শিহাব অপেক্ষায় রইল। কবির এসে নাস্তার কথা জেনে গেলো। শিহাব নান রুটি আর বুটের ডাল আনতে বলে একটু রিল্যাক্স ভঙ্গিতে  চেয়ারে গা এলিয়ে দিলো। শিহাব নিজের জীবনের সবকিছু খুব গভীরভাবে ভাবছে। শায়লা  আর রিশতিনা, অতীত আর বর্তমানের মাঝে শিহাব নিজেকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে। এই একার জীবনের অবসান ঘটাতে চাইছে। নাস্তা আনার আগে কবিরকে এক কাপ কফি দিয়ে যেতে বললো। কবির কফি রেডি করে সামনে দিতেই শিহাব জানতে চাইলো, আচ্ছা কবির তুমি কি আমাকে বলবে জীবনটা কি সহজ না জটিল ? মাঝে মাঝেই শিহাব কবিরের কাছে এমন ভাবনার কথাগুলোর মতামত নেয়। শিহাব জানে,যারা স্বল্প আয়ের মানুষ  তাদের

কবি নাসিমা মিশু এর কবিতা "ভালোবাসি"

ছবি
ভালবাসি নাসিমা মিশু ভালবাসি- তোমার তুমির তুমিকে। ভালবাসি- তব না দেখা বিস্মৃতির অতলের তলে  ডুবে থাকা তোমাকে দেখব বলে । ভালোবাসি-  তব জীবন ধারায় অন্য সুরের মূর্ছনা এসে  সুখ সুধায় তোমাকে জড়িয়ে নিবে তাতে নয়ন  জুড়িয়ে নিব বলে । ভালোবাসি-  তোমার তুমিকে নিয়ে দারাপরিবার সহ সুখ বাসরে  স্থুত তা দেখে তৃপ্ত হবো বলে । ভালোবাসি-  তব সকল আনন্দ ধারায়  আনন্দে তুষ্ট হবো বলে । ভালোবাসি-  তব জীবনীশক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে পৃথিবী আলোকিত  হবে তার দিপ্তী দেখব বলে । ভালোবাসি-  তোমার তুমি তোমরা সুখী গৃহবাসী তার বিচ্ছুরিত বিকশিত বিকিরণ দেখব বলে।  ভালোবাসি-  তব ভালো লাগায় ভালোবাসাসম মানস সৌন্দর্যের  পরিপূর্ণতার পরিস্ফুটন দেখব বলে । ভালোবাসি-  তব অন্ত গহীন হৃদয়ের অব্যক্ত যে আবেগ তার দরদী  গভীরতায় কতটা গভীর তা অনুভব করব বলে । ভালোবাসি-  তব দেখার যে মমতা মাখা দৃষ্টি আমার তাতে শুধু  ভালোবাসার অনুভবই অনুভূত হবে বলে । এ নয় বাড়াবাড়ি,  এ পরিশুদ্ধ পরিচ্ছন্ন স্বচ্ছ এক আবেগ । এক অস্তগামী অদৃশ্য মানবের আকুতি ।

কবি আমিনা তাবাসসুম এর কবিতা

ছবি
অথচ রৌদ্রের ঘ্রাণ  আমিনা তাবাসসুম  খুবলে খুবলে স্বপ্ন খাও তুমি বাতাসের চিৎকার ফুলের চিৎকার হরিণীর চিৎকার আগুনের আঁচে চেটেপুটে রোদ শুষে  রোজ এখানে রূপের রহস্য রাঙা কই মাছ এবং সমস্ত পৃথিবীর প্রাণে          সেসবের ঘ্রাণ লেগে থাকে রাত কেঁদে ওঠলে ঈশ্বর ভুলে যান ইরা এবং ইরকের কথা তখনও আমার চোখে অশ্রু থাকে আর এখনও সেসব          মিশে আছে চোখের চুমুকে

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪১

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৪১ অন্য পৃথিবীর স্বপ্ন মমতা রায়চৌধুরী সাতসকালে কলিং বেল বাজছে ''জয় রাধা মাধব জয় রাধা মাধব।" রেখা বাথরুমে থেকে কলিংবেলের আওয়াজ পাচ্ছে কিন্তু বের হতে পারছে না ,বেরোনোর কন্ডিশন নেই। আবার বাজছে' জয় রাধা মাধব, জয় রাধা মাধব ,জয় রাধা মাধব।' রেখা ল্যাট্রিনের কলটা ফ্ল্যাশ করার পর তাড়াতাড়ি হাত পা ভালো করে ধুয়ে ছুটল দরজা খোলার জন্য। রেখা মনে মনে বলল যেন যমরাজ নিতে  আসলেও এ সংসারে কাজের জন্য আবার ফেরত আসতে হবে। দরজা খুলেই তো রেখা অবাক  'একি মাসি ,তুমি ভোর পাঁচটায় এসে হাজির।' মাসির চোখ মুখ শুকনো লাগছে, কিছু কি  হয়েছে ?মনে মনে ভাবছে রেখা। 'আর বোলো না বৌমা ,আমার ছাগলটা বাচ্চা দিতে গিয়ে কি কষ্ট পাচ্ছে বাচ্চা বের করতে পারছি না।' মাসির চোখ দুটো জলে ভিজে গেল কথা বলতে বলতে। সেকি মাসি? তাই একটু তাড়াতাড়ি আসলাম কাজগুলো  করে দিয়ে চলে যাব। 'তুমি ডাক্তারের কাছে যাও ।তোমাকে আজকে কাজ করতে হবে না।' ' মাসি কেমন অবাক হয়ে রেখার দিকে তাকিয়ে থাকলো। তারপর আর যেন চোখের জল  বাগ  মানলো না। 'কি বলছো বৌমা ,কাজ না করে চলে যাব?' &#