কুকুরটা দেবব্রত সরকার হালকা শীত। থোকা থোকা কোয়াশার ঝাঁক। মাঝে মাঝে দলা পাকিয়ে ভাসছে। রাস্তায় লোকেদের আনাগোনা কম। ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকাতেই দেখি সাতটা। তাড়াহুড়ো করে শরীরে জামাটা গলিয়ে ঘরের দরজায় তালা ঝোলাতেই কয়েকটি কুকুরের বাচ্চা সাথে তাদের মা, আমার চারপাশে এসে কুঁ কুঁ, কেউ-কেউ শুরু করে দিয়ে ল্যাজ নাড়ছে। তাদের দিকে অশ্রুপূর্ণ নজর রেখে সোজা হ্যান্ডেল সাইকেলটাই চরে বসি। একশো মিটার দূরত্ব পর্যন্ত কুকুরের বাচ্চাগুলো আমার সাইকেলের পিছন পিছন ছুটে আসে। এটা এখন নিত্য দিনের ঘটনা। বহরমপুর গোরাবাজার নিমতলায় দাঁড়িয়ে ‘অমি’কে একটা ফোন করি। তৎক্ষণাৎ অমি তার মেস ছেড়ে একটি ক্যারিব্যাগ হাতে নিয়ে এগিয়ে আসে। শীতের সন্ধ্যা। অমি'র গায়ে একটি চাদর। আমি কেবল মাত্র ফুলপ্যান্ট আর একটি কমদামি টেরিভয়েলের জামা পড়েই চলে এসেছি। চারদিকে ঘন অন্ধকার। শীতের কুয়াশার দল আমাদের দু'জনকে আহ্বান করছে ঠোঁটে ঠোঁট মিলতে। লাইটপোস্টের আলোগুলো বেজায় জোর। সদ্য ভেপারের বাল্ব পরিবর্তন করে গেছেন স্থানীয় পুরসভার কর্মী। অমি আর আমি দু'জনে গল্প করতে করতে এগিয়ে গিয়ে ভাগীরথীর ধারে ছাতিম গাছের নীচে সান বাঁধা
পোস্টগুলি
জানুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
শ্রীমতী সুপর্ণা চ্যাটার্জী'র মুক্ত্যগদ্য
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
অতিমারির ইতি শ্রীমতী সুপর্ণা চ্যাটার্জী শৈ শব,কৈশোর ও যৌবন পেড়িয়ে যখন অবসরের প্রাক্কালে তখন এক ভয়ংকর অতিমারি ‘করোনা ভাইরাস’ এর আবির্ভাবে কোভিডের স্বীকার আমরা সবাই।।সারা বিশ্ব আজ জর্জরিত। গবেষণা করে জানা গেছে এ এক ভাইরাসজনিত অসুখ।পৃথিবীর জনংখ্যা কমানোর জন্য এ এক আধুনিক ব্যবস্থা বিশ্বের সবকটি স্বাস্থ্যসংস্থার যৌথ উদ্যোগে।আজ প্রায় দুবছর যাবৎএই মারণ রোগের কবলে ধনী দরিদ্র সকলে। সারা পৃথিবীতে বিপুল সংখ্যক মানুষের সংখ্যা হ্রাস পেতে পেতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ আজ অসহায় ও মৃত্যুমুখী।কে কাকে দেখবে। এর আবার তিনটি ভেউ।প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে হারাতে হলো কত প্রিয়জনকে সারা বিশ্ব জুরে। আর এখন যখন তৃতীয় ঢেউ চলছে তখন আবার সেই একই আতঙ্ক সকলের চোখে মুখে। বহু গেষণাও এর উৎস সন্ধানে ব্যর্থ। তবে উপায় একমাএ লকডাউন। কিন্তু তাতে সারা দেশের অর্থনীতিতো একেবারেই ভেঙে পড়ছিল। এমতাবস্থায় মানুষ মরিয়া হয়ে উঠল। সকল বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে কিছু অসচেতন মানূষ সম্পূর্ণ পঙ্গু করে ফেলল। তাই সরকারি ও বেসরকারি তরফে প্রচার শুরুহলো এ রোগের চিকিৎসা বাড়িতে থ
কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
আমাদের কোন বসন্ত নেই রুকসানা রহমান আজ বসন্তেরজোয়ারে হলুূূদ আর লাল আবিরের প্রজাপতির ঢেউএর মিছিল শহর ময়। আর ঐ -ফুটপাতের মেয়েটি মাকে বললো ওরা একটা ফুল দিলোনাগো মা। মাথায় হাত রেখে বলে -ঐদিকে তাকিওনা,এই যে দেখছো আকাশ সেই ছাদের নীচে ধুলো মাটি আবর্জনা আমরা আমাদের আকাশের রঙ নেই,স্বপ্ন নেই। ওদের সাথে আকাশ আর মাটির মতন দুরন্ত ঐযে চাঁদ, ওটা ও ফ্যাকাসে আত্মার আলো নেই। এই শহরের, ঝলমলে রাতের শহর ও অন্ধকার ঐযে দেখছো, ভদ্রলোক যারা আমাদের ঘৃণা করে ওরাই রাতের আঁধারে নারী খেকো হায়না।কখন যে তোকে আমাকে ছিঁড়ে খাবে তাও জানিনা। আমাদের সম্বল শুধু নিংশ্বাস। তাই আমাদের জীবনে কোন বসন্ত কোনদিন আসবেনা।
কবি মীরা সুলতানা'র কাবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
আধখান শশ মীরা সুলতানা দিগন্তে বালিয়ারীতে হেঁটে যায় সতর্ক পা চোরাবালির নিমগ্ন হাতছানি দিগন্ত জোড়া সৌরকিরন ভরে রাখে বুক পকেটে আহ্লাদী জ্যোৎস্নায় গা ভাসিয়ে কেউটেরা আনন্দ খুঁজে! একাকী রাতের প্রহর তাঁরা অবিচল স্তব্ধতায় খাবি খায় ষোড়শী ঢল! সামুদ্রিক ফেনা রাশির ধেয়ে আসা ঘাম শুদ্ধতার প্রমান নিয়ে এলো নীল খাম। মায়াবী আকাশের ভেজা ঠিকানায় আদ্রতা শুষে নেয়া ডাকপিয়ন, নিমিষে পৌছায়; মধ্য বয়সী নারীর হৃৎপিন্ডে বুলেট বিঁধে কাঁপে থরথর , করতলে ধীর পায়ে হেঁটে চলে কুয়াশা যাযাবর। পৃথিবীর বুক ঘেষে বয়ে চলা এক সরীসৃপ পাল, কস্মিন কাল ছুঁয়ে বয়ে আসে এক অতীত মহাকাল! কেউটেরা স্বর্বেস্বর্বা সর্ব জ্ঞানী, মহাঋষী আঙ্গুলের ফাঁক গলে উঁকি মারে আধখান শশী ।
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
উপন্যাস টানাপোড়ে ন৯৮ দুঃসহ আঠারো বছর মমতা রায়চৌধুরী নদী অনেকক্ষণ একদৃষ্টিতে মায়ের কেবিনের দিকে তাকিয়েছিল, কখন ডাক্তারবাবু বেরোবেন একটা মনের ভেতরে অশান্ত উদগ্রীব কাজ করছিল । তবে যাই করে থাকুন না কেন মায়ের এই কন্ডিশনে উনি তো পাশে আছেন ।আজকে আর কোনো বিরক্তি, ঘৃণা কিছুই নেই ,লোকটার প্রতি ।আজকে শুধু মনের ভেতরে একটাই প্রতিক্রিয়া তার মায়ের সুস্থ হওয়া। হঠাৎই ডাক্তারবাবুর কথা কানে আসলো মিস্টার মালহোত্রা জিজ্ঞেস করলেন 'কী বুঝছেন ডাক্তারবাবু?' ডাক্তারবাবু বললেন 'আপনাদের তো আগেও বলেছিলাম যে ঠিক আছে, উনাকে এখন টেনশন মুক্ত রাখুন ।কোন অবস্থাতেই যেন কোনো টেনশন না কাজ করে ,হাসি খুশিতে রাখুন আর আমরা তো নার্সিংহোমে রয়েছি..।' মিস্টার মালহোত্রা বললেন ' এবার কী আমরা ভেতরে ঢুকতে পারি?' ডাক্তারবাবু বললেন 'অবশ্যই পারেন তবে এক সঙ্গে কেউ জটলা করবেন না?' মালহোত্রা বলেন' থ্যাংক ইউ ডাক্তারবাবু।' মিস্টার মালহোত্রা ডাক্তার বাবুর সঙ্গে কথা বলার পর প্রথমে তিনিই এগোতে লাগলেন মায়ের কেবিনের দিকে। নদী সব দেখতে লাগল। কিন্তু আজ যেন নদী প্রতিবাদ করতে পারলো না ।নদীর প্রত
মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল মনি জামান (পর্ব ছয়) আজ সকাল থেকেই যেন মেঘের আনা গোনা গোটা আকাশ জুড়ে,নিলয় মেবিন আর চারু সকালের নাস্তা সেরে নিয়েছে। চারু ড্রাইভার কে ফোন করলো গাড়ি বের করতে,তারপর মেবিন ও নিলয়কে গুছিয়ে নিতে বলে চারু নিজের রূমে চলে গেল।একটু পরে ওরা তিনজন নিচে নেমে এলো ড্রাইভার অপেক্ষা করছিল ওরা এলে গাড়ির দরজা খুলে দিলো সবাই গাড়িতে উঠে সীটে বসে বেল্ট পরলো,ড্রাইভারঃ আপুমনি কোথায় যাবেন, চারুঃ মার্কেটে যাব। গাড়ি স্টার্ট হলো এবার চলতে শুরু করল প্রায় বিশ মিনিট পর গাড়ি মার্কেটে এসে পৌছাল,নিলয় মেবিন আর চারু গাড়ি থেকে নেমে চারুঃ নিলয় এসো ভিতরে ওরা মার্কেটের ভিতরে একটি দোকানে গিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনলো তারপর বাইরে বেরিয়ে এলো তিনজন, তখন আকাশ মেঘে অন্ধকার হয়ে আছে মাঝে মাঝে বিকট গর্জন করছে আকাশ। চারুঃ মেবিন আকাশের অবস্থা খুব খারাপ চল তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরি, মেবিনঃ চল ঝড় বৃষ্টি হতে পারে,আকাশের অবস্থা খারাপ দেখে ওরা সবাই গাড়িতে উঠে বসলো,ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিল আধাঘণ্টা পর ওরা বাসায় ফিরে এলো।তখন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে বিদ্যুত্ চমকাচ্ছে আর বিকট শব্দে বজ্রপাত হচ্ছে।বাসায় এ
কবি তাহমিনা সিদ্দিকা ' র কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
প্রেম বিভ্রাট তাহমিনা সিদ্দিকা শব্দের হাটে অপূর্ব তুমি, দু'চোখের বিভ্রাট হয়তো ভুল ছিল আমার। চাঁদকে ভেবেছি আমার দেবতা, কিন্তু উপমার সব শব্দ অভিধান শূন্য। আকাশ গগনে দেখি প্রিয়তমার মুখ,ভাবনার তরীতে বড় অদ্ভূত। শব্দ বিশেষণে ধৃষ্ঠতা আমার, কবিতার খাতা আজ যেন সব ফাকা। অদ্ভূত সুন্দর ঐ দুটি চোখ,বাহুলতায় পেলবতা মধু মাখা মুখ। ঝিরি ঝিরি বাতাস অপূর্ব দুলুনি,শব্দ বিভ্রাট আজ সব কবিতার খাতা। চঞ্চলতায় অগ্নি পুরুষ, ভিরু ভিরু মনে যেন জ্বলে কামনার আগুন। অসহনীয় করে রাত্রি দিন, কালপুরুষ সে। চোখে প্রেম তার প্রেম, অপূর্ব আহবানে সে আমায় ডাকে বারে বারে। শব্দ হাটে সব শব্দ বিভ্রাট, যেন কবিতার সব উপমার আকাল, আশার রথে কবিতা আজ সব ফাকা। প্রেম খোঁজে শব্দের হাটে, প্রেম বিভ্রাটে।
শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৫৬
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ৫৬) শামীমা আহমেদ উত্তরা থেকে একঘন্টার মধ্যেই উবার জিগাতলায় পৌছে গেলো।শিহাব উবারের ভাড়া চুকিয়ে শায়লাকে নিয়ে তাদের বাড়ির গেটে নামল। দুজনেই গাড়ি থেকে নামলো।শিহাব দেখলো সবুজ শাড়িতে শায়লাকে খুব সুন্দর লাগছে। শায়লা তাকিয়ে দেখলো বাড়ির গেটটি বেশ বড় আর খুব সুন্দর! শায়লার প্রথমেই ভালো লেগে গেলো। উপরে তাকাতেই দেখলো দক্ষিনমুখী চারতলা বাড়ির সামনের বারান্দা।শিহাব তাকে এগিয়ে নিলো। শিহাব দরজায় নক করতেই বাড়ির কেয়ার টেকার রুহুল আমিন দরজা খুলে দিলো। শিহাব শায়লাকে রুহুল আমিনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। আজ অনেক বছর যাবৎ রুহুল আমিন চাচা আমাদের বাড়িতে।সেই আমাদের ছোটবেলা থেকে।আমাদের বিল্ডিং এর পিছনের যায়গায় তার ফ্যামিলি নিয়ে থাকে।মা ওদের ঘর তুলে দিয়েছে। শায়লা খুব মনযোগ দিয়ে শিহাবের কথা শুনছিল। শায়লাকে দেখে রুহুল আমিনের চোখে মুখে বিস্ময় ফুটে উঠেছে! কিন্তু তেমন একটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ নেই একেবারে! রুহুল আমিনকে উদ্দেশ্য করে শিহাব বললো, চাচা ও শায়লা।আজ আমাদের সাথে সারাদিন বেড়াবে। চাচা মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মতি প্রকাশ করলো। শিহাব শায়লার হাত ধরে বাড়ির ভিতরে সিঁড়ির কাছে নিয়ে গেলো।জান
কবি সালমা খান এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
অধরা সালমা খান তুমি যদি হও নদী তোমার স্রোতের ধারায় চলবে আমার গতি দুকূল ভেঙে যায় যদি, তবু ও চলবো নিরবধি । তুমি যদি হও শিশির বিন্দু ভোরের আলোয় চুষে নেব তোমার অশ্রু বিন্দু । ধুলাঝরা কুয়াশায় খেলবে রোদের পাতা মনের গহীনে লুকিয়ে রাখি বুক ভরা সব ব্যথা । যদি হও বৃক্ষ ,আমার নিঃশ্বাসে তোমার নির্যাস । তোমার সবুজ পাতায় জমানো রয়েছে আমার দীর্ঘশ্বাস । যদি হও মৃত্তিকা তোমার জঠরে শস্য দানা হয়ে জড়িয়ে রাখবো আমার গায়ে । নিখাদ বিশ্বাস নিয়ে নির্জীব মাটির রুক্ষতাকে সাজাই সরেস ফুলে। যদি হও শুষ্ক মরুভূমি আমি লু - হাওয়ায় ধুলো উঠা ঝড় , হয়ে, ভরিয়ে দেব আকাশ চূমি। ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণি পাকে কাটবে আমাদের বেলাভূমি । সমুদ্র হয়ে যদি এসো ঢেউ হয়ে তোমার বুকে ভাসবো সারাবেলা পর্যটক রা করবে ভিড়,শিশু রা করবে খেলা । মাছের নেশায়, পাখিরা করবে মেলা ।
কবি অভিজিৎ রায় এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
সাধন-সঙ্গী অভিজিৎ রায় মৌনতা চরম ধর্ম! এই মেনে চুপ আছ তুমি? নাকি এসব সাধনা? তুমি কি বলতে পারো বোষ্টমী? আমার সাধনসঙ্গী হবে বলে জন্ম নিয়েছিলে? অথচ ভরেছ মুঠো শুধু গর্ভ নিরোধক পিলে। যন্ত্রণা শব্দের আর ছন্দ চিনে মায়াবী পৃথিবী ভিখারিকে প্রশ্ন করে, বল আর কী কী নিবি? চুপ করে আছে সব; চারপাশে কত লোভ, মোহ অথচ শব্দের খেলা হৃদয়ে চলছে অহরহ। এত কথা কোন পথে হারানোর রাস্তা খোঁজে জানো? তুমি কি সাধন সঙ্গী নাকি শুধু পথ হাতড়ানো? শব্দ শুধু প্রশ্ন করে; উত্তর দেবে কি নীরবতা? অথচ কান্নার দাম লিখে রাখে চেনা কথকতা। অনন্ত মুহূর্ত নিয়ে গর্ব করে, যদিও মুহূর্ত ঈর্ষার ডানায় ভর দিয়ে রোজ পরজন্মে উড়ত। ধাতব মাটির সুরে বেজে ওঠে সব আর্তনাদ মৌনতার প্রবঞ্চনা নিয়ে বাঁচে সাধন-প্রমাদ।
মমতা রায়চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস ৯৭
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
উপন্যাস টানাপোড়েন ৯৭ অসহায়তা মমতা রায়চৌধুরী নদী উদভ্রান্তের মতো ছুটে এসেছিল নার্সিংহোমে। সমুদ্র দ্রুত বাইক চালিয়েছিল কিন্তু তাতে কি হবে ট্রাফিক জ্যাম ও প্রচুর। নদী শুধু সমুদ্রকে বলতে লাগলো 'একটু তাড়াতাড়ি চল?' সমুদ্র বলল 'আমি চেষ্টা করছি তো বাবু।' নদী আপন মনে বিড়বিড় করে বলতে লাগল 'আমার জন্যই বোধহয় সবকিছু হলো।' সমুদ্র মেডিকেল কলেজ থেকে ছুটে গিয়েছিল নদীকে ধরার জন্য ।তারপর দ্রুত বেগে গাড়ি নিয়ে উডল্যান্ড নার্সিং হোম এর দিকে। রূপসার হঠাৎ ভীষণভাবে গল গল করে ঘাম দেখে ঝরনা ঘাবড়ে যায় ঠিকই কিন্তু দ্রুত ছুটে এসে বলতে থাকে 'বৌদি ,বৌদি ,কি হয়েছে তোমার? কি হয়েছে বলো ,একবার আমাকে বল?' রূপসার তখন বুকের ভেতরে একটা তীব্র যন্ত্রণা যেন কাঁকড়া বিছের মত কামড় তার হৃদপিন্ডে বসিয়েছে। কোনমতে তার নিজের বুকটাকে হাত দিয়ে দেখাতে পেরেছে ঝর্নাকে। ঝরনা অত্যন্ত উপস্থিত বুদ্ধির অধিকারিণী। সে কাল বিলম্ব না করে তার বৌদির ফোন থেকে ফোন করেছে তাদের অফিসের বস মিস্টার মালহোত্রাকে।' রূপসার ফোন থেকে ফোন যেতেই মিটার মালহোত্রা অত্যন্ত প্রসন্ন কণ্ঠে বলেন 'হ্যাঁ রেস্ট
কবি আলেয়া ফয়সাল এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বাবাদের ইতিকথা আলেয়া ফয়সাল নিয়ে কাঁধে সংসারের বোঝা দাঁড়িয়ে যিনি থাকেন সোজা বাবা তাঁর নাম। সয়ে কষ্ট হাসি মুখে লুকিয়ে দুঃখ রাখতেন বুকে শ্রমে তাঁর রক্ত হয়েছে ঘাম। বাঁচতে ভুলে নিজের জন্যে আরাম, অবসর করে পণ্য বিকিয়ে দিতেন রোজ। কার,কখন,কি প্রয়োজন সেই বিষয়ে সারাক্ষণ ঠিকই রাখতেন খোঁজ। ধরে হাল শক্ত হাতে সামলিয়েছেন সংসার দিনেরাতে উফফফ করেন নাই তবু। আশা-ভরসার শীতলছায়া ছড়িয়ে দিতে স্নেহের মায়া ক্লান্ত হয় নাই কভু। সকল বাবা থাকুক ভালো সঙ্গে নিয়ে খুশির আলো দুঃখ করুক জয়। আছে বাবা যত আমার বাবার মত যেন তাঁরা সেরা বাবা হয় ! বাবা তুমি ভালো থেকো ঐ আকাশের বুকে। মিস করি বাবা তোমায় আমি তুমি নাই বলে।
কবি জাবেদ আহমেদ এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
নবোদয় জাবেদ আহমেদ এই বারবার শতবার লক্ষকোটি বার উদয় হও আমার আকাশে। এই নিশিতে পূর্ণিমার চাঁদ শুভ্র তারা প্রাণবন্ত সকাল হও। বেলিফুলের মালা হও বর্ষার আকাশে মেঘ কেটে হাসো। শরতের সকালে দূর্বাঘাসের উপরে ছিকছিক করো বসন্তের বাগে ফুল ফোঁটাও। নদীর খুলে জলমল জল হয়ে গীস্মে থাকো। বারবার সুখ ষাতনায় তোমারই নবোদয় হোক প্রাণের চাওয়া এই আমার নন্দিনী। ভালোবাসা'র নবোদয় তুমি এই,,,শুনছো কি তুমি! অনুভূতির পাগলিনী।
শামীমা আহমেদ এর ধারা বাহিক উপন্যাস পার্ব ৫৫
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
শায়লা শিহাব কথন অলিখিত শর্ত (পর্ব ৫৫) শামীমা আহমেদ রাহাতের সাথে কথা শেষ করে তাকে বাসায় নামিয়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে শিহাবের প্রায় রাত সাড়ে দশটা বেজে গেলো। সপ্তাহ শেষে দুজনে একসাথে আজ বেশ কিছুটা সময় কাটালো "টেবিল টপ" রেস্টুরেন্টটায়। শিহাব রাতের মত কিছু খাবার খেয়ে নিয়েছে। সেখানে রাহাতকে ডিনার করাতে চাইলেও একেবারেই রাজি করানো গেলো না।রাহাত জানালো,সারাদিনের ক্লান্তির পর সে বাসায় ফিরবে।মা আর শায়লা আপুর সাথে রাতের খাবার খাবে।শিহাব জানালো,আমার জন্যতো এখানে আর কেউ অপেক্ষায় নেই। আমাকে এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে।এভাবেই মানিয়ে নিতে হচ্ছে। রাহাত শিহাবের কষ্ট বুঝতে পারলো।তাকে আশ্বাস দিলো, শীঘ্রই আপু আপনার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে। দিনশেষে আপনি যখন ঘরে ফিরবেন আপু আপনার দরজা খুলবে। আপনাকে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতে কাপড় এগিয়ে দিবে।আপনার পছন্দের খাবার রান্না করবে।আপনারা একসাথে বসে কফি খাবেন।একসাথে ঘুরে বেড়াবেন! রাহাতের কথায় শিহাবের চোখ চকচক করে উঠছিল! সুন্দর আগামীর আশায় তার মনে স্বপ্নেরা উঁকি দিচ্ছিল।শিহাব বুঝতে পারলো হয়তো এতদিন সে রাহাতের মতই কাউকে মনে মনে খুঁজছিল যার
কবি সেলিম সেখ এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
গ্রামের ছেলে সেলিম সেখ ওই যে চলে গ্রামের ছেলে মেঠো পথ বেয়ে, মনের সুখে কাটায় দিন পল্লী গীতি গেয়ে। গ্রামের ওই পুকুরেতে দিচ্ছে তারা ডুব, গ্রামের ছেলেরা মিলে করছে মজা খুব। গ্রামের ওই ছেলেরা দেখি করছে কৃষিকাজ আজ, এভাবে দিন কেটে যায় নেইকো তাদের লাজ। গ্রামের ওই রাস্তা ঘাট সবই তাদের চেনা, গ্রামের ওই ছেলেগুলো হয় যে দেশের সেনা। গ্রামের ওই গাছগাছালি মেটায় মনের সুখ, এভাবেই যায় গো দিন থাকেনা কোন দুঃখ। গ্রামের ছেলের মনেতে থাকে না কোন খেদ, সকল কাজের পিছেই থাকে তাদের উদ্যম-জেদ। গ্রামের ছেলে বলে আজ করছো তাদের হেলা, ভেবে দেখো ওদের সাথেই কাটিয়েছ শত বেলা।
মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস ৫ম পর্ব
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল (৫ম পর্ব) মনি জামান নিলয় আর মেবিন সারাদিন ঘুমিয়ে সন্ধ্যার একটু আগে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে তারপর চারুর সাথে বের হলো ওরা তিনজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দুটো রিক্সা ডেকে রিক্সায় উঠে পড়লো চারুঃ নিউ মার্কেট মোড় যাবো,কিছুক্ষণ পর ওরা তিনজন রিক্সা থেকে নেমে শহরের একটি কফি হাউজে ঢুকলো,ঢুকেই চারু মেবিন ও নিলয় একটি টেবিলের পাশে চেয়ারে বসলো। চারু তিনটে কফির অডার করলো বয় একটু পর কফি দিয়ে গেলো,ওরা কফি খেয়ে আবার বের হলো কফি হাউজ থেকে, তারপর শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরলো ঘুরতে ঘুরতে সময় কখন পার হয়ে গেল ওরা বুঝতেই পারিনি। চারুঃ ঘড়ি দেখে বলল অনেক রাত হয়ে গেছে মেবিন,চল বাড়িতে যায় মা আবার অস্থির হয়ে পড়বে কালকে দিনের বেলায় এসে আমরা আবার ঘুরবো। মেবিনঃ চল চারু বলেই ওরা বাড়িট দিকে রওনা হলো,কিছুক্ষণ পর রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো তখন রাত নয়টা বাজে।বাসায় এসে ওরা যার যার মত ফ্রেস হয়ে সোফায় এসে বসলো,চারুর মা ওদের খেতে ডাকলো ওরা খাবার টেবিলে এসে বসে পড়লো অনেক খিদে পেয়েছে মেবিনের। চারুর মা খাবার টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো,চারু ওর মায়ের সাথে নিলয় ও মেবিনের সম্পর্কের কথা নতুন কর
মমতা রায় চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস ৯৬ পর্ব
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
উপন্যাস টানাপোড়েন ৯৬ স্তম্ভিত মমতা রায় চৌধুরী উদভ্রান্তের মতো নদী ছুটে এসেছিল হাসপাতালে। চোখেমুখে ছিল এক আতঙ্ক। অজানা ভবিষ্যতের জন্য একরাশ আশঙ্কা আর মনের ভেতরে জমে থাকা অপরাধে নদীর মনে হচ্ছিল সেই কি তবে তার মায়ের একমাত্র মানসিক চাপ ? কেমন সবকিছু হয়ে গেলো। নদী কি তাহলে একটা হিংস্র জন্তু? যেমনি করে হিংস্র জন্তু দের হাত থেকে গ্রামের মানুষ তাদের নিরীহ জীবগুলোকে ক্যানেস্তারা পিটিয়ে বাঁচায়। অরুনাভদাকে হসপিটাল থেকে দেখে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ছিল আর ভেবেছিল, যাক একটু স্টেবল আছে। ডাক্তার বলেছেন রক্ত বেরিয়েছে তো? ভয়ের কিছু কারণ নেই, তবে স্ক্যান করাতে হবে। অবজারভেশন থাকুক। নদী যখন অরুনাভদার কাছে গেছিল ,তখন নদীর চোখ দুটো ছল ছল করে উঠেছিল। উচ্ছল অরুনাভ সেদিন কত কথাই না বলেছিল। আর আজ দেখো কেমন অসহায় শিশুর মতো পড়ে আছে। অরুনাভদাকে দেখে নদী আনমনে মেডিকেল কলেজের উল্টোদিকের ফুটপাত ধরে হাঁটছিলো ।এতটাই অন্যমনস্ক ছিল যে কোন পথচারী যদি হঠাৎ তার সামনে এসে যায় খেয়াল করতে পারবে না। তীর্থ, সমুদ্র, মেঘলা,রথীন সবাই ওরা একটু নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতায় ব্যস্ত ছিল। ঠিক,সেই সময় নদী বেরিয়ে পড়ে
কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
সন্তান কখন হয় শয়তান ? শিবনাথ মণ্ডল পিতা মাতা সন্তানদের বড়ো করে খাইয়ে বুকের সুধা তাদের মুখে হাসি ফোটাতে লুকায় নিজেরক্ষুদা। কষ্টকরে লেখাপড়া শিখিয়ে চাকুরী দিলে কিনে বিয়ের পরে কিছু ছেলেরা বাবা মাকে রাখেনা মনে। পিতামাতাকে ভাত দেয়না বিদেশি কুকুর পোষে সর্ব হারা বাবা মা এখন চোখের জলে ভাষে। চালাঘরে জায়গা দেয় নতুবা সিঁড়ির তলায় বাবামাকে খেতে দেবনা বলে জোড় গলায়। বন্ধু বান্ধব এলেপরে তাদের যত্ন কত বাবা মা চাইলে খেতে গালি দেয় যত। কষ্টকরে সন্তান মানুষ করে পেলাম এই ফল মরার সময় তোদের হাতে চাইনা খেতে জল।।
কবি সেলিম সেখ এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বীর সৈনিক সেলিম সেখ ওহে বীর সৈনিকের দল তোমরা অবিচল, রক্ষা করতে জন্মভূমিকে বদ্ধপরিকর। তোমরা রণবীর,করনি নত শির, দেশের মান রক্ষা করতে হয়েছো সৈনিক। শত্রুদের করেছো পরাজয়, তাই আজ করছে তারা ভয়। সৈনিক তুমি তোমার সাহসে দেশ যে সাহস পাই, দেশের ভিটে রক্ষা করো প্রাণ যদি চলে যায়। ওই দেখো ভাই বীর সৈনিক হারাচ্ছে আজ প্রাণ, ওদের রক্ত সাক্ষ্য দেবে আমরা দিয়েছি বলিদান। দেশরক্ষায় লিখিয়েছে নাম ওরা সকলেতে, তাইতো আজ পড়ে রয়েছে দেশের কোলেতে। ওদের বুকের ওপর থাকবে যেদিন দেশের পতাকা, ফুল দিয়ে শেষ বিদায় দেবে, দেবে শহীদের মর্যাদা। যুদ্ধের সময় তোমরা যদি না দেখাতে বীরত্ব, দেশ আজ হতোনা পরাধীনতা থেকে মুক্ত। তোমাদের আত্ম বলিদান ভুলবে না কভু দেশ, যতদিন থাকবে এই প্রাণটুকু অবশেষ।
কবি আব্দুস সালাম এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
রূপকথার বক আব্দুস সালাম করোনা মাখানো শ্বাসকষ্টের সংসার শব্দহীন যাতনাগুলো বৃষ্টিবাদলে ঝাপটা খায় চুমু খায় বিপন্ন বিশ্বাস শব্দের আলনায় টাঙিয়ে রাখি স্বপ্ন রক্তাক্ত বিবেক চড়ে জীবনের পিঠে চুরমার হওয়া মানুষ ভাষণ শোনে অন্ধকারের তার পর আত্মক্ষরণের পুকুরে সেরে নেয় স্নান বসবাসের ঠিকানায় দাফন হয় সভ্যতা ভাবের ঘরে রুদালীরা আসে অলীক কান্নার বাষ্পায়নে মুখর করে মহল্লা দুঃখের প্রহসন সাজায় , মৃত শবের উপর ভনভন করে মাছি ভাঙা রেলিঙে বসে শিকার খোঁজে প্রত্যাশার বক আমাদের আশ্বাস গুলো ঢেউয়ে ঢেউয়ে মাতোয়ারা প্রার্থনার ঘরে বসে আছে অলীক ভগবান বিশ্বাসের চাতালে মাথা ঠুকি দুবেলা নিদ্রালু চোখে পুরোহিত ছিটিয়ে দিচ্ছে শান্তিজল রূপকথার পাতালপুরীতে তলিয়ে যাচ্ছে আমাদের সব আহ্লাদ ১২/০১/২০২২
কবি মুনতাহা জামান মনি এর কবিতা
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
এলোমেলো পথ মুনতাহা জামান মনি বলেই তো ছিলেম আমি! আমার পথ এতটা মসৃণ নয় যতটা তুমি ভাবো। বহুদূর হাঁটা তো দূরের কথা হয়ত একটু হেঁটেই হোঁচট খাবে যতটাই কাছে টানো দূরত্ব বাড়াই তবে। দেখোনা নিজের দৃষ্টিতে - আমাকে বড্ড গোলাটে মনে হবে, আমার দৃষ্টিতে দেখতে জানলে সুন্দর সঠিক লাগবে অনুভবে। মানুষ হলে-ও মানুষ আলাদা নিজের মত পূস্প যেখানে গোছায় গোছায় কাটা ও বিরাজমান তত। কড়া নেড়ে হৃদ দূয়ারে জোর খাটানো ইচ্ছে গুলো মরে গেছে সে-ই কবে। এই তো বেশ আছি হেসেই ব্যাথা উড়াবো, যখন আমি বন বিলাসী হব ফুল কুড়াবো -ছেড়ে দিলেই তবে।
মানি জামানের ধারাবাহিক উপন্যাস /৪
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ( ৪ র্থ পর্ব ) মনি জামান মেবিন আর নিলয় অপেক্ষা করছে চারুর জন্য,ট্রেন থেকে নেমে ষ্টেশনে ওরা দুজন প্রায় তিরিশ মিনিট বসে আছে কিন্তু চারু এখনো এলো না।মেবিন ফোনটা হাতে নিয়ে ফোন করলো ওর বান্ধবী চারুর কাছে চারু ফোন রিসিভ করে বলল,কোথায় তোরা এখন,মেবিন বলল,ষ্টেশনে বসে আছি প্রায় আধা ঘন্টা হবে।আমরা ট্টেন থেকে নেমেই তোর জন্য অপেক্ষা করছি। চারু বলল,নিলয় এসেছে নাকি ওর তো আসার কথা,মেবিন বলল,কি জানি,চারু বলল,তোরা অপেক্ষা কর আমি এখুনি চলে আসছি তোদের নিতে। মেবিন ফোনটা কেটে দিলো চারুর আসবার অপেক্ষায় নিলয় আর মেবিন বসে রইলো আর বার বার ঘড়ি দেখছে মেবিন।নিলয় আর মেবিন দুজনেরই ট্রেন জার্নিতে রাতে ঠিকমত ঘুম হয়নি মেবিন নিলয় স্বপ্ন ঘুমে আছন্ন ছিল গোটা রাত জুড়ে। প্রায় আধা ঘন্টা পরে চারু ওর বাবার গাড়ি নিয়ে হাজির হলো স্টেশনে,নিলয়কে দেখেই চারু মেবিনকে বলল,তুই যে বললি নিলয় আসিনি এইতো নিলয় খুব ভালো লাগছে নিলয়কে দেখে। মেবিন স্বভাব সুলভ হেসে বলল,আরে বললে তুই তো প্যাচাল করতি তাই তোর জন্য সারপ্রাইজ রেখেছিলাম,চারু এক গাল হেসে বলল,হয়েছে এবার গাড়িতে উঠে বসো বস,নিলয় আর মেবিন চারুর গাড়ি
মমতা রায় চৌধুরী'র ধারাবাহিক উপন্যাস ৯৫ পর্ব
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
উপন্যাস টানাপোড়েন ৯৫ অপ্রত্যাশিত মমতা রায় চৌধুরী নদীর মনের ভেতরের তারগুলি ক্রমশ এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কেমন যেন একটা বেসুরোভাব । হৃদয়তন্ত্রীতে যেন আর কোনো সুরেলা সুর বেরোবে না। তার সঙ্গেই কেন এরকম হচ্ছে। নদীর স্বচ্ছন্দ গতিপথ কেন বারবার আটকে যাচ্ছে?তার ভেতরের সাজানো বাগান টা কেন এমনি করে তছনছ হয়ে যাচ্ছে?' অনেক রাত অব্দি জানলার কাছে দাঁড়িয়ে সিগারেটের পর সিগারেট খেয়ে যাচ্ছে ।ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে যাচ্ছে চারিদিকটা। তার জীবনটা তো এরকম হওয়ার কথা ছিল না। প্রথমে তার জীবন থেকে তার সব থেকে কাছের মানুষ তার বাপি চলে গেল। বাপিকে তো আর সেখান থেকে ফেরানো যাবে না। ইচ্ছে করলো বাপি কে স্পর্শ করা যাবে না। এরপর মা ও তার থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। হঠাৎই নিচে ঝর্ণা মাসির কথার আওয়াজ পাওয়া গেল। 'বৌদি এখন কেমন বোধ করছ?' নদী কথাগুলো না শোনার চেষ্টা করছিল। তবুও কথাগুলো কানে শোনা যাচ্ছিল ভাসা ভাসা। রুপসা অনেক ক্লান্ত স্বরে বলল' ভাল ।' তারপর হাত বাড়িয়ে টেবিল থেকে কাঁচের জলের ক্লাসটা নিতে যাচ্ছে । তখনই ঝর্ণা ছুটে এসে বলল' একি আমি রয়েছি তো ?তুমি কেন নিতে যাচ্ছো আবার কিছু এক