পোস্টগুলি

মার্চ ১৯, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস ১৩৬

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন  ১৩৬ ভয়েস বিভ্রাট মমতা রায়চৌধুরী কল্যান সেমিনার শেষ করে কৃষ্ণনগর স্টেশনে যখন আসলো তখন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে চারিদিকে কিচ্ছু দেখা যাচ্ছেনা। এমন অবস্থায় অটো থেকে নামতে নামতে কিছুটা ভিজেও গেল। ভাবছে  তাই তো গলার এই অবস্থা ।এর মধ্যে যদি আবার ঠান্ডাতে কিছু একটা হয় তাহলে তো দারুণ মুশকিল হয়ে যাবে। যথারীতি ট্রেন ঢুকে গেল। কল্যান ট্রেনে গিয়ে বসলো। নির্দিষ্ট টাইম এ ট্রেন ছেড়ে দিল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল আজকে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারবে না মনে হচ্ছে কৃষ্ঞনগরেই  ৬. ৪০ অথচ ডাক্তার না দেখালেও নয়। দেখা যাক 'ডাক্তারবাবু তো ৯টা পর্যন্ত থাকবেন বলেছেন?' মাথাটা ভেজেনি এই রক্ষে। প্যান্টের নিচের অংশ ভিজেছে ।হাতের অংশটুকুও ভিজেছে। ট্রেনে বসে কেমন একটা অস্বস্তি হচ্ছে। ট্রেনে বসে হাজারো কথা মনে পড়তে লাগলো। মনে পড়ল অনিন্দ্যর কথা। কল্যাণদের চারজনের একটা ভালো বন্ধুত্ব ছিল। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র অনিন্দ্য তখন প্রেম করতো। অনিন্দ্য হচ্ছে ওদের প্রেমের দীক্ষাগুরু। অনিন্দ্য আর মনীষা যখন চুটিয়ে প্রেম করছে ।তখন কল্যাণরা দূতের কাজ করতো। সম্ভবত ওদের লায়লা মজনুর প্রেম দেখেই কল্যা

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস

ছবি
শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৭২) শামীমা আহমেদ   সারাদিন ফ্যাক্টরির কাজ তদারকির দ্বায়িত্ব  শেষ  করে,দিনশেষে গাজীপুর থেকে রওনা দিয়ে, শিহাবের উত্তরায় ফিরতে রাত প্রায় দশটা হয়ে গেলো। পথিমধ্যে,চন্দ্রা, জিরাবো,আশুলিয়া, আবদুল্লাপুরের ভয়ানক যানজটে প্রায় একঘন্টা বসে থাকা। যদিও চাইলে আশপাশ দিয়ে বাইক চালিয়ে  বেরিয়ে আসা যেতো।কিন্তু শিহাবেরতো ঘরে ফেরার অত তাড়া নেই।কেউতো আর ঘরে তার জন্য অপেক্ষায় নেই।বরং বাইকে বসে উদাস হয়ে আকাশের চাঁদ দেখে কয়েক  স্টিক টেনে নেয়া যায়। আর এর সাথে কয়েককাপ চা, কফি চালান দেয়া হয় ভিতরে ভ্রাম্যমাণ চা, কফি বিক্রেতাদের কাছ থেকে। যানজট ছাড়তেই শিহাব বাইকের স্পীড বাড়িয়ে সময়টা পুষিয়ে নিলো। শিহাব বাসার গেটে এসে হর্ণ দিতেই কেয়ারটেকার বিল্লাল গেট খুলে৷ দিলো। বিল্লালের ভয়ার্ত দৃষ্টি! শিহাবের অনুমতি ছাড়া তার বাসায় অতিথি ঢুকেছে। কিভাবে তা ছারকে জানাবে। শিহাব বাইক পার্ক করে হেলমেট খুলতেই বিল্লাল তার কাছে এসে বললো, ছার মাফ কইরা দিয়েন। আপনার অনুমতি ছাড়া একটা কাজ কইরা ফেলছি ছার। কি করেছো বিল্লাল? শিহাব বেশ নরম সুরেই জানতে চাইলো। তাই কি এত কল দিচ্ছিলে সকালে? জ্বী ছার। তা কি করেছো? ছার আ

কবি আশ্রাফ বাবু

ছবি
যেখানে দিন রাত চলে আশ্রাফ বাবু যে পৃথিবীতে আমাদের বাস তুমি ছিলে চুপচাপ,  শেষ হয়ে যাইনি আমি আগন্তুক যেখানে দিনরাত চলে বেচাকেনা। চেয়ে চেয়ে রত হই প্রার্থনায় - প্রেরণা আর ভালোবাসা, জ্বলছে ভেতর থেকে - রত হই প্রার্থনায় এই জীবনের আগে মৃত্যু হয়েছে।   আরেকটা জীবনে আগুনের তাপে তরুণ হৃদয়  শুধু আন্দোলিত তপ্ত শোণিত ফুটছে আমার ধমনিতে আমার অনুভূতিগুলো ভেতরে ভেতরে বেঁধে ফেলেছে, জন্তুতে পরিণত হয়েছি বিশ্বস্ত প্রাণীর মতো, যেখানে দিন রাত চলি আর ভুলি ভেতরে ভেতরে আমি গজরাই। আমার ভয় ও টান প্রশমিত হবার নয়-আমি প্রাণবন্ত,  শেষ হয়ে যাইনি এইভাবে আর ভাবতে পারি নি আর আমি চাই তুমি, ঠাণ্ডা বাতাস খেয়ে বলি। সুখের চোখে জলে ভেজা দেখেছি স্বপ্নে কোথায় এলাম সত্যিই এই মোকাম আমার এই অনন্তদৃষ্টি রেখে,এই জায়গার উপর।

কবি মিতা নূর এর কবিতা

ছবি
আমায় তুমি খুঁজবে   মিতা নূর  তুমি, তোমাকে পেয়েছিলাম শূন্যতার মতো,  একমুঠো মিথ্যের ঘর আর বিষন্নতার উঠোনে ! তোমাকে পেয়েছিলাম ঘুটঘুটে আঁধারে,  মুখ মুখথুবড়ে পড়ে থাকা জোনাকির আলোয় ! তোমাকে পেয়েছিলাম  নির্জন নির্ঘুম রাতের,  অদেখা ভালোবাসার মাঝ পথে, তুমি,তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে একজোড়া বিশ্বস্থ হাত বাড়িয়ে !  তোমাকে পেয়েছিলাম আমার কাব্যের মতো, তোমাকে পেয়ে ভেবেছিলাম..! আমার জীবনের অস্তিত্বের কোণ জুড়ে, যেন এক স্বেচ্ছায়  মন খারাপী উড়িয়ে দেওয়া নীল আকাশ তুমি!  তুমি, তোমার মায়াবী মুখখানা দেখে নিঃশ্বাস ছেড়ে ভেবেছিলাম,  একজীবনের সমস্ত সুখ বুঝি তোমার ঐ বুকে রাখা,  নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিতে পারি আরো কিছু সময়! তুমি,তোমাকে পেয়েছি আজ ঠিকই, কিন্তু- কাছথেকে দেখে মনে হচ্ছে, ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ের মতো,  এ-ই বুঝি আবার সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যাচ্ছে!  তুমি এসেছো ঠিক, কিন্তু অবেলায়, অবহেলা হাতে নিয়ে,  তোমার চোখে ভালোবাসা কই? আমি তো খুঁজে পাচ্ছি না!  হঠাৎ আমার বুকের ভেতরটা যেন ঝরে   যাওয়া পাতার মতো,  দুমড়েমুচড়ে ভেঙে যাওয়ার শব্দ পাচ্ছি..? আমি কী ভুল করে  আবারও চোরাবালিতে পা দিয়েছি? দৌড়ে আয়নার কাছে গিয়ে নিজেকে  আত্মাসমর্পণ করলাম।  আয়না

কবি শিবনাথ মণ্ডল এর কবিতা

ছবি
রঙিন বসন্ত শিবনাথ মণ্ডল ভূস্বর্গে বসন্ত এলো    এলো ঋতু রাজ গন্ধমাখা ফাগুন হাওয়ায়     মনে লাগেনা কাজ। শিমূল ফোটে পলাশ ফোটে       ফোটে কৃষ্ণচূড়া  আবির রঙে আকাশ লাল        রঙিন হলো ধরা। ফাগুন এলো হোলি এলো         এলো কোকিলের সুর বসন্ত আজ বিরাজিত           মন হলো ভরপুর।।