পোস্টগুলি

মার্চ ১৮, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৩৫

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৩৫ মিষ্টি একটা গন্ধ  মমতা রায়চৌধুরী কল্যাণ এলার্ম দিয়ে রেখেছিল যথাসময়ে ঘুম ভাঙলো কিন্তু শরীর মন এতটাই ক্লান্ত ,উঠতে ইচ্ছে করছিল না । তবুও উঠতে তো হবেই। সকালে বিছানায় উঠে বসে দেখছে গলার অবস্থা আরো খারাপ। আজকে কি করে লেকচার টা দেবে ,গভীর সমস্যায় পড়ল। এরমধ্যে কলিং বেলের আওয়াজ শুরু হলো। এবার পুরোপুরি না উঠে আর পারল না কল্যাণ। নিশ্চয় মাসি এসেছে। আবার কলিংবেল বাজছে। আড়মোড়া কেটে কল্যান আস্তে আস্তে দরজার দিকে এগোল, তারপর দরজা খুললো। সত্যি ,সত্যি মাসি এসেছে।  মাসি বলল 'অনেক রাত্রে ঘুমিয়েছো নাকি?' কল্যান একটা মস্ত বড় করে হাই তুলল। মাসির সাথে ইশারায় কথা বলল। কল্যাণ ইশারায় বুঝিয়ে দিল গারগিল করার জল দেবার জন্য। মাসি যথারীতি গিয়ে আগে গারগিল করার জল দিল ।তারপর চা বানালো। তারপর  আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজে হাত দিল। মাসি জিজ্ঞেস করল 'কি খেয়ে যাবে  আজকে ?কখন বেরোবে?' কল্যাণ যা মুখে বলল বুঝানো অসুবিধে হল, তার থেকে আবার কিছু ইশারায় বুঝিয়ে দিল। মাসি শুধু বললো 'ভাত খাবে তো?' কল্যাণ মাথা নাড়িয়ে অসম্মতি প্রকাশ করল। মাসি বললো 'তাহলে কি খাবে?

কবি শারমিন সুলতানার কবিতা

ছবি
জীবন নামক সহজ খাতায় শারমিন সুলতানা   চারপাশে এমন অনেক আছে চরম অভাগা মানুষ,  মৃত্যু ভয় নেইকো তাদের  উড়ায় শুধু ফানুস।  না হয়,"বাবার"চোখের মণি  হয় যে অভিশপ্ত,  বোনের দুঃখেও কাঁদেনা মন হয় বিরক্তের পাত্র। ভাইয়ের কষ্টের রাখে না খবর জ্ঞান দিতে সদা ব্যস্ত,  সত্যনিষ্ঠ তারাই কেবল সবাই তাদের অধীনস্থ।  টাকার পেছনে ছুটতে গিয়ে  হয়নাতো আচরণ সদয়, ইবাদতেও ঢের ফাঁকিবাজি  কঠিন হয় যে হৃদয়। "মা" থেকেও মধুর ডাকটি ডাকতে জানে না যেই জন, সব থেকেও ভীষণ গরিব  বোঝেনা তাদের অবুজ মন। এমন সুখী নাই-বা হোক এই জগতের কেউ, জীবন নামের সহজ খাতায় থাকে সন্তান বউ।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৭০

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস শায়লা শিহাব কথন   অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৭০) শামীমা আহমেদ  শিহাব, সন্ধ্যে হয়ে এলো। এবার বাসায় ফিরতে হবে, বলেই শায়লা উঠে দাঁড়ালো।  শিহাব কথাটিতে শতভাগ সম্মতি জানিয়ে সেও উঠে দাঁড়ালো।  হ্যাঁ,শায়লা চলো তোমাকে এগিয়ে দেই। যদিও ইচ্ছে করছে জীবনের বাকী সময়টা তোমার সাথেই কাটিয়ে দেই।  শায়লা আমার আর ভালো লাগছে না তোমাকে ছেড়ে থাকতে? এইতো তুমি চলে গেলে আমার আবার সেই একাকী থাকা।এই দীর্ঘরাত একাকী পাড়ি দেয়া। তোমার জন্য আমি সবসময় অপেক্ষায় থাকবো। শিহাবের কথায়  শায়লার চোখে জল ভরে এলো। সে এই কথা টিতে সায় দিয়ে শিহাবকেজানালো,আমি সব বাধা পিছনে ফেলে তোমার কাছে আসবো শিহাব। তুমি শুধু আমার অপেক্ষায় থেকো। শায়লা তার পার্সটা নিয়ে দরজার কাছে এগিয়ে এলো।  শিহাব দরজা খুলে  দেখলো লিফট নিচে নামছে  এবং ভেতরে লোকজনও আছে। তাই এবার দুজনে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলো। কেয়ারটেকার বেলালকে শিহাব একটা রিকশা ডেকে দিতে বললো।শায়লাকে বিদায় জানিয়ে শিহাব বললো, পৌঁছে অবশ্যই  জানিও। বেলালকে কিছু বখশিশ দিয়ে শিহাব ঘরে ফিরে এলো। বাসার গেটে রিকশা থামতেই শায়লার রুহি খালা আতংকে ধরলো। ভাগ্য সহায়  হলো,খালার ফ্ল্যাটের  দরজা বন্ধ এখন। শায়লা প্

কবি সফিক ইসলাম এর কবিতা

ছবি
আয়নায় অন্যমুখ সফিক ইসলাম প্রতিদিন আকাশ থেকে খসে পড়া ঝরা পালক কুড়াই, আর জমিয়ে রাখি একদিন পাখি হয়ে উড়ে যাবো। একদিন  বাতাসের কানে কানে বলে যাবো এ পৃথিবী আমার জন্যে নয়।  প্রতিদিন অজস্র শিশিরের কণাগুলো চোখের কোণায় জমিয়ে রাখি.... একদিন রাতভর কাঁদবো বলে। এভাবে নিয়তই ভেঙে ভেঙে টুকরো করি নিজেকে আয়নার কাচের মতো অথচ প্রতিটি টুকরোতেই আমি  আমাকেই দেখি।  নিভৃতে যত্ন করে যারা দুঃখ পোষে অনিয়ম দেখে দেখে যারা বড় হয় নিয়ম ভাঙার মিছিলে এই চোখ খুঁজে ফিরে তাদেরই মুষ্টিবদ্ধ হাত।  আগামীর ভোর কবে হবে বলতে পারো কেউ ? যে ভোরে ভাঙা আয়নার পারা মুছে স্বচ্ছ কাচ হবে! প্রতিস্মরিত আলোতে নিজেকে না দেখে  দেখবো অগনতি মানুষের মুখ।

কবি জাহানারা বুলা'র কবিতা

ছবি
স্মৃতির হরিণ  জাহানারা বুলা আমাদের প্রয়োজন অতিক্রান্ত সেই কবেই যোগাযোগ অর্থহীন এখন আমরা ভালো আছি, ভালোই থাকা উচিৎ।  মৃত্তিকা রুক্ষ হয় না কেবল আষাঢ়ের বৃষ্টি বিহীন পদ্মা-মেঘনা ফুঁসে ওঠে নির্ধারিত সময়ে ওদের শরৎ জানান দেয় যদিও আকাশের নীলে কাশবন থাকে না সবার চৌহদ্দিতে।  পথের ধারে ঘুমিয়ে রাত কাটে যার তার কাছে পেলব বিছানা অর্থহীন, অচেনা আমাদের আকাঙ্ক্ষাও আজ স্মৃতির হরিণ।

কবি বকুল  আশরাফ এর কবিতা

ছবি
যদি ভালোবাসো   বকুল  আশরাফ অপেক্ষায় থাকো বলেই তো ফোনটা ধরো, আমি তো অপেক্ষায় জড়োসড়ো জুবুথুবু কাঁথার ভেতর লুকাতে গিয়ে ভিন্নতরো যেমন লুসাই পাহাড় লুকায় কিছু ঝর্না জল যে জল বাধাহীন অকুতোভয় ছুটে চলে মিশে যায় আরো কঠিন কোমল জলে যেখানে সাগর আর নুনের ঢেউহীন লড়াই, এ কেমন প্রেমের বড়াই বারবার ধেয়ে আসে আর মিশে থাকে দুজনার চারপাশে। ওরা কি সত্যি ভালোবাসে নিমের ডাল! আয়ুর্বেদ জঞ্জাল যতো আবেগহীন করুণা আমরা সুনীল-বরুনা যে তিন যুগ অভিমানে তিনটি বরষ একসাথে কত আয়োজনে এখন অধিক ভুল করি ! আসলে কি গড়ি ! নাকি নিজেকে ভাঙ্গি আর পোড়াই শুধু জানি পোড়ালেই ধাতব আর মাটি শর্তহীনভাবে শংকর নয় হয়ে উঠে খাঁটি তাইতো ভালবাসার পথ ধরে এখনো পথ হাঁটি।

কবি রাজ রিডার এর কবিতা

ছবি
চিঠি রাজ রিডার চিঠি! চিঠি! চিঠি! এই অবেলায় ডাক পিয়ন—তাও এই যুগে। আশ্চর্য!  ভুলে এসেছে নাকি? পিয়নটাও নতুন কেউ মনে হয়।  আগেরটা কি বেঁচে আছে—তাও জানি না।  আছে হয়তো। অবসরে গেছে।  আর সে চিঠি, চিঠি বলে হাঁক দিতো না।  খুব নরম সুরে বলতো—প্রিয়জনের বার্তা এসেছে বাহ কি সুন্দর অভিব্যক্তি—প্রিয়জনের বার্তা। চিঠি! চিঠি! চিঠি! নিচে মনে হয় কেউ নেই। তাই দরজাটা খুলে দিচ্ছে না।  নামতেই হবে হয়তো। চশমাটা কই রাখলাম?  “এত ভুলো মনের না তুমি। তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।“ তুমি দেখো একদিন কিছু না কিছু করবোই।  “যদি কিছু করতে পারো একটা চিঠি অবশ্যই লিখবো তোমাকে।“ আরেহ মাথাতেই তো আছে। চোখের সাথে সাথে  মাথাটাও গেল মনে হয়। যেতেই পারে। একই সাথে দুজনের জন্ম।  মচ! মচ! মচ! হাড়ের মতো চটি জোড়াও শব্দ করছে।  “এই নাও নতুন চটি। অন্য কোন স্যান্ডেল নিবো ভাবছিলাম। কিন্তু তোমার ইমেজের সাথে এই জোড়াই মানায়।“ এসবের কি দরকার ছিলো। এটাই তো বেশ রয়েছে। “বলেছে তোমাকে। আর এই নাও ডায়েরি। আমাকে নিয়ে কবিতা লিখো।“ তোমাকে নিয়েই তো লিখি। তুমিই তো আমার মিউজ। তোমাকে চেতনা দিয়ে নিজেই অচেতন।  “থাক। অনেক হয়েছে। আর বলতে হবে না।“ এসো কবিতা লিখি।  “কবিতা!