পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবি মোঃ ইসমাঈল এর কবিতা

ছবি
  রীতি মোঃ ইসমাঈল  আহা কতই না সুন্দর দেখতে ফুল চোখ আসে জুড়িয়ে হয়ে যায় ব্যাকুল।  যখনই নাকে আসে ফুলের ঘ্রাণ পরম শান্তিতে জুড়ায় এ মন ও প্রাণ।  মৌমাছিরা ফুল থেকে করে মধু আহরণ তোমারই মনের গহিনে আমি করিবো বিচরণ। ফুল ফুটে বসন্তের ঋতুতে আমি হারিয়ে যাবো কেবল শুধু তোমাতে। ফুল ফুটে ফল ধরিয়ে যায় সে ঝড়ে মানুষ অভিনয়ের মাঝে যায় যে মরে। অবশেষে হয়ে যায় ফুলের ইতি অপরদিকে মানুষের বেঁচে থাকে শুধুই স্মৃতি।

মমতা রায়চৌধুরীর পত্রিকা

ছবি
উপন্যাস   টানাপোড়েন ১১৫ থাকো জাজ্জ্বল্যমান হয়ে মমতা রায়চৌধুরী টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টির পর শীত প্রভাতের কাঁচা সোনালী রোদ্দুর যেন নতুন করে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে ।পথের ধারে নির্জীব গাছগুলোর শিশির চাকচিক্যে ভরিয়ে দিয়েছে ।তবে বাতাস একটু  কড়া আছে ।বেলা বাড়ছে রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া ,যাতায়াত ,পথিক সংখ্যাও বেড়ে  চলেছে ।শীতকালে কাশ্মীরি কোম্পানির নানা রঙের শাল , রেপার এবং নানা রংয়ের বালাপোষ পথচারীরা শরীর ঢাকাতে  রবির ছটা যেন আরো বেশি বর্ণ বহুল হয়ে উঠেছে। রেখা অনেকদিন পর ছাদের অনুচ্চ আলিশার ধারে দাঁড়িয়ে এই সব দৃশ্যগুলো দেখছিল। এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি আজ স্কুলে যাবে কিনা। তবে শরীরটা তো সাথ দিচ্ছে না  রান্না তো এখনো বসায় নি। না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।মাসি এসে কাজ করছে। এই মাসিকে বেশি কিছু দেখানোর নেই। মাসিকে একবার বুঝিয়ে দেয়াতে , সব বুঝে গেছে। এমন সময় রেখার ভাবনা পাশের বাড়ির  দিকে ।নজরে আসলো শূন্য বাড়িটার বাইরের দিকে তাকিয়ে ,একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলল।' বেশ কয়েকদিন হল চৈতির মা নেই। রেখা শুনেছি মেয়ের বাড়ি থেকে একটু বাবার বাড়ি হয়ে আসবে কেমন শূন্যতা ঘিরে আছে যেনো বাড়িটাকে অথচ এ

কবি সেলিম সেখ এর কবিতা

ছবি
  ভাষা সেলিম সেখ  বাংলা মোদের গর্বের ভাষা পেয়েছি শত কষ্টে, সেই ভাষাই শুনবে তুমি সকল বাঙালীর ওষ্ঠে। বাংলা ভাষা শুনে মোদের প্রাণ ধড়ে তে ফিরে, বাংলা ভাষার অপমানে প্রাণ যে যায় ছিঁড়ে। পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়েছে আজ এই বাংলা ভাষা, বিদেশীরাও পড়ছে বাংলা বলছে দেখো খাসা। বাঙালির রক্তে মিশে আছে মোদের বাংলা ভাষা, বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তায় সপ্তম স্থানে আসা। এই ভাষাতেই পড়ি লিখি এই ভাষাতেই গাই গান, বাংলা ভাষা না বললে বাড়বে কীভাবে মান।

কবি সৈয়দ আহম্মদ আশেকী এর কবিতা

ছবি
পালাব কোথায় সৈয়দ আহম্মদ আশেকী তোমাদের ছেড়ে আমি পালাব কোথায় ? এ মমতাময়ী প্রেম-ভালোবাসা মাখা মিশে আছে আমার প্রাণ। আমার শত জনমের পূর্ব পুরুষেরা এইখানে ঘুমায়ে আছে, আমার বাবা ,আমার দাদা তাঁর বাবার বাবা,দাদার দাদা তাঁদের স্পর্শ পাই সর্বত্র। মমতাময়ী মাটির পরতে পরতে বৃক্ষের কান্ডে,ডালে,পাতায় মুকুলে, ফুলে বাতাসের গন্ধে,সুস্নিগ্ধ নদী-ঝিলের জলে পাখির কলতান,আলো,বৃক্ষ ছায় তাঁদের ছেড়ে আমি পালাব কোথায়? এইখানে মাটির ঘ্রাণে মিশে গেছেন নবাব সিরাজ জন্মভূমি ছিলো যার বক্ষের পাঁজর, দরাজ মুক্তি কন্ঠের ঢেউ শেখ মুজিবুর রহমান, বহমানকালে শেরে বাংলা ফজলুল হক, দেশ প্রেমের উপমা হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, শুদ্ধ মানব মাওলানা ভাসানী, উদ্যমী প্রাণ পুরুষ জেনারেল উসমানী স্বপ্ন সিঁড়ি-চুড়ায় স্বপ্ন ছিল; মেঘের ফাঁকে ফাঁকে ধবল চাঁদ উঠে হেসেছিল মায়ায় মায়ায় তাঁদের ছেড়ে আমি পালাব কোথায় ? টলমল নদীজল, সুনির্মল বায়ু দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ,সবুজের হাসি। এইখানে আমার ঘর,গ্রাম,নগর,বন্দর আমার স্বজন,প্রিয়জন,স্বপ্ন-কোলাহল।  রাধারমণ,বাউল করিম,হাছন,লালন ধানের শিষে কৃষকের আনন্দকেতন ঢেউ খেলে আঁকাবাঁকা হাওয়ায় এত সুখ রেখে আমি পালাব কোথায় ? এ মাটি আমা

মনি জামান এর ধারাবাহিক উপন্যাস ১৪ পর্ব

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস সেদিন গোধূলি সন্ধ্যা ছিল ১৪ তম পর্ব  মনি জামান জিকুর মৃত্যুর পরে আসমা খুব ভেঙ্গে পড়েলো ঠিক মত ঘুমায় না ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করে না,ছেলেটাকে ও কাছে পেতনা সব সময় শাশুড়ি মোমেনা বেগম নয়নকে কাছে রেখে দিতো,আসমা নয়নকে কাছে ডাকলে মোমেনা বেগম আসমার কাছে আসতে দিতোনা ছেলেকে।ছেলে নয়ন ও দাদী মোমেনা বেগমের কাছে থাকতে থাকতে মা ছাড়া দাদীর কোলে অভ্যস্ত হয়ে উঠলো,মা আর ছেলের দুরত্বটা বাড়ানোর জন্য মোমেনা বেগম মনে মনে সেই প্রথম দিন থেকে সুদুর প্রসারি এই কৌশল অবলম্বন করে সে সফল,যাতে মা আর ছেলের দুরাত্ব বেড়ে যায় কারণ মোমেনা বেগম মনে মনে চায় ছোট লোকের বাচ্চা আসমাকে এ বাড়ি থেকে বের করে দিতে। আজ হোক কাল হোক মোমেনা বেগম সেই সুদর প্রসারি যড়যন্ত্রের ফসল মা ছেলের এই দুরত্ব সৃষ্টি।জিকুর মৃত্যু আজ দেড় বছর হয়ে গেলো এই দেড় বছরে আসমার জীবনে নেমে এল চরম নির্যাতনের এক ভয়ংকর অধ্যায়,জিকুর মৃত্যুর পর মোমেনা বেগম আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলো আসমা উপর এখন এই ছোটলোকের মেয়ে আসমা তার বাড়ির বোঝা হয়ে গেছে, তাই নিষ্ঠুর সব কৌশল একের পর এক প্রয়োগ করতে শুরু করছে। আসমার কোন কাজে ত্রুটি না পেলে ও অহেতুক আসমাকে গালাগালি মার ধোর শুর

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬৪

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৬৪) শামীমা আহমেদ  শায়লার ফোন ব্যস্ত পেয়ে শিহাবের ভেতরে যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে।।যেন সাজানো বাগানে আচমকা  কালবৈশাখীর তান্ডব। শিহাব বুঝতে পারছে না সে এখন কি করবে? শায়লার নাম্বারে কি কল দেবে বা দেয়া উচিত  হবে? কিন্তু এমনতো হতে পারে শায়লা তার অনিচ্ছাতেই কানাডায় কথা বলছে।পরক্ষণেই শিহাব ভাবলো, না,শায়লাতো কথা বলতেই পারে। শিহাবের মন  কেমন যেন  দোদুল্যমান হয়ে যাচ্ছে।তবে কি শায়লা অন্য কিছু ভাবছে? তবে যে আজ সারাদিন আমাদের সাথে সময় কাটালো? যদিও রেস্টুরেন্টে তাকে বেশ চিন্তিত লাগছিলো।তবে কি নোমান সাহেব শায়লার সাথে যোগাযোগে আছে? কই শায়লাতো কিছু বললো না?আর এতদিন নীরব  থেকে এখন সে কেন শায়লার খোঁজ করছে।কিন্তু শায়লাতো বলেছে সে আমাকেই ভালবাসে। শায়লাতো বারবার এটাই বুঝিয়েছে।আরাফকে আপন করে নিয়েছে। আরাফও শায়লাকে খুব পছন্দ করেছে।তাহলে কেন এতটা কাছে আসা? তার জন্য এতটা আকুল হওয়া? আবার কি তবে তার জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটতে যাচ্ছে? শিহাবের  বিছানায় আর ভালো লাগছে না। মোবাইল নামিয়ে রেখে সে উঠে বসলো।  এক চাপা উত্তেজনায় ঘরময় হেঁটে চললো।এমন টেনশনের সময় সিগারেট  দরকার টে

কবি রফিকুল ইসলাম এর কবিতা

ছবি
আশাদীর্ণ অনুতাপে রফিকুল ইসলাম নন্দন ভুবনলোকে  আনমনে জাগে  কত স্বপ্ন  এলোমেলো  তৃষ্ণিত পলাতকা মন পরম আত্মীয় প্রিয়জন কত বন্ধু এল-গেলো।।  অনুভূতির সীমানায় কত কল্পনা কত প্রত্যাশার পায়চারী  কখনো অভিমানে পিয়াসী মনে আড়ি । স্বপ্ন বিন্যাসে নিশিদিন নীলকণ্ঠ ফোটে ধূলা মাটির মায়া মালিকায় বেগুনি প্রজাপতি নাচে বাতাসে গায়। ভালোবাসার অরণ্যে মুখ লুকায়  আবেগী বাসর সাজায় পাতার আড়ালে।  শত চুম্বনে অনুরাগে মায়ায় জড়ালে । ঘুম ভাঙা ভোরে ঝরে পড়ে সুখের শিশির  রোদেলা ক্লান্ত দুপুর  অদূরে হাঁসের ছানা জলে ভাসে  ব্যথার দেউলে বসে কত কথা মনে আসে। বিকেলের  সোনা রোদে  হলুদ ঝিঁঙে ফুল মাচায় দোলে প্রণয়ী পায়রা বাকবাকুম মাতে টিনের চালে। অলখ্যে হলুদ রঙে ঝরে পড়ে পাতার আয়ু  আশাদীর্ণ অনুতাপে বিমর্ষ-ম্লান জীবন সন্ধ্যা বিদায় আরতি জ্বালে  আঁধারের  নির্জন পথে।