পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শারমিন সুলতানা রীনা

ছবি
  মৃত্যু মৃত্যু খেলা মায়াবী রোদের লাবন্য গিয়েছে ঝরে প্রদীপ নিভেছে তোমার নামটি ধরে তোমার পথেই মিছিল বোঝাই নাও এখনও কি তুমি আমার ছোঁয়াই পাও  কোন সুরে বাঁধো জীবনের সারগাম  কে মুছে দেয় ক্লান্ত দেহের ঘাম আমিতো গিয়েছি জীবনের মানে ভুলে জীবন মানে বুঝি  মৃত্যুর সহোদর সম্পর্কের বাঁধনেও চিনিনা কে আপন কেবা পর তোমার বাড়ির পাশেই  বেঁধেছি বাড়ি সময় করে দেখে যেও তাড়াতাড়ি আবারও কোথাও জমবে নতুন  মেলা জীবনের সাথে খেলছি এখন মৃত্যু মৃত্যু খেলা।

আহসান হাবিব রাজু

ছবি
শান্ত ছেলে সবার চেয়ে শান্ত আমি খারাপ ছেলে নই, আমার হাতে থাকে সদা বিশাল বড় বই। বাবা ভালো মা ও ভালো আমি কি ভালো নই? কেন আমায় ধরিয়ে দিলে এতো গুলো বই! ক'দিন বাদে কুজো বুড়ি  হব বইয়ের ভারে, দুই তিনটে বই কি! একা নিতে পারে? সকাল বেলা স্কুলে যাও মা আমাকে বলে, পড়া দিতে না পারিলে ম‍্যাডামে কান মলে। বিশাল একটা অঙ্ক কশতে দেয় আমাকে স‍্যারে দুই আর একে দশ বলি তার জন‍্য স‍্যার মারে। সবার চেয়ে বেশি বলব কম বলব ক‍্যান? ওদের চেয়ে আমার কি কম বুদ্ধি জ্ঞান!

মাসুদ করিম

ছবি
স্মৃতিময় দিন গুলি  হঠাৎ একদিন দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে তাকিয়ে দেখি দরজায় তুমি দাঁড়িয়ে, জানতে চাইলাম কে আপনি? তুমি বল্লে আমি তোমার বন্ধু। সেই থেকে পরিচয়, তারপর বন্ধু, বন্ধুত্ত থেকে হয় গভিরতা, একে অন্যের মনের কথা বিনিময়ের মাঝে আসা হয় হৃদয়ের কাছাকাছি। ধিরে ধিরে বাড়ে হৃদয়ের গভিরতা, জন্ম নেয় দুটি হৃদয়ে ভালোবাসা, তারপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন জাগে দুটি প্রানে। চলছিল বেশ, হঠাৎ এলো এক দমকা হাওয়া, হয়ে গেল সবি এলমেল। কোথা থেকে হঠাৎ যে কি হয়ে গেল বুঝে উঠতে গিয়ে দেখি তুমি অনেক দুরে, এক অচেনা মানুষে পরিনত হলে। কেন, কি কারনে দুরে সরে গেলে তা আজো বুঝে উঠতে পারিনি। সেই থেকে চলে পথ চেয়ে থাকা, আজো আছি সেই প্রতিক্ষায় বুক ভরা আশায় হয়তো ফিরবে কোন একদিন। আজো যখন একা বসে থাকি ভাবি তাই স্মৃতিময় সেই দিন গুলি, বড় কষ্ট দেয় স্মৃতি গুলি, তবুও ভাবি তোমার কথা ভাবতে ভালো লাগে তাই।

বীথিকা মণ্ডল

ছবি
দহন                  ক্ষয়িষ্ণু সময়ের এই ব্যস্ততায়  আমরা হারিয়ে যাচ্ছি ক্রমশঃ;   প্রত্যাশার সবুজ ঘাস প্রতিনিয়ত পুড়ছে  হৃদয় অনলে; ধূ-ধূ জমি,খাঁ-খাঁ মাঠ জল-শূন্য নদী বর্ষার প্রতীক্ষায় চির প্রেয়সী। পরাজয়ের মায়াবী বিষন্নতায় দহনের কাল এসে উপস্থিত। চিন্তার শব্দ পাঠ আজও রহস্যে ঘেরা, নিদ্রা বিহীন রাত্রে বুক পুড়ে যাচ্ছে দহন জ্বালায়। মনে রাখার ক্ষণ টুকু তুমি দিব্যি পার করে নিচ্ছ ,  তোমার সুললিত কথার চাতুর্যে  ! রাত্রি জাগার পাঠ নিয়েছ আজ,, লক্ষ্যহীন নিরুত্তাপকে সম্বল করে, এই সব আবেগের মূল্য অনিশ্চিত আধাঁরের ভেতর লাভা স্রোত হয়ে উদ্গত হবে এক দিন; আমার অপেক্ষা সেই ক্ষণের….......... যেদিন তুমি এসে আমার হাত দুটো ধরে বলবে..... “আমি দেব জলের প্লাবণ তুমি দিও একটি নদী।"

শাহীন রহমান

ছবি
সোনার মন   আমি মনে মনে খুঁজে বেড়ায় সোনার মত মন, মনের মানুষ পাইনা খুঁজে,ভিজাই চোখের কোন  ও মন, আমি মনের মানুষ কোথায় পাবো বল ; এমন করে আর কতদিনের ঝরবে চোখের জল।  সোনার মনপবনের বসত ঘরে,আছেন মহারাজ,  সেই মনের ঘরে বসত করা,সেকি সহজ কাজ  সেই সোনার মনের মাঝে আমি গড়বো বসত ঘর,  আর ছুঁয়ে যাবো হৃদয় সোনার,সারা জীবন ভর।  শুধু ভালোবাসা'র ফল্গুধারা,ছড়িয়ে দেবো মনে, তখন সুখপাখিটা উঠবে গেয়ে কাঠালচাঁপা'র বনে  সোনারমন যদি পায়, ফুলপরী'রা ভরবে ফুলের বন সেদিন সেই খুশিতে লালকরবী রাঙিয়ে যাবে মন।  দিনের শেষে এই মনটা নিয়ে, করিস না আর ছল,  তুই মনের ভালোবাসা দিয়ে, মনের কথায় বল,  পাগল,সোনার মত মনটা ছোঁয়া এত সহজ নয়,  ওই মনের সাথে ভাব জমিয়ে, মনটা ছুঁতে হয়।

চৈতালী দে

ছবি
অভিমান আজ প্রথমের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করলো  প্রথম । পৃথিবীর প্রথম ........ এই প্রথম নিয়ে মানুষের মধ্যে কত লড়াই তবে সবসময় মানুষই কেনো ? বোধহয় প্রথমের লড়াই পিপিলিকার মধ্যেও আছে ..... আচ্ছা বলতে পারো , পৃথিবীর প্রথম পাগল কে ? অথবা  পৃথিবীতে যে মানুষটি প্রথম আত্মহত্যা করে  সে নারী না পুরুষ ? অদ্ভুত প্রশ্ন তাই না ? আজ প্রথমের ওপর একটু অভিমান হলো কাঁপা হাতে তার উস্কোখুস্কো চুলে বিলি কাটতে লাগলাম  মনে অজস্র প্রশ্ন ! বহিঃপ্রকাশ করতে ইচ্ছা করলো না তার চোখে ভাসছিলো মায়ার চাদর সে বললো ,  আমরা মায়াতেই জন্মেছি মায়াতেই ! আমি বললাম তোমার সাথে দেখা না হলে  জীবনটা হয়তো অন্যরকম হতে পারতো প্রথম নির্বাক শুধু তাকিয়ে থাকা .... আর আমি ? নাহঃ ...... পাল্টাতে পারলাম না নিজেকে অভিমানে পুড়ে পুড়ে এক নতুন আমিকে  আবিষ্কার করলাম ! সেই আমির কাছে পেলাম আমার সকল প্রশ্নের উত্তর নিসঃঙ্গতা আজ আর আমায় স্পর্শ করতে পারে না পৃথিবীর বুকে আজ আঁকলাম আমার প্রথম আলপনা ।

মোহাঃ নওশাদ আলম

ছবি
মাটির সুঘ্রাণ সোনা সোনা গন্ধ পাচ্ছি, স্বদেশ মাটির ঘ্রাণে, সতেজ বাতাস লাগে- আমার নিস্তেজ প্রাণে। জীবনের খাতা থেকে হারালো ন'মাস ঢের, নিথর হৃদয় খানি, প্রাণ ফিরে পেলো ফের। প্রতিটি মুহুর্তক্ষণে, এ মাটির স্বপ্ন দেখি, আনমনে ঘুরে এসে, কত শত কাব্য লেখি। মাটির ঢেলা কণায় স্মৃতির আবির ভাসে, গোধূলির শান্ত রোদে সাদা মেঘ মিষ্টি হাসে। সকল ক্লান্তি যাতনা এসে ভুলে যায় আমি, জন্মভূমি মা জননী স্বর্ণ রাজ্য থেকে দামি। শীতল সমীর ঢেউ খেলা করে উন্মুক্ত মাঠে, মৌমাছির দল হয়ে ঘুরি আমি ভিন্ন ঘাটে। নাড়ির মমতা টানে, ফিরে আসি মাতৃকোলে, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা  হৃদ নদে ঢেউ তোলে। ফিরে পেয়েছি আমার শৈশবে কাটানো দিন, মা-মাটি জননীর কাছে রয়েছে হাজার ঋণ। কেমনে শোধ করিবো ঋণের বিশাল বোঝা, প্রতি পদেপদে রোজ, মমতা ও স্নেহ খোঁজা। মাটির সুঘ্রাণে মন  হয়েছে চঞ্চলা পাখি, এলোমেলো সমীরণে,মেলেছে বিবিধ আঁখি।

মনি-মনি

ছবি
আমার ভালবাসা তোমার ভালবাসার ছোঁয়া পেয়ে  হয়েছি আমি পূর্ণ,  তুমি বিহনে এতদিন অামার হৃদয় ছিল শূন্য,।   শূন্য হৃদয়ের পূর্ণতায় অাজ হয়েছি আমি ধন্য। আমার পৃথিবী তাই তো অাজ  পেয়েছে তারুণ্য।  তোমার স্পর্শ অামাকে সাজিয়ে দেয়  নতুন অামি করে,  অজানা এক স্বপ্ন এসে নিরালায় অামার হাতটি ধরে।  জানিনা কি এমন অাছে তোমার এই স্পর্শে, তোলপাড় হয় অামার হৃদয়  শুধু তোমার পরশে। যে সুধা অামি পান করেছি  তোমায় ভালোবেসে,  সারাটি জীবন রেখো অামায় তোমার  মায়াবী এই পরশে।

আমির হাসান মিলন

ছবি
অপারগতার গল্প  দূর জাভাপুঞ্জে কোন এক রাতে  চাঁদের স্নিগ্ধ আলোতে জ্যোৎস্নার ছায়ায়  নাকে লেগেছিলো লোবানের গন্ধ  হৃদয়ে মেখেছিলাম তাকে অশেষ আপ্লুত হয়ে,  উগ্র কামনার ঘ্রাণানুসরণে সে লোবান উড়ে গেলো  উঁচু বিদ্বেষপূর্ণ অট্টালিকায় ;   সে আর খোঁজ রাখেনি এই উন্মাদ প্রেমিকের !  আজকাল তাই এ সব অবাস্তবিক নাট্যের  অযথা বেখেয়ালি , আনমনা মঞ্চস্থের আনকোরা আয়োজনে,  বিধ্বস্ত মন আমার অঘোরে ঘুমায়  আমি পড়ে থাকি কঙ্কালসার এই বিছানায় কষ্টের আলিঙ্গনে।  নিজেকে লুকিয়ে আড়ালে।

সুরজিৎ ব্যানার্জী

ছবি
  পরিমার্জিত উপোসী স্বার্থ বোঝে, জিভে প্রেম বুঝে চলে পোষ্য, আমার রেটিনা বোঝে স্মৃতি-পুজো অপয়া অজস্র। প্রেমিকা আঙুল ধরে , ভালোবাসা আমাদেরই জন্য,   উল্লাসি অপঘাত  চোখে ভাসে আয়না জঘন্য। তরফে বরফ জমে, একাকার, তর্জমা ভাষাহীন হৃদয় প্রণালী-প্রিয় বয়ে যায় ধোঁয়াশায় কী রঙিন! বেহায়া দ্বীপের মতো প্রেমিকের এ পোশাক বেমানান অবহেলা থইথই , এর-ই মাঝে ক্ষণিকের মোহ দান। উপোসী স্বার্থ বোঝে, জিভে প্রেম বুঝে চলে পোষ্য বেঁচে থাকা যতটুকু , তার বেশি বেঁচে থাকে নশ্বর প্রেমের অঢেল কবি জল্পনা জবানীতে সংঘাত কী যেন প্রমাণ হবে, অভিমান চেপে থাকে দাঁতে দাঁত একদা নতুন প্রেম, ভুলচুক  বেহিসেবী আমিও  শান্তি স্তিমিত হলে চাইব আবারো সুনামি হোক।