পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিয়োগফলের বত্রিশ আনা জীবন

ছবি
বিশ্বজিৎ লায়েক ভাবছি নিজের কথা লিখব। হয় না। লেখার সঙ্গে ঢুকে পড়ে চাল, গম, চিনি। বি.পি.এল. এর মানুষ। পোড়ামাটির জীবন ও মানুষজন। মিডডে মিলের ভাত। ভাঙা স্কুলঘর। সর্বস্ব খোয়ানো আমানতকারীর ক্যাবলা, দোমড়ানো মুখ। আর্দ্রতা ও কৌতুহল। আকাশে চাঁদ উঠলে নাচতে ইচ্ছে করে। কানে গুঁজে নিতে ইচ্ছে হয় পাখির পালক। সম্ভব হয় না। ঘর বন্ধ করে শুয়ে শুয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে। পারি না। মেসবাড়ির জানলা বন্ধ করলে পাশের খাট থেকে চিৎকার করে বিশু, ' দেখছিস না, বিড়ি ধরিয়েছি! স্যাভোকেশন হবে।' আমি বিড়ির ধোঁয়ার দিকে ঈষৎ প্রেম প্রেম চোখে তাকাই। ঈষৎ জুলজুল চোখে তাকাই। বিপরীত  ইচ্ছের প্রবল দড়ি ধরে টানে কেউ। তাকের উপর রাখা ডিওলিন চোখ গোল গোল করে তাকায়। আমি ফাটা বেলুনের মতো চুপসে যাই। অতনু ফোন করে। বলে, 'খবরটা শুনে সেই থেকে আমার খুব খারাপ লাগছে। কেন এমন হল বলো তো!' কী হল ভাবতে থাকি, ভাবতেই থাকি। ভাবনার আর গাছ, পাথর থাকে না। ১৯ মিনিট ১৩ সেকেন্ড পর মনে হয়, 'সেকি! অমন তো কিছুই হয়নি। হ্যাঁ, হতে পারত। কিন্তু হয়নি।' বাংলা বাজারের জলবায়ু অঙ্কুরোদগম সহায়ক। দ্রুত মাটি ফুঁড়ে চারাগাছ। ডালপালা গজায়। গোঁফদাড়ি গজায়।