পোস্টগুলি

এপ্রিল ৩, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৮৩

ছবি
ধারাবাহিক উপন্যাস  শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত  (পর্ব ৮৩) শামীমা আহমেদ  কিছুক্ষণ যাবৎ একটানা কলিং বেল বেজেই চলেছে।শায়লা মায়ের ঘরে মায়ের পাশে চুপচাপ বসে আছে। কলিং বেল শুনছে কিন্তু দরজা ভেতর থেকে লক করা রয়েছে। তাই সে এ ব্যাপারে কোন উৎসাহ দেখাচ্ছে না। সে  একমনে শিহাবকেই ভেবে চলেছে। গতকাল সারাদিন শিহাবের সাথে কাটানো সময়গুলো ভীষণভাবে মনে পড়ছে। শিহাবের প্রতিটি কথা  প্রতিটি আশ্বাস শায়লাকে বেঁচে থাকবার প্রেরণা যোগায়।  তার খুব করে মনে পড়ছে পরিচয়ের পর থেকে কিভাবে একটু একটু করে দুজনার ভাললাগা আর তা প্রকাশের ছোট্ট ছোট্ট ক্ষণগুলো। এখন তো অন্য এক শিহাব তার সামনে দাঁড়িয়ে। যে কিনা তার জীবনের  পিছনের সব কিছু ঝেড়ে ফেলে শুধু শায়লাকেই  আপন করে নিয়েছে। শায়লাও তার মনের চাওয়ার বিরুদ্ধে কিছুই করবে না।  কিন্তু আজ দুপুরের ফ্লাইটে নোমান সাহেব দেশে আসবেন। তাকে এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় আনার সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গতকাল বাসায় শায়লার দীর্ঘক্ষণ অনুপস্থিতি আর মায়ের অসুস্থতায় আয়োজনে কিছুটা ভাটা পড়লেও বুঝা যাচ্ছে আজ তারা সবাই আবার পূর্ণ উদ্যমে নামবে। সবই শায়লার মনে বিরুদ্ধে। অবশ্য কেউই আর তার ইচ্ছা অনিচ্ছার মূল্য নিয়ে চ

কবি শাহীন রহমান এর কবিতা "কোন কারিগর"

ছবি
কোন কারিগর শাহীন রহমান আহা কি মনোহর সৃষ্টি ভুবন,স্রষ্টা ধরার কোন সে গুনি, ঢেউ এর গানে মুগ্ধ হই, আর শিশির ঝরার শব্দ শুনি।  ওই নীল সাগরের উর্মি এসে,পা ধুয়ে দেয় আদর করে, দূর নীলিমায় আকাশ নামে,পাহাড় বেয়ে ঝরনা ঝরে।  ওই সাগর পানে ছুটছে নদী,কার ইশারায় সুর্য ওঠে,  চাঁদের টানে জোয়ার ভাটায়,কানন জুড়ে কুসুম ফোটে।   গাভীর বাটে কে দুধ ঝরাই, বৃক্ষ শাখায় ধরাই ফল, আকাশ জুড়ে মেঘ আনে কে, মুশলধারে ঝরায় জল।  মাঠ ছেয়ে যায় সোনার ধানে, কে দেয় তাতে শস্য দানা, ভ্রুণ গুলো সব মায়ের গর্ভে,কেমন করে পায় ঠিকানা।  হওয়ার আগে মায়ের বুকে,কে ঠেসে দেয় দুধের বাটি,  কেন সোনার ফসল তুলতে ঘরে, গর্ভবতী হয় এ মাটি।  কে এনে দেয় জীবে'র আহার, গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা পানি, খুব তাপদহনে শরীর জুড়ায়,শিতল দখিন মলয় আনি।  আঁধার রাতে কে ঢেলে দেয়, পুর্ণমাসির চাঁদের আলো ?  কে শিখালো হৃদয় ভরে,আপনজনের বাসতে ভালো।  যার করুনায় এলাম ভবে,তার খবর কি রাখি আমি ?  শুধু আমার তরেই সৃষ্টি যিনি,করে গেলেন দিবাযামী।   এই জমিন জুড়ে মাদুর পাতা,কোথায় থাকে দুর্বাঘাস, কোন কারিগর গড়াই এসব,কোথায় বল তাহার বাস।

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ১৪৬

ছবি
উপন্যাস টানাপোড়েন ১৪৬ হু হু করা বসন্ত মমতা রায়চৌধুরী অনেক রাতে মনোজ  ঘরে ঢুকলো। রেখা তখন  আধো ঘুমে। হঠাৎই বেড সুইচটা জ্বালাতে রেখার ঘুম ভেঙে যায় ।তাকিয়ে দেখে মনোজ  রেখার পাশে বসে। রেখা উঠতে যাবে ঠিক তখনই মনোজ বলল" উঠছো কেন ?মাথায় হাত বোলাতে লাগলো। রেখা অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে। "অমন করে কি দেখছো?" "না তুমি হঠাৎ করে এখন…।' কথা সম্পূর্ণ না হতেই মনোজ  বলল আসলে কালতো মায়েরা চলে যাবে ,ওই ঘরে বসে একটু গল্প করছিলাম। একটু দেরী হয়ে গেল।' রেখা উঠে বসলো'গাড়ি পেয়েছো? "হ্যাঁ পার্থ ফোন করেছিল আর অন্য একটা গাড়ি  পাঠাবে বলল।" "ভালোই করেছ পার্থর গাড়ি হলে কোন চিন্তা থাকে না।" "এই কটা দিন তুমি আবার শ্বাস নিতে পারবে প্রাণভরে।" রেখা হাসতে থাকে। মনোজ রেখাকে আরো কাছে টেনে নেয়। হঠাৎ করে মনোজের কি হলো?  নিভে যাওয়া সাঁঝের প্রদীপ আবার জেগে উঠছে। যেমন করে না ফোটা গোলাপ গুলি আবার ফুটে ওঠে। থমকে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় যেন আবার বসন্তের গান বেজে উঠছে। এক অন্য বসন্ত মনে হচ্ছে। এই বসন্তে আগামী ভোরের সূর্যোদয়ে যেন নতুন করে জাগবে রেখা মনোজের অরুণ আ

কবি শিবনাথ মণ্ডল  এর কবিতা "সবার সেরা"

ছবি
সবার সেরা  শিবনাথ মণ্ডল   আয়রে সবাই ছেলে মেয়ে    পড়তে সবাই চল লেখা পড়ায় কেউ কোনো দিন  করিসনা ভাই ছল ।  বড়ো স্কুলে যাবো সবাই পড়বো কত ব ই  আর কখনো কাউকে মোরা দেবনা টিপসই । শিক্ষা নেবো ইস্কুলে  শিখবো লেখা পড়া  ভালো ভালো পডবো ব ই গল্প কবিতা ছড়া । ছেলে মেয়ে সবাই মিলে  শিখলে লেখা পড়া  বিশ্বের মাঝে এই দেশটা  হবে সবার সেরা । তখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এই দেশের কথা  সবাই তখন  স্বীকার করবে শ্রেষ্ঠ ভারত মাতা ।।   

কবি মিতা নূর এর কবিতা "কালো রেশমের আবরণে"

ছবি
কালো রেশমের আবরণে   মিতা নূর সবকিছু শূন্য লাগে, নিঃস্ব লাগে অসতীত্ব,  ভাবছি, শুধু ভাবছি,ভেবে ভেবে ক্লান্ত আমি,  সত্যিই ক্লান্ত আমি,  আবার না ভেবেও পারি না!  না পারি ভুলতে- না পারি মনের অবস্থা কাউকে বলতে।  আজ বাস্তবতার কাছে  বড় অসহায় লাগে,  কেমন যেন নিজেকে আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলছি।  কোনোকিছুই আর মন টানে না, এখন ভালো আছি হয়তো! কারোর রক্তিম পলাশের রং ভুলে,কালো রেশমের আবরণে। একসময়  কাউকে নিয়ে শখ ছিল, স্বপ্ন ছিল, সব পালটে দিয়েছি;  আজ ব্যস্ত আমি ভীষণ রকম  তার চেনা কে ভুলে।  সেদিন সে  ভালোই করেছে, তার মন থেকে  নিজ হাতে আমার ছবি মুছে দিয়ে!  নয়তো আজ অকেজো ছবি হয়ে থেকে যেতাম ধুলোবালিতে,  এইতো বেশ আছি, চোখের কোণে পুষে রেখে সাগর !!  --২৯/০১/২০২২--ইং--রাতঃ-১২ঃ১২,

কবি অলোক দাস এর কবিতা "প্রাচীন একটা বটগাছ "

ছবি
প্রাচীন একটা বটগাছ  অলোক দাস  একটা বহু প্রাচীন বটগাছ,  দিয়েছে মানুষকে অক্সিজেন,  পখিকূলকে দিয়েছে আশ্রয় । গ্রীষ্মের গরমে দিয়েছে একটু আরাম । পথিককে দিয়েছে বিশ্রাম । আজ বটগাছের সব পাতা গেছে ঝরে ।  সে আজ শক্তিহীন ।  ভালোবাসাহিন পাথর । কেউই আসে না ওর কাছে । ওর পাশে বকুল, শিউলি ও পলাশ । নিচে সবুজ গাছের অরণ্য । মানুষের ভালোবাসা সীমাবদ্ধ ।

কবি মোঃসেলিম মিয়া এর কবিতা "আজরাইলের হাঁক"

ছবি
আজরাইলের হাঁক মোঃসেলিম মিয়া  (রমজানুল মোবারক)  মেধা শ্রম অর্থ জস অট্টালিকা বাড়ি  কালের স্বাক্ষী রইবে দন্ডায়মান  আবসুসের আহাজারি!  নিথর দেহ শব্দহীণ প্রাণ  বেড়িয়ে গেছে চলে--- নাম ধরে আর ডাকছেনা কেউ  লাস বলছে তারে! কত যতনে রাখা নাম খানি টাইটেল গেছে ছুটে -- নামের পোদ্দারি ক্ষমতার বাহাদুরি  বেঁচে থাকাটাই যে মিছে! ক্ষনিকের বাস কত পণ্ডশ্রম  হায়রে ব্যাকুলতা! মৃত্যু অমোঘ ভুলে গেছি সবে স্বজ্ঞানে নির্বোধিতা। ক্ষণকালের দুনিয়া দারি কিসের ছোটাছুটি?  দিনের শেষে  হিসেবের গড়মিল  অন্কটাই নাহি খাঁটি ! দাফন কাফনে ব্যস্ত সবাই  লাস রবেনা ঘরে, সাড়ে তিনহাত ভিটে জায়গা  কাঁদা মাটি সব ঘিরে।  অহংকার সব চূর্ণ হবে  দেহ খাবে মাটি! কিসের এতো বাহাদুরি মৃত্যুর সওদা কি কারো জুটে? কবর হবে বসত ভিটা  শাপ বিচ্ছুর বাস, সময় থাকতে হই সচেতন  আজরাইলের পেতেই হাঁক !