পোস্টগুলি

মার্চ ১৫, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মমতা রায়চৌধুরীর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব১৩৩

ছবি
উপন্যাস  টানাপোড়েন ১৩৩ পরতে পরতে ভালোবাসা মমতা রায়চৌধুরী কল্যাণের কথা ভাবতে ভাবতেই শিখার অনেক রাত হয়ে গেল । বেড সুইচ টিপে এক ঝলক হলুদ আলোর মধ্যে চোখমুখ কুঁচকে উঠে বসলো শিখা। বিকেলবেলা কল্যাণের  সঙ্গে ঘুরে ফিরে আসার পর ওই যে শুয়েছে, মাধুর অনুরোধে খেতেও গেল না। সারা শরীর মন জুড়ে যেন সেই উষ্ণতার স্পর্শ রয়ে গেছে ।না কোনকিছুই আজকে আর ভালো লাগছে না আর কোন কিছু নিয়ে ভাবতে ভালো লাগছে না। কল্যাণকে যে একটা ফোন দেবে সেটাও সাহসে কুলাচ্ছে না  আসলে কল্যান কাজের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস ।হয়তো যে বিষয়টা নিয়ে লিখছে সেই বিষয়টা কমপ্লিট না হলে কল্যান রেগে ও যেতে  পারে।  মাঝখানে ফোনটা করলে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। ঘুম আসছেনা অপরিসীম একটা ক্লান্তি লাগছে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করছে অথচ কোন চোখে ঘুম নেই। শিখা এক সময় উঠে টেবিলের কাছে গেল কাগজপত্র বইপত্রের একটা অসামঞ্জস্য ভাবে পড়ে আছে যেন দেয়াল চাপা পড়ে গেছে । তারপর একসময় ড্রয়ার খুলে লম্বা একটা খাম বের করলো এরকম আমি ব্যক্তিগত চিঠি পত্র লেখে না। অ্যাপ্লিকেশন লিখে পাঠায়। নীল কালিতে লেখা পরিষ্কার করে একটা কোনায় তারিখ। আরো অনেকখানি শূন্যতা উপরে নিচে

কবি মমতা রায়চৌধুরীর এই সময়ের কবিতা

ছবি
ভালোবাসার মন্ত্র (সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে কবিতা)   মমতা রায়চৌধুরী তুমি ঘুমোচ্ছ। তাই আমি তোমার চোখের ওপর  আলতো চুমু এঁকে দিলাম। ভালোবাসার শেষ চুমু। কেমন অবাক হচ্ছো না? কি জানি আবার তোমাকে এই ভালবাসায় ,আদরে ভরিয়ে দিতে পারব কিনা? হয়তো বা পারব , হয়তো বা না। তবুও বুকের ভেতরে জাগে আশা। কিন্তু আঁতকে দেখি আমার ডান পাশে বারুদে ভরা বিষাক্ত বাতাস, রক্তাক্ত শরীর, আমার বাঁ পাশে ছিন্নভিন্ন লাশ, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এদিক-ওদিক এ যেন এক মৃত্যু উপত্যকা। তার মাঝে তোমার ভালোবাসা বুকে  তুমি জাগার আগেই বেরিয়েছি। তুমি ঘুমাও। তুমি ঘুমাও প্রিয়তমা। আমার মাতৃভূমি ওপর সাম্রাজ্যবাদী লোভী নেকড়ে ফেলেছে হিংস্র দৃষ্টি । আমাকে যেতে হবে। আমাকে যেতে হবে  আমার মায়ের জন্য, তোমার জন্য ,সবার জন্য। চারিদিকে ছড়ানো-ছিটানো  কাঠ কয়লা,দোমড়ানো-মোচড়ানো।  আর রক্তাক্ত দাগে দেখছি   তোমার মুখে চাঁদের আলো। বিষন্নতা ,অন্ধকার আর নেকড়ের থাবার অনেক দূরে। তবুও কেন বোঝে না এরা? অস্ত্রের ঝনঝনানি ,বারুদের   উল্লাসে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে চলে ফন্দিবাজ যুদ্ধবাজী। অথচ ছোট্ট শিশু চায় না যুদ্ধ।  তার আদুড় গা শৈশব আঁকড়ে   হাতছানি দেয় দুচ

কবি মহুয়া চক্রবর্তীর কবিতা

ছবি
ফেরারী মন মহুয়া চক্রবর্তী হয়তো কাল প্রভাতের আলোয়  আমি আর থাকবো না  পৃথিবীর কোথাও কোন ক্ষণে রয়ে যাবে আকাশের চাঁদ সূর্য ধ্রুবতারা আর হবেনা কোনদিন আমার  তোমাদের মাঝে ফেরা। যদি হঠাৎ কখনো কোনদিন মনে পরে আমায় পাবে আমায় সেই তারাদের ভিড়ে প্রভাতের প্রথম আলো হয়ে ছুঁয়ে যাবো তোমায় আবার কখনো চাঁদনী রাতে জোছনা হয়ে  আসবো তোমারই নীড়ে।  গ্রীস্মের সেই তপ্ত দুপুরে   তুমি যখন ক্লান্ত হয়ে বসবে গাছের ছায়ায় আমি তখন শীতল বাতাস হয়ে তোমায় জড়াবো ফেলে আসা স্মৃতির মায়ায়। তুমি কি মনে রাখবে আমায়  হয়তো একটু একটু করে মুছে যাবে সব সময়ের তাড়ায়। জীবনের সব স্বপ্ন সব আসা তোমার বাড়ির আঙিনায় গেলাম ফেলে  তুলসী তলার প্রদীপ হয়ে জলবো আমি  যদি কখনো তোমার দেখা মেলে।

শামীমা আহমেদ এর ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ৬৮

ছবি
ধারাবাহিক গল্প শায়লা শিহাব কথন  অলিখিত শর্ত (পর্ব ৬৮) শামীমা আহমেদ  বিকেলে শিহাবের চায়ের দাওয়াত পেয়ে শায়লার মনে অন্যরকম একটা ভালো লাগার অনুভুতি হলো।  যেন এক পশলা বাতাস ছুঁয়ে গেলো ! শিহাবের সাথে কথা হওয়ার পর থেকে শায়লার দু'চোখের পাতা আর এক হয়নি। বাকী সময়টা সে জেগে জেগেই ঘুমালো।আর  বারবার  দেয়ালে বড় ঘড়িটার দিকে তার চোখ পড়ছিল।সেকেন্ডের কাঁটার একটা একটা করে ঘরের চলন আর তার ভেতরে শিহাবকে দেখার আনন্দে একটু একটু করে এগিয়ে চলা। হঠাৎ করে এমন প্রাপ্তি ভেতরটায় কেমন যেন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠলো! শায়লা ভেবে নিলো,সে আজ  চিকন জরি পাড়ের সেই কালো কোটা শাড়িটি পরবে।শাড়িটার বুনন খুবই হালকা।পরলে মনে হয় পাখির পালকের মত অনুভুতি। আর শাড়িটায় শায়লাকে বেশ উজ্জ্বলও দেখায়।যদিও শিহাবের পাশে তাকে একটু অনুজ্জ্বলই লাগে। অবশ্য এ কথা শুনলে শিহাব ভীষণ রেগে যায়। যদিও শায়লা নিজেকে বুঝে কিন্তু তবুও শায়লা লক্ষ্য করেছে শাড়ি পরলেই তার দিকে শিহাবের যেন  সপ্রতিভ একটা দৃষ্টি !  চারটার দিকে শায়লা বিছানা ছাড়লো। একটু ফ্রেশ হয়ে নিয়ে চুল আঁচড়ে নিলো। মন চাইছে চুলটা খোলাই রাখবে আজ। শাড়িটা বের করতেই মনে পড়ে গেলো রাহাত চাকরীর প্রথম ব

কবি রুকসানা রহমান এর কবিতা

ছবি
লজ্জা রুকসানা রহমান  সাগর  টেনে নিলো আচমকা এসে,  ছুঁয়ে দিলো নোনা   জল ওষ্ঠে। টেনে নিলো অতল গভীরে। স্বপ্নরা পাহাড়ের পাদদেশে অস্হির, লজ্জা ঢাকলো মেঘ তার ছায়ায় বিনম্র শ্রদ্বায় !

Poet Suparna Chatterjee 's poem

ছবি
Festival of Colour Mrs.Suparna Chatterjee Significance of colour means A beautiful loving heart. Which is very rare And the most precious. Significance of colour means Welcoming Spring  At the end of Winter. Significance of colour means A couple of lovers’  Madness of love. Significance of colour means Falling of dry leaves, And coming out with green leaves instead of it. Significance of colour means Constant pain of a broken heart. Significance of colour means Endless waiting for a distant love. Significance of the “Festival of Colour” means, To enjoy the day  In a different way. By forgetting every wounds   Learn to love all the people of the beloved Earth.