৩০ মার্চ ২০২২

নাসিমা মিশু এর কবিতা "কুর্নিশ"




কুর্নিশ 
নাসিমা মিশু

কুর্নিশ মহাশয়- বাপ জী,ভাই, দাদা গুরুজন, 
বড় বড় শিক্ষিত, অধিপতি, কর্তা ব্যক্তিগন
আপনাদের কুর্নিশ ।
ছোট আমি ,অতি ছোট্ট দীন হীন, 
জরাজীর্ণ সব হীন; 
কেনো ই বা এই দুর্দশা! 
কুর্নিশে হাত জোড় ঠিক ; 
মাথা মোর ণত নহে, দেখো দুচোখ বাড়িয়ে ।
চেয়ে দেখো ভালো করে, মোর আঁখির তীব্রতা 
প্রখর দীপ্তিময় নয় কী ?
মোর দু'নয়নে উপছে উঠেছে তোমাদের কীর্তি ।
দুর্নীতি, ঘুষ, সুদ, দৌড়াত্ব,দাপট... 
ডুবে গেছো তোমরা ।
টাকা আর টাকা  হায়!কেড়ে নিয়েছে তোমাদের বোধ ।
শুধু কী তাই ?
দেখছি পড়ছি শুনছি পবিত্র সংসদ কলুষিত হলো হায়
মানব পাচার ঘৃণ্য মানুষ নামের দানবের পদচারণায় ।

এক মা পারে কী ! এমন লোভী দানবদের থাবা থেকে আমাদের রক্ষা করতে... 

আমি, আমরা বলি থামো এবার ;হাত যবে উঠিয়েছি,
কুর্নিশটা দাও করতে ভক্তি ভরে বিনম্র বিশ্বাসে ।
একটু হলেও দাও পরিচয় তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের ।
শিক্ষা, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে পরিবার সব তো করেছো কলুষিত! 
এবার থামাও তোমাদের নির্লজ্জতা, 
কুর্নিশটা নাও সৎ, সত্য ও সততার সাথে ।
আর কত চাও?
শুনছি, পড়ছি বিদেশে ব্যাংক নাকি পেট ফুলে ফেঁপে হয়ে উঠেছে কলাগাছ তোমাদের টাকায় ।
পত্র পত্রিকায় বড় বড় হরফে একজনের বাণীতে চোখ মোর কপালে- 
বেতন দিতে হলে ছয় মাস পড়ে ছাপাতে হতে হবে টাকা 
বেসামাল মদ খোর যতটা না বেসামাল মদ্যপ পানে,
তারচেয়ে ও অধিক বেসামাল লজ্জার মাথা খাওয়া তোমাদের কর্ম ।
এখনও আছে সময়- 
কুর্নিশ কুর্নিশে বলছি দয়া করো, আমাদের বাঁচতে দাও।
তোমাদের ধৃষ্টতা, আমাদের অক্ষম অপারগতার একদিন হবে শেষ- 
একথা জেনো নিশ্চিত ।
এপার ওপার কোনো পাড়ে না হলেও, হবে হবে পরপারে হবে।
কুর্নিশ বাপজী ভাই জী, আবার ও বলছি- 
শোনো শোনো দেশ জননীর কথা- 
জননীর সাথে সততার দৃষ্টান্তে হাত মিলিয়ে দেশটাকে করো রক্ষা ।
শোনো শোনো বলি-
মরে গেলে পচে যাবে 
মাটির সাথে মিশে যাবে মাটি তৈরি দেহ 
থেকে যাবে কর্ম কীর্তি, কর্মের দায়।

কুর্নিশ কুর্নিশ তোমাদের কুর্নিশ বিনম্র শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসে ।

ভালো থেকো তোমরা, ভালো থাকতে দিও আমাদেরকে এই মিনতি আর্জিত কুর্নিশে তোমাদের কাছে মোর ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much