১৭ নভেম্বর ২০২১

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়/শেষ পর্ব

চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন  লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার। 
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে। 




উদাসী মেঘের ডানায় পর্ব 
শেষ পর্ব 


তৃৃষ্ণা কে সামিয়া,কিছুতেই রাজি করাতে পারলোনা
পার্লারে যেতে তৃষ্ণা,নিজেই সাজবে বললো সামিয়াকে
- তুমি তো কোর্স করেছিলে আমি ও কেন পার্লারে যাবো ওরা তো চেহারাই পালটে দিবে। আমি নিজে সাজবো হাত খোেপা করে বেলি ফুল জড়াবো শাড়িটা তুমি বেশ সুন্দর করে পড়াতে পারো কাজেই দরকার নেই,।শেষ পর্যন্ত তৃষ্ণা নিজেই সাজলো সামিয়াকে নিয়ে শাড়ি গহনা পড়িয়ে,সামিয়া অবাক হয়ে তৃষ্ণাকে
দেখছে, তৃষ্ণা লজ্জা পেয়ে বললো- খুব খারাপ লাগছে?
সামিয়া হেসে বললো- না,আমি চোখ ফেরাতে পারছিনা, অপুর কি করবে তোকে দেখে তাই ভাবছি।তৃষ্ণা- থাক,হয়েছে আর বলোনা।
এবার সবাই মিলে চলে গেলো চিন মৈত্রী তে।
বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ,হলো কান্নাকাটির পালা শেষ করে,অপু তৃষ্ণা কে নিয়ে গাড়িতে বসলো।
কিছু্ক্ষণ পর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি এগুতে শুরু করলো তৃষ্ণা গাড়ির জানালায় মুখ বের করে কাদঁছে আর মাকে দেখছে। গাড়ি সবাইকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলো, অপু তৃষ্ণার কান্না দেখে কি করবে ভাবছে, রুমাল দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে হাতটা নিজের হাতে নিয়ে আলতে চাপ দিয়ে কানের
কাছে মুখ নিয়ে বললো- ফুটবল টিম লাগবে মনে আছেতো, এখন আার উপায় নেই পালাবার।
তৃষ্ণা হেসে বললো - খালি দুষ্টমি কথা ছাড়া কিছুই জানোনা।
বাড়িতে ঢুকে অপুর রুমে নিয়ে এলো তৃষ্ণা অবাক হয় গেলো বেলি ফুল ওর প্রিয় ফুল তাই দিয়ে পুরো রুমটা সাজানেো হয়েছে ফুলের গন্ধে রুমটা ভরে আছে।
মুগ্বতায় ভরে,উঠলো মন, ওকে বসিয়ে এবার সবাই মেতে উঠেছে তৃষ্ণাকে নিয়ে, রাত প্রায় ১টা বাজতে
চলছে সবাই বিদায় নিলো অপু রুমের দরজা বন্ধ করে কাছে এসে বসলো।
ঘোমটা সরিয়ে গাইলো
বধু কোন আলো লাগলো, লাগলো চোখে
গান শেষ হতেই আলো নিভিয়ে দিলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much