দুরের বাঁশি
রাবেয়া পারভীন
(৩য় পর্ব)
সৌন্দর্য এবং ব্যাক্তিত্ব এই দুয়ের সংমিশ্রণ শুভকে ভিষন আকর্ষনীয় করে তুলেছিল লাবন্যর কাছে । প্রতিটিক্ষন মনের চোখ দিয়ে খুঁটিয়ে খু্টিয়ে দেখত আর মুগ্ধ হতো। শুভ কথাবার্তায় বেশ সাবলীল। যা বলে খুবি সহজ ভঙ্গিতে। তাই খুব সহজেই সে বলল কথাটা।
- লাবন্য আপনাকে মিস করছি
একটু পরেই আবার বলল
- আচ্ছা আমরা একে অপরকে তুমি করে বলতে পারিনা ?
ভেতরে ভেতরে ভিষন চমকালো লাবন্য । শুভ কি তাহলে লাবন্যর দূর্বলতাটা টের পেয়ে গেছে ? নাকি নিজের ভালোলাগার কথা বলছে ?
তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে লাবন্য বলে
- কেন আপনি তে কি সমস্যা ?
- সমস্যা আছে তো কেমন জানি দুর দুর মনে হয়।
এটাই চাইছিল সে কিন্তু বলতে পারছিলনা । হেসে বলল -ঠিক আছে তাহলে তুমি হলে তুমি । লাবন্যর বলার ভঙ্গিতে এবার শুভও হেসে ফেলে। বলে
- একদম। এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম ।
তারপর দুজনেই হাসে। হঠাৎ কোথা থেকে যেন একটা সুখের দমকা বাতাস এসে মাতাল করে দেয় লাবন্যকে। আপন মনে বার বার বলে
- আমার স্বপ্নের রাজকুমার। আমি তোমাকে পেয়েছি । তোমাকে ভেবে কতরাত নির্ঘুম কেটেছে আমার। সেই তুমি আজ এলে। লাবন্যর। একটা হাত নিজের হাতের মুঠোয় চেপে ধরে চুমু খায় শুভ। লাবন্যকে বুকের কাছে টেনে নিয়ে বলে
- এখন থেকে আর কোন রাত তোমাকে একা থাকতে দেবনা আমি। সারাক্ষন ছায়ার মত তোমার পাশেই থাকবো আর তোমাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেব।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much