বনফুল
( ৫৫ তম পর্ব )
শান্তা কামালী
সকালে উঠে নাস্তা খাওয়া শেষ করে স্ত্রী রাহেলা খাতুনের সাথে কিছুটা সময় কাটালেন অলিউর রহমান সাহেব। তারপর, ফোন হাতে নিয়ে দেখতে পেলেন অহনার বাবা মনিরুজ্জামান সাহেব অহনার একাউন্ট নাম্বার পাঠিয়েছেন। অলিউর রহমান সাহেব স্ত্রী রাহেলা খাতুনের সাথে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে বললেন অহনার কাবিনের টাকা আজই ওর একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেবো ভাবছি,তুমি কি বলো? রাহেলা খাতুন স্বামীকে বললেন খুবই ভালো কথা, কতো টাকার কাবিন দিচ্ছো? সৈকতের বাবা বললেন আমি ভাবছি পাঁচলক্ষ টাকা অহনার একাউন্টে টাস্ফার করে দেবো। ঠিক আছে না কম হয়ে গেল? সৈকতের মা বললেন একদম ঠিক আছে। আর তুমি এতো সুন্দর করে সবকিছুতে ভাবতে পারছো দেখে আমি রীতিমতো অবাক হচ্ছি....! কি জানি আমার মাথায় এতো কিছু আসতো কি না? অলিউর রহমান সাহেব বললেন ঠিক আছে আমি এখন বেরোচ্ছি ব্যাংকের কাজ শেষ করে অহনার টুকটাক কিছু জিনিস কেনাকাটা করার বাকি আছে। সব শেষ করে তবে ফিরবো। ওদিকে অহনার বাড়িতে ও তোড়জোড় চলছে। বিয়ে বলে কথা, একমাত্র মেয়ে। কিছু না হলেও মা-বাবার মন কি শান্তি পাবে। যাবতীয় কর্মকাণ্ড শেষ করে অনলাইনে বর সাজনো,খাট সাজানো সব অর্ডার করে দিয়েছেন অলিউর রহমান সাহেব। বাড়িতে ফিরতে চারটা বেজে গেল। টেবিলে খাবার গোছানো আছে কাজের বুয়া জিজ্ঞেস করলেন খালু খাবার গরম করবো? সৈকতের বাবা বললো হ্যাঁ করো। ওভেনে সব গরম করে পরিবেশন করে দিয়েছে বুয়া। অলিউর রহমান সাহেব খাওয়া শেষ করে স্ত্রীর রুমে গিয়ে কিছুটা সম।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much