বনফুল
( ১৫ তম পর্ব )
দুজনেই বেশ চুটিয়ে গল্প করছে, পলাশ মাঝে মাঝে গভীর ভাবে জুঁইয়ের দিকে তাকাচ্ছে, তবে এই তাকানোতে কোনো পাপ নেই, আছে একে-অপরকে জানা, বুঝার নিবিড় ভালোবাসা।
এরইমধ্যে খাবার চলে এলো, ওয়েটার খাবার পরিবেশন করতেই জুঁই আশ্চর্য!
এতো সব জুঁইয়ের পছন্দের খাবার অর্ডার করেছে......
পলাশ একটু মুচকি হেসে বললো জুঁই আমি তোমার কিছু কিছু পছন্দ জেনে গেছি।
জুঁই বললো হুম তাইতো দেখছি......
দুজনেই খেতে শুরু করলো,
পলাশ বললো জুঁই এখনতো বলো, কি সুখবর দেবে বলেছিলে?
জুঁই বললো আগামী শুক্রবার তুমি আমাদের বাসায় আসছো, বাবা-মা'কে তোমার কথা বলাতে ওনারা তোমাকে আসতে বলেছেন।
এবার পলাশ বুকে হাত রেখে বললো জুঁই এখন আমার সত্যি সত্যিই ভয় লাগছে, আমাকে ডেকে নিয়ে না জানি কি অপমান করবে..........
জুঁই বললো তুমি না পুরুষ মানুষ?
পুরুষেরা এতো ভিতু হয় জানতাম না!
পলাশ বললো জুঁই তুমি বুঝতে পারছনা,
জুঁই বললো আমার এতো বুঝে কাজ নেই, তুমি শুধু শুক্রবারে আসবে।
ব্যাস, বাকী সব কিছু আমি বুঝে নেবো।
পলাশ বললো জোহুকুম রানী সাহেবা.....
কথা বলতে বলতে খাওয়া শেষ হলো,
পলাশ ওয়েটারকে ডেকে বিল নিয়ে আসতে বললো।
পলাশ বললো জুঁই আজ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে...
জুঁই বললো আবারো একবার এই কথাটা!
পলাশ বললো ও বলেছিলাম বুঝি?
জুঁই বললো জ্বি মহাশয় বলে ছিলে।
ওয়েটার বিল নিয়ে আসতেই পলাশ মানিব্যাগ থেকে দুটো একহাজার টাকার নোট বের করে দিলো।
জুঁই বললো এসব কি হচ্ছে তুমি বিল দিচ্ছো কেন?
পলাশ উত্তরে জুঁইকে বললো জুঁই আজকের বিলটা যদি আমি না দিই কবে দেবো সেটা বলতে পারো?
তুমি আজ এতো ভালো খবর দিয়েছো আর আমি তোমাকে কিছু খাওয়াতে পারবো না! তাহলে আমি কিসের পুরুষ মানুষ হলাম বলো? এই বলেই হাহাহা হাহাহা হাহাহা হাসলো পলাশ...
জুঁই বিষয়টা বেশ উপভোগ করলো।
ওয়েটার টাকা আর বিলের কাগজ ট্রেতে করে নিয়ে এলো, পলাশ একটা পঞ্চশ টাকার নোট ট্রেতে রেখে জুঁইকে বললো চলো এখন যাওয়া যাক।
রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠলো, জুঁই পলাশকে পৌঁছে দিয়ে বাসায় এলো।
জুঁই তার মাকে বললো, আম্মু আমি খেয়ে এসেছি, তুমি বাবা খেয়ে নিও। এই বলে জুঁই বলে উপরে উঠে গেলো নিজের ঘরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much