উদাসী মেঘের ডানায়
( ১৯ তম পর্ব )
তৃষ্ণা তৈরী,হয়ে,বিকেলের দিকে মাকে বললো
- মা,আমি একটু রাাইফল স্কয়ারে যাচ্ছি,মজিদ,কেন
বলো,ও যেনো ছয়টার আগে ময়নাকে নিয়ে ডাক্তার
দেখিয়ে,আনে।
মা,- তুই কিসে যাবি?
তৃষ্ণা- এখান থেকে কাছেই রিকসায় যাবো।
তুই নিয়ে,যা,গাড়ি
তষ্ণা -আজ,ড্রাইভ করতে,ইচ্ছে হচ্ছেনা,কতকাল
রিকসায় উঠিনা।
এই বলে বের,হয়ে গেলো।
টুকটাক কেনাকাটা,করে বের হয়ে,বাসার গলির কাছে
এসে রিকসা ছেড়ে দিয়ে কিছু ফল কিনে
হাঁটতে থাকলো।
কোচিং সেন্টারের সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখলো একটা উঠতি বয়সি মেয়েকে একটি প্রাইভেট গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে উত্তেজক ভাষায় কথা বলছে মেয়টির
সাথে। তৃষ্ণা চলে যেতে চেয়েও কি মনে করে গাড়িটির
সামনে দাঁড়াতেই মেয়েটি ছুটে এসে তৃষ্ণার পাশে দাঁড়ালো।
তৃষ্ণা বললো - কি হয়েছে, গাড়ি কি তোমার?
মেয়েটি মাথা নেড়ে বললো না।
তৃষ্ণা- তাহলে কি হয়ছে।
মেয়েটি বললো - আধাঘণ্টা ধরে আমাকে আটকিয়ে
রেখেছে, যেতে দিচ্ছেনা।
তৃষ্ণা- কেন?
-আমি ওড়না পড়িনি কেন তাকে কথা দিতে হবে আমি এখন থেকে ওড়না পরবো তারপর আমাকে যেতে দিবে।
তৃষ্ণাএবার লোকটির দিকে তাকিয়ে বললো- আপনি কি গাড়ির মালিক ?
- জ্বি না আমি ড্রাইবার।
তৃষ্ণা-কোথায় পেলিএতো সাহস?
ড্রাইভার- না মানে আমার মেয়ের বয়সি তাই উপদেশ
দেওয়াটা কি দোষের।
তৃষ্ণা রাগত কন্ঠে বললো- তুই কি ওর গার্জেন, তের এতো মাথা ব্যথা কেন, কোথায় তোর মালিক ডাক।
মালিক আসেনেি উনার ছেলেকে নিয়ে কোচিং করাতে
আসছি।
তৃষ্ণা এবার মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললো
-তুমি এতোক্ষণ এই অসভ্যটার সাথে তর্ক না করে ইউ
ল্যাব ভার্সিটি ছেলেরা সবাই আড্ডা দিচ্ছে তুমি তাদের
ডাকনি কেন? বেশ আমি ডাকছি।
ড্রাইভার এবার ভয় পেয়ে বললো- মাপ করবেন ওদের ডাকবেননা।
এখন তোর গার্জেন গিরি মিটিয়ে দিতাম আর যেনো দেখিনা এই রোডে কোন মেয়েকে আটকিয়ে কে কি পরবে সে বিষয় মাথা ঘামাতে।
এবার মেয়টির দিকে তাকিয় বললো - তোমার বাসা কেথায়?
এইতে এই গলিতে।
তৃষ্ণা-এসো আমার সাথে।
মেয়েটিকে বাসার গেটে পৌচ্ছে দিয়ে বললো-
এদের কাছে ভয় পেলে পেয়ে বসবে বুঝতে পেরেছো
সাহসী হতে প্রতিবাদি হতে চেষ্টা করবে তাহলে আর
এরা সাহস পাবেনা কথা বলতে মনে রেখো।
এই বলে নিজর বাসার দিকে পা বাড়ালো।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much