চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
উদাসী মেঘের ডানায়
পর্ব তেরো
অফিস ছুটি হবার,সময় হয়েছে সামিয়া সব গুছিয়ে
বের হবে এমন সময় সৈকতের ফোন, রিসিভ করতেই
বললো- তাড়াতাড়ি বাসায় যেয়ে রান্না করো আমার তিনজন বন্ধু ওদের বউ নিয়ে আসবে রাতে খাবে
সকালে নাস্তা করে তারপর যাবে।
সামিয়ার মুখটা শুকিয়ে গেলো ভয়ে আজ কয়দিন
ওর র্শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা, সৈকত জানে তবু ও
দাওয়াত দিলো কাল তো শুক্রবার দুপুরে বললে কি হতো।
কি আর করা বাসায় ফোন করে বুয়াকে সব গুছাতে বলে ফোনটা রেখে দিলো।
বাসায় এসে আর শাড়ি পাল্টানো হলোনা হাত মুখ ধুয়ে,সোজা রান্না ঘরে ঢুকলো পাচঁ ছয়টি আাইটেম শেষ না হতেই সৈকত বন্ধুদের নিয়ে বাসায় এসেই
চায়ের অর্ডার দিয়ে নিজে ফ্রেশ হয়ে ড্রইংরুমে ঢুকলো।
সামিয়া চা,নাস্তা দিয়ে একটু কথা বলে নিজে চলে এলো শাওয়ার,নিতে।
ড্রইংরুমে এসে দেখে ভাবিরা সহ তাস খেলায় ব্যাস্ত
ও ওর রুমে চলে এলো বুয়াকে ডাইনিং টেবিলে
প্লেট গ্লাস সব গুছিয়ে দিতে বলে।
রাত,এগারেোটার সময় সবাই ডাইনিংএসে খেতে বসলো। ডিনার সেরে আবার চায়ের পর্ব চলতে চলতে
তাস নিয়ে বসলো।
আজ সারারাতই চলবে শরীরটা খারাপ লাগছে বুয়াকে ঘুমাতে বলে সৈকত কে বললো
ও বেডরুমে চা লাগলে যেনো ডাকে।
পরদিন সকালে এক ভাবে বমি করছে সামিয়া সারাশরীরে রেশ বের হয়েছে আর পারছেনা বড়আপা,কে ফোন করে জানালো বোন এসে বিকেলে
ডাক্তারের কাছে নিয়ে,গেলো।
ডাক্তার রোগী দেখেই বললো মারাত্মক জন্ডিস ভর্তি
করাতে হবে হাসপাতালে সেলাইন দিতে হবে আর কিছু টেষ্ট করাতে হবে।
বড়আপা ভর্তি করিয়ে,সাগরকে জানালো সাগর রেগে
বললো -জন্ডিস হলে হাসপাতালে ভর্তির দরকার ছিলো আমার সংসার,বাচ্চাদের কে দেখবে
বড়আাপা- আমি দেখবো ঠিক আছে।
তিনদিন ধরে রোজই অফিস থেকে হাসপাতালে এসে
সামিয়াকে আখ খাওয়ায় সবার সামনে।
সবাই চলে গেলে বলে -ডাক্তার কে বলো ছেড়ে দিতে
নয়তো ডিভোর্স দিবো বলে।
সামিয়া অবাক হয়ে,মুখের দিকে তাকিয়ে,থাকলো।
রাতে প্রফেসার এলো বললো সামিয়া বাসায় যাবার,কথা বলতেই বললো,- কিভাবে যাবেন আপনার বিলোরোবিন এখনো হাাই,ছাড়া যাবেনা।
পরদিন সেই,একই ঘ্যানঘ্যান আজও বললো যখন
ডাক্তার সাহেবকে বললো যান তবে সমস্ত রিপোর্ট ডাক্তারের কাছে,থাকবে সুস্থ্য না হওয়া পর্ষন্ত
তাই রাজি হলো সামিয়া বাসায় চলে এলো।
সামিয়া আস্তে আস্তে সুস্থ্য হলো বড়আপা চেকআপে
নিয়ে যায় বিলোরোবিন নিল হওয়ার,পর ডাক্তার সাহেব রিপোর্ট সব বুঝিয়ে দিলো।
সংসারে ঝগড়া,মান অভিমান কত কিছুই হয় সামিয়ার
জীবন ইটের দেয়ালের ভিতর যেনো কালো এক ইতিহাস যা আঁধারেই থাকবে কেউ জানবেনা দেখবেনা এসব নাটকীয়তার গোপন গল্প কথা।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much