২৮ নভেম্বর ২০২১

লেখক শান্তা কামালী'র ধারাবাহিক উপন্যাস "বনফুল"৩১

চোখ রাখুন স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার পাতায় লেখক শান্তা কামালী'র  নতুন ধারাবাহিক  উপন্যাস "বনফুল" 
 


বনফুল
( ৩১ তম পর্ব ) 


                                                             জুঁই পলাশ শহর থেকে একটু দুরে আশুলিয়ায়....  অনেক নিরিবিলি দেখে একটা গাছের নিজে বসলো ।
জুঁই বললো তোমাকে ছাড়া কীভাবে এতো দিন থাকব জানিনা, পলাশ বললো জুঁই এতো কোথায় মাত্র দুই বছর!  জুঁই বললো তোমাকে ছাড়া একেক  দিন মনে হয় একেকটা বছর.......! পলাশ জুঁইয়ে হাত ধরে বললো জুঁই তুমি এখনি এতো চিন্তা করছো কেন?  আমরা প্রতিদিন ফোনে কথা বলবো তো নাকি! তবুও জুঁইয়ের দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরছে.... 
পলাশ আস্তে করে জুঁইয়ের মাথা বুকে ধরে চোখের পানি পলাশের হাত দিয়ে মুছে দিয়ে বললো জুঁই তুমি যদি এতো অবুঝ হও তাহলে আমি এদেশের কোনো ভার্সিটি থেকে এমবিএ করে নেব,তোমাকে কোনো রকম কষ্ট দিতে পারবো না। পলাশের মুখে এমন কথা শুনে জুঁই নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো, কি যে বলো আমার কোনো কষ্ট হবে তুমি বিদেশ থেকেই  এমবিএ করবে, তুমিইত বললে প্রতিদিন আমরা ফোনে কথা বলবো.... পলাশ বললো হে বলবো তো। জুঁই পলাশের বুকে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে বসে আছে পলাশও জুঁইয়ের সুগন্ধি চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে...... 
পলাশ বললো জুঁই কষ্ট কি তোমার একার হবে, আমার তোমাকে ছেড়ে থাকতে কষ্ট হবে না? জুঁই মুখে কিছু না বলে মাথা নেড়ে সুমতি জানালো হ্যাঁ। পাশ দিয়ে বাদাম ওয়ালা ডেকে যাচ্ছে বাদাম লাগবে বাদাম..... পলাশ ইশারায় বাদাম ওয়ালাকে ডাকলো, জুঁই ঠিকঠাক হয়ে বসলো। পলাশ ত্রিশ টাকার বাদাম নিলো,বাদাম ওয়ালা চলে যেতেই পলাশ বাদামের খোসা ছাড়িয়ে জুঁইয়ের হতে দিচ্ছে... জুঁই বাদাম খাচ্ছে আর পলাশে দিকে নিবিড় চোখে তাকাচ্ছে......  পলাশ প্রশ্ন করলো  এমন করে কি দেখছো? 
জুঁই উত্তর দিলো তোমায় দেখছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much