চলছে নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের পড়তে সহযোগিতা করুন লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম লেখার।
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে লিখতে সহযোগিতা করবে।
উদাসী মেঘের ডানায়
( পর্ব ১৮ )
পরদিন সকাল থেকে সামিয়া একভাবে বমি করছে। বড় আপাকে কল করতেই চলে এলো বাসায়
সৈকত কে বললো ডাক্তারের কথা সৈকত বললো-
আমার আজ ভীষণ কাজের চাপ আপা আপনি যখন
এসেছেন আপনিই বরং নিয়ে যান।
বড় আপা বিকেলে নিয়ে গেলো ডাক্তারের চেম্বারে
ডাক্তার দেখেই বললো জন্ডিস খুব বেশি বিলোরবিন টেষ্ট করিয়ে ভর্তি করুন এখনই স্যালাাইন দিতে হবে।
ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে,সৈকত কে সব বললো
সৈকত-জন্ডিস হলে আা্বার ভর্তি হতে হয় নাকি আপা
কিযে করেন আপনারা আমার বাসার রান্নাবান্না কে করবে।
বড়আপা- বুয়া আছেনা আপাতত বুয়ার হাতে খাও
আমি রাখছি।
এভাবে তিনদিন গেলো বিলোরবিন এখনো তেমন একটা কমেনি সৈকত রাতে বাসায় ফিরে যাবার সময়
দেখে যায় আর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে ডাক্তার
কে বলতে ছেড়ে দিতে বাসায়।
সামিয়া বললো - বিলোরবিন আর একটু না কমলে
ছাড়বেনা, আমি বলেছি।
সৈকত- ডাক্তার তোর স্বামি না আমি। দুদিন সময় দিলাম,হাসপাতাল না,ছাড়লে ডিভোর্স দিবো তারপর
ডাক্তারের সাথে চলে যাস, এই বলে বেরিয়ে গেলো
সামিয়া স্তব্ধ হয়ে শুয়ে,রইলো কেবল চোখ থেকে জল গড়িয়ে,পড়লো এই নিরব যাতনার কান্নার কোন সাক্ষী
নেই, কেবল ইউনিভার্স ছাড়া।
ডাক্তার ছেড়ে দিলো বন্ড সই করিয়ে প্রেসক্রিপশন কাগজপত্র রেখে ভালো হলে দিবো আগামি সপ্তাহে
টেষ্ট করিয়ে যেনো রিপোর্ট দেখায়।
বাসায় ফিরে এলো কিন্তু এবার বারবার কানে বাজছে
ডিভোর্স এর কথাটা, মন থেকে সরাতে পারছেনা কিছুতেই। আর ভাবছে এভাবে আরও কত বছর কাটাবে নিষ্ঠুর মানুষের সাথে।বাববার ওর আত্মসন্মানের উপর আঘাত করেই যাচ্ছে, এর শেষ
কোথায়? তাহলে কি এর উত্তর সামিয়াকেই দিতে হবে।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much