ঘরের ভিতর থেকে কবি ধরেছেন দৃশ্যকথা গদ্যের ভাষায় ধারাবাহিক ভাবেই প্রকাশিত হয়ে চলেছে তাঁর অসাধারন সৃষ্টি। লিখতে সহোযোগিতা করুন লাইক ও কমেন্ট করে । পত্রিকার পক্ষ থেকে সকল পাঠক পাঠিকা লেখক লেখিকা সকলের জন্য রইলো অনন্ত শুভেচ্ছা
সহধর্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা
(১০ম পর্ব)
স্বামী স্ত্রীর দম্পতি সম্পর্ক নিয়ে কবি সাহিত্যিকগণ যে কত ধরনের মজার মজার বাণী ও উক্তি উপহার দিয়েছেন তার কোন ইয়ত্তা নেই।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, "যে স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট জড়িয়ে ধরে রাখে তাঁর কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশংকা থাকে কম"। সুনীল গঙ্গপাধ্যায় বলেন, "স্ত্রীদের যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিন, নাহলে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বাস করুন। সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না" ।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম উক্তি করেন, "সেই কাপুরুষ যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারেনি"। আবার সত্যজিৎ রায় বলেন যে, "প্রতিদিন একবার স্ত্রীকে ”আমি তোমাকে ভালোবাসি” বললে মাথার সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়"।
সমরেশ মজুমদার বলেন "স্ত্রীকে সপ্তাহে একদিন ফুচকা খাওয়াতে এবং মাসে একদিন ঘুরতে নিয়ে গেলে স্বামীর শরীর সাস্থ্য ভালো থাকে"।
বড় বড় বিশ্বনন্দিত কবি সাহিত্যকগণ এভাবেই স্বামী ও স্ত্রী তথা সহধর্মিণীর সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে নানা ধরনের হাস্যরসাত্মক উক্তি করেছেন। আসলে ভাল ব্যবহার ও আচরণের কোনই বিকল্প নেই। বিশ্বের বড় বড় শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে পরস্পর সুসম্পর্কের অভাবে তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে নানা টানাপেড়েন দেখা দেয়। আর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, দুদুটি বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারণটিও হলো বোধ করি দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্কহীনতা।
আজকের পর্বটি লেখার সময় সহধর্মিণী একনজর পড়ে মুচকি হাসলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম- তাঁর হাসার কারণ কি? তিনি বললেন সবগুলিই তো পুরুষ কবি কিংবা সাহিত্যিকের উক্তি তোমার লেখায় সন্নিবেশিত করলে কিন্তু কোন নারী লেখকের উক্তি তো তোমার লেখায় কোথাও দেখলাম না। উত্তরে বললাম যে, আমি তো একজন নারীর হুঁশিয়ারী বার্তা নিয়ে আজ দশম পর্ব লিখছি। তুমি সেটা ভুলে গেলে নাকি? আর এজন্যই তো যত পুরুষ কবি সাহিত্যিকের উক্তি আমার এ লেখনীতে ঠাঁই পেয়েছে। সহধর্মিণী বললেন- ওহ্ আচ্ছা!
সারাদিন অফিসের কাজে সময় করতে পারিনে আর তাই আমার যত লেখালেখি শুরু হয় রাত নয়টার পর। স্বভাবতই শুতে শুতে অনেক রাত হয়ে যায়। এমন এক পরিস্থিতিতে সহধর্মিণীর মূল্যবান উক্তিটি ছিল এমন যে, "রাত জাগলে শরীর খারাপ হবে আর শরীর খারাপ হলে লেখা চালিয়ে যাবে কিভাবে"?
একজন আদর্শ সহধর্মিণীর হুঁশিয়ারী বার্তা বোধ করি এমনই হয়।
অলঙ্করণ : প্রীতি দেব
ক্রমশ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much