২৮ অক্টোবর ২০২১

রুকসানা রহমান এর ধারাবাহিক উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়"২০

চলছে নতুন  ধারাবাহিক  উপন্যাস "উদাসী মেঘের ডানায়
লেখাটি পড়ুন এবং অন্যদের  পড়তে সহযোগিতা করুন  লেখককের মনের অন্দরমহলে জমে থাকা শব্দগুচ্ছ একত্রিত হয়েই জন্ম  লেখার। 
আপনাদের মূল্যবান কমেন্টে লেখককে  লিখতে সহযোগিতা করবে। 





উদাসী মেঘের ডানায়
( পর্ব২০)


রাস্তার ঘটনাটা তৃষ্ণাকে খুব ভাবিয়ে তুললো কি হচ্ছে
এসব,সামান্য এক ড্রাইভার এতোটা সাহস কোথা থেকে পায়, কারা ওরা?
হঠাৎ মায়ের ডাকে ভাবনা ছুটে গেলো
- তৃষ্ণা খাবিনা মা রাগ প্রায় দশটা বাজতে চললো
তখন থেকে দেখছি বাসায় ফিরে কি ভাবছিস
তৃষ্ণ- চলো খাবো কিছু ভাবছিনা মা, অযথা চিন্তা করোনা।
খাওয়া শেষ করে দেখে সারে দশটা বাজে অপু এখনো
ফোন করছেনা আজ নিজেই কল করে অপুকে সারপ্রাইজ দেবে এই ভেবে ফোন করলো।
অপু- সরি তৃষ্ণা একটু রাত হয়ে গেলো জানি প্রতিক্ষায় ছিলে।
তৃষ্ণা- মোটেই তা নয়, এমনি ফোন দিলাম আজ।
অপু- সত্যি বলতে লজ্জা পাচ্ছো,তাহলে রেখে দেই।
তৃষ্ণা- না রেখোনা, অপেক্ষা করিতো, রাত হয়ে গিয়েছে ফোন করছোনা, শরীর খারাপ হলো কিনা
জানার জন্য।
অপু-আমি দিব্যি ভালো আছি, যাক তাহলে আমার জন্য তোমার চিন্তা হয়।
তৃষ্ণা- এবার কিন্ত আমি লাইন কেটে দিবো।
অপু- না মহারানী না, রাখবেনা, আমি ছাদে বসে ছিলাম কখন যে খোলা প্রকৃতির হাওয়া আমাকে
আনমনা করে তুললো,রিংটোনটা বাজতেই ভাবনা ছুটে গেলো,দেখি তুমি, এও এক বিরাট পাওয়া আমার
জীবনে আজ তুমি নিজে কল করলে।
তৃষ্ণা- উদাসী হাওয়ায় কি ভাবছিলে?
অপু- ভাবছিলাম আমার জীবনের সাথে তেমাকে জড়ানো কি ঠিক হলো, আবার এও ভাবছি ভালোবাসার অধিকার কি আমার নেই।
তৃষ্ণা- অবশ্যই আছে, একটি প্রতারণার জ্বালে দীর্ঘ পাচঁটি বছর তুমি যে ধোর্যের পরিচয়,দিয়েছো তার পুরস্কার ও তুমি পাবে।
অপু- পুরস্কারটা বিধাতা দিয়েছেন সে হলো তুমি
হয়তো দেরি হলেও দূর্বিসহ জীবনের এতোটা পথ পাড়ি,দিয়ে আজ মুক্তির পথে দুজনাই হাঁটছি এও কি
কম পাওয়া,,আমার জীবনে বিশাল কিছু পাওয়া।
আর তোমার গুছানে সুন্দর কথা গুলোই আমার বেঁচে
থাকার অনুপ্রেরণা।
তৃষ্ণা- আমিও সব স্বপ্ন হারিয়ে ছিলাম ভেবেছি কষ্টের
জলে স্বপ্নরা বাঁচেনা, সেই জল থেকে ভাসালে তুমি
নতুন স্বপ্ন একেঁ।
অপু- তোমার প্রতি দিনদিন আমি এক তীব্র আকষর্ণে
জড়িয়ে থাকি কবে আসবে তুমি আমার ঘরে
অয়কান্ত মনির মতন তুমি আমাকে কেবলই টানছো।
মাঝেমাঝে বড় ভয় হয়।
তৃষ্ণা-কিসের ভয়?
অপু- তোমাকে সুখী করতে পারবোতো।
তৃষ্ণা- কেন পারবেনা, এসব ভাবতে নেই,আমিও যদি
একই কথা বলি।
অপু- তুমি আমাকে যা দিয়েছো পাচঁটি বছর নিরবে সরে গিয়ে কয়জন পারে দিতে সুখ শান্তি সবই দিয়েছো,বাকি আছে আমার কাছে একেবারে চলে আসা,আসবেনা?
আসবো খুব তাড়াতাড়ি, মা ও তাড়া দিচ্ছে,সামনের
মাসে ছাড়া ছুটি পাবোনা, একটা মাস আর একটু
ধোর্য ধরো।
ধরেই আছি গো মোনালিসা।রাত একটা বাজে সকালে
অফিসে যেতে হবে আমাদের আজ রাখি
ভালো থেকো
তৃষ্ণা- তুমিও



                                                                                                    চলবে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

thank you so much