বনফুল
(৫৭ তম পর্ব )
শান্তা কামালী
সকাল আটটার মধ্যে সৈকতের বড় মামা মামানি চলে এসেছেন।
সৈকতের বাবা গতকালই হোটেলে অর্ডার করে রেখেছেন, সকালে কি কি নাস্তা আসবে, বারটায় কি রিচুয়াল স্পেশাল ডিশ.....।
বেলা এগারোটায় সৈকতের ছোট মামা, দুই চাচা এসেছেন, এর কিছুক্ষণ পরে সৈকতের ছোট বেলার বন্ধু আসিফ সাথে তিনটা ছেলে কয়েক ব্যাগ ফুল আরো কিসব... নিয়ে এলো।গতকালই অহনার বাড়ি থেকে ফার্নিচার এসেছে, আসিফ সৈকতকে নিয়ে ওর রুম থেকে বেরিয়ে এসে অন্য রুমে বসেছে।
সাড়ে বারোটায় সৈকতের ফুলসজ্জার খাট সাজিয়ে এসে আসিফ কাকে যেন উদ্দেশ্য করে বললো বরের সবকিছু বের করে দেন, বরকে সাজিয়ে আমাদের ছুটি। বেলা ঠিক একটার দিকে সাজানো গোছানো ডিশ নিয়ে এলো হোটেল বয়েরা। সৈকতের বাবা বললেন আসিফ তোমাদের মামানি সাহায্য করবেন খাওয়ার ব্যাপারটা শেষ করো, আমরা বেরোবো। নিয়ম মেনে সৈকত খাবারের ডিশে হাত রেখে নিজের অজান্তেই চোখ অশ্রুতে ভরে গেল....
আজ মা সুস্থ থাকলে পাশে বসে ছেলের মাথায় আশির্বাদ করতেন।
মামানি বুঝতে পেরে বললো আমি তোমার মায়ের হয়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি, বলে উনি সৈকতের মুখে এক লোকমা ভাত তুলে দিলেন, আসিফ ও খেলো সামান্য। হাত ধুয়ে সৈকত মায়ের বিছানার পাশে গিয়ে বসলো, মা রাহেলা খাতুন হাসি মুখে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন এসো বাবা । সৈকতের বাবা ফুলে ফুলে সজ্জিত গাড়িতে সৈকত ও আসিফকে তুলে দিয়ে ওনারা পাঁচজন একটা লাইট্রেসে উঠলেন।
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
thank you so much